চট্টলা এক্সপ্রেস
সংক্ষিপ্ত বিবরণ | |
---|---|
পরিষেবা ধরন | আন্তঃনগর (খ শ্রেণী) |
অবস্থা | সচল |
প্রথম পরিষেবা | ১ নভেম্বর ২০১০ |
বর্তমান পরিচালক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
যাত্রাপথ | |
শুরু | চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন |
বিরতি | ১৪টি |
শেষ | কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন |
ভ্রমণ দূরত্ব | ৩৪৬ কিলোমিটার (২১৫ মাইল) |
যাত্রার গড় সময় | ৭ ঘণ্টা ২৫ মিনিট |
পরিষেবার হার | প্রতি সপ্তাহে ৬ দিন (বন্ধ: শুক্রবার ) |
রেল নং | ৮০১/৮০২ |
ব্যবহৃত লাইন | |
যাত্রাপথের সেবা | |
শ্রেণী |
|
আসন বিন্যাস | আছে |
ঘুমানোর ব্যবস্থা | নেই |
খাদ্য সুবিধা | অন-বোর্ড |
মালপত্রের সুবিধা | ওভারহেড র্যাক |
কারিগরি | |
গাড়িসম্ভার | ১৪ |
ট্র্যাক গেজ | ১,০০০ মিলিমিটার (৩ ফুট ৩ ৩⁄৮ ইঞ্চি) |
পরিচালন গতি | ৮০ কিমি/ঘ (সর্বোচ্চ) |
ট্র্যাকের মালিক | বাংলাদেশ রেলওয়ে |
রক্ষণাবেক্ষণ | চট্টগ্রাম |
চট্টলা এক্সপ্রেস (ট্রেন নং ৮০১/৮০২) বাংলাদেশ রেলওয়ে কর্তৃক পরিচালিত বাংলাদেশের একটি খ শ্রেণীর আন্তঃনগর ট্রেন।[১] এটি চট্টগ্রামের চট্টগ্রাম রেলওয়ে স্টেশন থেকে ঢাকার কমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন পর্যন্ত চলাচল করে। যাত্রাপথে ট্রেনটি ফেনী, কুমিল্লা, ব্রাহ্মণবাড়িয়া, কিশোরগঞ্জ ও নরসিংদী জেলাকে সংযুক্ত করেছে।
২০১০ সালের ১লা নভেম্বর ট্রেনটি উদ্বোধন করা হয়।[১] পূর্বে এটি এক্সপ্রেস ট্রেন হিসেবে ৬৭/৬৮ নাম্বার নিয়ে চলাচল করতো। তবে পরবর্তীতে ২০২০ সালের ২৭শে আগস্ট একে আন্তঃনগরে রূপান্তর করা হয়,[২] এবং একে ৮০১/৮০২ নাম্বার দেওয়া হয়।[১] চট্টগ্রাম−ঢাকা রুটে এই ট্রেনের পাশাপাশি সুবর্ণ এক্সপ্রেস (৭০১/৭০২), মহানগর প্রভাতী/গোধূলী এক্সপ্রেস (৭০৩/৭০৪), মহানগর এক্সপ্রেস (৭২১/৭২২), তূর্ণা এক্সপ্রেস (৭৪১/৭৪২), সোনার বাংলা এক্সপ্রেস (৭৮৭/৭৮৮), ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইল (১/২) এবং কর্ণফুলী এক্সপ্রেস (৩/৪) চলাচল করে।
সময়সূচী
[সম্পাদনা]বাংলাদেশ রেলওয়ের সময়সূচী পরিবর্তনশীল। বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ সময়সূচী যাচাই করার জন্য অনুরোধ করা হলো। নিম্নোক্ত সময়সূচীটি বাংলাদেশ রেলওয়ের ৫২তম সময়সূচী অনুযায়ী, যা ২০২০ সালের ১০ই জানুয়ারি হতে কার্যকর।[৩]
স্টেশন | কোড | প্রবেশ | ত্যাগ |
---|---|---|---|
চট্টগ্রাম | CTG | - | ০৮:৩০ |
কুমিরা | ০৮:৫৮ | ০৯:০০ | |
ফেনী জংশন | ১০:১০ | ১০:১৫ | |
হাসানপুর | ১০:৩৮ | ১০:৪০ | |
নাঙ্গলকোট | ১০:৪৮ | ১০:৫০ | |
লাকসাম জংশন | ১১:০৭ | ১১:১২ | |
কুমিল্লা | ১১:৫২ | ১১:৫৭ | |
শশীদল | ১২:২০ | ১২:২২ | |
কসবা | ১২:৩৮ | ১২:৪০ | |
আখাউড়া জংশন | ১৩:০২ | ১৩:০৫ | |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া | ১৩:২৫ | ১৩:২৮ | |
ভৈরব বাজার জংশন | ১৩:৪৮ | ১৩:৫০ | |
মেথিকান্দা | ১৪:০৭ | ১৪:০৯ | |
নরসিংদী | ১৪:২৬ | ১৪:২৮ | |
ঢাকা বিমানবন্দর | DABB | ১৫:১০ | ১৫:১২ |
কমলাপুর | DA | ১৫:৫০ | - |
স্টেশন | কোড | প্রবেশ | ত্যাগ |
---|---|---|---|
কমলাপুর | DA | - | ১৩:৪৫ |
ঢাকা বিমানবন্দর | DABB | ১৩:২৭ | ১৩:৩২ |
নরসিংদী | ১৪:১৫ | ১৪:১৭ | |
মেথিকান্দা | ১৪:৪০ | ১৪:৪২ | |
ভৈরব বাজার জংশন | ১৪:৫৮ | ১৫:০০ | |
ব্রাহ্মণবাড়িয়া | ১৫:২০ | ১৫:২২ | |
আখাউড়া জংশন | ১৫:৫০ | ১৫:৫৩ | |
কসবা | ১৬:২৫ | ১৬:২৭ | |
শশীদল | ১৬:৪১ | ১৬:৪৩ | |
কুমিল্লা | ১৭:০৫ | ১৭:০৮ | |
লাকসাম জংশন | ১৭:৫৫ | ১৮:০০ | |
নাঙ্গলকোট | ১৮:১৬ | ১৮:১৮ | |
হাসানপুর | ১৮:২৫ | ১৮:২৭ | |
ফেনী জংশন | ১৮:৫০ | ১৮:৫৩ | |
কুমিরা | ১৯:৫৯ | ২০:০১ | |
চট্টগ্রাম | CTG | ২০:৩০ | - |
রোলিং স্টক
[সম্পাদনা]এই ট্রেনে ২৬০০, ২৭০০ ও ২৯০০ শ্রেণীর লোকোমোটিভ ব্যবহার করা হয়।
পূর্বে ট্রেনটি মেইল সবুজ-হলুদ ভ্যাকুয়াম ব্রেকের কোচে চলাচল করতো। প্রথমে এটি ১৬/৩২ লোডে চলাচল করতো এবং এতে ৫১৪টি আসন ছিলো। তবে পরে এটির লোড কমিয়ে ১২/২৪ এ নিয়ে আসা হয়।[১] এটি ঢাকা/চট্টগ্রাম মেইলের সাথে রেক শেয়ার করে চলতো। পরে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেসের আন্তঃনগর সবুজ-হলুদ ভ্যাকুয়াম ব্রেকের কোচ প্রতিস্থাপন করে ইন্দোনেশীয় লাল-সবুজ এয়ার ব্রেকের কোচ দেওয়া হয়। পরে চট্টলা এক্সপ্রেস আন্তঃনগর হলে পাহাড়িকা ও উদয়ন এক্সপ্রেসের অবমুক্ত কোচ একে দেওয়া হয়।[১] এখন ট্রেনটির লোড ১২/২৪ এবং আসন সংখ্যা ৫৮০। এর মধ্যে প্রথম (সিট) শ্রেণীতে ২৭টি আসন এবং শোভন চেয়ার ও শোভন শ্রেণী মিলিয়ে ৫৫৩টি আসন রয়েছে।[২] ট্রেনটি দুই রেকে চলাচল করে।
৮০১ এর রেক বিন্যাস (২০২০ সাল অব্দি):
(৮০২ এর ক্ষেত্রে এর বিপরীতটি হবে।)
রোলিং স্টক | লোকো | ||||||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
শ্রেণী | ২৬০০/২৭০০/
২৯০০ |
||||||||||||
কোড | এমইজি-১৫/
এমইএল-১৫/ এমইআই-১৫ |
||||||||||||
আসন সংখ্যা | - |
দুর্ঘটনা
[সম্পাদনা]- ১৫/১১/২০১৯: কুমিল্লার মুড়াপাড়া লেভেল ক্রসিং এ বিকেলে চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন অতিক্রম করার পূর্বে একটি ট্রাক বিকল হয়ে যায়। এইসময় লোকোমাস্টার দ্রুত ট্রেনে ব্রেক টেনে ট্রেনকে থামিয়ে দিলে একটি বড় দুর্ঘটনা এড়ানো সম্ভব হয়।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ "আন্তঃনগর মানে উন্নীত কালনী ও চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেন"। দৈনিক ইনকিলাব। ২০২০-০৩-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৩।
- ↑ ক খ "গরিবি চেহারা ছেড়ে 'চট্টলা এক্সপ্রেস' এখন বিলাসী আন্তঃনগর"। দৈনিক চট্টগ্রাম প্রতিদিন। ২০২০-০৮-২৯। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৩।
- ↑ "চট্টলা এক্সপ্রেস ট্রেনের সময়সূচী, টিকেট ও ভাড়ার তালিকা"। আমার ট্রেন। ২০২০-০৩-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৩।
- ↑ "গেইটম্যানের বুদ্ধিতে রক্ষা পেল চট্টলা এক্সপ্রেস"। সারাবাংলা। ২০১৯-১১-১৫। সংগ্রহের তারিখ ২০২০-১০-২৩।