বিষয়বস্তুতে চলুন

সরকারি কে এম এইচ কলেজ

স্থানাঙ্ক: ২৩°২৪′৫৪″ উত্তর ৮৯°০১′১০″ পূর্ব / ২৩.৪১৪৯৯০° উত্তর ৮৯.০১৯৪০৬° পূর্ব / 23.414990; 89.019406
উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সরকারি খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজ
নীতিবাক্যজ্ঞানই শক্তি
ধরনসরকারি কলেজ
স্থাপিত১৯৬৯ সাল
অধ্যক্ষপ্রফেসর অনুতোষ কুমার
শিক্ষার্থী৩,১৮৭
অবস্থান
কোটচাঁদপুর
, ,
২৩°২৪′৫৪″ উত্তর ৮৯°০১′১০″ পূর্ব / ২৩.৪১৪৯৯০° উত্তর ৮৯.০১৯৪০৬° পূর্ব / 23.414990; 89.019406
শিক্ষাঙ্গনশহর
ওয়েবসাইটwww.kmhc.gov.bd
মানচিত্র

সরকারি খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজ (বর্তমানে সরকারি কে এম এইচ কলেজ) বাংলাদেশের খুলনা বিভাগের ঝিনাইদহ জেলার একটি শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান। কলেজটির জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী জনাব খন্দকার মোশাররফ হোসেন অনেক অবদান রাখেন। সেই জন্য তার নামেই কলেজটির নামকরণ হয় ‘খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজ’। বর্তমানে কলেজটি উচ্চ মাধ্যমিক, স্নাতক, সম্মান এবং স্নাতকোত্তর শ্রেণীতে বিভিন্ন বিষয়ে পাঠ দান করা হয়।

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

কলেজটি প্রতিষ্ঠিত হয় ১৯৬৯ সালে ১৬ই জুলাই এবং ২রা আগষ্ট যশোর বোর্ডের অনুমোদন লাভ করে। প্রথমে পুরনো হাইস্কুল প্রাঙ্গণ অর্থাৎ বর্তমান মহিলা ডিগ্রী কলেজে এবং পরে বর্তমান হাইস্কুলের এসেম্বিলহলে পরিচালিত হতে থাকে। কলেজটির প্রতিষ্ঠাকল্পে জনাব রফিউদ্দীন সরদার, হাজী মকবুল হোসেন, নূর মোহাম্মদ সরদার এবং মাসুদুন্নবী চৌধুরী ওরফে পান্নূ মিয়া, শামসুর রহমান, আসাদুজ্জামান কাটু মিয়া প্রমুখ কয়েকজন উৎসাহী কর্মী যথেষ্ট পরিশ্রম ও ত্যাগ স্বীকার করেন। কলেজটির জন্য স্থানীয় ব্যবসায়ী জনাব খোন্দকার মোশাররফ হোসেন অনেক অবদান রাখেন। সেই জন্য তাঁর নামেই কলেজটির নামকরণ হয় ‘খোন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজ’ এবং বর্তমান স্থানেই কোটচাঁদপুর রেলওয়ে ষ্টেশনের দক্ষিণ পূর্ব কোণে রেল লাইনের ধারেই কলেজটি স্থানান্তরিত হয় এবং ৭ একর জমির উপর নিজস্ব কলেজ বিল্ডিং-এ পরিচালিত হয়ে আসছে। প্রথম অধ্যক্ষ ছিলেন জনাব এস, এম, তাজুল ইসলাম এবং ১৯৭০ সাল থেকে ১৯৯৪ সাল পর্যন্ত অধ্যক্ষের পদে ছিলেন জনাব আবদুল মতলেব এবং কলেজটির উত্তরোত্তর উন্নতী করণে জনাব আব্দুল মতলেবের অবদান অপরিশীম। ১৯৭৫ সালে কলেজটি রাজশাহী বিশ্ববিদ্যালয় হতে স্নাতক পর্যায়ে অনুমোদন লাভ করে। ১৯৮৩ সালে তৎকালীন পৌর চেয়ারম্যান জনাব এম এ ওয়াদুদ হুলা মিয়া কলেজটি সরকারী করনে মাহামান্য রাষ্ট্রপতি জেনারেল হুসাইন মোহাম্মদ এরশাদকে অনুরোধ করেন এবং পরবর্তীতে কলেজটি সরকারী করণ হয়। বর্তমানে কলেজটি অনার্স কোর্স চালু হয়েছে।[][]

শিক্ষাকার্যক্রম

[সম্পাদনা]

বর্তমানে উচ্চমাধ্যমিক শিক্ষা কার্যক্রম ও অনার্স কোর্স চালু রয়েছে। কলেজটিতে পাশের হার ৬৮.১১ শতাংশ।[]

অনার্স কোর্স[]

[সম্পাদনা]
  • বাংলা
  • ইতিহাস
  • রাষ্ট্র বিজ্ঞান
  • অর্থনীতি
  • হিসাববিজ্ঞান
  • ম্যানেজমেন্ট

বর্তমান শিক্ষার্থী ও পরিকাঠামো

[সম্পাদনা]

বর্তমানে কলেজটিতে শিক্ষার্থীর সংখ্যা প্রায় ৩১৮৭ জন শিক্ষাথী রয়েছে।[] কলেজটি মোট জমির পরিমান ০৭ একর প্রতিষ্ঠিত। সরকারি খন্দকার মোশাররফ হোসেন কলেজের উত্তর দিকে দ্বীতল ভবনে অফিস রুম, লাইব্রেরী, কমনরুমসহ মানবিক ও বানিজ্য শাখা। এবং কলেজের পশ্চিম দিকের দ্বীতল ভবনে সাইন্স ল্যাবরোটেরী, কম্পিউটার ল্যাবসহ সাইন্সের সকল ক্লাস ও পরীক্ষা নেওয়া হয়। কলেজেরমাঠের দক্ষিন পশ্চিমে একতলা বিশিষ্ট মসজিদ। কলেজের দুই ভবনের সামনে প্রশস্ত খেলার মাঠ । কলেজের পূর্বদিকে হোষ্টেল নির্মাণের জন্য খোলা জায়গা এবং একটি শিড়ি বাধাই করা পুকুর খনন করা আছে।[]

বর্তমান শিক্ষক ও কর্মচারীদের সংখ্যা

[সম্পাদনা]

কলেজটিতে বর্তমানে শিক্ষক-শিক্ষিকার সংখ্যা প্রায় ৩৬ জন।[] এবং অফিস কর্মকর্তার সংখ্যা ২৬ জন।[]

সহকার্যক্রম

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]