গুস্টাফ ষ্ট্রেজেমান
এই নিবন্ধটির তথ্যছকটি অন্য একটি ভাষা থেকে সম্পূর্ণ বা আংশিক অনুবাদ করা হয়নি। |
গুস্টাফ ষ্ট্রেজেমান | |
---|---|
Chancellor of Germany (Weimar Republic) | |
কাজের মেয়াদ 13 August 1923 – 30 November 1923 | |
রাষ্ট্রপতি | Friedrich Ebert |
ডেপুটি | Robert Schmidt |
পূর্বসূরী | Wilhelm Cuno |
উত্তরসূরী | Wilhelm Marx |
Minister of Foreign Affairs | |
কাজের মেয়াদ 13 August 1923 – 3 October 1929 | |
চ্যান্সেলর | Himself Wilhelm Marx Hans Luther Hermann Müller |
পূর্বসূরী | Hans von Rosenberg |
উত্তরসূরী | Julius Curtius |
Chairman of the German People's Party | |
কাজের মেয়াদ 15 December 1918 – 3 October 1929 | |
পূর্বসূরী | Position established |
উত্তরসূরী | Ernst Scholz |
Member of the Reichstag (Weimar Republic) | |
কাজের মেয়াদ 24 June 1920 – 3 October 1929 | |
নির্বাচনী এলাকা | National list (1924–1929) Potsdam II (1920–1924) |
(German Empire) | |
কাজের মেয়াদ 19 February 1907 – 9 November 1918 | |
নির্বাচনী এলাকা | Hannover 2 (1912–1918) Sachsen 21 (1907–1912) |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | Berlin, German Empire | ১০ মে ১৮৭৮
মৃত্যু | ৩ অক্টোবর ১৯২৯ Berlin, Weimar Republic | (বয়স ৫১)
রাজনৈতিক দল | National Liberal Party (1907–1918) German Democratic Party (1918) German People's Party (1918–1929) |
দাম্পত্য সঙ্গী | Käte Kleefeld |
সন্তান | Wolfgang Hans-Joachim |
পুরস্কার | Nobel Peace Prize (1926) |
স্বাক্ষর |
গুস্টাফ ষ্ট্রেজেমান (১০ই মে, ১৮৭৮ - ৩রা অক্টোবর ১৯২৯) ২০শ শতাব্দীর প্রথম তিন দশকের একজন জার্মান রাজনীতিবিদ যিনি ১৯২৩ সালের আগস্ট থেকে নভেম্বর পর্যন্ত জার্মান ভাইমার প্রজাতন্ত্রের কানৎসলার (চ্যান্সেলর) ও ১৯২৩ থেকে ১৯২৯ সাল পর্যন্ত দেশটির পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। দুই বিশ্বযুদ্ধ-মধ্য পর্বে তিনি জার্মানির রাজনৈতিক অশান্তি-অস্থিতিশীলতা হ্রাস করেন এবং আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়ের কাছে জার্মানির হৃতসম্মান পুনরুদ্ধার করেন। তাঁর প্রধান কৃতিত্ব ছিল জার্মানি এবং ফ্রান্সের মধ্যে পুনর্মিলন, যে জন্য তাকে ফ্রান্সের প্রধানমন্ত্রী আরিস্তিদ ব্রিয়ঁ-র সাথে যৌথভাবে ১৯২৬ সালে শান্তিতে নোবেল পুরস্কার প্রদান করা হয়। তিনি বার্লিন বিশ্ববিদ্যালয় এবং লাইপৎসিশ বিশ্ববিদ্যালয়ে শিক্ষালাভ করেন। তিনি উদারপন্থা এবং জাতীয়তাবাদের সমন্বয়ে নির্মিত একটি রাজনৈতিক দৃষ্টিভঙ্গির অধিকারী ছিলেন।
১৮৭৮ সালে বার্লিন শহরে জন্মগ্রহণকারী ষ্ট্রেজেমান পৌর কর্মকাণ্ডের বিশেষজ্ঞ ও অর্থনীতি বিষয়ক লেখক হিসেবে পরিচিত ছিলেন। ১৯০৭ সালে রাজনীতিতে প্রবেশ করে ষ্ট্রেজেমান ন্যাশনাল লিবারেল পার্টির প্রতিনিধিত্ব করে জার্মান আইনসভা রাইখষ্টাগের সর্বকনিষ্ঠ সদস্য নির্বাচিত হন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধের সময় তিনি জার্মানির সাম্রাজ্যবাদী উচ্চাভিলাষের পক্ষে ছিলেন। বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয় ও জার্মানিতে রাজতন্ত্রের অবসানের পরে ষ্ট্রেজেমান প্রজাতন্ত্রী সরকার ব্যবস্থার সাথে মানিয়ে নেন, তবে ভের্সাইয়ের চুক্তির তীব্র বিরোধিতা করেন। প্রথম বিশ্বযুদ্ধে জার্মানির পরাজয়ের পর তিনি ১৯১৮ সালে জার্মান পিপলস পার্টি (ডিভিপি) প্রতিষ্ঠা করেন ও অন্যান্য গণতন্ত্রপন্থী দলগুলির সাথে কোয়ালিশন গঠনের চেষ্টা করেন। ১৯২৩ সালে একটি কোয়লিশন সরকারের চ্যান্সেলর এবং পরবর্তীতে আরেকটি সরকারের পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে তিনি মিত্রশক্তিদের সাথে মিমাংসা করার নীতি অবলম্বন করেন, ফরাসি-বেলজীয় দখলের নিষ্ক্রিয় প্রতিরোধ পরিত্যাগ করেন এবং অতি-মুদ্রাস্ফীতি মোকাবেলায় রেন্টেনমার্কের প্রবর্তন করেন। ১৯২৩ সালে কয়েক মাসের ব্যবধানে তাঁর কোয়ালিশন সরকারের পতন ঘটলেও তিনি পরবর্তী সরকারে ভিলহেল্ম মার্কসের অধীনে পররাষ্ট্রমন্ত্রী হিসাবে কাজ অব্যাহত রাখেন।
ষ্ট্রেজেমানের কূটনৈতিক সাফল্যের মধ্যে রয়েছে ১৯২৪ থেকে ১৯২৮ সাল পর্যন্ত ডওস অ্যান্ড ইয়াংস প্ল্যানের মাধ্যমে জার্মানির ক্ষতিপূরণ হ্রাস করা; ১৯২৫ সালের লোকার্নো চুক্তির মাধ্যমে সম্মিলিত জাতিপুঞ্জে (লিগ অফ নেশনসে) জার্মানির সদস্যপদ নিশ্চিত করা; ১৯২৬ সালের বার্লিন চুক্তির দ্বারা সোভিয়েত ইউনিয়নের সাথে সম্পর্ক উন্নত করা এবং ১৯২৮ সালের কেলগ-ব্রিয়ঁ চুক্তির দ্বারা যুদ্ধ প্রত্যাখান করে শান্তিপূর্ণ সংঘাত সমাধানের পক্ষে অবস্থান নেন।
১৯২৯ সালের ৩রা অক্টোবর তিনি বার্লিনে মাত্র ৫১ বছর বয়সে মৃত্যুবরণ করেন। স্বাস্থ্যের অবনতি হওয়া সত্ত্বেও মৃত্যুর আগ পর্যন্ত তিনি জার্মানির ক্ষতিপূরণ আরও কমানোর জন্য ইয়ংস পরিকল্পনা নিয়ে আলোচনা করছিলেন।