বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক
বজবজ ১ | |
---|---|
সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক | |
স্থানাঙ্ক: ২২°২৮′৫৮″ উত্তর ৮৮°১০′৫৪″ পূর্ব / ২২.৪৮২৭৫৪৮° উত্তর ৮৮.১৮১৭৫৯৪° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা |
মহকুমা | আলিপুর সদর |
আয়তন | |
• মোট | ২৬.৫৫ বর্গকিমি (১০.২৫ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৯ মিটার (৩০ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,১২,৯০৮ |
• জনঘনত্ব | ৪,৩০০/বর্গকিমি (১১,০০০/বর্গমাইল) |
ভাষা | |
• সরকারি | বাংলা[১][২] |
• অতিরিক্ত সরকারি | ইংরেজি[১] |
সময় অঞ্চল | ভারতীয় প্রমাণ সময় (ইউটিসি+০৫.৩০) |
পিন কোড | ৭০০১৩৭ |
টেলিফোন কোড | +৯১ ৩৩ |
যানবাহন নিবন্ধন | ডব্লিউবি-১৯ থেকে ডব্লিউবি-২২, ডব্লিউবি-৯৫ থেকে ডব্লিউবি-৯৯ |
লোকসভা কেন্দ্র | ডায়মন্ড হারবার |
বিধানসভা কেন্দ্র | বজবজ |
ওয়েবসাইট | www |
বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক হল ভারতীয় রাজ্য পশ্চিমবঙ্গের দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার আলিপুর সদর মহকুমার একটি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক। এই ব্লকের সদর পূর্ব নিশ্চিন্তপুরে অবস্থিত।[৩]
ভূগোল
[সম্পাদনা]বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক ২২°২৮′৫৮″ উত্তর ৮৮°১০′৫৪″ পূর্ব / ২২.৪৮২৭৫৪৮° উত্তর ৮৮.১৮১৭৫৯৪° পূর্ব অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশের মধ্যে অবস্থিত। সমুদ্রপৃষ্ঠ থেকে এই ব্লকের গড় উচ্চতা ৯ মিটার (৩০ ফু)।
বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের উত্তর দিকে হুগলি নদীর অপর পাড়ে হাওড়া জেলার সাঁকরাইল সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, পূর্ব দিকে আলিপুর সদর মহকুমা ঠাকুরপুকুর মহেশতলা সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক, দক্ষিণ দিকে আলিপুর সদর মহকুমারই বজবজ ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক এবং পশ্চিম দিকে হুগলি নদীর অপর পাড়ে হাওড়া জেলার সাঁকরাইল ও উলুবেড়িয়া ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক অবস্থিত।[৪][৫]
ডিস্ট্রিক্ট স্ট্যাটিস্টিক্যাল হ্যান্ডবুক ফর সাউথ টোয়েন্টি-ফোর পরগনাস গ্রন্থে প্রদত্ত তথ্য অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের আয়তন ২৬.৫৫ বর্গ কিলোমিটার। এই ব্লকে একটি পঞ্চায়েত সমিতি, ছয়টি গ্রাম পঞ্চায়েত, ৮৩টি গ্রাম সংসদ, ষোলোটি মৌজা এবং তেরোটি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম অবস্থিত। ব্লকটি বজবজ ও নোদাখালি থানার এক্তিয়ারভুক্ত এলাকার অন্তর্গত।[৬]
বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লক / পঞ্চায়েত সমিতির অন্তর্গত গ্রাম পঞ্চায়েতগুলি হল: বুইটা, চিংড়িপোতা, মায়াপুর, নিশ্চিন্তপুর, রাজীবপুর ও উত্তর রায়পুর।[৭]
জনপরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]জনসংখ্যা
[সম্পাদনা]২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট জনসংখ্যা ১১২,৯০৮; এর মধ্যে গ্রামীণ জনসংখ্যা ২৯,৫৭৩ এবং শহরাঞ্চলীয় জনসংখ্যা ৮৩,৩৩৫। এই ব্লকে পুরুষের সংখ্যা ৫৭,৬৬২ (মোট জনসংখ্যার ৫১ শতাংশ) ও মহিলার সংখ্যা ৫৫,২৪৬ (মোট জনসংখ্যার ৪৯ শতাংশ)। ১২,৬৩৩ জনের বয়স অনধিক ৬ বছর। তফসিলি জাতিভুক্ত ব্যক্তির সংখায় ২১,৯৮৩ (মোট জনসংখ্যার ১৯.৪৭ শতাংশ) এবং তফসিলি উপজাতিভুক্ত ব্যক্তির সংখ্যা ১৭০ (মোত জনসংখ্যার ০.১৫ শতাংশ)।[৮]
২০০১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুসারে, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট জনসংখ্যা ছিল ৯৯,৮৭৪; এর মধ্যে ৯৮,০২৭ জন ছিলেন পুরুষ এবং ৯২,৫৮৯ জন ছিলেন মহিলা। ১৯৯১-২০০১ দশকে এই ব্লকে জনসংখ্যা বৃদ্ধির নথিবদ্ধ হার ছিল ১৬.৩৮ শতাংশ। উল্লেখ্য এই দশকে দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা ও পশ্চিমবঙ্গের জনসংখ্যা বৃদ্ধির সামগ্রিক হার ছিল যথাক্রমে ২০.৮৯ শতাংশ এবং ১৭.৮৪ শতাংশ। উক্ত জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে তফসিলি জাতিভুক্ত জনসংখ্যা ছিল ২৩,৮২৯ (মোট জনসংখ্যার প্রায় এক-চতুর্থাংশ) এবং তফসিলি উপজাতিভুক্ত জনসংখ্যা ছিল ৬৬০।[৯][১০][১১]
বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত জনগণনা নগরগুলি হল (২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী জনসংখ্যা বন্ধনীতে): উত্তর রায়পুর (২৩,০৮৪), বলরামপুর (৫,২৫১), বুইটা (১৬,৭৬৪), বেনজানহারি আরারিয়াল (৫,১৮৭), অভিরামপুর (৪,৬১৮), নিশ্চিন্তপুর (৬,৩৫৩) ও বিড়লাপুর (২২,০৭৮)।[৮]
বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত অন্যূন ৪০০০ জনসংখ্যা-বিশিষ্ট বড়ো গ্রাম হল (বন্ধনীর মধ্যে ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী জনসংখ্যা দেওয়া হল): জামালপুর (৪,৮৫৭)।[৮]
বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের অন্তর্গত অপর গ্রাম হল (বন্ধনীর মধ্যে ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী জনসংখ্যা দেওয়া হল): চিংড়িপোতা (৩,০০৩)।[৮]
সাক্ষরতা
[সম্পাদনা]২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুসারে, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের মোট সাক্ষর জনসংখ্যা ৮০,৭৮৭ (৬ বছরের অধিক বয়সী জনসংখ্যার ৮০.৫৭ শতাংশ)। এর মধ্যে সাক্ষর পুরুষের সংখ্যা ৪৩,৫৭২ (৬ বছরের অধিক বয়সী জনসংখ্যার ৮৫.০১ শতাংশ) এবং সাক্ষর মহিলার সংখ্যা ৩৭,২১৫ (৬ বছরের অধিক বয়সী জনসংখ্যার ৭৫.৯২ শতাংশ)। লিঙ্গবৈষম্যের (মহিলা ও পুরুষ সাক্ষরতার হারের পার্থক্য) হার ৯.০৯ শতাংশ।[৮] উল্লেখ্য, ২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় সাক্ষরতার হার ৭৭.৫১ শতাংশ,[১২] যেখানে পশ্চিমবঙ্গে সাক্ষরতার হার ৭৭.০৮ শতাংশ[১৩] এবং ভারতে সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪ শতাংশ।[১৩]
২০০১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে সাক্ষরতার হার ছিল ৭৩.৯৮ শতাংশ, পুরুষ সাক্ষরতার হার ছিল ৮১.৩৬ শতাংশ ও মহিলা সাক্ষরতার হার ছিল ৬৪.৮২ শতাংশ। উক্ত জনগণনা অনুযায়ী, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলায় সাক্ষরতার হার ছিল ৬৯.৪৫ শতাংশ, পুরুষ সাক্ষরতার হার ছিল ৭৯.১৯ শতাংশ ও মহিলা সাক্ষরতার হার ছিল ৫৯.০১ শতাংশ।[৯]
টেমপ্লেট:দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকগুলিতে সাক্ষরতা
ভাষা ও ধর্ম
[সম্পাদনা]২০০১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মোট জনংখ্যার ৯৭.৯ শতাংশের মাতৃভাষা বাংলা; ১.৫ শতাংশের মাতৃভাষা হিন্দি, ০.৩ শতাংশের মাতৃভাষা উর্দু এবং ওড়িয়া ও তেলুগু-ভাষী লোকের সংখ্যা ০.১ শতাংশ করে।[১৪]
২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে হিন্দুদের মোট সংখ্যা ৫৯,১৭৪, যা মোট জনসংখ্যার ৫২.৪১ শতাংশ। মুসলমানের সংখ্যা ৫৩,৫০৮ (মোট জনসংখ্যার ৪৭.৩৯ শতাংশ) এবং অন্যান্য ধর্মাবলম্বীদের সংখ্যা ২২৬ (মোট জনসংখ্যার ০.২০ শতাংশ)।[১৫]
গ্রামীণ দারিদ্র্য
[সম্পাদনা]২০০৯ সালে প্রকাশিত দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মানবোন্নয়ন প্রতিবেদন অনুসারে, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থানকারী পরিবারের হার ১৪.৭৮ শতাংশ, যা তুলনামূলকভাবে নিম্ন দারিদ্র্যের স্তর। ২০০৫ সালে একটি গ্রামীণ গৃহস্থালী সমীক্ষায় জানা যায়, দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলার মোট জনসংখ্যার ৩৪.১১ শতাংশ দারিদ্র্যসীমার নিচে অবস্থান করছে, যা রাজ্য ও জাতীয় দারিদ্র্য অনুপাতের অনেক উপরে। উল্লেখ্য, সুন্দরবনের জনবসতি এলাকায় অবস্থিত তেরোটি সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের নথিবদ্ধ দারিদ্র্য অনুপাত নিম্ন দারিদ্র্যসীমায় অবস্থানকারী জনসংখ্যার ৩০ শতাংশের উপরে এবং আটটি ব্লকের ক্ষেত্রে এই হার ৪০ শতাংশের উপরে।[১৬]
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]জীবিকা
[সম্পাদনা]২০১১ সালের হিসাব অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে মোট শ্রমজীবীর মধ্যে কৃষকদের সংখ্যা ১,১৪০ (মোট শ্রমজীবীদের ২.৮৩ শতাংশ), কৃষিশ্রমিকের সংখ্যা ৪,৭৬২ (মোট শ্রমজীবীদের ১১.৮১ শতাংশ), কুটিরশিল্পের সঙ্গে যুক্ত শ্রমিকদের সংখ্যা ৪,৭৭২ (মোট শ্রমজীবীদের ১১.৮৩ শতাংশ) এবং অন্যান্য শ্রমিকের সংখ্যা ২৯,৬৫৬ (মোট শ্রমজীবীদের ৭৩.৫৩ শতাংশ)।[১৭] এই সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে মোট শ্রমজীবীর সংখ্যা ৪০,৪৩০, যা মোট জনসংখ্যার ৩৫.৭২ শতাংশ এবং অ-শ্রমজীবীর সংখ্যা ৭২,৫৭৮, যা মোট জনসংখ্যার ৬৪.২৮ শতাংশ।[১৮]
পরিকাঠামো
[সম্পাদনা]ডিস্ট্রিক্ট সেন্সাস হ্যান্ডবুক, সাউথ টোয়েন্টি-ফোর পরগনাস, ২০১১-এর প্রতিবেদন অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে মোট তেরোটি জনবসতিপূর্ণ গ্রাম আছে। ১০০ শতাংশ গ্রামেই বিদ্যুৎ সংযোগ, টেলিফোন সংযোগ (ল্যান্ডলাইন, পাবলিক কল অফিস ও মোবাইল ফোন-সহ) এবং পানীয় জলের সংযোগ রয়েছে। একটি গ্রামে (৭.৬৯ শতাংশ) ডাকঘর রয়েছে। সাতটি গ্রামে (৫৩.৮৫ শতাংশ) পাকা রাস্তা রয়েছে এবং একটি গ্রামে (৭.৬৯ শতাংশ) পরিবহন যোগাযোগ (বাস পরিষেবা, রেল পরিষেবা ও নাব্য জলপথ) রয়েছে।[১৯]
কৃষি
[সম্পাদনা]১৯৪৬ সালে ভারতের কমিউনিস্ট পার্টির নেতৃত্বে শুরু হওয়া তেভাগা আন্দোলনে বৃহত্তর চব্বিশ পরগনা জেলা গুরুত্বপূর্ণ ভূমিকা গ্রহণ করেছিল। এরপর কৃষকদের ভূম্যধিকার রক্ষার তাগিদে অপারেশন বর্গা কর্মসূচি গৃহীত হয়। বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ২৩১.১৮ একর জমি অধিগৃহীত এবং তার স্থায়ী অধিকার অর্পিত হয়। অর্পিত জমির ১৫.০৬ একর বা ৬.৫ শতাংশ বণ্টিত হয়েছিল। মোট ৮৩ জন জমির পাট্টা অর্থাৎ নথিপত্র পেয়েছিলেন।[২০]
২০১৩-১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে দশটি ফার্টিলাইজার ডিপো, আটটি সিড স্টোর এবং ২৬টি রেশন দোকান আছে।[২১]
২০১৩-১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে ১,৪৯৩ হেক্টর জমিতে প্রধান শীতকালীন ফসল আমন ধান উৎপাদিত হয় ৩,০২০ টন এবং ২৩৩ হেক্টর জমিতে গ্রীষ্মকালীন ফসল বোরো ধান উৎপাদিত হয় ১,০৪৪ টন।[২১]
মৎস্যচাষ
[সম্পাদনা]২০১৩-১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ১৩৫ হেক্টর এলাকা জুড়ে কার্যকরীভাবে মৎসচাষ করা হয়। মোট ২,৪৫০ জন এই পেশার সঙ্গে যুক্ত এবং এই চাষে বার্ষিক উৎপাদন প্রায় ৩০,০৭০ কুইন্টাল।[২১]
মৎস্যচাষ সমগ্র দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলারই জীবিকার একটি গুরুত্বপূর্ণ উৎস। ২০০১ সালের হিসাব অনুযায়ী, সাড়ে চার লক্ষেরও বেশি লোক এই জেলায় মৎস্যচাষের সঙ্গে যুক্ত। এদের মধ্যে ২.৫৭ লক্ষ মানুষের বাস সুন্দরবন বসতি অঞ্চলের তেরোটি ব্লকে।[২২]
ব্যাংক পরিষেবা
[সম্পাদনা]২০১৩-১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে মোট বারোটি বাণিজ্যিক ব্যাংকের কার্যালয় অবস্থিত।[২১]
অনুন্নত অঞ্চল অনুদান তহবিল
[সম্পাদনা]দক্ষিণ চব্বিশ পরগনা জেলা অনুন্নত অঞ্চলের তালিকাভুক্ত। এই জেলাটি অনুন্নত অঞ্চল অনুদান তহবিল থেকে আর্থিক সাহায্য লাভ করে। ভারত সরকার সৃষ্ট এই তহবিল গঠনের উদ্দেশ্য ছিল উন্নয়নের ক্ষেত্রে আঞ্চলিক বৈষম্য দূরীকরণ। ২০১২ সালের হিসাব অনুযায়ী, দেশের মোট ২৭২টি জেলা এই তালিকার অন্তর্ভুক্ত, যার মধ্যে পশ্চিমবঙ্গের এগারোটি জেলা রয়েছে।[২৩][২৪]
পরিবহণ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে একটি প্রান্তিক বাস রুট আছে।[২১]
শিয়ালদহ-বজবজ লাইনের সন্তোষপুর, আক্রা, নুঙ্গি ও বজবজ রেল স্টেশনগুলি বজবজ ১ ও বজবজ ২ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে রেল পরিষেবা প্রদান করে।[২৫]
শিক্ষাব্যবস্থা
[সম্পাদনা]২০১৩-১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের ৪১টি প্রাথমিক বিদ্যালয়ে ৩,৩২৩ জন, পাঁচটি মধ্য বিদ্যালয়ে ১৮২ জন, দু’টি উচ্চ বিদ্যালয়ে ৪৬০ জন এবং দশটি উচ্চ মাধ্যমিক বিদ্যালয়ে ৬,৭৫০ জন ছাত্রছাত্রী পড়াশোনা করে। বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি প্রযুক্তিগত/পেশাকেন্দ্রিক প্রতিষ্ঠানে ৯৪৮ জন এবং বিশেষ ও অ-প্রাতিষ্ঠানিক শিক্ষার জন্য নির্দিষ্ট ২৬২টি প্রতিষ্ঠানে ১১,১৭০ জনচ হাত্রছাত্রী পড়াশোনা করেন।[২১]
২০১১ সালের জনগণনার প্রতিবেদন অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের তেরোটি জনবসতিপূর্ণ গ্রামের মধ্যে একটি গ্রামে বিদ্যালয় নেই, ছয়টি গ্রামে দুই বা ততোধিক প্রাথমিক বিদ্যালয় আছে, পাঁচটি গ্রামে একটি প্রাথমিক ও একটি মধ্য বিদ্যালয় আছে এবং তিনটি গ্রামে অন্তত একটি মধ্য ও একটি মাধ্যমিক বিদ্যালয় রয়েছে।[২৬]
২০০৯ সালে বজবজের নিশ্চিন্তপুরে স্থাপিত হয় বজবজ ইনস্টিটিউট অফ টেকনোলজি। এই প্রতিষ্ঠানে ডিপ্লোমা, ডিগ্রি ও স্নাতকোত্তর পাঠক্রমে পড়াশোনা হয়।[২৭][২৮]
স্বাস্থ্য পরিষেবা
[সম্পাদনা]২০১৪ সালের হিসাব অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকে একটি গ্রামীণ হাসপাতাল, দু’টি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র এবং তিনটি বেসরকারি নার্সিংহোমে মোট ৫৬টি শয্যা ও সাত জন ডাক্তার (বেসরকারি বাদে) সুলভ। এই ব্লকে ১৪টি পরিবার কল্যাণ উপকেন্দ্র রয়েছে এবং হাসপাতাল, স্বাস্থ্যকেন্দ্র ও উপকেন্দ্রগুলির অন্তর্বিভাগে ২,৭৪৮ এবং বহির্বিভাগে ১৫৪,০৮৮ জন রোগী চিকিৎসার ব্যবস্থা রয়েছে।[২১]
২০১১ সালের জনগণনা অনুযায়ী, বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের একটি গ্রামে একটি প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র, দশটি গ্রামে প্রাথমিক স্বাস্থ্য উপকেন্দ্র, সাতটি গ্রামে ওষুদের দোকান এবং মোট তেরোটি জনবসতিপূর্ণ গ্রামের মধ্যে একটিতে কোনও রকম স্বাস্থ্য পরিষেবাই সুলভ নয়।[২৯]
বেনজানহারি আচারিয়ালে অবস্থিত বেনজানহারি আচারিয়াল গ্রামীণ হাসপাতাল বজবজ ১ সমষ্টি উন্নয়ন ব্লকের প্রধান সরকারি চিকিৎসাকেন্দ্র। এটি ৩০টি শয্যাবিশিষ্ট একটি হাসপাতাল। এছাড়া বিরাজলক্ষ্মী (ডাকঘর – পূজালি, ছয়টি শয্যাবিশিষ্ট) এবং জামালপুরে (ছয়টি শয্যাবিশিষ্ট) প্রাথমিক স্বাস্থ্যকেন্দ্র রয়েছে।[৩০][৩১][৩২]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Fact and Figures"। Wb.gov.in। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "52nd REPORT OF THE COMMISSIONER FOR LINGUISTIC MINORITIES IN INDIA" (পিডিএফ)। Nclm.nic.in। Ministry of Minority Affairs। পৃষ্ঠা 85। ২৫ মে ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৯।
- ↑ "BDO Offices under South 24 Parganas District"। West Bengal Public Library Network, Government of West Bengal। ৩ অক্টোবর ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "District Census Handbook: South 24 Parganas, Series 20, Part XII B" (পিডিএফ)। Map of South 24 Parganas with CD block HQs and Police Stations (on the fourth page)। Directorate of Census Operations, West Bengal, 2011। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "South Twenty-four Parganas"। CD block/ tehsil map। Maps of India। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "District Statistical Handbook 2014 South 24 Parganas"। Table No. 2.1, 2.2। Department of Statistics and Programme Implementation, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Blocks and Gram Panchayats in South 24 Parganas"। South 24 Parganas District Administration। ২৫ এপ্রিল ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "CD block Wise Primary Census Abstract Data(PCA)"। 2011 census: West Bengal – District-wise CD blocks। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ২ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ ক খ "District Statistical Handbook – 2010-11 – South 24 Parganas"। South 24 Parganas at a glance, Tables 2.2, 2.4 (b), 4.5। Bureau of Applied Economics and Statistics, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ এপ্রিল ২০১৬।
- ↑ "Provisional Population Totals, West Bengal. Table 4"। Census of India 2001 – South 24 Parganas। Census Commission of India। জুলাই ১৯, ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-২০।
- ↑ "Provisional Population Totals, West Bengal. Table 4"। Census of India 2001। Census Commission of India। সেপ্টেম্বর ২৭, ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০১-২০।
- ↑ "District Census 2011"। Population Census 2011। সংগ্রহের তারিখ ২৪ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ "Provisional population tables and annexures" (পিডিএফ)। Census 2011:Table 2(3) Literates and Literacy rates by sex। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ৯ ফেব্রুয়ারি ২০১৬।
- ↑ "Census of India 2011, West Bengal, District Census Handbook, South Twentyfour Parganas, Series – 20, Part XII-A, Village and Town Directory" (পিডিএফ)। Page 53, Table 11: Population by Mother-tongue in South 24 Parganas district 1961-2001। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "C1 Population by Religious Community"। West Bengal। Registrar General and Census Commissioner, India। সংগ্রহের তারিখ ৩ মে ২০১৬।
- ↑ "District Human Development Report: South 24 Parganas"। Pages 42-43, Chapter 3.8: Poverty Scenario in South 24 Parganas। Department of Planning and Statistics, Government of West Bengal। ৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "District Census Handbook South Twentyfour Parganas, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Table 33: Distribution of Workers by Sex in Four Categories of Economic Activity in Sub-district 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "District Census Handbook South Twentyfour Parganas, Census of India 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Table 30: Number and percentage of Main workers, Marginal workers and Non workers by Sex, in Sub-districts, 2011। Directorate of Census Operations, West Bengal। সংগ্রহের তারিখ ২৪ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "District Census Handbook, South Twentfour Parganas, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Page 111, Table 36: Distribution of villages according to availability of different amenities, 2011। Directorate of Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ২৬ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "District Human Development Report: South 24 Parganas"। (1) Chapter 1.2, South 24 Parganas in Historical Perspective, pages 7-9 (2) Chapter 3.4, Land reforms, pages 32-33। Development & Planning Department, Government of West Bengal, 2009। ২০১৬-১০-০৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ "District Statistical Handbook 2014 South 24 Parganas"। Table No. 16.1, 18.1, 18.3, 20.1, 21.2, 4.4, 3.1, 3.2, 3.3 – arranged as per use। Department of Statistics and Programme Implementation, Government of West Bengal। ২১ জানুয়ারি ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "District Human Development Report: South 24 Parganas"। Pages 76 , Chapter 4.5.2: Non-agriculture, (i) Pisciculture। Department of Planning and Statistics, Government of West Bengal। ৫ অক্টোবর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Backward Regions Grant Funds: Programme Guidelines" (পিডিএফ)। Ministry of Panchayati Raj, Government of India। ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Backward Regions Grant Fund"। Press Release, 14 June 2012। Press Information Bureau, Government of India। সংগ্রহের তারিখ ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৯।
- ↑ "34112 Sealdah – Budge Budge Local"। Time Table। India Rail Info। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "District Census Handbook, South 24 Parganas, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Page 931-932, Appendix I A: Villages by number of Primary Schools and Appendix I B: Villages by Primary, Middle and Secondary Schools। Directorate of Census Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ২ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "BBIT"। Budge Budge Institute of Technology। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Budge Budge Institute of Technology"। BBIT। সংগ্রহের তারিখ ২৯ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "District Census Handbook, South Twentyfour Parganas, 2011, Series 20, Part XII A" (পিডিএফ)। Pages 927-929, Appendix I: Summary showing total number of villages having Educational, Medical and other amenities – CD block level। Directorate of Census Operations, West Bengal.। সংগ্রহের তারিখ ৪ অক্টোবর ২০১৯।
- ↑ "Health & Family Welfare Department" (পিডিএফ)। Health Statistics – Rural Hospitals। Government of West Bengal। ৮ অক্টোবর ২০২২ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Health & Family Welfare Department" (পিডিএফ)। Health Statistics – Block Primary Health Centres। Government of West Bengal। ১৬ আগস্ট ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৯।
- ↑ "Health & Family Welfare Department" (পিডিএফ)। Health Statistics – Primary Health Centres। Government of West Bengal। ২১ এপ্রিল ২০১৮ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ নভেম্বর ২০১৯।