বিশাখাপত্তনম
বিশাখাপত্তনম বিজগ, ওয়াল্টেয়ার | |
---|---|
মহানগরী | |
ডাকনাম: গন্তব্য শহর, পূর্ব উপকূলের জুয়েল | |
অন্ধ্রপ্রদেশ ও ভারতে বিশাখাপত্তনম শহরের অবস্থান | |
স্থানাঙ্ক: ১৭°৪১′১৮″ উত্তর ৮৩°১৩′০৭″ পূর্ব / ১৭.৬৮৮৩৩° উত্তর ৮৩.২১৮৬১° পূর্ব | |
দেশ | ভারত |
রাজ্য | অন্ধ্রপ্রদেশ |
জেলা | বিশাখাপত্তনম |
অন্তর্ভুক্ত (শহর) | ১৮৬৫ |
অন্তর্ভুক্ত (নগর) | ১৯৭৯ |
সরকার | |
• ধরন | পৌরসংস্থা |
• শাসক | জিভিএমস, ভিএমআরডিএ |
• মেয়র | পদ খালি রয়েছে |
আয়তন[১] | |
• মহানগরী | ৬৮১.৯৬ বর্গকিমি (২৬৩.৩১ বর্গমাইল) |
• মহানগর[২] | ৪,৮৭৩ বর্গকিমি (১,৮৮১ বর্গমাইল) |
জনসংখ্যা (২০১১)[৩] | |
• মহানগরী | ১৭,২৮,১২৮ |
• ক্রম | ১৭তম (ভারত) প্রথম (অন্ধ্রপ্রদেশ) |
• জনঘনত্ব | ২,৫০০/বর্গকিমি (৬,৬০০/বর্গমাইল) |
• মহানগর[২] | ৫৩,৪০,০০০ |
ভাষা | |
• দাপ্তরিক | তেলুগু |
সময় অঞ্চল | আইএসটি (ইউটিসি+৫:৩০) |
পিন | ৫৩০ ০XX, ৫৩১ ১XX |
টেলিফোন কোড | +৯১-৮৯১ |
যানবাহন নিবন্ধন | এপি–৩১, এপি–৩২, এপি–৩৩, এপি–৩৪, এপি–৩৯ |
ওয়েবসাইট | গ্রেটার বিশাখাপত্তনম পৌর কর্পোরেশন |
বিশাখাপত্তনম (তেলুগু: విశాఖపట్నం, পূর্বনাম বিজগাপত্তনম),[৬] ভারতের অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের রাজধানী। এটি অন্ধ্রপ্রদেশের সর্বাধিক জনবহুল ও বৃহত্তম শহর।[৭] শহরটি পূর্ব ঘাট ও বঙ্গোপসাগরের উপকূলের মাঝে অবস্থিত।[৮][৯] এটি চেন্নাই ও কলকাতার পরে ভারতের পূর্ব উপকূলের তৃতীয় বৃহত্তম শহর এবং দক্ষিণ ভারতের চতুর্থ বৃহত্তম শহর। বিশাখাপত্তনম স্মার্ট সিটিস মিশনের অধীনে নির্বাচিত অন্ধ্রপ্রদেশের চারটি স্মার্ট সিটির মধ্যে একটি।[১০] শহরটি বিশাখাপত্তনম জেলা সদরের সদর দফতর হিসাবে কাজ করা।[১১][১২][১৩] আনুমানিক ৪৩.৫ বিলিয়ন ডলারের আউটপুট সহ শহরটি ২০১৬ সালের হিসাবে ভারতের সামগ্রিক মোট দেশজ উৎপাদনে নবম বৃহত্তম অবদানকারী।[১৪][১৫] বিশাখাপত্তনমে পূর্ব নৌ কমান্ডের সদর দফতর অবস্থিত।[১৬]
বিশাখাপত্তনমের ইতিহাস খ্রিস্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দীর পূর্ববর্তী সময়ে শুরু হয়। এটি সেই সময়ে কলিঙ্গ রাজ্যের একটি অংশ হিসাবে বিবেচিত হত এবং পরে ভেঙ্গি, পল্লব এবং পূর্ব গঙ্গ রাজবংশ দ্বারা শাসিত হয়।[১৭] প্রত্নতাত্ত্বিক নথিগুলি থেকে জানাযায় যে বর্তমান শহরটি একাদশ ও দ্বাদশ শতাব্দীর কোন এক সময়ে নির্মিত হয় এবং পঞ্চদশ শতাব্দীতে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের দ্বারা বিজয় পর্যন্ত[১৭] শহরটির উপরে চোল রাজবংশ ও গজপতি রাজ্যের নিয়ন্ত্রণ উঠানামা করে।[১৮][১৯] ষোড়শ শতাব্দীতে মুঘলরা শহরটি জয় করে, পরে ইউরোপীয় শক্তিগুলি এই শহরে ব্যবসায়ের আগ্রহ প্রকাশ করে এবং এটি অষ্টদশ শতাব্দীর শেষের দিকে ফরাসী শাসনের অধীনে চলে যায়।[১৮][১৯] নিয়ন্ত্রণটি ১৮০৪ সালে ব্রিটিশ রাজের নিয়ন্ত্রণে চলে যায় এবং ১৯৪৭ সালে ভারতের স্বাধীনতা পর্যন্ত ব্রিটিশ উপনিবেশিক শাসনের অধীনে থেকে যায়।
শহরটিতে প্রাচীনতম শিপইয়ার্ড ও ভারতের পূর্ব উপকূলের একমাত্র প্রাকৃতিক বন্দর রয়েছে।[২০] বিশাখাপত্তনম বন্দরটি ভারতের পঞ্চম-ব্যস্ততম পণ্যবাহী বন্দর এবং এই শহরে দক্ষিণ উপকূলীয় রেলের সদর দফতরে অবস্থিত। বিশাখাপত্তনম একটি প্রধান পর্যটন গন্তব্য এবং এটি সমুদ্র সৈকতের জন্য বিশেষত ভাবে পরিচিত।[২১] শহরটিকে "গন্তব্য শহর" ও "পূর্ব উপকূলের জুয়েল" নামে ডাকা হয়।[১২] এটি স্মার্ট সিটি মিশনের অধীনে স্মার্ট সিটি হিসাবে বিকাশিত ভারতীয় শহরগুলির মধ্যে একটি হিসাবে নির্বাচিত হয়েছে। এটি ২০১৭ সালের স্বচ্ছতা জরিপ অনুসারে ভারতের তৃতীয় পরিষ্কার শহরের মর্যাদা অর্জন করে।[২২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বিশাখাপত্তনমের ইতিহাস খ্রিষ্টপূর্ব ৬ষ্ঠ শতাব্দী থেকে শুরু হয় এবং শহরটির উল্লেখ খ্রিষ্টপূর্বাব্দ চতুর্থ শতাব্দীতে পাণিনির ও কাত্যায়নের লেখা প্রাচীন গ্রন্থে পাওয়া যায়। ঐতিহাসিকভাবে কলিঙ্গ অঞ্চলের অংশ হিসাবে বিবেচিত এই অঞ্চলটি[১৮][১৯] মধ্যযুগীয় সময়ে এটি ভেঙ্গি রাজ্য, পল্লব এবং পূর্ব গঙ্গার রাজবংশের দ্বারা শাসিত হয়েছিল।[১৭] প্রত্নতাত্ত্বিক নথিগুলি নির্দেশ করে যে বর্তমান শহরটি ১১র্থ এবং ১২তম শতাব্দীতে চোল রাজবংশের রাজা প্রথম কুলোতুঙ্গা কর্তৃক নির্মিত হয়েছিল। বিভিন্ন সময়ে তামিলনাড়ুর চোলা রাজবংশ ও উড়িষ্যার গজপতি রাজবংশের কাছে শহরটির উপর নিয়ন্ত্রণ ছিল,[১৮][১৯] যতদিন না ১৫তম শতাব্দীতে বিজয়নগর সাম্রাজ্যের বিজয় লাভ ঘটে।[১৭] ১৬তম শতাব্দীতে এটি মুঘলরা দখল করে নেয়। ইউরোপীয় শক্তিগুলি অবশেষে শহরটি বাণিজ্য স্বার্থে স্থাপন করেছিল এবং বিশাখাপত্তনম ১৮ শতকের শেষদিকে ফরাসি শাসনের অধীনে আসে।[১৮][১৯]
অবস্থান
[সম্পাদনা]বিশাখাপত্তনাম শহরটি সমুদ্র সমতল থেকে ১০ মিটার এবং কোথাও ১০ মিটারের অনেকটাই বেশি উচুতে অবস্থিত। শহরটি পূর্বঘাট পর্বতমালার পূর্বে বঙ্গোপোসাগরের তীরে অবস্থিত।
জলবায়ু
[সম্পাদনা]বিশাখাপত্তনম-এর আবহাওয়া সংক্রান্ত তথ্য | |||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মাস | জানু | ফেব্রু | মার্চ | এপ্রিল | মে | জুন | জুলাই | আগস্ট | সেপ্টে | অক্টো | নভে | ডিসে | বছর |
সর্বোচ্চ রেকর্ড °সে (°ফা) | ৩৪.৮ (৯৪.৬) |
৩৮.২ (১০০.৮) |
৪০.০ (১০৪.০) |
৪০.৫ (১০৪.৯) |
৪৫.০ (১১৩.০) |
৪৫.৪ (১১৩.৭) |
৪১.৪ (১০৬.৫) |
৩৮.৮ (১০১.৮) |
৩৮.২ (১০০.৮) |
৩৭.২ (৯৯.০) |
৩৫.০ (৯৫.০) |
৩৪.০ (৯৩.২) |
৪৫.৪ (১১৩.৭) |
সর্বোচ্চ গড় °সে (°ফা) | ২৮.৯ (৮৪.০) |
৩১.৩ (৮৮.৩) |
৩৩.৮ (৯২.৮) |
৩৫.৩ (৯৫.৫) |
৩৬.২ (৯৭.২) |
৩৫.৩ (৯৫.৫) |
৩২.৯ (৯১.২) |
৩২.৭ (৯০.৯) |
৩২.৫ (৯০.৫) |
৩১.৭ (৮৯.১) |
৩০.৪ (৮৬.৭) |
২৮.৯ (৮৪.০) |
৩২.৫ (৯০.৫) |
সর্বনিম্ন গড় °সে (°ফা) | ১৮.০ (৬৪.৪) |
১৯.৯ (৬৭.৮) |
২৩.০ (৭৩.৪) |
২৬.১ (৭৯.০) |
২৭.৭ (৮১.৯) |
২৭.৩ (৮১.১) |
২৬.১ (৭৯.০) |
২৬.০ (৭৮.৮) |
২৫.৬ (৭৮.১) |
২৪.৩ (৭৫.৭) |
২১.৬ (৭০.৯) |
১৮.৬ (৬৫.৫) |
২৩.৭ (৭৪.৭) |
সর্বনিম্ন রেকর্ড °সে (°ফা) | ১০.৫ (৫০.৯) |
১২.৮ (৫৫.০) |
১৪.৪ (৫৭.৯) |
১৮.৩ (৬৪.৯) |
২০.০ (৬৮.০) |
২১.১ (৭০.০) |
২১.৩ (৭০.৩) |
২১.১ (৭০.০) |
১৭.৫ (৬৩.৫) |
১৭.৬ (৬৩.৭) |
১২.৯ (৫৫.২) |
১১.৩ (৫২.৩) |
১০.৫ (৫০.৯) |
অধঃক্ষেপণের গড় মিমি (ইঞ্চি) | ১১.১ (০.৪৪) |
১০.৫ (০.৪১) |
১৩.০ (০.৫১) |
২৬.২ (১.০৩) |
৭০.৫ (২.৭৮) |
১১৭.০ (৪.৬১) |
১৩৩.৩ (৫.২৫) |
১৬৩.৬ (৬.৪৪) |
১৯১.১ (৭.৫২) |
২৫৮.১ (১০.১৬) |
১১৫.৫ (৪.৫৫) |
৮.৮ (০.৩৫) |
১,১১৮.৭ (৪৪.০৫) |
বৃষ্টিবহুল দিনগুলির গড় | ০.৫ | ০.৫ | ০.৫ | ১.২ | ৩.০ | ৬.৪ | ৮.৭ | ৯.৩ | ৯.৯ | ৮.৭ | ২.৭ | ০.৬ | ৫২.০ |
আপেক্ষিক আদ্রতার গড় (%) | ৭১ | ৭০ | ৬৯ | ৭১ | ৬৯ | ৭১ | ৭৬ | ৭৭ | ৭৮ | ৭৪ | ৬৮ | ৬৭ | ৭২ |
উৎস ১: ভারত আবহাওয়া অধিদফতর (২০১০ সাল পর্যন্ত)[২৩][২৪] | |||||||||||||
উৎস ২: NOAA (humidity 1971–1990)[২৫] |
জনপরিসংখ্যান
[সম্পাদনা]বছর | জন. | ±% |
---|---|---|
১৮৭১ | ৩২,১৯১ | — |
১৮৮১ | ৩০,২৯১ | −৫.৯% |
১৮৯১ | ৩৪,৪৮৭ | +১৩.৯% |
১৯০১ | ৪০,৮৯২ | +১৮.৬% |
১৯১১ | ৪৩,৪১৩ | +৬.২% |
১৯২১ | ৪৪,৭১১ | +৩% |
১৯৩১ | ৫৭,৩০৩ | +২৮.২% |
১৯৪১ | ৭০,২৪৩ | +২২.৬% |
১৯৫১ | ১,০৮,০৪২ | +৫৩.৮% |
১৯৬১ | ২,১১,১৯০ | +৯৫.৫% |
১৯৭১ | ৩,৬৩,৪৬৭ | +৭২.১% |
১৯৮১ | ৬,০৩,৬৩০ | +৬৬.১% |
১৯৯১ | ৭,৫২,০৩৭ | +২৪.৬% |
২০০১ | ১৩,৪৫,৯৩৮ | +৭৯% |
২০১১ | ২০,৩৫,৯২২ | +৫১.৩% |
ভারতে ২০১১ সালের আদমশুমারি অনুসারে, বিশাখাপত্তনমের জনসংখ্যা হল ১৭,২৮,১২৮ জন, যাদের মধ্যে ৮,৭৩,৫৯৯ জন পুরুষ এবং ৮,৫৪,৫২২ জন মহিলা ছিল। শহরটিতে প্রতি ১০০০ জন পুরুষের বিপরীতে ৯৭৮ জন নারী রয়েছেন। জনসংখ্যার ঘনত্ব ১৮,৪৮০ জন/বর্গ কিলোমিটার (৪৭,৯০০ জন/বর্গ মাইল)। ০-৬ বছর বয়সের ১,৬৪,১২৯ টি শিশু রয়েছে এই শহরে, যার মধ্যে ৮৪,২২৮ জন ছেলে এবং ৭৯,৮৩১ মেয়ে- প্রতি ১,০০০ টি ছেলের বিপরীত ৯৪৭ টি মেয়ে রয়েছে। ২০১১ সালের হিসাবে বিশাখাপত্তনমের মোট জনসংখ্যার সাক্ষরতার হার দাঁড়িয়েছে ৮১.৭৯%, অর্থাৎ মোট ১২,৭৯,১৭ জন সাক্ষর, যার মধ্যে ৬,৮৮,৬৭৮ জন পুরুষ এবং ৫,৯০,৪৫৯ জন নারী।[২৬][২৭] বিশ্বের দ্রুততম ক্রমবর্ধমান শহরগুলির তালিকাতে বিশাখাপাতনম ১২২ তম স্থান পেয়েছে।[২৮] শহরটির মোট জনসংখ্যার জনসংখ্যার ৪৪.৬১% লোক বস্তিবাসী, যার অর্থ শহরের ৭,৭০,৯৭১ জন লোক বস্তিতে বসবাস করে।[২৯]
শহরের সীমা সম্প্রসারণের পরে জনসংখ্যা দুই মিলিয়ন অতিক্রম করেছে এবং বর্তমান ২০,৩৫,৯২২ জনে দাঁড়িয়েছে।[১]
ভাষা ও ধর্ম
[সম্পাদনা]তেলুগু শহরটির সরকারি ভাষা এবং স্থানীয়দের দ্বারা সর্বাধিক কথ্য ভাষা।[৩০][৩১] তেলুগুয়ের দুটি উপভাষায় লোকেরা কথা বলে, সাধারণ উপভাষা ও উত্তরান্ধরা (উত্তর পূর্ব অন্ধ্র) উপভাষা। দ্বিতীয় উপভাষাটিতে মূলত বিজয়নগরম এবং শ্রীকাকুলাম জেলার স্থানীয় লোকেরা কথা বলে।[৩২] বিশাখাপত্তনমের বৈশ্বিক জনসংখ্যার অন্তর্ভুক্ত তামিল,[৩৩][৩৪] মালেয়ালি,[৩৫][৩৬] সিন্ধি,[৩৭] কন্নড়,[৩৮][৩৯] ওড়িয়া,[৪০] বাঙালি ও বিহারি অভিবাসীরা ভারতের অন্যান্য অঞ্চল থেকে এসেছেন।[৪১][৪২] এছাড়াও একটি অ্যাংলো-ইন্ডিয়ান সম্প্রদায় রয়েছে, যা শহরের প্রথম বিশ্বনাগরিক হিসাবে বিবেচিত।[৪৩]
২০১১ সালের আদম শুমারি অনুসারে, তেলুগু শহরের মধ্যে সবচেয়ে বেশি কথিত ভাষা। শহরটিতে ৯২.৭২% মানুষ তেলুগু ভাষায় কথা বলেন, এর পরে জনসংখ্যার ক্রম অনুসারে রয়েছে উর্দু (২.৫২%), হিন্দি (২.১৫%), ওড়িয়া (১.০০%), তামিল (০.৩৩%), মালায়ালাম (০.৩২%) রয়েছে ), এবং বাংলা (০.৩১%) ভাষা।[৪৪]
শহরের বেশিরভাগ নাগরিক হিন্দু ধর্ম অনুসরণ করেন, ধর্ম অনুসরণের ক্ষেত্রে এরপরের অবস্থানে যথাক্রমে ইসলাম ও খ্রিস্টান ধর্ম রয়েছে। পার্শ্ববর্তী এলাকাগুলোতে বহু বৌদ্ধ সংঘারাম দ্বারা প্রমাণিত হয় যে অঞ্চলটির বাসিন্দারা প্রাচীন অতীতে বৌদ্ধধর্মের চর্চা করত, তবে বর্তমান সময়ে বৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের জনসংখ্যা হ্রাস পেয়েছে। সাম্প্রতিক আদমশুমারির ভিত্তিতে পুরো শহরে প্রায় ০.০৩% জনসংখ্যা বৌদ্ধ ধর্ম অনুসরণ করে।[৪৫]
পরিবহন
[সম্পাদনা]সড়ক পথ
[সম্পাদনা]শহরটির মধ্যদিয়ে ৫ নং জাতীয় সড়ক (ভারত) চলেগেছে।এই জাতীয় সড়ক এর দ্বারা শহরটি কলকাতা ও চেন্নাই শহরের সঙ্গে যুক্ত।
রেলপথ
[সম্পাদনা]হাওড়া চেন্নাই মেন লাইন এর একটি গুরুত্বপূর্ণ রেলওয়ে স্টেশন হল বিশাখাপত্তনম। শহরের সমুদ্র বন্দরটিও রেলপথ এর সঙ্গে ভালভাবে যুক্ত। এই শহর থেকে রেল দ্বারা কলকাতা, চেন্নাই, হায়দ্রাবাদ, মুম্বাই, ও ব্যাঙ্গালোর ভালোভাবে যুক্ত।
বিমানবন্দর
[সম্পাদনা]বিশাখাপত্তনম একটি বিমানবন্দর রয়েছে।
অর্থনীতি
[সম্পাদনা]শিক্ষা
[সম্পাদনা]প্রাথমিক ও মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শিক্ষা রাজ্যের বিদ্যালয় শিক্ষা দপ্তরের অধীনে সরকারি, সহায়ক ও বেসরকারি বিদ্যালয়ের দ্বারা প্রদান করা হয়।[৪৬][৪৭] ২০১৬–১৭শিক্ষাবর্ষের বিদ্যালয় তথ্যের প্রতিবেদন অনুসারে বিশাখাপত্তনম শহরের ১,৪৪,২৬৮ জন শিক্ষার্থী[৪৮] ৪৩৪ টি বিদ্যালয়ে ভর্তি হয়।[৪৯] কেন্দ্রীয় মাধ্যমিক শিক্ষা বোর্ড, মাধ্যমিক বিদ্যালয়ের শংসাপত্র বা মাধ্যমিক শিক্ষার ভারতীয় শংসাপত্রের জন্য বিভিন্ন বিদ্যালয় দ্বারা বিভিন্ন ধরনের পাঠক্রম অনুসরণ করা হয়। বিদ্যালয়গুলির শিক্ষার মাধ্যম হল ইংরেজি ও তেলুগু ভাষা।[৫০] সেন্ট অ্যালোসিয়াস অ্যাংলো ইন্ডিয়ান বয়েজ হাই স্কুলটি শহরের প্রাচীনতম বিদ্যালয়, যা ১৮৪৭ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়।[৫১] বিশাখাপত্তনম জেলা কেন্দ্রীয় গ্রন্থাগারটি সরকার দ্বারা সমর্থিত এবং দ্বারাকা নগরে অবস্থিত।[৫২][৫৩]
খেলাধুলা
[সম্পাদনা]ক্রিকেট সবচেয়ে জনপ্রিয় খেলা, এছাড়া টেনিস ও ফুটবল বেশ জনপ্রিয়। বিশাখাপত্তনমে জেলা এবং জোনাল ম্যাচে অংশ নেওয়া বেশ কয়েকটি স্থানীয় ক্রিকেট দল রয়েছে। গলি ক্রিকেট (রাস্তায় বা পার্কগুলিতে অনুষ্ঠিত ক্রিকেটের একটি সংস্করণ) স্থানীয় যুবকদের মধ্যে একটি জনপ্রিয় খেলা। বিশাখাপত্তনম হায়দ্রাবাদ শহরের পাশাপাশি ২০০২ সালে ৩২তম জাতীয় গেমসের সহকারী আয়োজক হয়। শহরটিতে সাতটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম রয়েছে, যা রঞ্জি ট্রফি ম্যাচের জন্য ব্যবহৃত হয়; এর মধ্যে দুটি স্টেডিয়াম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচের জন্য ব্যবহৃত হয়। মিউনিসিপাল কর্পোরেশন স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত ইন্দিরা প্রিয়দর্শিনী স্টেডিয়ামে প্রথম একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচটি ১৯৮৮ সালের ৯ ডিসেম্বর এবং শেষ একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচটি ২০০১ সালের ৩ এপ্রিল অনুষ্ঠিত হয়। স্টেডিয়ামটি মধুরাওয়াদার নতুন ডাঃ ওয়াই এস এস রাজশেখড়া রেড্ডি আন্তর্জাতিক ক্রিকেট স্টেডিয়ামের জন্য বন্ধ করে দেওয়া হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "Municipalities, Municipal Corporations & UDAs" (পিডিএফ)। Directorate of Town and Country Planning। Government of Andhra Pradesh। ৭ জুন ২০১৬ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ জানুয়ারি ২০১৬।
- ↑ ক খ "Key Facts on VMR" (পিডিএফ)। Visakhapatnam Urban Development Authority। পৃষ্ঠা 44–45। ২০১৬-০৩-০৫ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৫। উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়; আলাদা বিষয়বস্তুর সঙ্গে "metro" নামটি একাধিক বার সংজ্ঞায়িত করা হয়েছে - ↑ "INDIA STATS : Million plus cities in India as per Census 2011"। Press Information Bureau, Mumbai। National Informatics Centre (NIC)। ৩০ জুন ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Maps, Weather, and Airports for Vishakhapatnam, India"। www.fallingrain.com। ১২ জুলাই ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৭।
- ↑ Seta, Fumihiko; Biswas, Arindam; Khare, Ajay; Sen, Joy (২০১৬)। Understanding Built Environment: Proceedings of the National Conference on Sustainable Built Environment 2015 (ইংরেজি ভাষায়)। Springer। পৃষ্ঠা 98। আইএসবিএন 9789811021381। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "Behind The Name - Vizag"। Vizag -। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৭।
- ↑ "Decks cleared for three capitals in Andhra Pradesh as Governor gives nod to bills"। The New Indian Express। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৭-৩১।
- ↑ "In pics: Hudhud takes the green sheen off Vizag"। Hindustan Times। ২১ অক্টোবর ২০১৪। ১৭ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "About District | Visakhapatnam District, Government of Andhra Pradesh | India"। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৬।
- ↑ 29 Dec। "AP: Andhra Pradesh smart cities to be ready by 2021 | Vijayawada News - Times of India"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-০৪-১৭।
- ↑ Mukerji, Chandralekha (২১ মার্চ ২০১৬)। "Real estate: Here are 9 smart Indian cities to invest in – The Economic Times"। The Economic Times। ২৩ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৭।
- ↑ ক খ Academy, Students'। Visakhapatnam-The City of Destiny-India (ইংরেজি ভাষায়)। Lulu.com। পৃষ্ঠা 4। আইএসবিএন 978-1-257-06510-3। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৭।[নিজস্ব উৎস]
- ↑ "Metropolitan cities of India" (পিডিএফ)। Central Pollution Control Board, Government of India। ১৭ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৬ মে ২০১৭।
- ↑ "Visakhapatnam district development plan" (পিডিএফ)। ১৪ জুলাই ২০২০ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জানুয়ারি ২০২১।
- ↑ "Vizag 9th richest city in country"।
- ↑ "Basic Organization"। Join Indian Navy। সংগ্রহের তারিখ ২৮ মে ২০২০।
- ↑ ক খ গ ঘ "Visakhapatnam District"। Visakhapatnam District। ৭ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "Maps of India – Visakhapatnam History"। Maps of India। ২৬ ফেব্রুয়ারি ২০১০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "History of Visakhapatnam"। I Love India। ১৮ মে ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৯ মে ২০১৫।
- ↑ Gopalakrishnan, Hema (৭ নভেম্বর ২০১২)। "A career in Vizag"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৫।
- ↑ Ghosh, G. K. (২০০৮)। Bamboo: The Wonderful Grass (ইংরেজি ভাষায়)। APH Publishing। পৃষ্ঠা 300। আইএসবিএন 9788131303696। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১৭।
- ↑ "Swachh Survekshan – 2017: Sanitation Rankings of Cities/Towns State/UT-wise"। pib.nic.in। ১১ মে ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৫-০৪।
- ↑ "Visakhapatnam Climatological Table Period: 1951–1980"। India Meteorological Department। ২ এপ্রিল ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Ever recorded Maximum and minimum temperatures up to 2010" (পিডিএফ)। India Meteorological Department। ২১ মে ২০১৩ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "Visakhapatnam Climate Normals 1971–1990"। National Oceanic and Atmospheric Administration। সংগ্রহের তারিখ ২৫ মার্চ ২০১৫।
- ↑ "District Census Handbook – Visakhapatnam" (পিডিএফ)। Census of India। পৃষ্ঠা 26–27, 52। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ G, Siva (২৫ আগস্ট ২০১৪)। "Greater Visakhapatnam Municipal Corporation polls unlikely this year"। The Times of India। সংগ্রহের তারিখ ২৬ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "World's fastest growing urban areas (1)"। City Mayors। সংগ্রহের তারিখ ৬ মে ২০১৪।
- ↑ "Visakhapatnam City Census 2011 data"। Census 2011। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মার্চ ২০১৭।
- ↑ Correspondent, Special। "Need to protect Telugu language stressed"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৭।
- ↑ Correspondent, Special। "Telugu Tirunallu draws to a close"। The Hindu। ২১ ডিসেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৭।
- ↑ "Visakhapatnam language"। Maps of India। ২২ জুলাই ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৫।
- ↑ "Celebration time for Tamilians"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ১৩ এপ্রিল ২০১৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Rani Devalla। "Blend of tradition and creativity"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ২১ অক্টোবর ২০১৫।
- ↑ Rani Devalla। "Malayalis feel at home in Vizag"। The Hindu। ২৭ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ সেপ্টেম্বর ২০১৩।
- ↑ B.Madhugopal। "Malayalees seek direct daily train to Mangalore"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৮ ডিসেম্বর ২০১৫।
- ↑ Rani Devalla (১০ নভেম্বর ২০১৪)। "Sindhis make merry"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৭ মে ২০১৬।
- ↑ Sulogna Mehta। "Kannadigas make a mark by displaying their rich tradition"। The Times of India। ২৯ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩১ মার্চ ২০১৩।
- ↑ Rani Devalla। "Kannadigas in celebration mode"। The Times of India। ২৭ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ নভেম্বর ২০১৪।
- ↑ "Get set to savour Odia delicacies"। The Hindu। ২০১৫-০৩-৩১। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-১২।
- ↑ Sulogna Mehta। "Cosmo Vizag celebrates Shivaratri"। The Times of India। ১৭ জানুয়ারি ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "1500 cultural associations of Vizag"। The Hindu। ৬ মে ২০২০ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ জুলাই ২০১২।
- ↑ "Anglo Indians: Vizag's first cosmopolitans - Times of India"। The Times of India। ২৯ মে ২০১৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৭।
- ↑ "Languages in Visakhapatnam - Census 2011"।
- ↑ "Visakhapatnam Religion Census 2011"। Census2011.co.in। ১ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৭-০৩-১২।
- ↑ "School Education Department" (পিডিএফ)। School Education Department, Government of Andhra Pradesh। ১৯ মার্চ ২০১৬ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১২ এপ্রিল ২০১৭।
- ↑ "The Department of School Education – Official AP State Government Portal"। ap.gov.in। ৭ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "Student Information Report"। Commissionerate of School Education। Child info 2016–17, District School Education – Andhra Pradesh। ১ মার্চ ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৬।
- ↑ "GIS Coordinates"। Commissionerate of School Education। Government of Andhra Pradesh। সংগ্রহের তারিখ ৮ নভেম্বর ২০১৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Devalla, Rani। "Introduction of English medium in municipal schools decried"। The Hindu। ৬ জানুয়ারি ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৭।
- ↑ Benjamin, Ravi. P.। "Old town, a pale shadow of a glorious past"। The Hindu। ৫ মে ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৭।
- ↑ "Public Libraries in Visakhapatnam district"। publiclibraries.ap.nic.in। ১৮ জুন ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৭।
- ↑ "Buzz of activity at The Hindu Ozone Day contest"। The Hindu। সংগ্রহের তারিখ ৬ জুন ২০১৭।