সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়
서울대학교 | |
লাতিন: Universitas Nationalis Seulensis[১] | |
নীতিবাক্য | Veritas lux mea (Latin) |
---|---|
বাংলায় নীতিবাক্য | The truth is my light |
ধরন | পাবলিক |
স্থাপিত | ১৯৪৬ |
সভাপতি | সুং নাক-ইন |
শিক্ষার্থী | ২৭,৯৮৬(২০১৫)[২] |
স্নাতক | ১৬,৪৯৬[২] |
স্নাতকোত্তর | ১১,৪৯০[২] |
৩৪২৩[২] | |
অবস্থান | গোয়ানাক , , |
শিক্ষাঙ্গন | শহর। ৪.২ বর্গকি.মি (১০৩৭ একর), ৭.৯বর্গকি.মি(১,৯৬০ একর), অন্যান্য ক্যাম্পসসহ |
পোশাকের রঙ | |
মাসকট | সারস, যেলকোভা বৃক্ষ |
ওয়েবসাইট | www.snu.ac.kr |
সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় | |
হাঙ্গুল | 서울대학교 |
---|---|
হাঞ্জা | 서울大學校 |
সংশোধিত রোমানীকরণ | Seoul Daehakgyo |
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়া | Sŏul Taehakkyo |
পাদটীকা: 首尔大学 শব্দটি (ঐতিহ্যবাহী: 首爾大學) প্রায়শঃঅই চীনা ভাষায় যেমন চৈনিক উইকিপিডিয়ায় ব্যবহৃত হয়ে আসছে। তবে, এটি ঐতিহ্যবাহী হাঞ্জা নাম নয়। কোরীয় ভাষায় ব্যবহৃত চৈনিক অক্ষরগুলো যেহেতু কোরীয় শব্দের ধ্বনির প্রকাশ করে না বরং চৈনিক শব্দের ধ্বনির প্রকাশ করে। তাই এই ধরনের শব্দগুলো আসলে চৈনিক প্রতিশব্দ স্বরূপ পিনয়িন (pinyin) এর শুয়্যের দ্যেক্সুএ( Shǒuěr Dàxué) এর মতো। 汉城国立大学 মত অন্য নাম গুলো এসেছে ভিন্ন 汉城 শব্দ থেকে যা ঐতিহাসিকভাবে সউল শহরের ক্ষেত্রে চীনে বহুল ব্যবহৃত হয়েছে। |
সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় (SNU; কোরীয়, 서울대학교, Seoul Daehakgyo, কথ্য Seouldae) দক্ষিণ কোরিয়ার সউল শহরে অবস্থিত একটি জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ও গবেষণা ইন্সটিটিউট।
দক্ষিণ কোরিয়ার সবচেয়ে মর্যাদাপূর্ণ এই বিশ্ববিদ্যালয় ১৯৪৬ সালে প্রতিষ্ঠিত।[৩] মোট তিনটি ক্যাম্পস নিয়ে গঠিত এই বিশ্ববিদ্যালয়ের ক্যাম্পাসগুলো গোয়ানাক, দেহাংনো এবং পিয়ংছাং এলাকায় অবস্থিত। ষোলটি কলেজ, একটি গ্রাজুয়েট স্কুল এবং নয়টি পেশাদার বিদ্যালয় নিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়টি গঠিত। কেএডিআই এর একটি সমীক্ষা অনুযায়ী, এই বিশ্ববিদ্যালয় তার শিক্ষার্থীদের প্রতি মাথাপিছু অন্য যেকোন বিশ্ববিদ্যালয়ের তুলনায় বেশি বিনিয়োগ করে।[৪]
৪০টি দেশের ৭০০টিরও বেশি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের সাথে সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়র সংযোগ আছে।[৫] বিশ্বব্যাংক[৬] এবং ইউনিভার্সিটি অব পেন্সিল্ভ্যানিয়ার সাথে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের এক্সচেঞ্জ প্রোগ্রাম রয়েছে।[৭]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় চোসান ডাইনাস্টির রাজা গোজোং এর সময়কালের একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের আধুনিক রূপ। বেশ কিছু তৎকালীন শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান বিশ্ববিদ্যালয়টি স্থাপিত হওয়ার পর এর কলেজের মর্যাদা পায়।
আধুনিক শিক্ষার প্রসার ঘটাতে রাজা গোজোং একাধিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানের উত্থান ঘটান। রাজ দরবারের আদেশে বেপগোয়ান ইয়াংসংসো ১৮৯৫ সালে প্রতিষ্ঠিত হয়। এই প্রতিষ্ঠান থেকে ২০৯ জন শিক্ষার্থী পাশ করে বের হন।
জাপানীদের শাসনকালে, কেইজো ইম্পেরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয়টি জাপানের অন্য নয়টি রাজকীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের একটি হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর, স্বাধীন দক্ষিণ কোরিয়ায় বিশ্ববিদ্যালয়টির নাম কেইজো তেইকোকু দেইগাকু (京城帝国大学)থেকে গিয়ংসং দেহাক (경성대학, 京城大學, Gyeongseong University). নামে স্থান্তরিত করা হয়। তৎকালে, হাঞ্জা অক্ষর নামকরণে ব্যবহৃত হয় এবং কোরীয় নামকরণে "রাজকীয়" শব্দটি বাদ দেয় আহয়। পরবর্তীতে মার্কিন যুক্তরাষ্ট্র শিক্ষাকেন্দ্রে আন্তর্জাতিকতার কথা উল্লেখ করায় "জাতীয়" শব্দটি সংযুক্ত করে নতুন নামকরণ হয়।
শিক্ষা
[সম্পাদনা]ভর্তি
[সম্পাদনা]সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় ভর্তি বেশ প্রতিযোগিতাপূর্ণ। ১৯৮১ থেকে ১৯৮৭ সালে, যখন একজনশিক্ষার্থী শুধুমাত্র একটি বিশ্ববিদ্যালয়ে আবেদন করতে পারতো, তখন শীর্ষে থাকা শিক্ষার্থীদের মাঝে শুধুমাত্র ০.৫% শিক্ষার্থী বাৎসরিক সরকারি বিশ্ববিদ্যালয় পরীক্ষায় আবেদন করতে সক্ষম হয় এবং তাদের একটি বড় অংশ ভর্তির আবেদন করেও ব্যর্থ হয়।
সুযোগ সুবিধা
[সম্পাদনা]পাঠাগার
[সম্পাদনা]সউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠাগার বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রশাসনিক ভবনের পিছন, গোয়ানাক ক্যাম্পাসে অবস্থিত। ২০০৯ সালের তথ্যানুসারে, ৪০ লাখের মতো এই লাইব্রেরির সংগ্রহ রয়েছে।
জাদুঘর
[সম্পাদনা]বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর ১৯৪৬ সালে গোয়ানাক ক্যাম্পাসে প্রতিষ্ঠিত হয়। ১৯৪১ সালে প্রতিষ্ঠিত দ্বিতল ভবন গিয়ংসং ইম্পেরিয়াল বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর হিসেবে ব্যবহৃত হয় এবং পরবর্তীতে সিউল জাতীয় বিশ্ববিদ্যালয় জাদুঘর নামান্তরিত করা হয়।
উল্লেখযোগ্য কৃতী শিক্ষার্থী ও ফ্যাকাল্টি
[সম্পাদনা]- বান কি মুন - জাতিসংঘের অষ্টম সেক্রেটারি জেনারেল
- হোসাং-লী, ইন্টারগভার্মেন্টাল প্যানেল অন ক্লাইমেট চেঞ্জ এর চেয়ারম্যান
- সং সাং-হিয়ন - ইন্টারন্যাশনাল ক্লাইমেট কোর্টের প্রেসিডেন্ট
- লী জং-উক - ওয়ার্ল্ড হেলথ অর্গেনাইজেশনের প্রাক্তন ডিরেক্টর
- কোওন ও-হিয়ন - স্যমাসং ইলেক্ট্রনিক্সের সিইও এবং চেয়ারম্যান
- হান ডাক সু- দক্ষিণ কোরিয়ার বর্তমান প্রধানমন্ত্রী
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Website of Roman Law Study Group" (Korean ভাষায়)। College of Law, Seoul National University। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৮, ২০০৭।
- ↑ ক খ গ ঘ উদ্ধৃতি ত্রুটি:
<ref>
ট্যাগ বৈধ নয়;brochure2015
নামের সূত্রটির জন্য কোন লেখা প্রদান করা হয়নি - ↑ Handbook of Comparative Higher Education Law। সংগ্রহের তারিখ ১৫ জুলাই ২০১৫।
- ↑ "Best Investment to SNU Students"। Useoul.edu। ২০১০-০১-০৩। ২০১১-০৭-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০২-২০।
- ↑ "SNU in the World: International partnerships"। USeoul.edu Website। ২০১১-০৫-২২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৪-১৭।
- ↑ Oh, Jung-eun (৯ মে ২০১৩)। "SNU and World Bank Sign MOU – A Cooperation Between Two Giants"। USeoul.edu। Seoul National University। সংগ্রহের তারিখ ১৮ মে ২০১৩।
- ↑ "Academic Exchange Agreement Concluded with the University of Pennsylvania"। USeoul.edu Website। ২০১১-১০-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১১-০৭-০৫।