মাহমুদ গাজান
মাহমুদ গাজান | |||||
---|---|---|---|---|---|
খান | |||||
রাজত্ব | ১২৯৫-১১ মে ১৩০৪ | ||||
পূর্বসূরি | বাইদু | ||||
উত্তরসূরি | ওলজাইতু | ||||
জন্ম | ৫ নভেম্বর ১২৭১ | ||||
মৃত্যু | ১১ মে ১৩০৪ | (বয়স ৩২)||||
সঙ্গী | কোকোচিন | ||||
| |||||
পিতা | আরগুন | ||||
মাতা | কুতলুক খাতুন | ||||
ধর্ম | ইসলাম |
মাহমুদ গাজান (১২৭১ – ১১ মে ১৩০৪) (মঙ্গোলীয়: Газан хаан, চীনা: 合贊) ছিলেন ইলখানাতের সপ্তম শাসক। ১২৯৫ সাল থেকে ১৩০৪ সাল পর্যন্ত তিনি ক্ষমতায় ছিলেন। তিনি আরগুন ও কুতলুক খাতুনের সন্তান এবং চেঙ্গিস খানের বংশধর ছিলেন। ইলখানদের মধ্যে তিনি সবচেয়ে খ্যাত হিসেবে গণ্য হন। ১২৯৫ সালে ক্ষমতাসীন হওয়ার সময় তিনি ইসলাম গ্রহণ করেন। তার প্রধান স্ত্রী কোকোচিন ছিলেন একজন মঙ্গোল শাহজাদি।
গাজানের শাসনামলে সিরিয়ার অধিকার নিয়ে মঙ্গোলদের সাথে মিশরের মামলুকদের লড়াই হয়। এছাড়া চাগাতাই খানাতের সাথেও ইলখানাতের লড়াই হয়েছে। গাজান ইউরোপের সাথে কূটনৈতিক সম্পর্ক স্থাপনের চেষ্টা করেছেন। তিনি একাধিক ভাষায় পারদর্শী ছিলেন। মুদ্রাব্যবস্থাসহ সাম্রাজ্যে তিনি বেশ কিছু সংস্কার কাজ করেছেন।
শৈশব
[সম্পাদনা]দাদা আবাকা খানের শাসনামলে গাজান জন্মগ্রহণ করেন। গাজানের বাবা আরগুন ছিলেন খোরাসানে আবাকা খানের প্রতিনিধি। গাজান তার বাবা মায়ের জ্যেষ্ঠ পুত্র ছিলেন।[১]
গাজান ও তার ভাই ওলজাইতু খ্রিষ্টান হিসেবে বড় হয়েছেন।[২] যৌবনে তিনি একজন চীনা সন্ন্যাসীর কাছে বৌদ্ধধর্ম নিয়ে শিক্ষালাভ করেন। পাশাপাশি সন্ন্যাসী তাকে মঙ্গোলীয় ভাষা ও উইঘুর লিপি শিক্ষা দিয়েছেন।[৩]
১২৮২ সালে আবাকা খানের মৃত্যুর পর গাজানের বাবা আরগুন ইলখান হিসেবে ক্ষমতাসীন হন। সেসময় ১১ বছর বয়সী গাজান তার প্রতিনিধি হিসেবে খোরাসানের রাজধানীতে আসেন।
প্রতিনিধি
[সম্পাদনা]যৌবনে গাজান শিকার ও অশ্বারোহণের মত ঐতিহ্যবাহী মঙ্গোল কর্মকাণ্ডে অংশ নিয়েছেন। মানগুদের কুতলুগ শাহ, জুরখিনের নুরিন আগা এবং সাদউদ্দিন সাভাজি তার সঙ্গী ছিলেন।
১২৮৯ সালে আরগুনের বিরুদ্ধে একটি বিদ্রোহে আমির নওরুজ নেতৃত্ব দেন। পরাজিত হওয়ার পর নওরুজ পালিয়ে গিয়ে কাইদুর সাথে যোগ দেন। কাইদু ছিলেন চাগাতাই খানাতের শাসক। পরবর্তী দশ বছর গাজান চাগাতাইয়ের হামলা থেকে ইলখানাতকে রক্ষায় নিয়োজিত ছিলেন।
১২৯১ সালে আরগুনের মৃত্যুর সময় গাজান নওরুজের হামলা এবং খোরাসান ও নিশাপুরের বিদ্রোহ ও দুর্ভিক্ষ নিয়ে ব্যস্ত ছিলেন। ফলে তিনি নেতৃত্ব গ্রহণ করতে পারেননি। আরগুনের মৃত্যুর পেছনে সেনাপতি তাগাচারের হাত থেকে থাকতে পারে। তিনি এসময় গাজানের চাচা গাইখাতুকে নতুন ইলখান হিসেবে সমর্থন দেন।[৪] গাজান তার চাচার প্রতি অনুগত ছিলেন। তবে গাজান তার কাগুজে মুদ্রার ব্যবস্থা মেনে নেননি।[৫] ১২৯৪/১২৯৫ সালে নওরুজ নিশাপুরে আত্মসমর্পণ করেন।[৬] এরপর নওরুজ গাজানের অধীনে কাজ করেছেন।
শাসনকাল
[সম্পাদনা]ইসলাম গ্রহণ
[সম্পাদনা]১২৯৫ সালে তাগাচার ও অন্যান্য ষড়যন্ত্রকারীদের হাতে গাইখাতু মারা যান। এরপর তারা বাইদুকে ক্ষমতায় বসান। বাইদু তাদের হাতের পুতুল ছিলেন। ফলে তারা ইলখানাতকে নিজেদের মধ্যে ভাগ করে নেন। এরপর ক্ষমতার প্রশ্নে বাইদুর সাথে গাজানের দ্বন্দ্ব হয় এবং ১২৯৫ সালের ৫ অক্টোবর বাইদুকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। এতে গাজানের পূর্বের শত্রু নওরুজ তাকে সহায়তা করেছিলেন। নওরুজ ইতিপূর্বে ইসলাম গ্রহণ করেছিলেন। সহায়তা করার শর্ত হিসেবে গাজান ১২৯৫ সালের ১৬ জুন ইসলাম গ্রহণ করেন।[৭][৮][৯] তাগাচারও তাকে সহায়তা করেছেন। কিন্তু গাজান তাকে বিশ্বাসঘাতক বিবেচনা করে আনাতোলিয়ায় নির্বাসিত করেন। পরে তাকে হত্যা করা হয়।
ইসলাম গ্রহণের পর গাজান তার নামের পূর্বে মাহমুদ যোগ করেন। এরপর ইসলাম মঙ্গোল অঞ্চলে প্রসিদ্ধ হয়। গাজান ও তার ভাই ওলজাইতুর শাসনামলে মঙ্গোল ইয়াসসা আইন চালু ছিল এবং মঙ্গোল শামানরা রাজনৈতিকভাবে প্রভাবশালী ছিলেন। ওলজাইতুর মৃত্যুর পর বিভিন্ন প্রাচীন মঙ্গোল প্রথা বিলুপ্ত হতে থাকে।[১০] গাজান খ্রিষ্টানদের জিজিয়া কর থেকে অব্যাহতি দিয়েছিলেন।[১১] ১২৯৭ সালের মে মাসে নওরুজের সমর্থকদের বিশ্বাসঘাতকতার কারণে গ্রেপ্তার করা হয়। পরবর্তীতে সেই বছর গাজান নিজে নওরুজের বিরুদ্ধে সেনাদল নিয়ে অগ্রসর হন। নিশাপুরের নিকটে সংঘটিত যুদ্ধে গাজানের বাহিনী বিজয়ী হয়। নওরুজ হেরাতের শাসকের দরবারে আশ্রয় নেন। কিন্তু তাকে এরপর গাজানের কাছে তুলে দেয়া হয়। ১৩ আগস্ট নওরুজকে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়।[১২]
এরপর গাজান পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণের চেষ্টা করেন।[১৩] ১২৯৮ সালে তিনি রশিদউদ্দিন হামাদানিকে প্রধানমন্ত্রী নিয়োগ দেন। পরবর্তী ২০ বছর রশিদউদ্দিন এই পদে ছিলেন।[১২] গাজান তাকে মঙ্গোলদের ইতিহাস লেখার দায়িত্ব দিয়েছিলেন। এরপর রশিদউদ্দিন জামি আল-তাওয়ারিখ গ্রন্থ রচনা করেছেন। এতে আদম (আ) থেকে শুরু করে ওলজাইতুর শাসনামল পর্যন্ত বিবরণ রয়েছে। এর বেশ কিছু অনুলিপি প্রস্তুত করা হয়েছিল। তন্মধ্যে কিছু বর্তমানে টিকে রয়েছে।
অন্যান্য মঙ্গোল খাগানদের সাথে সম্পর্ক
[সম্পাদনা]গাজান গোল্ডেন হোর্ডের সাথে সমস্যা কমিয়ে এনেছিলেন। কিন্তু ওগেদাই ও চাগাতাই নেতৃবৃন্দ তার শক্ত প্রতিপক্ষ হয়ে উঠে। গাজানের অভিষেকের সময় চাগাতাই খান দুওয়া ১২৯৫ সালে খোরাসান আক্রমণ করেছিলেন। গাজান তার দুইজন আত্মীয়কে চাগাতাই খানাতের বাহিনীর বিরুদ্ধে প্রেরণ করেছিলেন। কিন্তু তারা দলত্যাগ করে চলে যান। পরে তাদের গ্রেপ্তার করে মৃত্যুদন্ড দেয়া হয়। এছাড়াও কিছু গুরুত্বপূর্ণ মঙ্গোল নেতা তার পক্ষ ত্যাগ করতে থাকে। ১২৯৬ ও ১২৯৯ সালে তুরস্কের ইলখান শাসকের বিরুদ্ধে বালতু ও সুলেমিশ বিদ্রোহ করেন। সুলেমিশ মিশরের মামলুকদেরকে আনাতোলিয়ায় স্বাগত জানান। ফলে গাজানের সিরিয়া অভিযানের পরিকল্পনা স্থগিত হয়ে পড়ে। তবে গাজান এই দুই বিদ্রোহীকে পরাজিত করতে সক্ষম হন। এছাড়া চাগাতাই খানাতের আক্রমণের ফলে গাজানের সিরিয়া অভিযান সমস্যার মুখে পড়ে। গাজান ইউয়ান ও গোল্ডেন হোর্ডের শাসকদের সাথে সুসম্পর্ক বজায় রেখেছিলেন।
মামলুক-ইলখানি যুদ্ধ
[সম্পাদনা]মিশরের মামলুকদের বিরুদ্ধে গাজান ইউরোপীয় ও ক্রুসেডারদের সাথে মিত্রতা স্থাপন করতে চেয়েছিলেন। ইতিমধ্যে তার বাহিনীতে খ্রিষ্টান আশ্রিত রাজ্য সিলিসিয়ান আর্মেনিয়া ও জর্জিয়ার সৈনিকরা কর্মরত ছিল। তাদের পরিকল্পনা ছিল যে গাজানের বাহিনী, খ্রিষ্টান সামরিক শক্তি এবং সাইপ্রাসের অভিজাতরা মিশরীয়দের পরাজিত করে ইউরোপীয়দের হাতে জেরুজালেম তুলে দেবে।[১৫] অনেক ইউরোপীয় গাজানের জন্য কাজ করেছেন বলে জানা যায়। কয়েকশত পশ্চিমা মঙ্গোল শাসকের অধীনে নিয়োজিত হয়েছিল।[১৬]
১২৯৯ সালে গাজান তার বাহিনী নিয়ে সিরিয়া অভিমুখে রওয়ানা হন এবং তার সাথে যোগ দেয়ার জন্য খ্রিষ্টানদের আমন্ত্রণ জানান।[১৭] তার বাহিনী আলেপ্পো দখল করে। আর্মেনিয়ার রাজা দ্বিতীয় হেথাম এখানে তার সাথে যোগ দেন। আর্মেনীয় বাহিনীতে এসময় কিছু টেম্পলার ও হসপিটালার ছিল।[১৮] মঙ্গোলরা ১২৯৯ সালের ডিসেম্বরে সংঘটিত ওয়াদি আল-খাজান্দারের যুদ্ধে মামলুকদের পরাজিত করে।[১৯] মঙ্গোল বাহিনীর একটি অংশ আলাদা হয়ে পিছু হটতে থাকা মামলুকদের গাজা পর্যন্ত অনুসরণ করে।[২০] গাজানের বাহিনীর বাকি অংশ দামেস্কের দিকে অগ্রসর হয়। ১২৯৯ সালের ৩০ সেপ্টেম্বর থেকে ১৩০০ সালের ৬ জানুয়ারির মধ্যে দামেস্ক আত্মসমর্পণ করলেও দুর্গ থেকে প্রতিরোধ চলছিল।[১৯][২১][২২] মঙ্গোলদের অধিকাংশ ফেব্রুয়ারিতে পিছু হটে যায়। এজন্য ঘোড়ার খাবারের স্বল্পতা হতে পারে। গাজান ১৩০০-১৩০১ এর শীতে মিশর আক্রমণের জন্য ফিরে আসার সংকল্প ব্যক্ত করেছিলেন।[২৩][২৪] সিরিয়া শাসনের জন্য সেনাপতি মুলাইকে রেখে যাওয়া হয়। তবে তারা শীঘ্রই ফিরে আসে।[২৫]
মামলুকরা নেতৃস্থানীয় আলেমদের একটি দলকে গাজানের কাছে প্রেরণ করেছিল। এই দলে ইবনে তাইমিয়াও ছিলেন। তিনি জোর দিয়ে বলেন:
"আপনি নিজেকে মুসলিম দাবি করেন এবং আপনার সাথে মুয়াজ্জিন, মুফতি, ইমাম ও শাইখরা রয়েছেন কিন্তু আপনি আমাদের উপর হামলা করে আমাদের দেশে কী উদ্দেশ্যে এসেছেন? আপনার বাবা এবং দাদা হালাকু অমুসলিম ছিলেন, কিন্তু এসত্ত্বেও তারা আমাদের উপর হামলা করেননি এবং তারা নিজেদের ওয়াদা রক্ষা করেছেন। কিন্তু আপনি ওয়াদা করে তা ভঙ্গ করেছেন।"
১৩০০ সালের জুলাই মাসে ক্রুসেডাররা উপকূলে হামলা করার জন্য কিছু ছোট নৌযানসহ ষোলটি জাহাজের একটি নৌবহর গঠন করে। গাজানের দূতরা তাদের সাথে সফর করেছিল।[২৬][২৭] ক্রুসেডাররা রুয়াদ দ্বীপে একটি ঘাটি স্থাপনের চেষ্টাও করে যাতে তারতুসে হামলা করা যায়। তবে মঙ্গোলরা পৌছাতে দেরী হওয়ায় ক্রুসেডাররা সাইপ্রাসে ফিরে যায়। তাদের রেখে যাওয়া ঘাটি ১৩০৩ সালে মামলুকরা দখল করে নেয়।
১৩০১ সালের ফেব্রুয়ারিতে মঙ্গোলরা ৬০,০০০ সৈন্যের এক বাহিনী নিয়ে পুনরায় সিরিয়ার দিকে অগ্রসর হয়। কিন্তু সামান্য কিছু অভিযানের বেশি অগ্রসর হতে পারেনি। দামেস্কে একজন মঙ্গোল গভর্নর ছিলেন। এই এলাকা রক্ষার জন্য গাজানের সেনাপতি কুতলুশাহকে ২০,০০০ দিয়ে জর্ডান উপত্যকায় নিযুক্ত করা হয়।[২৯] কিন্তু এবারও তারা পিছু হটতে বাধ্য হয়।
পরবর্তীতে ক্রুসেডারদের সাথে মিলে যৌথ হামলার জন্য পুনরায় পরিকল্পনা ক্করা হয়। ১৩০১ সালের শেষের দিকে গাজান পোপ অষ্টম বোনিফেসকে চিঠি লিখে সৈনিক, পাদ্রী ও কৃষক পাঠাতে বলেন যাতে ফিলিস্তিন অঞ্চলে ফ্রাঙ্ক রাজ্য স্থাপিত হয়।[২৯] কিন্তু এবারও গাজান নিজের বাহিনী নিয়ে অগ্রসর হননি। তিনি ১৩০২ সালে পোপকে পুনরায় চিঠি লিখেন এবং তার দূতরা আনজুর দ্বিতীয় চার্লসের দরবারে সফর করে। চার্লস ১৩০৩ সালের ২৭ এপ্রিল গুয়ালতেরিয়াসকে নিজের দূত করে গাজানের দরবারে পাঠান।[৩০]
১৩০৩ সালে গাজান ইংল্যান্ডের প্রথম এডওয়ার্ডের কাছে লেখা চিঠিতে মামলুকদের সাথে লড়াইয়ে সহযোগিতা করার শর্তে তার প্রপিতামহ হালাকু খান জেরুজালেমকে ফ্রাঙ্কদের হাতে তুলে দেয়ার যে ওয়াদা করেছিলেন তা পুনর্ব্যক্ত করেন।[৩১] মঙ্গোল ও আশ্রিত আর্মেনীয়রা চাগাতাই খানাতের হামলা প্রতিহত করার জন্য ৮০,০০০ সৈন্যের একটি বাহিনী গঠন করেছিল।[৩২] এতে সফল হওয়ার পর তারা সিরিয়ার দিকে অগ্রসর হয়। ১৩০৩ সালের এপ্রিলে দামেস্কের দক্ষিণে সংঘটিত মার্জ আল-সাফফারের যুদ্ধে মঙ্গোলরা মামলুকদের কাছে পরাজিত হয়।[৩৩] এটি ছিল সিরিয়ায় মঙ্গোলদের শেষ বড় অভিযান।[৩৪]
সংস্কার
[সম্পাদনা]ভাষা, শিল্পকর্মসহ অনেক বিষয়ে গাজান আগ্রহী ছিলেন। মাতৃভাষা মঙ্গোলীয় ছাড়াও আরবি, চীনাসহ বেশ কয়েকটি ভাষায় পারদর্শী ছিলেন।[৩৫]
তিনি ইলখানাতের পরিমাপ, মুদ্রা ও ওজন ব্যবস্থার সংস্কার করেছিলেন। মুদ্রা ব্যবস্থা সংস্কারের জন্য তিনি পারস্যে আদমশুমারির নির্দেশ দিয়েছিলেন। তিনি পতিত ও পরিত্যাক্ত জমিতে ফসল উৎপাদন শুরু করেন। পূর্ব এশিয়ার ফসল তিনি পারস্যে প্রচলনে উৎসাহ দিয়েছেন। তিনি অনেক অবকাঠামো নির্মাণ করেছিলেন।
গাজান তার মুদ্রায় খাগান উপাধি লেখা বাদ দিয়েছিলেন। এর বদলে ইরান ও আনাতোলিয়ায় মুদ্রায় তার নাম লেখা হত। জর্জিয়ায় তিনি ঐতিহ্যবাহী মঙ্গোলীয় কায়দায় মুদ্রা চালু করেন। এতে লেখা থাকত "খাগানের নামে ইলখান গাজান কর্তৃক প্রস্তুতকৃত"। ইউয়ান খাগানের সহায়তায় ককেসাসের উপর নিজের অধিকার বজায় রাখার জন্য এই পদক্ষেপ নেয়া হয়।[৩৬] এছাড়াও তিনি খাগানের চীনা সীলমোহর ব্যবহার করতেন। এতে তাকে খাগানের নিচের একজন শাহজাদা হিসেবে ঘোষণা করা হত।[৩৭] সামরিক বাহিনীতেও তিনি সংস্কার করেছিলেন। এসময় সেনাবাহিনীতে কয়েকটি নতুন ইউনিট যুক্ত করা হয়।
মৃত্যু
[সম্পাদনা]গাজান ১৩০৪ সালের ১০ মে মারা যান। মৃত্যুকালে তার কোনো ছেলে ছিল না। তিনি তার ভাই ওলজাইতুকে তার উত্তরসূরি মনোনীত করে গিয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Rashid al-Din – Universal history
- ↑ "Ghazan had been baptized and raised a Christian"Richard Foltz, Religions of the Silk Road, Palgrave Macmillan, 2nd edition, 2010, p. 120 আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৩০-৬২১২৫-১
- ↑ Charles Melville, "Padshah-i Islam: the conversion of Sultan Mahmud Ghazan Khan,p.159-177"
- ↑ Rashid al Din – Ibid, p.I,d.III
- ↑ René Grousset The Empire of Steppes
- ↑ Jackson, p.170
- ↑ A. S. Atiya। The Crusade in the Later Middle Ages। পৃষ্ঠা 256।
- ↑ Amir Nawruz was a Muslim, and offered the support of a Muslim army if Ghazan would promise to embrace Islam in the event of his victory over Baidu" Foltz, p.128
- ↑ Tadhkirat Al-huffaz of Al-Dhahabi
- ↑ Amitai, see Section VI–Ghazan, Islam and Mongol Tradition–Pg 9 and Section VII–Sufis and Shamans, Pg 34.
- ↑ Foltz, p.129
- ↑ ক খ Roux, p.432
- ↑ Jackson, p.177
- ↑ Michaud, Yahia (Oxford Centre for Islamic Studies) (2002). Ibn Taymiyya, Textes Spirituels I-XVI", Chap. XI
- ↑ "The Trial of the Templars", Malcolm Barber, 2nd edition, page 22: "The aim was to link up with Ghazan, the Mongol Il-Khan of Persia, who had invited the Cypriots to participate in joint operations against the Mamluks".
- ↑ Roux, p.410
- ↑ Demurger, p.143
- ↑ Demurger, p.142 (French edition) "He was soon joined by King Hethum, whose forces seem to have included Hospitallers and Templars from the kingdom of Armenia, who participated to the rest of the campaign."
- ↑ ক খ Demurger, p. 142
- ↑ Demurger, p.142 "The Mongols pursued the retreating troops towards the south, but stopped at the level of Gaza"
- ↑ Runciman, p.439
- ↑ "Adh-Dhababi's Record of the Destruction of Damascus by the Mongols in 1299–1301", Note 18, p.359
- ↑ Demurger, p.146
- ↑ Schein, 1979, p. 810
- ↑ Demurger (p.146, French edition): "After the Mamluk forces retreated south to Egypt, the main Mongol forces retreated north in February, Ghazan leaving his general Mulay to rule in Syria".
- ↑ Demurger, p. 147
- ↑ Schein, 1979, p. 811
- ↑ In "Le Royaume Armenien de Cilicie", p.74-75
- ↑ ক খ Jean Richard, p.481
- ↑ Schein, p.813
- ↑ Encyclopædia Iranica article
- ↑ Demurger, "Jacques de Molay", p.158
- ↑ Demurger, p. 158
- ↑ Nicolle, p. 80
- ↑ "Ghazan was a man of high culture. Besides his mother tongue Mongolian, he more or less spoke Arabic, Persian, Indian, Tibetan, Chinese, and "Frank", probably Latin." in Histoire de l'Empire Mongol, Jean-Paul Roux, p.432
- ↑ Culture and Conquest in Mongol Eurasia by Thomas T. Allsen, p.33
- ↑ Mostaert and Cleaves Trois documents, p. 483
- Adh-Dhababi, Record of the Destruction of Damascus by the Mongols in 1299–1301 Translated by Joseph Somogyi. From: Ignace Goldziher Memorial Volume, Part 1, Online (English translation).
- Amitai, Reuven (১৯৮৭)। "Mongol Raids into Palestine (AD 1260 and 1300)"। JRAS: 236–255।
- Barber, Malcolm (২০০১)। The Trial of the Templars (2nd সংস্করণ)। University Press, Cambridge। আইএসবিএন 978-0-521-67236-8।
- Encyclopædia Iranica, Article on Franco-Persian relations
- Foltz, Richard, Religions of the Silk Road, Palgrave Macmillan, 2nd edition, 2010 আইএসবিএন ৯৭৮-০-২৩০-৬২১২৫-১
- Demurger, Alain (২০০৭)। Jacques de Molay (French ভাষায়)। Editions Payot&Rivages। আইএসবিএন 2-228-90235-7।
- Jackson, Peter (২০০৫)। The Mongols and the West: 1221–1410। Longman। আইএসবিএন 978-0-582-36896-5।
- Michaud, Yahia (Oxford Centre for Islamic Studies) (২০০২)। Ibn Taymiyya, Textes Spirituels I-XVI (পিডিএফ) (French ভাষায়)। "Le Musulman", Oxford-Le Chebec।
- Nicolle, David (২০০১)। The Crusades। Essential Histories। Osprey Publishing। আইএসবিএন 978-1-84176-179-4।
- Richard, Jean (১৯৯৬)। Histoire des Croisades। Fayard। আইএসবিএন 2-213-59787-1।
- Runciman, Steven (1987 (first published in 1952–1954))। A history of the Crusades 3। Penguin Books। আইএসবিএন 978-0-14-013705-7। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - Schein, Sylvia (অক্টোবর ১৯৭৯)। "Gesta Dei per Mongolos 1300. The Genesis of a Non-Event"। The English Historical Review। 94 (373): 805–819। জেস্টোর 565554। ডিওআই:10.1093/ehr/XCIV.CCCLXXIII.805।
- Roux, Jean-Paul (১৯৯৩)। Histoire de l'Empire Mongol (French ভাষায়)। Fayard। আইএসবিএন 2-213-03164-9।
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]রাজত্বকাল শিরোনাম | ||
---|---|---|
পূর্বসূরী বাইদু |
ইলখানি রাজবংশ ১২৯৫–১৩০৪ |
উত্তরসূরী ওলজাইতু |