জন ল্যাংশ অস্টিন
জন ল্যাংশ অস্টিন | |
---|---|
জন্ম | ল্যাঙ্কাস্টার, ব্রিটেন | ২৬ মার্চ ১৯১১
মৃত্যু | ৮ ফেব্রুয়ারি ১৯৬০ | (বয়স ৪৮)
মাতৃশিক্ষায়তন | বেলিয়ল কলেজ, অক্সফোর্ড |
যুগ | ২০শ শতাব্দীর দর্শন |
অঞ্চল | পশ্চিমা দর্শন |
ধারা | সাধারণ ভাষা দর্শন/ভাষাবিজ্ঞানীয় দর্শন, বিশ্লেষণী |
প্রধান আগ্রহ | ভাষার দর্শন, মনের দর্শন, নৈতিকতা, অভিব্যক্তির দর্শন |
উল্লেখযোগ্য অবদান | উক্তি কর্ম, performative utterance |
ভাবগুরু | |
ভাবশিষ্য |
জন ল্যাংশ অস্টিন (ইংরেজি: John Langshaw Austin; মার্চ ২৮, ১৯১১ – ফেব্রুয়ারি ৮, ১৯৬০) ছিলেন ব্রিটিশ ভাষার দার্শনিক। উক্তি কর্ম বিষয়ে বর্তমান তত্ত্বের বেশির ভাগ অংশ তিনিই রচনা করেন।[১] তিনি এরিস্টটেলিয়ান সোসাইটির সভাপতি ছিলেন।
জীবনী
[সম্পাদনা]অস্টিন ১৯১১ সালের ২৬ মার্চ ইংল্যান্ডের ল্যাঙ্কাশায়ারের ল্যাঙ্কাস্টারে জন্মগ্রহণ করেন। তার পিতা জিওফ্রে ল্যাংশ অস্টিন (১৮৮৪-১৯৭১) ছিলেন একজন স্থপতি এবং মাতা মেরি হাটন বাউয়েস-উইলসন (১৮৮৩-১৯৪৮)। জন তাদের দ্বিতীয় পুত্র। ১৯২১ সালে তাদের পরিবার স্কটল্যান্ডে চলে যায়। সেখানে জনের বাবা সেন্ট অ্যান্ড্রুসের সেন্ট লিওনার্ডস স্কুলের সচিব হিসেবে নিযুক্ত হন। জন ১৯২৪ সালে শ্রিউসবারি স্কুলে ভর্তি হন এবং সেখান থেকে ক্লাসিকস-এ বৃত্তি লাভ করে ১৯২৯ সালে ক্লাসিকস বিষয়ে বেলিয়ল কলেজ, অক্সফোর্ডে পড়তে যান।
১৯৩৩ সালে তিনি লিটারে হিউম্যানিওরেস (ক্লাসিকস ও দর্শন) বিষয়ে প্রথম স্থান অধিকার করে এবং গ্রিক পদ্যের জন্য গেইসফোর্ড পুরস্কার লাভ করেন এবং প্রথম শ্রেণীতে সম্মান অর্জন করেন। লিটারে হিউম্যানিওরেস তাকে গভীর দর্শনের সাথে পরিচয় করিয়ে দেয় এবং এরিস্টটল সম্পর্কে আগ্রহ সৃষ্টি করে।[২] এরিস্টটল ছাড়া তিনি ইমানুয়েল কান্ট, গটফ্রিড লাইবনিৎস ও প্লেটো (বিশেষ করে থিয়েটিটাস) সম্পর্কেও আগ্রহ জন্মে। তার সমসাময়িকদের মধ্যে জর্জ এডওয়ার্ড ম্যুর, জন কুক উইলসন ও হ্যারল্ড আর্থার প্রিচার্ড তাকে প্রভাবিত করে। ইহা প্রতীয়মান হয় যে জন অস্টিনের দর্শন বিষয়ক কিছু প্রশ্ন এই তিনজনের সাথে সংস্পর্শে আসার ফলশ্রুতিতে গৃহীত হয়েছে।[৩]
অস্টিন ১৯৩৫ সালে প্রথম অধ্যাপনা পেশায় জড়িত হন ম্যাগডালেন কলেজ, অক্সফোর্ডের ফেলো ও টিউটর হিসেবে। দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধ চলাকালীন তিনি ব্রিটিশ ইনটেলিজেন্স কর্পসের হয়ে কাজ করেছেন। ওয়ারনক ১৯৬৩: ৯ এ এক প্রতিবেদনে বলা হয় তিনি নিখুঁতভাবে ডি-ডেতে জীবন বাঁচানোর সবচেয়ে বেশি ভূমিকা পালন করেন। অস্টিন লেফটেন্যান্ট কর্নেল পদসহ সেনাবাহিনীর পদ থেকে অব্যাহতি নেন এবং তার কাজের জন্য তাকে অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার, ফরাসি ক্রোয়া দি গের, ও মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের লিজিয়ন অব মেরিট-এ ভূষিত করা হয়।[২][৪]
যুদ্ধের পর অস্টিন অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ে নৈতিক দর্শনের অধ্যাপক হিসেবে যোগদান করেন। তিনি সেখানে তার বিখ্যাত "অস্টিন্স স্যাটারডে মর্নিংস"-এ তার ছাত্র ও সহকর্মীদের নিয়ে ভাষার ব্যবহার নিয়ে আলোচনা করতেন, কিন্তু এর মধ্যে মাত্র কয়েকটি আলোচনা প্রকাশিত হয়েছে।[৫]
অস্টিন পঞ্চাশের দশকের মধ্যভাগে হার্ভার্ড বিশ্ববিদ্যালয় ও ক্যালিফোর্নিয়া বিশ্ববিদ্যালয়, বার্কলিতে যান। ১৯৫৫ সালে তিনি উইলিয়াম জেমসের বক্তৃতা দেন যা পরে "হাউ টু ডো থিংস উইথ ওয়ার্ডস" নামে পরিচিতি লাভ করে, এবং একটি সেমিনারে অংশগ্রহণ করেন যার বিষয়বস্তু "আ প্লিয়া ফর এক্সকিউজেস" বের করতে সক্ষম হয়। এই সময়ে তিনি নোম চম্স্কির সাথে সাক্ষাৎ করেন এবং তাদের মধ্যে বন্ধুত্ব হয়। তিনি ১৯৫৬ সাল থেকে ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত এরিস্টটেলিয়ান সোসাইটির সভাপতি ছিলেন।[৬]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Warnock, G. J. "John Langshaw Austin, a biographical sketch". Symposium on J. L. Austin, ed. K.T. Fann. New York: Humanities Press, 1969. p. 3.
- ↑ ক খ Hacker, P. M. S. 'Austin, John Langshaw (1911–1960)', in Oxford Dictionary of National Biography, Oxford University Press, 2004 online (subscription site)
- ↑ Longworth, Guy, (11 Dec. 2012). "John Langshaw Austin." Stanford University. Stanford University.
- ↑ "John Langshaw Austin"। Stanford Encyclopedia of Philosophy।
- ↑ Passmore, John, (1967). A Hundred Years of Philosophy. New York: Basic Books, 459, n. 2.
- ↑ Proceedings of the Aristotelian Society, 1956-57. See Stanley Cavell, The Claim of Reason: Wittegenstein, Skepticism, Morality and Tragedy (New York: Oxford, 1979) xv.
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- ১৯১১-এ জন্ম
- ১৯৬০-এ মৃত্যু
- ইংরেজ দার্শনিক
- বিশ্লেষণী দার্শনিক
- ভাষার দার্শনিক
- ল্যাঙ্কাস্টার, ল্যাঙ্কাশায়ারের ব্যক্তিত্ব
- সাধারণ ভাষা দর্শন
- ২০শ শতাব্দীর ব্রিটিশ লেখক
- ২০শ শতাব্দীর প্রাবন্ধিক
- বিশ্লেষক দার্শনিক
- দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধে ব্রিটিশ সেনা কর্মকর্তা
- ব্রিটিশ যুক্তিবিজ্ঞানী
- যুক্তিবিজ্ঞানের ইতিহাস
- অফিসার্স অব দি অর্ডার অব দ্য ব্রিটিশ এম্পায়ার