বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি | |
---|---|
মহাসচিব | সাইফুল হক |
প্রতিষ্ঠাতা | খন্দকার আলী আব্বাস |
প্রতিষ্ঠা | ১৪ জুন ২০০৪ |
বিভক্তি | বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি |
সদর দপ্তর | ২৭/৮/এ তোপখানা রোড, ঢাকা-১০০০।[১] |
সংবাদপত্র | জনগণতন্ত্র |
ভাবাদর্শ | সাম্যবাদ মার্কসবাদ-লেনিনবাদ |
নির্বাচনী প্রতীক | |
কোদাল | |
দলীয় পতাকা | |
বাংলাদেশের রাজনীতি রাজনৈতিক দল নির্বাচন |
বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি হচ্ছে বাংলাদেশের একটি রাজনৈতিক দল। এই দলটি বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি থেকে বিভক্ত হয়ে গড়ে ওঠে। ১৮ জুলাই, ২০১৮ রাজধানীর পল্টনে মুক্তি ভবনে জোটের অস্থায়ী কার্যালয়ে এক সংবাদ সম্মেলনে দলটি বাংলাদেশে বামপন্থীদের জোটবদ্ধ সংগঠন বাম গণতান্ত্রিক জোটের সাথে একত্রে কাজ করে থাকে। পরবর্তীতে ২৪ মে ২০২২ তারিখে বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টির সদস্যপদ স্থগিত করা হয়।[১] এবং ৮ আগষ্ট ২০২২ রাজধানীর ঢাকা রিপোর্টার্স ইউনিটিতে এক সংবাদ সম্মেলনের মাধ্যমে সাত দলীয় জোটের ‘গণতন্ত্র মঞ্চ’ আত্মপ্রকাশ। এই মঞ্চের অন্যতম শরিক দল বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি।বর্তমানে দলটি দুঃশাসন, জুলুম-লুটপাটতন্ত্র প্রতিহত, গণতন্ত্র ও গণতান্ত্রিক অধিকার আদায়ের সংগ্রাম জোরদার করা এবং বাম-গণতান্ত্রিক বিকল্প গড়ে তোলা চেষ্টা চলমান রেখেছে।[২]
এই দলের গণসংগঠনসমূহ হচ্ছে
- বিপ্লবী কৃষক সংহতি
- বিপ্লবী শ্রমিক সংহতি
- বিপ্লবী পাদুকা শ্রমিক সংহতি
- বিপ্লবী গার্মেন্টস শ্রমিক সংহতি
- শ্রমজীবী নারী মৈত্রী
- বাংলাদেশ ভূমিহীন সংহতি
- বাংলাদেশ বিপ্লবী রিকশা শ্রমিক সংহতি
ছাত্র গণসংগঠন
- ছাত্র কাউন্সিল
- দলটি প্রকাশ করে জনগণতন্ত্র।[২]
দশম কংগ্রেস
[সম্পাদনা]৯ জানুয়ারি ২০২৩ রাজধানীর ইঞ্জিনিয়ার্স ইনস্টিটিউশনে দলটির তিন দিনব্যাপী দশম কংগ্রেস সমাপ্ত হয়। কংগ্রেসের অধিবেশনে ২৫ সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় কমিটি ও সাত সদস্য বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরিষদ ও ১৪ জন কেন্দ্রীয় সংগঠকও নির্বাচন করা হয়।
নবনির্বাচিত কেন্দ্রীয় কমিটি’র পূর্ণাঙ্গ সদস্য যথাক্রমে- সাইফুল হক, বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক, মাহমুদ হোসেন, শহীদুল আলম নান্নু, এপোলো জামালী, রাশিদা বেগম, সিকদার হারুন মাহমুদ, ফিরোজ আহমেদ, সজীব সরকার রতন, মোজাম্মেল হোসেন, নজরুল ইসলাম শাহজাহান, স্নিগ্ধা সুলতানা ইভা, সাইফুল ইসলাম, নির্মল বড়ুয়া মিলন, কামরুজ্জামান ফিরোজ, অরবিন্দু বেপারি বিন্দু, শহীদুজ্জামান লাল মিয়া ও শেখ মোহাম্মদ শিমুল। বিকল্প সদস্য শাহীন আলম ও মীর রেজাউল আলম।
০৭ সদস্য বিশিষ্ট রাজনৈতিক পরিষদ হচ্ছেন সাইফুল হক, বহ্নিশিখা জামালী, আকবর খান, আবু হাসান টিপু, আনছার আলী দুলাল, মীর মোফাজ্জল হোসেন মোশতাক ও মাহমুদ হোসেন।
১৪ জন সদস্য বিশিষ্ট কেন্দ্রীয় সংগঠক হচ্ছেন রহিমা খাতুন, আবু লাহাব লাইসুদ্দিন, জুঁই চাকমা, আকরাম হোসেন ইমরান হোসেন, ডা. মনোয়ার হোসেন, আবুল কালাম আজাদ, নাসির হোসেন, মুক্তা ইসলাম, নীলুফার ইয়াসমিন, প্রদীপ রায়, সাবিনা ইয়াসমিন, ডা. মুনসুর রহমান (সাতক্ষীরা) ও আইয়ুব আলী।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]বাংলাদেশের বিপ্লবী ওয়ার্কার্স পার্টি ২০০৪ সালের পরে দীর্ঘকাল বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি নামটি ব্যবহার করত।[৩] দলের সভাপতি ছিলেন খন্দকার আলী আব্বাস এবং সাধারণ সম্পাদক ছিলেন সাইফুল হক। ১৪ জুন, ২০০৪ সালে এই গ্রুপটি 'বাংলাদেশের ওয়ার্কার্স পার্টি' থেকে বেরিয়ে আসে। এরা আওয়ামী লীগের সাথে ঐক্যবদ্ধ যৌথ কর্মসূচির কৌশলের বিরোধিতা করে।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Bangladesh Election Commission - Home page"। Ecs.gov.bd। ২০১২-০২-১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-২৪।
- ↑ "Interview with Saiful Huq"।
- ↑ "Welcome thefinancialexpress-bd.info - BlueHost.com"। Thefinancialexpress-bd.info। সংগ্রহের তারিখ ২০১৪-০৬-২৪।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]