শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন
শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন ঊনবিংশ শতকের একজন বাঙালি সমাজ সংস্কারক এবং ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের সহযোগী ছিলেন। শ্রীশচন্দ্র কলকাতার সংস্কৃত কলেজে অধ্যয়ন করে 'বিদ্যারত্ন' উপাধি পান এবং ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে প্রথম "বিধবা বিবাহ" করে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের প্রচেষ্টায় প্রবর্তিত বিধবা বিবাহ আইন সামাজিক ক্ষেত্রে প্রচলন করেন।[১]
পরিচয়
[সম্পাদনা]শ্রীশচন্দ্র বিদ্যারত্ন অবিভক্ত চব্বিশ পরগনা জেলার প্রাচীন কুশদহ পরগনার গোবরডাঙ্গা খাঁটুরার বাসিন্দা ছিলেন। তাঁর পিতা ছিলেন খ্যাতনামা কথক রামধন তর্কবাগীশ এবং দাদা গণেশচন্দ্র। শ্রীশচন্দ্র সংস্কৃত কলেজের অধ্যাপক ছিলেন।শ্রীশচন্দ্র প্রতিষ্ঠিত খাঁটুরার বামোড়-তীরের ঘাট ও পোড়ামাটির ভাস্কর্যের দুটি শিবমন্দির এখনো বিদ্যমান। [১]
বিধবা বিবাহ
[সম্পাদনা]১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে ঈশ্বরচন্দ্র বিদ্যাসাগরের উদ্যোগে বিধবা বিবাহ আইন সরকারি অনুমোদন লাভ করে । তারপর শ্রীশচন্দ্র প্রচলিত সামাজিক প্রথা করেনমাজ সংস্কারকে অগ্রাহ্য করে সর্বপ্রথম বিধবা বিবাহ করতে এগিয়ে আসেন । ৭ই ডিসেম্বর ১৮৫৬ খ্রিস্টাব্দে কলকাতায় রাজকৃষ্ণ বন্দ্যোপাধ্যায়ের সুকিয়া স্ট্রীটের বাড়িতে বিদ্যাসাগর, রমাপ্রসাদ রায়, নীলকমল মুখোপাধ্যায়, কালীপ্রসন্ন সিংহ, প্যারীচাঁদ মিত্র, রামগোপাল ঘোষ প্রমুখ ব্যক্তিদের উপস্থিতিতে বর্ধমানের বাল্য-বিধবা কালীমতীকে তিনি বিবাহ করেন । রক্ষণশীল হিন্দু সমাজের পক্ষ থেকে এই বিবাহ পণ্ড করার চেষ্টা হলেও পুলিস প্রহরা থাকায় কোন গণ্ডগোল ঘটেনি । এই বিবাহের অধিকাংশ ব্যয়ভার বিদ্যাসাগর বহন করেছিলেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- সংসদ বাঙালি চরিতাভিধান - প্রথম খণ্ড - সাহিত্য সংসদ