বিষয়বস্তুতে চলুন

মধ্যযুগীয় ইসলামী জ্যোতিষশাস্ত্র

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
সেলেস্টিয়াল ম্যাপ, রাশিচক্রের চিহ্ন এবং লুনার ম্যানশন: জুবদাত আল-তওয়ারিখের একটি বিবরণ

মধ্যযুগে কতিপয় মুসলিম পণ্ডিত জ্যোতির্বিদ্যার চর্চায় গভীরভাবে আগ্রহী হয়েছিলেন। আংশিকভাবে এর কারণ ছিল তারা আকাশের বস্তুসমূহকে অত্যাবশ্যকীয় মনে করতেন। এছাড়া, মরুভূমির অধিবাসীরা প্রায়শই রাতে ভ্রমণ করত এবং তাদের যাত্রা পথে দিক নির্দেশনার জন্য নক্ষত্রমণ্ডলীর জ্ঞানের উপর নির্ভর করত।[][]

ইসলামের আবির্ভাবের পর, মুসলিমদের নামাজের সময়, কাবার দিক, এবং মসজিদের সঠিক অভিমুখ নির্ধারণ প্রয়োজন হয়েছিল। এইসব কর্মকাণ্ড জ্যোতির্বিজ্ঞানের চর্চাকে ধর্মীয় গুরুত্ব প্রদান করেছিল এবং এই বিশ্বাসকে দৃঢ় করেছিল যে, আকাশের বস্তুসমূহ পার্থিব এবং মানবীয় অবস্থার উপর প্রভাবশালী।[] এই ধরনের প্রভাব নিয়ে যে বিজ্ঞান চর্চা করে, তাকে জ্যোতিষশাস্ত্র (আরবি: علم النجوم Ilm an-Nujūm) বলা হয়, যা জ্যোতির্বিজ্ঞানেরই একটি শাখা (আরও ব্যাপক অর্থে علم الفلك Ilm al-Falak 'আকাশ গঠনের বিজ্ঞান'] নামে পরিচিত)।[]  এইসব অধ্যয়নের মূল আরবীয়, পারস্য, ব্যাবিলনীয়, হেলেনীয় এবং ভারতীয় ঐতিহ্যে নিহিত ছিল। অষ্টম শতাব্দীতে বাগদাদে একটি বিস্ময়কর পর্যবেক্ষণ কেন্দ্র এবং জ্যোতির্বিজ্ঞান ও জ্যোতিষশাস্ত্রের গ্রন্থাগার স্থাপনের পর আরবরা উভয় শাখারই যথেষ্ট উন্নতি সাধন করে।

মধ্যযুগ জুড়ে মুসলিম ধর্মীয় পণ্ডিত এবং বিজ্ঞানীদের মধ্যে জ্যোতিষশাস্ত্রের ব্যবহারিক প্রয়োগ নিয়ে গভীর দার্শনিক বিতর্ক চলছিল। তবুও, জ্যোতিষশাস্ত্রীয় ভবিষ্যদ্বাণী করার জন্য যথেষ্ট পরিমাণ সঠিক বৈজ্ঞানিক দক্ষতার প্রয়োজন ছিল। এই যুগে এরকম জ্ঞানের সন্ধান জ্যোতির্বিজ্ঞানের অধ্যয়ন ও বিকাশের জন্য প্রেরণা যুগিয়েছিল।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Wasim Aktar, Contributions of Ancient Arabian and Egyptian Scientists on Astronomy; Public Science & Reference ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-০৫-১৭ তারিখে, retrieved 19 August 2011.
  2. Ayduz, Salim; Kalin, Ibrahim; Dagli, Caner (২০১৪)। The Oxford Encyclopedia of Philosophy, Science, and Technology in Islam। Oxford University Press। পৃষ্ঠা 64। আইএসবিএন 9780199812578 
  3. Wasim Aktar, Contributions of Ancient Arabian and Egyptian Scientists on Astronomy; Public Science & Reference ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-০৫-১৭ তারিখে, retrieved 19 August 2011.
  4. Wasim Aktar, Contributions of Ancient Arabian and Egyptian Scientists on Astronomy; Public Science & Reference ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২০১২-০৫-১৭ তারিখে, retrieved 19 August 2011.