বিষয়বস্তুতে চলুন

ধম্মপদ

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ধম্মপদ (পালি; প্রাকৃত: धम्मपद;[] সংস্কৃত: धर्मपद ধর্মপদ) হল কবিতার আকারে লেখা গৌতম বুদ্ধের বাণীর একটি সংকলন গ্রন্থ। এটি বৌদ্ধধর্মের সর্বাধিক পঠিত ও সর্বাধিক পরিচিত ধর্মগ্রন্থ।[] মূল ধম্মপদ গ্রন্থটি থেরবাদ বৌদ্ধধর্মের পালি ধর্মগ্রন্থ খুদ্দক নিকায়-এর অন্তর্গত।

বৌদ্ধ পণ্ডিত ও টীকাকার বুদ্ধঘোষের ব্যাখ্যা অনুসারে, বুদ্ধের জীবন ও তাঁর ধর্মসংঘের ইতিহাসে এক একটি অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ পরিস্থিতির প্রেক্ষাপটে এই গ্রন্থের বাণীগুলি উচ্চারিত ও সংকলিত হয়েছে। তাঁর ধম্মপদ অট্‌ঠকথা টীকায় তিনি প্রতিটি ঘটনার বিবরণ দিয়েছেন। এই বইটি বুদ্ধের জীবন ও সময়ের ইতিহাসে একটি গুরুত্বপূর্ণ দলিল।[]

নামকরণ

[সম্পাদনা]

ধম্মপদ শব্দটি "ধম্ম" ও "পদ" শব্দদুটি নিয়ে গঠিত। এই শব্দদুটির একাধিক অর্থ রয়েছে। সাধারণত, "ধম্ম" বলতে বুদ্ধের মতবাদ বা একটি "চিরন্তন সত্য" বা "সদ্‌গুণ" বা সবধরনের "ভাব"কে বোঝায়।[] এবং "পদ" বলতে "পথ" বা "কবিতা" অথবা দুটিকেই বোঝায়।[] ধম্মপদ-এর ইংরেজি অনুবাদে, এই জাতীয় শব্দেরই নানা জোড় ব্যবহৃত হয়েছে।[][]

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

প্রচলিত বিশ্বাস অনুসারে, ধম্মপদ-এর শ্লোকগুলি বুদ্ধের উক্তি।[] "বুদ্ধের বাণীকে তার জটিল গঠনভঙ্গিমা, তত্ত্বকথা, কাব্যিক ভঙ্গি ও আকারগত স্থূলতাকে পরিহার করে সংক্ষিপ্ত ও স্বচ্ছ কাব্যভাষায় প্রকাশ করে ধম্মপদ বুদ্ধের ধর্মকে সকলের কাছে উন্মুক্ত করে দিয়েছে... সম্ভবত খ্রিস্টপূর্ব তৃতীয় শতাব্দীতে এই গ্রন্থ সংকলিত হয়েছিল ভারতের প্রাচীন বৌদ্ধসম্প্রদায়গুলির মধ্যে বুদ্ধের মূল বাণীকে সহজলভ্য করে তোলার জন্য।"[] এই গ্রন্থটি সুত্ত পিটকের খুদ্দক নিকায়ের একটি অংশ। যদিও এর শ্লোকগুলি অন্যান্য পালি গ্রন্থেও পাওয়া যায়।[১০] খ্রিস্টীয় পঞ্চম শতাব্দীতে বুদ্ধঘোষ তাঁর ভাষ্যে এই গ্রন্থের সঙ্গে সম্পর্কিত ৩০৫টি গল্পের উল্লেখ করেন এবং সেই গল্পগুলির সঙ্গে ধম্মপদ-এর নির্দিষ্ট শ্লোকের সম্পর্ক দেখিয়ে দেন।

মূল পালি গ্রন্থটিই সর্বাধিক পরিচিত। তবে এই গ্রন্থের আরও কয়েকটি সংস্করণ রয়েছে:[১১]

  • গান্ধারী ধর্মপদ –সম্ভবত ধর্মগুপ্তক বা কাশ্যপীয় উৎসের সংস্করণ।[১২] এটি গান্ধারী ভাষায় খরোষ্ঠী লিপিতে লেখা।[১৩]
  • পাটনা ধর্মপদ – বৌদ্ধ মিশ্র সংস্কৃত ভাষায় রচিত সংস্করণ।[১৪] সম্ভবত সম্মাতীয় উৎসের।[১৫]
  • উদানবর্গ – সম্ভবত মূল-সর্বাস্তিবাদ বা সর্বাস্তিবাদ ধর্মগ্রন্থ।[১৬][১৭] এই গ্রন্থের নিম্নোক্ত সংস্করণগুলি দেখা যায়:
    • ৩টি সংস্কৃত সংস্করণ
    • একটি তিব্বতি সংস্করণ,[১৮] যেটি তিব্বতি বৌদ্ধধর্মে একটি জনপ্রিয় গ্রন্থ।
  • মহাবস্তু – একটি লোকোত্তরবাদী ধর্মগ্রন্থ। এই গ্রন্থের শ্লোকগুলি ধম্মপদের "সহস্‌স বগ্‌গ" ও "ভিক্‌খু বগ্‌গ" অংশের অনুরূপ।[১৯]
  • ফাজিউ জিং – ৪টি চীনা ধর্মগ্রন্থ, যার একটি পালি ধম্মপদ-এর বিস্তারিত অনুবাদ। তবে এটি বিশেষ জনপ্রিয় নয়।

পালি ধম্মপদ এবং গান্ধারী ধর্মপদউদানবর্গ-এর মধ্যে তুলনা করতে গিয়ে ব্রো (২০০১) বলেছেন, গ্রন্থগুলির মধ্যে ৩৩০ থেকে ৩৪০টি শ্লোকের মিল রয়েছে। মিল রয়েছে ১৬টি শিরোনাম ও মূল কাঠামোর। তিনি বলেছেন, তিনটি বইয়েরই "পূর্বপুরুষ এক"। তবে তিনি এও জানিয়েছেন, এমন কোনো প্রমাণ পাওয়া যায় না, যার থেকে প্রমাণিত হয় এই তিনটির কোনো একটি "প্রাচীন ধম্মপদ" এবং অপর দুটি সেই প্রাচীন "ধম্মপদ"-এর থেকে উৎসারিত।[২০]

ধম্মপদ হল থেরবাদ সাহিত্যের সবচেয়ে জনপ্রিয় ধর্মগ্রন্থ।[] ড্যানিশ গবেষক ভিগো ফাউবুল ১৮৫৫ সালে ধম্মপদ গ্রন্থের একটি সমালোচনা লেখেন। এটিই প্রথম পালি গ্রন্থ পাশ্চাত্যে যার প্রথম গবেষণামূলক সমালোচনা করা হয়েছিল।[২১]

পালি ধম্মপদ-এ ২৬টি অধ্যায়ে ৪২৩টি শ্লোক রয়েছে।[২২][২৩][২৪]

যুগল শ্লোকসমূহ (যমক-বগ্‌গ)
দৃঢ়বিশ্বাস প্রসঙ্গে (অপ্পামদা-বগ্‌গ)
চিন্তা (চিত্ত-বগ্‌গ)
ফুল (পুপ্পহ-বগ্‌গ)
মূর্খ (বাল-বগ্‌গ)
জ্ঞানী (পণ্ডিত-বগ্‌গ)
সম্মানীয় (অর্হন্ত-বগ্‌গ)
সহস্র (সহস্‌স=বগ্‌গ)
পাপ (পাপ-বগ্‌গ)
১০ শাস্তি (দণ্ড-বগ্‌গ)
১১ বার্ধক্য (জরা-বগ্‌গ)
১২ আত্মা (আত্তা-বগ্‌গ)
১৩ বিশ্ব (লোক-বগ্‌গ)
১৪ বুদ্ধ (বুদ্ধ-বগ্‌গ)
১৫ সুখ (সুখ-বগ্‌গ)
১৬ প্রিয় (পিয়-বগ্‌গ)
১৭ ক্রোধ (কোধ-বগ্‌গ)
১৮ অপবিত্রতা (মল-বগ্‌গ)
১৯ ধর্ম (ধম্ম-বগ্‌গ)
২০ পথ (মাগ্‌গ-বগ্‌গ)
২১ বিবিধ (পকিন্নক-বগ্‌গ)
২২ নিচের পথ (নিরয়-বগ্‌গ)
২৩ হাতি (নাগ-বগ্‌গ)
২৪ তৃষ্ণা (তনহা-বগ্‌গ)
২৫ ভিক্ষু (ভিক্‌খু-বগ্‌গ)
২৬ ব্রাহ্মণ (ব্রাহ্মণ-বগ্‌গ)

বঙ্গানুবাদ

[সম্পাদনা]

অধ্যায় ১ - যমক বর্গ

[সম্পাদনা]

১. বস্তুসমুহের গুণরাজি মনেরই আরোপিত, মনেই তাদের অবস্থিতি, মন দিয়েই তারা নির্মিত। আমরা যেমন ভাবি, ঠিক তেমনি রুপান্তরিত হই। তাই দূষিত মনে কেউ কিছু বললে বা করলে দুঃখ তার অনুগমন করে, যেমন গাড়ির চাকা বাহক বলদের অনুসরণ করে।
২. বস্তুসমূহের গুণরাজি মনেরই আরোপিত, মনেই তাদের অবস্থিতি, মন দিয়েই তারা নির্মিত। প্রসন্ন মনে যিনি কতাহ বলেন বা কাজ করেন সুখ তাকে নিরবচ্ছিন্ন ছায়ার মত অনুসরণ করে।
৩-৪. আমার প্রতি আক্রোশ করল, আমায় মেরে ফেলল, আমাকে অন্যায়ভাবে হারাল, আমারটা ছিনিয়ে নিল; সবসময় যাদের এই চিন্তা, তাদের মন থেকে বৈর-ভাব কখনো দূর হয় না। আমার সঙ্গে শ্ত্রুতা করল, আমায় মারল, আমারটা হারাল, আমারটা নিল; এই সব চিন্তা যারা মনে স্থান দেন না, তাদের বৈরভাব দূর হয়ে যায়।
৫. শ্ত্রুতা দিয়ে কখনো শত্রুতার মীমাংসা হয় না। শত্রুহীনতা দিয়েই এর প্রশমন সম্ভব; এই হল সনাতন ধর্ম।
৬. মূর্খরা জানে না যে তারা চিরকাল এই সংসারে থাকবে না। যারা জানেন তাদের সব কলহের শান্ত হয়।
৭-৮. যে কেবল বাইরের সৌন্দর্য খুজে বেড়ায়, যার ইন্দ্রিয় সংযত নয়, অতিভোজনকারী, অলস আর হীনবীর্য, সে বাতাহত দুর্বল গাছের মত মারের কাছে পরাজিত হয়। দেহের মলিনতার কথা জেনে যে বাইরের শোভা খোজে না, যে ইন্দ্রিয় জনযত রাখে, পরিমিত আহার করে, সেই শ্রদ্ধাবান ও বীর্যবান ব্যক্তিকে মার রভবিত করতে পারে না-বাতাস যেমন শিলময় পর্বতকে নাড়াতে পারে না, ঠিক তেমনি।
৯-১০. যৌন আসক্তিতে যে আসক্ত, সে কাষায বস্ত্র পরিধান করা, তথা ভিক্ষু হয়ার যোগ্য নন। যিনি কাম, রাগ ইত্যাদি দোষ মুক্ত, শোলসমূহে সুপ্রতিষ্ঠিত, সংযমী, সত্যনিষ্ঠ তিনিই কাষায় বস্ত্র তথা ভিক্ষু হয়ার যোগ্য।
১১-১২. যা অসার বা অসত্য তাকে যারা সার বা সত্য মনে করে, আর সারকে অসার মনে করে, মিথ্যা সংকল্পের সেই আশ্রয়দাতারা কখনো সত্যকে লাভ করতে পারে না। অন্যদিকে যারা ঐ অসত্যকে অসত্য বলেন আর শীল প্রভৃতি সার বস্তুকে সার বলে জানেন তারাই সত্য প্রতিষ্ঠিত হয়ে মুক্তিপথ লাভ করেন।
১৩-১৪. যে ঘর ভালভাবে আচ্ছাদিত নয়, তার মধ্যে যেমন বৃষতি ঢুকে পড়ে, তেমনি যে চিত্ত ধ্যানপরায়ন নয় তাতেও রাগ (আসক্তি) প্রবেশ করে। ভালভাবে আচ্ছাদিত ঘরে যেমন বৃষ্টি ধুক্তে পারে না, ভাবনামুক্ত চিত্তে চেমনি আসক্তি প্রবেশ করতে পারে না।
১৫. যে পাপ করে, সে ইহলোকে ও পরলোক, দুই জায়গাতেই অনুশোচনা করে। নিজের দুষ্কর্ম দেখে সে শোক করে আর কষ্ট পায়।
১৬. যিনি কৃতপুণ্য, তিনি ইহলোক ও পরলোক, উভয় স্থানেই আনন্দ লাভ করেন। তিনি নিজের সুকৃতি দেখে পরম আনন্দ পান।
১৭. পাপী ইহলোক ও পরলোক, উভয় স্থানেই অনুতাপ ভোগ করে। আমি পাপ করেছি – এই চিন্তা তাঁকে যেমন দগ্ধ করতে থাকে, তেমনি পাপেরর ফলে দুর্গতি লাভ করে সে আরো দুঃখ পায়।
১৮. যিনি পুণ্য কাজ করেছেন, তিনি ইহলোক ও পরলোক, দুই জায়গাতেই আনন্দিত হন। আমি সৎ কাজ করেছি – এই চিন্তায় যেমন তাঁর আনন্দ হয়, তামনি সুগতি লাভ করে তিনি আরো আনন্দ পান।
১৯-২০. যে বহু বই-গ্রন্থ-শাস্ত্র পড়ে কিন্ত সেই জ্ঞান অনুযায়ী কাজ করে না, সে ঠিক সেই রাখালের মত, যে অন্যের কয়টা গরু মরল তা নিয়েই পড়ে থাকে, বৈরাগ্য/শ্রামণ্য তাঁর জন্য নয়। শাস্ত্র অল্পমাত্র উচ্চারণ করলেও যিনি জীবণে তা ধারণ করে রাগ, দ্বেষ ও মোহ থেকে মুক্ত হন, সম্যক জ্ঞানের অধিকারী, বিমুক্তচিত্ত এবং ইহলোক ও পরলোকে উপাদান-রহিত তথা কামশূন্য হন, তিনিই শ্রামণ্যের ফল ভোগ করেন।

পাদটীকা

[সম্পাদনা]
  1. See, e.g., the Gāndhārī Dharmapada (GDhp), verses 301, 302, in: Brough (1962/2001), p. 166; and, Ānandajoti (2007), ch. 4, "Pupphavagga" (retrieved 25 November 2008 from "Ancient Buddhist Texts" at http://www.ancient-buddhist-texts.net/Buddhist-Texts/C3-Comparative-Dhammapada/CD-04-Puppha.htm).
  2. See, for instance, Buswell (2003): "rank[s] among the best known Buddhist texts" (p. 11); and, "one of the most popular texts with Buddhist monks and laypersons" (p. 627). Harvey (2007), p. 322, writes: "Its popularity is reflected in the many times it has been translated into Western languages"; Brough (2001), p. xvii, writes: "The collection of Pali ethical verses entitled Dhammapada is one of the most widely known of early Buddhist texts."
  3. This commentary is translated into English as Buddhist Legends by E W Burlingame.
  4. See, e.g., Rhys Davids & Stede (1921-25), pp. 335-39, entry "Dhamma," retrieved 25 November 2008 from "U. Chicago" at http://dsal.uchicago.edu/cgi-bin/philologic/getobject.pl?c.1:1:2654.pali[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ].
  5. See, e.g., Rhys Davids & Stede (1921-25), p. 408, entry "Pada," retrieved 25 November 2008 from "U. Chicago" at http://dsal.uchicago.edu/cgi-bin/philologic/getobject.pl?c.2:1:1516.pali[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ].
  6. See, for instance, C.A.F Rhys David's "Verses on Dhamma," Kalupahana's "The Path of Righteousness," Norman's "The Word of the Doctrine," Woodward's "The Buddha's Path of Virtue," and other titles identified below at "English translations".
  7. See also Fronsdal (2005), pp. xiii-xiv. Fronsdal, p. xiv, further comments: "... If we translate the title based on how the term dhammapada is used in the verses [see Dhp verses 44, 45, 102], it should probably be translated 'Sayings of the Dharma,' 'Verses of the Dharma,' or 'Teachings of the Dharma.' However, if we construe pada as 'path,' as in verse 21 ..., the title could be 'The Path of the Dharma.' Ultimately, as many translators clearly concur, it may be best not to translate the title at all."
  8. Pertinent episodes allegedly involving the historic Buddha are found in the commentary (Buddharakkhita & Bodhi, 1985, p. 4). In addition, a number of the Dhammapada's verses are identical with text from other parts of the Pali tipitaka that are directly attributed to the Buddha in the latter texts. For instance, Dhammapada verses 3, 5, 6, 328-330 can also be found in MN 128 (Ñāamoli & Bodhi, 2001, pp. 1009-1010, 1339 n. 1187).
  9. Wallis (2004), p. xi.
  10. Geiger (2004), p. 19, para. 11.2 writes:

    More than half the verses may be found also in other canonical texts. The compiler of the [Dhammapada] however certainly did not depend solely on these canonical texts but also made use of the great mass of pithy sayings which formed a vast floating literature in India.

    In a similar vein, Hinüber (2000), p. 45, para. 90 remarks: "The contents of the [Dhammapada] are mainly gnomic verses, many of which have hardly any relation to Buddhism."
  11. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; Norman_papers নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  12. Brough (2001), pp. 44–45, summarizes his findings and inferences as:
    "... We can with reasonable confidence say that the Gāndhārī text did not belong to the schools responsible for the Pali Dhammapada, the Udānavarga, and the Mahāvastu; and unless we are prepared to dispute the attribution of any of these, this excludes the Sarvāstivādins and the Lokottaravāda-Mahāsānghikas, as well as the Theravādins (and probably, in company with the last, the Mahīśāsakas). Among possible claimants, the Dharmaguptakas and Kāśyapīyas must be considered as eligible, but still other possibilities cannot be ruled out."
  13. Brough (2001). The original manuscript is believed to have been written in the first or second century CE.
  14. See, e.g., Cone (1989).
  15. Journal of the Pali Text Society, volume XXIII, pages 113f
  16. Brough (2001), pp. 38-41, indicates that the Udanavarga is of Sarvastivadin origin.
  17. Hinüber (2000), p. 45, para. 89, notes:
    More than half of [the Dhammapada verses] have parallels in corresponding collections in other Buddhist schools, frequently also in non-Buddhist texts. The interrelation of these different versions has been obscured by constant contamination in the course of the text transmission. This is particularly true in case of one of the Buddhist Sanskrit parallels. The Udānavarga originally was a text corres[p]onding to the Pāli Udāna.... By adding verses from the Dhp [Dhammapada] it was transformed into a Dhp parallel in course of time, which is a rare event in the evolution of Buddhist literature.
  18. Rockhill, William Woodville (trans.): Udānavarga : a collection of verses from the Buddhist canon compiled by Dharmatrāta being the Northern Buddhist version of Dhammapada / transl. from the Tibetan of the Bkah-hgyur, with notes and extracts from the commentary of Pradjnāvarman. London: Trübner 1883 PDF (9.1 MB)
  19. Law (1930), p. iv; and, Ānandajoti (2007), "Introduction," "Sahassavagga" and "Bhikkhuvagga."
  20. Brough (2001), pp. 23–30. After considering the hypothesis that these texts might lack a "common ancestor," Brough (2001), p. 27, conjectures:
    On the evidence of the texts themselves it is much more likely that the schools, in some manner or other, had inherited from the period before the schisms which separated them, a definite tradition of a Dharmapada-text which ought to be included in the canon, however fluctuating the contents of this text might have been, and however imprecise the concept even of a 'canon' at such an early period. The differing developments and rearrangements of the inherited material would have proceeded along similar lines to those which, in the Brahmanical schools, produced divergent but related collections of texts in the different Yajur-veda traditions.
    He then continues:
    ... [When] only the common material [is] considered, a comparison of the Pali Dhammapada, the Gandhari text, and the Udanavarga, has produced no evidence whatsoever that any one of these has any superior claim to represent a 'primitive Dharmapada' more faithfully than the others. Since the contrary appears to have been assumed from time to time, it is desirable to say with emphasis that the Pali text is not the primitive Dharmapada. The assumption that it was would make its relationship to the other texts altogether incomprehensible.
  21. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; hinuber_2 নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  22. English chapter titles based on Müller (1881).
  23. উদ্ধৃতি ত্রুটি: <ref> ট্যাগ বৈধ নয়; SLTP নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি
  24. Brough (2001) orders the chapters of the Gandhari Dharmapada as follows: I. Brāhmaṇa; II. Bhikṣu; III. Tṛṣṇā; IV. Pāpa; V. Arhant; VI. Mārga; VII. Apramāda; VIII. Citta; IX. Bāla; X. Jarā; XI. Sukha; XII. Sthavira; XIII. Yamaka; XIV. Paṇḍita; XV. Bahuśruta; XVI. Prakīrṇaka (?); XVII. Krodha; XVIII. Pruṣpa; XIX. Sahasra; XX. Śīla (?); XXI. Kṛtya (?); XXII. Nāga, or Aśva (?); XXIII. - XVI. [Lost]. [Parenthesized question marks are part of Brough's titles.] Cone (1989) orders the chapters of the Patna Dharmapada as follows: 1. Jama; 2. Apramāda; 3. Brāhmaṇa; 4. Bhikṣu; 5. Attha; 6. Śoka; 7. Kalyāṇī; 8. Puṣpa; 9. Tahna; 10. Mala; 11. Bāla; 12. Daṇḍa; 13. Śaraṇa; 14. Khānti; 15. Āsava; 16. Vācā; 17. Ātta; 18. Dadantī; 19. Citta; 20. Māgga; 21. Sahasra; [22. Uraga].

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

অনুবাদ

[সম্পাদনা]

কণ্ঠ রেকর্ডিং

[সম্পাদনা]