জলপাইগুড়ি
জলপাইগুড়ি | |
---|---|
শহর | |
পশ্চিমবঙ্গ, ভারতে অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৬°৩১′ উত্তর ৮৮°৪৪′ পূর্ব / ২৬.৫২° উত্তর ৮৮.৭৩° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | পশ্চিমবঙ্গ |
জেলা | জলপাইগুড়ি |
প্রতিষ্ঠাতা | ব্রিটিশ ভারত |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসভা |
• শাসক | জলপাইগুড়ি পৌরসভা |
উচ্চতা | ৮৯ মিটার (২৯২ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মোট | ১,৬৯,০০২ |
• ক্রম | ১৯তম পশ্চিমবঙ্গে |
ভাষা | |
• অফিসিয়াল | বাংলা, ইংরেজি, রাজবংশী |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৭৩৫ ১০১ - ১১০ (শহর), ৭৩৫ ১২০ - ১৩৫ (শহরতলি) |
জলপাইগুড়ি ভারতের পশ্চিমবঙ্গ রাজ্যের জলপাইগুড়ি জেলার একটি শহর ও পৌরসভা এলাকা। এটি জলপাইগুড়ি জেলার সদর শহর ও জেলার প্রধান শহর, এছাড়া এটি ,বিভাগীয় হেড কোয়ার্টার শহর এবং প্রশাসনিক দিক থেকে খুবই গুরুত্বপূর্ণ শহর। উত্তরবঙ্গের জেলাগুলোর বিচারকাজ পরিচালনা করার জন্য কলকাতা হাইকোর্টের সার্কিট বেঞ্চ জলপাইগুড়ি শহরে চালু করা হয় ২০২১ সালে । শহরটি তিস্তা নদী তিস্তা ও করলা নদীর তীরে অবস্থিত৷ এই শহর একটি সাংস্কৃতিক শহর ।
ভৌগোলিক উপাত্ত
[সম্পাদনা]শহরটির অবস্থানের অক্ষাংশ ও দ্রাঘিমাংশ হল ২৬°৩১′ উত্তর ৮৮°৪৪′ পূর্ব / ২৬.৫২° উত্তর ৮৮.৭৩° পূর্ব।[১] সমুদ্র সমতল হতে এর গড় উচ্চতা হল ৮৯ মিটার (২৯২ ফুট)। শহরটি তিস্তা নদীর ধারে অবস্থিত। এছাড়া শহরের মধ্যে দিয়ে করলা নদী প্রবাহিত হয়েছে যাকে "জলপাইগুড়ির টেমস" নামেও অভিহিত করা হয়।
জনসংখ্যার উপাত্ত
[সম্পাদনা]ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে জলপাইগুড়ি শহরের জনসংখ্যা হল ১,০৭,৩৪১ জন।[২] এর মধ্যে পুরুষ ৫৩,৭০৮ (৫০%) এবং নারী ৫৩,৬৩৩ (৫০%)।
- এখানে সাক্ষরতার হার ৮৬.৪৩%। সারা ভারতের সাক্ষরতার হার ৭৪.০৪%, তার চাইতে জলপাইগুড়ি এর সাক্ষরতার হার বেশি।
এই শহরের জনসংখ্যার ১৪.৫২২% হল ৬ বছর বা তার কম বয়সী।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]বিদ্যালয়
[সম্পাদনা]- গড়ালবাড়ি হাই স্কুল (উ.মা.)
- ভোট পাট্টি হনুমান বক্স লোহিয়া উচ্চতর বিদ্যালয়
- অরবিন্দ মাধ্যমিক উচ্চতর বিদ্যালয়
- জলপাইগুড়ি জিলা স্কুল
- জলপাইগুড়ি রাষ্ট্রীয় বালিকা বিদ্যালয়
- ফণীন্দ্রদেব বিদ্যালয়
- সুনীতি বালা সদর বালিকা বিদ্যালয়
- জলপাইগুড়ি উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সোনাউল্লা উচ্চতর মাধ্যমিক বিদ্যালয়
- সেন্ট্রাল বালিকা বিদ্যালয়
- দেবনগর সতীশ লাহিড়ী উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়
- মোহিত নগর কলোনী তারাপ্রসাদ উচ্চমাধ্যমিক বিদ্যালয়
- রাণীনগর রবীন্দ্রনাথ উচ্চ বিদ্যালয়
- বাহাদুর মুন্নাজ হ্যাপী হোম হাই স্কুল
- দেশবন্ধু নগর মাধ্যমিক বিদ্যালয়(উ.মা.)
- বেরুবাড়ী তপশীলী ফ্রী হাইস্কুল (উ.মা.)
- গোমিরা পাড়া হাইস্কুল (উ.মা.)
- সোনালী গার্লস হাই স্কুল
- আনন্দ মডেল উচ্চ বিদ্যালয়
- দেবনগর কুমুদিনী গার্লস হাই স্কুল
- বাসুদেব গার্লস হাই স্কুল
- মাড়োয়ারি বালিকা উচ্চ বিদ্যালয়
- জলপাইগুড়ি হিন্দি হাই স্কুল
- রানীনগর কেন্দ্রীয় বিদ্যালয়
- মেহেরুন্নেসা উচ্চ বালিকা বিদ্যালয়
- ফয়জন্নেসা উচ্চ বিদ্যালয়
- কালিয়াগঞ্জ উত্তমেশ্বর হাই স্কুল
- পূর্বাচল উচ্চ বিদ্যালয়
মহাবিদ্যালয়
[সম্পাদনা]- আনন্দ চন্দ্র কলেজ
- প্রসন্নদেব মহিলা মহাবিদ্যালয়
- আনন্দ চন্দ্র কলেজ অফ্ কমার্স
- জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট ইঞ্জিনিয়ারিং (অটোনমাস) কলেজ
- জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট পলিটেকনিক ইনস্টিটিউট
- উত্তরবঙ্গের একমাত্র সরকারি ফার্মেসি কলেজ জলপাইগুড়ি ফার্মেসি ইনস্টিটিউট
- উত্তরবঙ্গের সবচেয়ে পুরোনো সরকারি আইন কলেজ জলপাইগুড়ি ল' কলেজ
- জলপাইগুড়ি গভর্নমেন্ট মেডিকেল কলেজ ও হাসপাতাল ২০২১ এ চালু হয়
- আনন্দ চন্দ্র শিক্ষক শিক্ষণ মহাবিদ্যালয়
- রবীন্দ্রনাথ ঠাকুর টিচার্স ট্রেনিং কলেজ
বিশ্ববিদ্যালয়
[সম্পাদনা]- ২০১৩- ২০১৪ শিক্ষাবর্ষ থেকে জলপাইগুড়িতে উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের দ্বিতীয় ক্যাম্পাসে পঠনপাঠন আরম্ভ হয়েছে।
- নেতাজি সুভাষ মুক্ত বিশ্ববিদ্যালয়ের নর্থবেঙ্গল রিজিওনাল হেড ক্যাম্পাস জলপাইগুড়ি তেই অবস্থিত।
অন্যকিছু
[সম্পাদনা]- LIC -এর নর্থবেঙ্গল,সিকিম ও পূর্ব বিহারের রিজিওনাল হেড কোয়ার্টার জলপাইগুড়ি শহরেই অবস্থিত।
- আয়কর বিভাগের নর্থবেঙ্গল রিজিওনাল হেড কোয়ার্টার জলপাইগুড়ি শহরেই অবস্থিত।
- প্রভিডেন্ট ফান্ড নর্থবেঙ্গল রিজিওনাল হেড কোয়ার্টার জলপাইগুড়ি শহরেই অবস্থিত।
দর্শনীয় স্থান
[সম্পাদনা]- গয়েরকাটা মধুবনী পার্ক
- বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ি
- বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির সিংহদুয়ার
- বৈকুন্ঠপুর রাজবাড়ির দিঘি ও সংলগ্ন মন্দিরদ্বয়
- যোগমায়া কালীবাড়ি
- দেবী চৌধুরাণীর কালীবাড়ি
- তিস্তা নদীর পাড়বাঁধ
- জল্পেশ মন্দির
- গোসাইহাট পার্ক
- মা ভ্রামরী দেবী মন্দির
- জলপাইগুড়ি ইকো সিটি
- জলপাইগুড়ি শহরের জুবলি পার্ক
- তিস্তা উদ্যান
- জলপাইগুড়ি শহরের রাজবাড়ী দিঘি
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Jalpaiguri"। Falling Rain Genomics, Inc (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ৭, ২০০৬।
- ↑ "ভারতের ২০১১ সালের আদমশুমারি" (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ জুন ১৪, ২০২০।
পরিবহন ও যোগাযোগ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]জলপাইগুড়ি শহর ভারতের গুরুত্বপূর্ণ একটি সড়ক ৪/৬ লেন বিশিষ্ট সড়ক পূর্ব-পশ্চিম (পোরবন্দর থেকে শিলচর)করিডর হাইওয়ে দ্বারা সারা দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সাথে যুক্ত।এছাড়া, জলপাইগুড়ি শহরে দুটি রেলস্টেশন আছে- জলপাইগুড়ি রোড ও জলপাইগুড়ি স্টেশন যা টাউন স্টেশন নামেও পরিচিত।এই দুই স্টেশনের দ্বারা জলপাইগুড়ি শহর কলকাতা,দিল্লি, লখনৌ,পাটনা,চেন্নাই,ভুবনেশ্বর,কোচিন, আগরতলা,গুয়াহাটি,বেঙ্গালুরু সহ দেশের বিভিন্ন প্রান্তের সঙ্গে যুক্ত। জলপাইগুড়ি শহর সংলগ্ন পাঙ্গা এলাকায় পরিত্যক্ত এয়ারপোর্ট রয়েছে,যদিও এটি বর্তমানে চালু নেই,তবে এটি চালু করার চেষ্টা চলছে।