বিষয়বস্তুতে চলুন

নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়াম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়াম
এসসিএ খান্দেরী স্টেডিয়াম
স্টেডিয়ামের তথ্যাবলি
অবস্থানরাজকোট, গুজরাত, ভারত
দেশভারত
প্রতিষ্ঠা২০০৮
ধারণক্ষমতা২৮,০০০
স্বত্ত্বাধিকারীসৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা
পরিচালকসৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা
ভাড়াটেভারত জাতীয় ক্রিকেট দল
সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট দল
গুজরাত লায়ন্স
প্রান্তসমূহ
প্যাভিলিয়ন প্রান্ত
প্রান্ত
আন্তর্জাতিক খেলার তথ্য
প্রথম পুরুষ টেস্ট৯–১৩ নভেম্বর ২০১৬:
ভারত  বনাম  ইংল্যান্ড
সর্বশেষ পুরুষ টেস্ট৪–৬ অক্টোবর ২০১৮:
ভারত  বনাম  ওয়েস্ট ইন্ডিজ
প্রথম পুরুষ ওডিআই১১ জানুয়ারি ২০১৩:
ভারত  বনাম  ইংল্যান্ড
সর্বশেষ পুরুষ ওডিআই১৭ জানুয়ারি ২০২০:
ভারত  বনাম  অস্ট্রেলিয়া
প্রথম পুরুষ টি২০আই১০ অক্টোবর ২০১৩:
ভারত  বনাম  অস্ট্রেলিয়া
সর্বশেষ পুরুষ টি২০আই৭ জানুয়ারি ২০২৩:
ভারত  বনাম  শ্রীলঙ্কা
৪ অক্টোবর ২০১৮ অনুযায়ী

নিরঞ্জন শাহ স্টেডিয়াম (গুজরাটি: નિરંજન શાહ સ્ટેડિયમ; পূর্বে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থা স্টেডিয়াম হিসাবে পরিচিত ছিল) ভারতের রাজকোটে অবস্থিত একটি ক্রিকেট স্টেডিয়াম যা খান্দেরী ক্রিকেট স্টেডিয়াম নামেও পরিচিত। এটি গুজরাতে প্রথম সৌর শক্তি চালিত স্টেডিয়াম।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

সাধারণত "রনজি ট্রফির" খেলাগুলো এতে আয়োজন করার জন্য ব্যবহৃত হত। যখানে এখনো স্পেক্টাটরের একটি খাম্বা নির্মাণাধীন উক্ত স্ট্যান্ডটি সমাপ্ত হওয়ার পরে স্টেডিয়ামের ধারণ ক্ষমতা হবে ২৮,০০০। স্টেডিয়ামটিতে রয়েছে বৃহদাকার খেলার ইভেন্ট আয়োজন করার মত জায়গা। যেমন ব্যাডমিন্টন, বাস্কেটবল এবং ভলিবল। এখানে সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট সংস্থামাধবরাও সিন্ধিয়া ক্রিকেট গ্রাউন্ড এর খেলাগুলো আয়োজিত হয়ে থাকে।

খান্দেরী ক্রিকেট স্টেডিয়ামের একটি দৃশ্য

স্টেডিয়ামটির নির্মাণশৈলীও চোখে পড়ার মত। এর মিডিয়া বক্সটি দেখতে অনেকটা লন্ডনের লর্ডস ক্রিকেট গ্রাউন্ড এর মতো। অনেকগুলো সারি ও কলামে বিভক্ত বসার জায়গাগুলো, রয়েছে প্রচুর প্রবেশ/বাহির গেইট। স্টেডিয়ামের চারদিকে রয়েছে প্রচুর জায়গা যেখানে সহজে চলাফেরা করা যাবে।

২০০৪ সালে জামনগর মহাসড়কের পাশে প্রায় ৩০ একর জায়গা নিয়ে এর অবস্থান। নির্মাণ কাজ শুরু হয় ২০০৬ সালে এবং জমি সহ এর ব্যয় ধরা হয় প্রায় ৭৫ কোটি (প্রায় ১৪ মিলিয়ন মার্কিন ডলার)।

কমপ্লেক্সটিতে রয়েছে দুটি খেলার মাঠ। প্রধান মাঠটি ভিতরের অংশে, যেখানে রয়েছে প্রায় ৯০ গজ আউটফিল্ড এবং ছোটটি ৭০ গজ আউটফিল্ড সংবলিত। বাহিরের অংশটি নেট প্র্যাকটিস ও ডিস্ট্রক্ট লেভেল খেলার জন্য ব্যবহৃত হয়।

স্টেডিয়ামের নামটি সংবাদ মাধ্যমে তখনি আসে যখন সৌরাষ্ট্র ক্রিকেট এসোসিয়শনের রানের মেশিন চেতেশ্বর পুজারা এবং রবীন্দ্র জাদেজা তাদের সর্বশেষ ডাবল ও ট্রিপল সেঞ্চুরী করে।

২০১৩ সালের ১০ অক্টোবরে অস্ট্রেলিয়া যখন ভারত সফরে আসে তখন প্রথম টি২০ আন্তর্জাতিক ম্যাচ ভারত ও অস্ট্রেলিয়ার মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়। যেখানে অ্যারন ফিঞ্চ ৮৯ রান করে এবং জবাবে যুবরাজ সিং ৭৭ রান করে। সে খেলায় ভারত ২০১ রানের লক্ষ্য তাড়া করে জয় পায়। ২০১৫ সালে স্টেডিয়ামটি ভারতের নতুন সংযোজিত ছয়টি ক্রিকেট স্টেডিয়ামের মধ্যে একটি হিসাবে তালিকাভুক্ত হয়।

স্টেডিয়ামটি আইপিএল ২০১৬ তে গুজরাত লায়ন্সের ঘরোয়া মাঠ ছিল। উক্ত মৌসুমের ৫টি খেলা এতে অনুষ্ঠিত হয়।

৯ নভেম্বর ২০১৬ তে স্টেডিয়ামটিতে প্রথম টেস্ট ক্রিকেটের আয়োজন করা হয় যা ভারতইংল্যান্ডের মধ্যে অনুষ্ঠিত হয়িছিল।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

স্থানাঙ্ক: ২২.৩৬৩° উত্তর ৭০.৭১০° পূর্ব