ভোপাল
ভোপাল भोपाल | |
---|---|
মহানগর | |
ডাকনাম: হ্রদের শহর | |
মধ্য ভারতের রাজ্য,মধ্যপ্রদেশে ভোপালের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ২৩°১৫′ উত্তর ৭৭°২৫′ পূর্ব / ২৩.২৫০° উত্তর ৭৭.৪১৭° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | মধ্যপ্রদেশ |
জেলা | ভোপাল |
সরকার | |
• শাসক | ভোপাল পৌর সংস্থা |
• মেয়র | অলোক শর্মা (বিজেপি) |
• পৌর কমিশনার | তেজস্বী এস নায়েক |
• জেলাশাসক | নিশান্ত ওয়ারওয়াডে |
আয়তন | |
• মহানগর | ৬৯৭.২ বর্গকিমি (২৬৯.২ বর্গমাইল) |
উচ্চতা | ৫২৭ মিটার (১,৭২৯ ফুট) |
জনসংখ্যা (২০১১) | |
• মহানগর | ২৩,৭১,০৬১ [১] |
• ক্রম | ১৬তম[১] |
• মহানগর | ২৩,৭১,০৬১[২] |
বিশেষণ | ভুপালী |
ভাষা | |
• সরকারী | হিন্দি |
সময় অঞ্চল | IST (ইউটিসি+৫:৩০) |
Pincode | ৪৬২০০১ to ৪৬২xxx |
Telephone | ০৭৫৫ |
যানবাহন নিবন্ধন | MP-০৪ |
ওয়েবসাইট | www |
ভোপাল (হিন্দুস্তানি উচ্চারণ: [bʱoːpaːl] () )ভারতের মধ্যপ্রদেশ রাজ্যের রাজধানী এবং ভোপাল জেলা ও ভোপাল বিভাগের প্রশাসনিক সদর দপ্তর। ভোপাল সাবেক ভোপাল রাজ্যের রাজধানী ছিল। এটি ভারতের অন্যতম সবুজ শহর এবং বিভিন্ন অকৃত্রিম ও কৃত্রিম হ্রদগুলির জন্য[৪] এটি "হ্রদনগরী" নামে পরিচিত।[৫]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রাক ইতিহাস
[সম্পাদনা]লোককাহিনী অনুসারে ধারানগরের রাজা ভুজা কর্তৃক একাদশ শতকে এই নগরী প্রতিষ্ঠিত। রাজার নামানুসারে ভোপাল পরিচিত ছিল ‘ভুজপাল’ হিসেবে। আরেকটি মতানুসারে ভোপাল রাজার নামে ভোপালের নামকরণ করা হয়েছে।[৬][৭][৮] ধীরে ধীরে কালের বিবর্তনে তা হয়ে যায় ভোপাল। কিন্তু এর কোন প্রত্নতাত্ত্বিক সত্যতা পাওয়া যায়নি।
আধুনিক ভোপালের প্রতিষ্ঠাতা মোঘল সেনাবাহিনীর আফগান যোদ্ধা দোস্ত মোহাম্মদ খান (১৭০৭ – ১৭৪০)।[৯] তাকে বলা হয় ভোপালের প্রথম নবাব। ১৭০৮ সালে তিনি বেরাসিয়া এস্টেট লীজ নেন; সাথে আরো কতগুলো এলাকা যুক্ত করে প্রতিষ্ঠা করেন বর্তমানের তিলোত্তমা ভোপাল নগরীকে[১০]।
বেগমেরা
[সম্পাদনা]১৮১৯ থেকে ১৯২৬ সালের মধ্যে ভোপালে চারজন মহিলা শাসক রাজত্ব করেন।এঁদের নবাব বেগম বলা হত। কুদশিয়া বেগম তার রাজসভার গণ্যমান্য ব্যক্তিদের পরামর্শ খারিজ করে তার ছোট্ট মেয়েকে ১৮১৯ সালে রাজ্যের পরবর্তী শাসক হিসাবে ঘোষণা করে দেন। দীর্ঘ ১৮ বছর কুদশিয়া সিংহাসনে তার কন্যার হয়ে প্রতিনিধিত্ব করেন তিনি। নিজের রাজ্যকে অভ্যন্তরীণ বিদ্রোহ, মারাঠা-সিন্ধিয়া-হোলকার ও গায়কোয়াড়দের হাত থেকে রক্ষা করেছিলেন। যদিও, রাজ্যের বেশ কয়েকজন পারিষদ ব্রিটিশদের কাছে বেগমের বদনাম করেন। এভাবেই ভোপালের রাজবংশ রাজ্যের কন্যা সন্তানদের ও তাদের স্বামীদের অধীনে চলে আসে।কুদশিয়ার মেয়ে সিকান্দারের বিয়ে হয় তারই এক জ্ঞাতি-ভাই জাহাঙ্গিরের সঙ্গে। জাহাঙ্গির তেমন একটা জনপ্রিয় ছিল না, এমনকি জাহাঙ্গির তার অন্তঃসত্ত্বা স্ত্রীকে খুন করারও চেষ্টা করে। সিকান্দার নিজের প্রাণ বাঁচিয়ে একটি দুর্গে গিয়ে আশ্রয় নেন। পরে অবশ্য সিকান্দার তার স্বামীকে বন্দিও করেন।
২৬ বছর বয়সে জাহাঙ্গিরের মৃত্যু হয়। তার ছয় বছরের কন্যা সন্তান শাহজাহানকে রাজ্যের পরবর্তী শাসক ঘোষণা করা হয়। শাহজাহান বেগমের বিয়ের পর তার স্বামী রাজ্য শাসন করেন। উত্তরাধিকারের ধারা নিয়ে ব্রিটিশদের সঙ্গে কুদশিয়ার অনেক মনোমালিন্যের পর ব্রিটিশরা সেই ধারাটা জোর করে বাতিল করে দেয়। তাই প্রথমে সিকান্দার তারপর শাহজাহান বেগম ভোপালের শাসক হন। ১৯০১ সালে শাহজাহান বেগমের মৃত্যুর পর তার কন্যা সুলতানজাহান রাজত্ব ভার সামলান।
ভারতীয় ইউনিয়নে
[সম্পাদনা]১৯৪৭ সালে ভারত স্বাধীনতা লাভ করার পরে ভোপালের শেষ নবাব ভোপালকে স্বাধীন রাজ্য হিসেবে রাখার ইচ্ছা প্রকাশ করেন। ১৯৪৮ সালের ডিসেম্বর মাসে নবাবের বিরুদ্ধে বিদ্রোহ শুরু হলে ব্যাপক ধরপাকড় শুরু হয়। শংকর দয়াল শর্মার মত পরিচিত নেতারা গ্রেফতার হন। ১৯৪৯ সালের ৩০ এপ্রিল নওয়াব ভারতীয় ইউনিয়নে যোগদানের চুক্তিপত্রে সই করতে বাধ্য হন।[১১] ১৯৪৯ সালের ১ জুন ভারতের ইউনিয়ন সরকার ভোপালকে রাজ্যকে অধিগ্রহণ করে।
জলবায়ু
[সম্পাদনা]Bhopal-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ৩৩.০ (৯১.৪) |
৩৭.৬ (৯৯.৭) |
৪০.৭ (১০৫.৩) |
৪৪.৪ (১১১.৯) |
৪৬.০ (১১৪.৮) |
৪৫.৬ (১১৪.১) |
৪১.২ (১০৬.২) |
৩৫.৬ (৯৬.১) |
৩৭.৪ (৯৯.৩) |
৩৯.৬ (১০৩.৩) |
৩৫.৩ (৯৫.৫) |
৩২.৮ (৯১.০) |
৪৬.০ (১১৪.৮) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২৫.৩ (৭৭.৫) |
২৮.৩ (৮২.৯) |
৩৩.৫ (৯২.৩) |
৩৮.৩ (১০০.৯) |
৪০.৭ (১০৫.৩) |
৩৭.২ (৯৯.০) |
৩০.৭ (৮৭.৩) |
২৮.৯ (৮৪.০) |
৩০.৫ (৮৬.৯) |
৩২.০ (৮৯.৬) |
২৮.৯ (৮৪.০) |
২৬.০ (৭৮.৮) |
৩১.৭ (৮৯.১) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ১০.৫ (৫০.৯) |
১২.৪ (৫৪.৩) |
১৭.১ (৬২.৮) |
২১.৮ (৭১.২) |
২৫.৭ (৭৮.৩) |
২৫.৪ (৭৭.৭) |
২৩.২ (৭৩.৮) |
২২.৫ (৭২.৫) |
২১.৬ (৭০.৯) |
১৮.৫ (৬৫.৩) |
১৪.২ (৫৭.৬) |
১০.৯ (৫১.৬) |
১৮.৬ (৬৫.৫) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | ০.৬ (৩৩.১) |
১.৭ (৩৫.১) |
৬.১ (৪৩.০) |
১২.২ (৫৪.০) |
১৬.৭ (৬২.১) |
১৯.৫ (৬৭.১) |
১৯.০ (৬৬.২) |
১৬.৮ (৬২.২) |
১৩.৮ (৫৬.৮) |
১১.৭ (৫৩.১) |
৬.১ (৪৩.০) |
১.০ (৩৩.৮) |
০.৬ (৩৩.১) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১৩.২ (০.৫২) |
৮.৭ (০.৩৪) |
৮.৪ (০.৩৩) |
৪.৩ (০.১৭) |
১১.৭ (০.৪৬) |
১২০.২ (৪.৭৩) |
৩৫৪.১ (১৩.৯৪) |
৩৬৩.৩ (১৪.৩০) |
১৮৫.১ (৭.২৯) |
৩১.০ (১.২২) |
১২.১ (০.৪৮) |
১১.০ (০.৪৩) |
১,১২৩.১ (৪৪.২১) |
উৎস: [১২][১৩] |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ http://www.census2011.co.in/census/district/311-bhopal.html।
|শিরোনাম=
অনুপস্থিত বা খালি (সাহায্য) - ↑ http://www.census2011.co.in/census/district/311-bhopal.html
- ↑ http://bhopal.nic.in/profilebpl2012.pdf
- ↑ Green (২৮ জানুয়ারি ২০১০)। "MSN's 8 green cities of India – 7 – Green News – Article – MSN India"। Green.in.msn.com। ২০০৯-১২-২৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১০-০৭-২৬।
- ↑ Educational Britannica Educational (১ জুলাই ২০১০)। The Geography of India: Sacred and Historic Places। The Rosen Publishing Group। পৃষ্ঠা 174–। আইএসবিএন 978-1-61530-202-4। সংগ্রহের তারিখ ১৫ এপ্রিল ২০১২।
- ↑ Pranab Kumar Bhattacharyya (১৯৭৭)। Historical Geography of Madhya Pradesh from Early Records। Motilal Banarsidass। পৃষ্ঠা 275। আইএসবিএন 978-0-8426-9091-1।
- ↑ CPI joins campaign against naming Bhopal as Bhojpal. Daily Bhaskar,16 March 2011.
- ↑ Ashfaq Ali (১৯৮১)। Bhopal, Past and Present। Jai Bharat। পৃষ্ঠা xxix।
- ↑ John Falconer, James Waterhouse (২০০৯)। The Waterhouse albums: central Indian provinces। Mapin। আইএসবিএন 978-81-89995-30-0।
- ↑ Khan 2000, পৃ. 11।
- ↑ S.R. Bakshi and O.P. Ralhan (২০০৭)। Madhya Pradesh Through the Ages। Sarup & Sons। পৃষ্ঠা 360। আইএসবিএন 978-81-7625-806-7।
- ↑ "Bhopal Climatological Table 1949–2000" (পিডিএফ)। Indian Meteorological Department। ১৩ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৫।
- ↑ "Extremes of India" (পিডিএফ)। Indian Meteorological Department। ২১ মে ২০১৩ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জানুয়ারি ২০১৫।