বিষয়বস্তুতে চলুন

আব্দুর রউফ (ক্রিকেটার)

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আব্দুর রউফ
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
আব্দুর রউফ খান
জন্ম (1978-12-09) ৯ ডিসেম্বর ১৯৭৮ (বয়স ৪৫)
ওকারা ডিস্ট্রিক্টস, পাঞ্জাব, পাকিস্তান
ব্যাটিংয়ের ধরনডানহাতি
বোলিংয়ের ধরনডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম
ভূমিকাবোলার
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ১৯৩)
৪ জুলাই ২০০৯ বনাম শ্রীলঙ্কা
শেষ টেস্ট২৬ ডিসেম্বর ২০০৯ বনাম অস্ট্রেলিয়া
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১৬৫)
২ ফেব্রুয়ারি ২০০৮ বনাম জিম্বাবুয়ে
শেষ ওডিআই১২ নভেম্বর ২০০৮ বনাম ভারত
একমাত্র টি২০আই
(ক্যাপ ২৭)
১২ অক্টোবর ২০০৮ বনাম জিম্বাবুয়ে
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
২০০৭/০৮–২০০৮/০৯বেলুচিস্তান
২০০৫/০৬–২০০৬/০৭খান রিসার্চ ল্যাবরেটরিজ
২০০৩/০৪–২০০৮/০৯মুলতান
২০০৩/০৪–২০০৪/০৫অ্যালাইডব্যাংক লিমিটেড
২০০২/০৩পাকিস্তান কাস্টমস
২০০১/০২সুই নর্দান গ্যাস পাইপলাইন্স লিমিটেড
১৯৯৯/২০০০লাহোর
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই এফসি এলএ
ম্যাচ সংখ্যা ১৩৬ ৮৭
রানের সংখ্যা ৫২ ২,৯২৩ ৫৮৫
ব্যাটিং গড় ৮.৬৬ ১৫.৭১ ১২.৪৪
১০০/৫০ ০/০ ০/০ ০/১০ ০/৩
সর্বোচ্চ রান ৩১ ৯৮ ৯১
বল করেছে ৪৫০ ২১৪ ২৬,৩৫৬ ৪,০৪৭
উইকেট ৬৩৯ ৮৪
বোলিং গড় ৪৬.৩৩ ২৬.৫০ ২৪.১২ ৪২.৪২
ইনিংসে ৫ উইকেট ৫২
ম্যাচে ১০ উইকেট - ১০ -
সেরা বোলিং ২/৫৯ ৩/২৪ ৮/৪০ ৪/৪৭
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ০/– ২/– ৫৬/– ১৭/–
উৎস: ইএসপিএনক্রিকইনফো.কম, ২৫ ফেব্রুয়ারি ২০২১

আব্দুর রউফ খান (উর্দু: عبدالرؤف‎‎; জন্ম: ৯ ডিসেম্বর, ১৯৭৮) পাঞ্জাবের রেনালা খুর্দ এলাকায় জন্মগ্রহণকারী সাবেক পাকিস্তানি আন্তর্জাতিক ক্রিকেটার। পাকিস্তান ক্রিকেট দলের অন্যতম সদস্য ছিলেন তিনি। ২০০০-এর দশকের শেষদিকে সংক্ষিপ্ত সময়ের জন্যে পাকিস্তানের পক্ষে আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে অংশগ্রহণ করেছেন।[]

ঘরোয়া প্রথম-শ্রেণীর পাকিস্তানি ক্রিকেটে লাহোর, মুলতান, পোর্ট কাসিম অথরিটি, সুই গ্যাস কর্পোরেশন দলের প্রতিনিধিত্ব করেন। দলে তিনি মূলতঃ ডানহাতি ফাস্ট-মিডিয়াম বোলার হিসেবে খেলতেন। এছাড়াও, ডানহাতে নিচেরসারিতে ব্যাটিং করতেন আব্দুর রউফ

প্রথম-শ্রেণীর ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

১৯৯৯-২০০০ মৌসুম থেকে ২০১৫ সাল পর্যন্ত আব্দুর রউফের প্রথম-শ্রেণীর খেলোয়াড়ী জীবন চলমান ছিল। দীর্ঘদেহী ও মজবুত গড়নের অধিকারী আব্দুর রউফ জাতীয় দলে খেলার জন্যে রশীদ লতিফের কাছ থেকে অনুমতিপ্রাপ্ত হন। স্বভাবসূলভ ভঙ্গীমায় পর্যাপ্ত পেস আনয়ণে সক্ষম ছিলেন। ডানহাতি ব্যাটসম্যানের বিপরীতে বলকে বাঁক খাওয়াতেন। পাশাপাশি, বাউন্স সহযোগে বোলিং করায় সফলতা লাভ করতেন।

২০০০ সালে ইংল্যান্ডভিত্তিক কেমব্রিজশায়ার প্রিমিয়ার লিগে উইসবিচ টাউন ক্রিকেট ক্লাবের পক্ষে খেলে ৫০-এর অধিক উইকেট দখল করেন। ২০০৬ সালে হিয়ারফোর্ডশায়ারের ক্লাব ব্রোকহাম্পটনের পক্ষে বিদেশী খেলোয়াড় হিসেবে অংশ নেন। ৫৬ উইকেট লাভের পাশাপাশি পাঁচ শতাধিক রান তুলেন।

আন্তর্জাতিক ক্রিকেট

[সম্পাদনা]

সমগ্র খেলোয়াড়ী জীবনে তিনটিমাত্র টেস্ট, চারটিমাত্র একদিনের আন্তর্জাতিক ও একটিমাত্র টি২০আইয়ে অংশগ্রহণ করেছেন আব্দুর রউফ। ৪ জুলাই, ২০০৯ তারিখে গালেতে সফরকারী শ্রীলঙ্কা দলের বিপক্ষে টেস্ট ক্রিকেটে অভিষেক ঘটে তার। ২৬ ডিসেম্বর, ২০০৯ তারিখে মেলবোর্নে স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দলের বিপক্ষে সর্বশেষ টেস্টে অংশ নেন তিনি।

২০০২-০৩ মৌসুমে জাতীয় দলে যুক্ত হন। এ পর্যায়ে দক্ষিণ আফ্রিকা ও বাংলাদেশ গমন করেন। তবে কোন সফরেই তাকে খেলানো হয়নি। এরপর পাকিস্তান এ দলের সাথে ভারত গমন করেন। তবে, অন্যান্যদের ন্যায় তিনিও এ সিরিজে ব্যর্থতার পরিচয় দেন। ২০০৭-০৮ মৌসুমে জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে একদিনের আন্তর্জাতিকে অভিষেক ঘটে তার। ঘরোয়া ক্রিকেটে দারুণ খেলা উপহার দেয়ার স্বীকৃতিস্বরূপ জানুয়ারি, ২০০৮ সালে শেখুপুরায় সফরকারী জিম্বাবুয়ের বিপক্ষে সিরিজের পঞ্চম ওডিআইয়ে তাকে খেলানো হয়। নিজস্ব তৃতীয় খেলায় বাংলাদেশের বিপক্ষে তিনি প্রথমবারের মতো ম্যান অব দ্য ম্যাচের পুরস্কার লাভ করেন।

টেস্ট অভিষেক

[সম্পাদনা]

ঘরোয়া ক্রিকেটে দূর্দান্ত ক্রীড়াশৈলী প্রদর্শনের স্বীকৃতিস্বরূপ জুন, ২০০৯ সালে শ্রীলঙ্কা গমনার্থে ১৫-সদস্যের পাকিস্তানি দলের সদস্যরূপে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়। ৪ জুলাই, ২০০৯ তারিখে গালেতে স্বাগতিক শ্রীলঙ্কার বিপক্ষে অনুষ্ঠিত টেস্টে তার অভিষেক ঘটে। মাহেলা জয়াবর্ধনে’র উইকেটসহ খেলায় তিনি তিন উইকেটের সন্ধান পান। ঐ টেস্টে নাইটওয়াচম্যান হিসেবে ৩১ রান সংগ্রহ করেছিলেন তিনি। মানানসই খেলা উপহারে কারণে ১২ জুলাইয়ে শুরু হওয়া টেস্টে তাকে দলে রাখা হয়। নুয়ান কুলাসেকারা’র বলে এলবিডব্লিউর শিকার হয়ে উভয় ইনিংসে জোড়া শূন্য পান। খেলায় শ্রীলঙ্কা দল জয় পায় ও সিরিজে বিজয়ী হয়।

এমসিজিতে বক্সিং ডে টেস্টে অংশ নেন। মাত্র এক উইকেট পান ও আট সংগ্রহ করতে সক্ষম হন। খেলায় স্বাগতিক অস্ট্রেলিয়া দল জয়লাভ করে। এছাড়াও, শেন ওয়াটসন ৯৯ রানে থাকাকালীন ক্যাচ তালুবন্দী করতে ব্যর্থ হন ও তাকে প্রথম টেস্ট শতক এনে দেন। পরের খেলায় তাকে দলের বাইরে রাখা হয়।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]