টাইফাস জ্বর
টাইফাস জ্বর | |
---|---|
বিশেষত্ব | সংক্রামক রোগ |
টাইফাস (ইংরেজি: Typhus) বা টাইফাস জ্বর রিকেটশিয়া প্রজাতির ব্যাক্টেরিয়া দিয়ে হয়।[১] এই নামের উৎপত্তি হয়েছে গ্রিক শব্দ typhus (τύφος) থেকে যার অর্থ ধোঁয়াটে বা অস্পষ্ট যার দ্বারা এই রোগে আক্রান্তদের মনের অবস্থা বুঝায়। এই জ্বরের জন্য দায়ী জীবাণু রিকেটশিয়া কে বলা হয় অবলিগেট ইন্ট্রাসেলুলার ব্যাক্টেরিয়া অর্থাৎ এরা জীবন্ত কোষের বাইরে এরা বেশিক্ষণ বাঁচে না। এই জীবাণু মানব শরীরে ছড়ায় মূলত বাহ্যিক পরজীবী যেমন উকুন, মক্ষিকা (flea), আঁটুলি (tick) ইত্যাদির মাধ্যমে। টাইফাস ও টাইফয়েড দুটি আলাদা ব্যাক্টেরিয়া দ্বারা ঘটিত ভিন্নধর্মী রোগ।
লক্ষণ
[সম্পাদনা]জীবাণু সংক্রমণ হওয়ার প্রায় ১-২ সপ্তাহ পর ঠাণ্ডা ও কাঁপুনিসহ আকস্মিক জ্বর, মাথাব্যথা ও অন্যান্য ফ্লু এর মত উপসর্গ হয়।[২]
লক্ষণ শুরুর ৫ থেকে ৭ দিন পর দেহে ফুসকুড়ি দেখা দেয় যা হাত ও পায়ে ছড়ায় তবে মুখমণ্ডল, হাত ও পায়ের তালুতে ফুসকুড়ি হয় না। মেনিনগোএনসেফালাইটিস এর লক্ষণসমূহ দেখা দিতে পারে।[৩]
কারণ
[সম্পাদনা]টাইফাসের বেশ কতকটা প্রকার রয়েছে।[৪] এইগুলো হলো:
রোগ | ব্যাক্টেরিয়া | বাহক | দ্রষ্টব্য |
---|---|---|---|
এপিডেমিক টাইফাস | Rickettsia prowazekii | উকুন | টাইফাস বলতে মূলত এই প্রকারকেই বুঝানো হয়। |
মুরিন টাইফাস বা "এন্ডেমিক টাইফাস" | Rickettsia typhi | ইঁদুরের মক্ষিকা | |
স্ক্রাব টাইফাস | Orientia tsutsugamushi | হারভেস্ট মাইট | এটি উপরের দুটি থেকে একটু আলাদা, টাইফাস নাম থাকলেও বর্তমানে এটাকে টাইফাস গ্রুপে না রেখে স্পটেড ফিভার গ্রুপে রাখা হয়।[৫] |
কুইন্সল্যান্ড টিক টাইফাস[৬] অথবা "অস্ট্রেলিয়ান টিক টাইফাস"[৭]) | Rickettsia australis | আঁটুলি |
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ডোরল্যান্ডের চিকিৎসাশাস্ত্র অভিধানে "Typhus"
- ↑ Gary R. Mullen; Lance A. Durden (২৭ সেপ্টেম্বর ২০০২)। Medical and Veterinary Entomology। Academic Press। পৃষ্ঠা 58–। আইএসবিএন 978-0-08-053607-1।
- ↑ Levinson, Warren (২০১০)। Review of Medical Microbiology and Immunology (11 সংস্করণ)। McGraw Hill। আইএসবিএন 9780071700283।
- ↑ Eremeeva, Marina E; Gregory A Dasch। "Rickettsial (Spotted & Typhus Fevers) & Related Infections (Anaplasmosis & Ehrlichiosis)"। CDC Centers for Disease Control and Prevention। সংগ্রহের তারিখ ১৫ মে ২০১৪।
- ↑ Cotran, Ramzi S.; Kumar, Vinay; Fausto, Nelson; Nelso Fausto; Robbins, Stanley L.; Abbas, Abul K. (২০০৫)। Robbins and Cotran pathologic basis of disease। St. Louis, Mo: Elsevier Saunders। পৃষ্ঠা 396। আইএসবিএন 0-7216-0187-1।
- ↑ Ticks Factsheet ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২১ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে NSW Department of Health
- ↑ Spotted Fevers ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৯ ডিসেম্বর ২০১০ তারিখে Department of Medical Entomology, University of Sydney