মসজিদ আল কিবলাতাইন
মসজিদ আল-কিবলাতাইন | |
---|---|
مسجد القبلتين | |
ধর্ম | |
অন্তর্ভুক্তি | সুন্নি ইসলাম |
অবস্থান | |
অবস্থান | মদিনা, সৌদি আরব |
স্থানাঙ্ক | ২৪°২৯′০২.৭১″ উত্তর ৩৯°৩৪′৪৪.০৭″ পূর্ব / ২৪.৪৮৪০৮৬১° উত্তর ৩৯.৫৭৮৯০৮৩° পূর্ব |
স্থাপত্য | |
স্থপতি | আব্দুল ওয়াহেদ আল-ওয়াকিল |
ধরন | মসজিদ |
প্রতিষ্ঠাতা | সাওয়াদ ইবনে ঘানাম ইবনে কায়াব |
সম্পূর্ণ হয় | ১৯৮৭ |
বিনির্দেশ | |
সম্মুখভাগের দিক | হুমায়ুন |
ধারণক্ষমতা | ২০০০ জন |
গম্বুজসমূহ | ২ |
মিনার | ২ |
মসজিদ আল-কিবলাতাইন (আরবি: مسجد القبلتين, অনুবাদ 'দুই কিবলার মসজিদ', Hijazi Arabic উচ্চারণ: [mas.dʒɪd al.ɡɪb.la.teːn]) হলো মদিনার একটি মসজিদ, যা মুসলমানদের বিশ্বাস অনুযায়ী সেই স্থান যেখানে ইসলামের শেষ নবী মুহাম্মদ কিবলা (যেদিকে মুখ করে নামাজ পরা হয়) পরিবর্তনের আদেশ লাভ করেন। আগে কিবলা ছিল আল-আকসা মসজিদের দিকে, আর এই আদেশের পর তা পরিবর্তন করে মসজিদুল হারামের দিকে করা হয়। মসজিদটি ২ হিজরি সালে (৬২৩ খ্রিষ্টাব্দে) সাওয়াদ ইবন গনাম ইবন কায়াব দ্বারা নির্মিত হয়েছিল।[১] এটি বিশ্বের অল্প কয়েকটি মসজিদের একটি যেখানে কিবলার দুটি ভিন্ন দিক নির্দেশের জন্য দুটি মিহরাব ছিল।
বাদশাহ ফাহাদের শাসনামলে ১৯৮৭ সালে মসজিদটি সম্পূর্ণ ভেঙে নতুন করে পুনর্নির্মাণ করা হয়। পুনর্নির্মাণের সময় জেরুজালেমের দিকে মুখ করা পুরোনো সেই মিহরাব সরিয়ে ফেলা হয় এবং মক্কার দিকে মুখ করা মিহরাবটি রেখে দেওয়া হয়।[২] কিবলাতাইন মসজিদটি প্রাচীনতম মসজিদগুলির মধ্যে একটি এবং এটি মুহাম্মদের সময়ের একটি মসজিদ।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]মসজিদটি মদিনার প্রাচীনতম মসজিদগুলোর মধ্যে একটি, যা ২ হিজরিতে ইসলামের প্রাথমিক যুগে সাওয়াদ ইবন গনাম ইবন কায়াব আল-আনসারী নির্মাণ করেছিলেন।[১] এই মসজিদের নামকরণ নবী মুহাম্মদের জীবদ্দশার একটি ঘটনার সঙ্গে সম্পর্কিত। ২ হিজরির ১৫ শাবান মাসে যোহরের নামাজের সময় আল্লাহর পক্ষ থেকে তিনি একটি ওহি পান, যাতে তাকে নির্দেশ দেওয়া হয় যে কিবলা হিসেবে মসজিদে হারামকে গ্রহণ করতে হবে, যা আগে বায়তুল মাকদিস তথা জেরুজালেমের আল-আকসা মসজিদ ছিল।[৩] মুহাম্মদ তখন মসজিদে নববীতে সাহাবাদের নিকটে এই ঘোষণা করেন এবং এটি দ্রুত ছড়িয়ে পড়ে। যা মক্কায় হজ করতে যান এমন অনেক হজযাত্রী মদিনাও ভ্রমণ করেন। এর মধ্যে অনেকে এই মসজিদটি ঐতিহাসিক গুরুত্বের কারণে মসজিদটি দেখতে যান।[১]
আকাশের দিকে বার বার তোমার মুখ ফিরানো আমি অবশ্যই দেখছি। অতএব আমি অবশ্যই তোমাকে এমন কিবলার দিকে ফিরাব, যা তুমি পছন্দ কর। সুতরাং তোমার চেহারা মাসজিদুল হারামের দিকে ফিরাও এবং তোমরা যেখানেই থাক, তার দিকেই তোমাদের চেহারা ফিরাও। আর নিশ্চয় যারা কিতাবপ্রাপ্ত হয়েছে, তারা অবশ্যই জানে যে, তা তাদের রবের পক্ষ থেকে সত্য এবং তারা যা করে, সে ব্যাপারে আল্লাহ গাফিল নন। – কুরআন (২:১৪৪)
চিত্রশালা
[সম্পাদনা]-
মসজিদের প্রবেশদ্বার
-
মিহরাবের অভ্যন্তর
-
খালিদ ইবনে ওয়ালিদ সড়ক হতে মসজিদের প্রদর্শন
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ "'Masjid Qiblatain': The mosque where Muslim prayer direction changed from Jerusalem to Makkah"। আরব সংবাদ (ইংরেজি ভাষায়)। ২০১৮-০৬-০৩। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-৩১।
- ↑ "Masjid al-Qiblatain (Medina)"। Madain Project। সংগ্রহের তারিখ ৮ এপ্রিল ২০২০।
- ↑ Mustafa Abu Sway, The Holy Land, Jerusalem and Al-Aqsa Mosque in the Qur’an, Sunnah and other Islamic Literary Source (পিডিএফ), Central Conference of American Rabbis, ২০১১-০৭-২৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা