ভাগলপুরের যুদ্ধ
ভাগলপুরের যুদ্ধ | |||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: বর্গির হাঙ্গামা এবং বাংলায় মারাঠা আক্রমণ (১৭৪৫–১৭৪৯) | |||||||
| |||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||
বাংলা | মারাঠা সাম্রাজ্য | ||||||
সেনাধিপতি ও নেতৃত্ব প্রদানকারী | |||||||
আলীবর্দী খান | মীর হাবিব[১] | ||||||
শক্তি | |||||||
অজ্ঞাত | অজ্ঞাত | ||||||
হতাহত ও ক্ষয়ক্ষতি | |||||||
অজ্ঞাত | অজ্ঞাত |
ভাগলপুরের যুদ্ধ ১৭৪৮ সালের মার্চে বিহারের ভাগলপুরে বাংলার নবাব আলীবর্দী খানের সৈন্যবাহিনী এবং মীর হাবিবের নেতৃত্বাধীন মারাঠা বাহিনীর মধ্যে সংঘটিত হয়[১]। যুদ্ধে মারাঠারা পরাজিত হয়[১]।
পটভূমি
[সম্পাদনা]বাংলার নবাব আলীবর্দী খান যখন মারাঠাদের বিরুদ্ধে যুদ্ধে ব্যস্ত ছিলেন[১], তখন বিহারে আফগান সৈন্যরা বিদ্রোহ করে। বিহারের প্রাদেশিক শাসনকর্তা জৈনুদ্দিন আহমদ (নবাবের ভ্রাতুষ্পুত্র ও জামাতা) মারাঠা আক্রমণ থেকে বিহারকে রক্ষা করার উদ্দেশ্যে তাঁর সৈন্যসংখ্যা বৃদ্ধি করছিলেন[১]। এজন্য তিনি আলীবর্দী কর্তৃক পদচ্যুত আফগান সৈন্যাধ্যক্ষ সমশের খান এবং সরদার খানকে নিজ সৈন্যদলে গ্রহণ করেছিলেন[১]। কিন্তু ১৭৪৮ সালের ২৯ ফেব্রুয়ারি তাঁরা দু'জন বিশ্বাসঘাতকতাপূর্বক জৈনুদ্দিন ও তাঁর পিতা হাজি আহমদকে হত্যা করেন[১] এবং জৈনুদ্দিনের স্ত্রী আমেনা বেগম (নবাবের কন্যা) ও সন্তানদের বন্দি করেন।
যুদ্ধের ঘটনাবলি
[সম্পাদনা]আফগান বিদ্রোহের সংবাদ পেয়ে নবাব আলীবর্দী মারাঠাদের বিরুদ্ধে অভিযান বন্ধ রেখে বিহার অভিমুখে যাত্রা করেন। মীর হাবিব এ সুযোগ গ্রহণ করেন এবং তাঁর অধীনস্থ মারাঠা সৈন্যদের নিয়ে আফগান বিদ্রোহীদের সঙ্গে যোগ দেয়ার জন্য অগ্রসর হন[১]। ১৭৪৮ সালের মার্চে ভাগলপুরের নিকটে তিনি নবাবের সৈন্যবাহিনীর মুখোমুখি হন। উভয়পক্ষ একে অপরকে আক্রমণ করলে যুদ্ধ শুরু হয়ে যায় এবং নবাবের সৈন্যবাহিনীর নিকট মারাঠারা পরাজয় বরণ করে[১]।
ফলাফল
[সম্পাদনা]যুদ্ধের পরাজিত হওয়া সত্ত্বেও মীর হাবিব তাঁর অবশিষ্ট সৈন্যদের নিয়ে বিদ্রোহী আফগানদের সঙ্গে যোগ দিতে সমর্থ হন। কিন্তু কালাদিয়ারার যুদ্ধে নবাবের নিকট মারাঠা ও বিদ্রোহী আফগানদের সম্মিলিত বাহিনী বিধ্বস্ত হয়[১]।