বিষয়বস্তুতে চলুন

উইজার্ড জ্যাকাম

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
উইজার্ড জ‍্যামকাম সি ১৪৯০-১৫২৩ ছিলেন একজন ফ্রিজীয় সামরিক কমান্ডার

উইজার্ড জ্যাকাম[][] (সি. ১৪৯০-১৫২৩) ছিলেন একজন ফ্রিজীয় সামরিক কমান্ডার, সেনাপতি ও আর্মার ব্ল্যাক হুপের সদস্য। তিনি ছিলেন পিয়ের গ্যারলফস দনিয়ার লেফটেনান্ট ও সেক্সন এবং ডাচ হানাদারের বিরুদ্ধে লড়াই করেছেন। ১৫২০ সালে দনিয়া মৃত্যুবরণ করার পর জ্যাকাম, দনিয়ার স্থলাভিষিক্ত হন।

প্ররম্ভিক জীবন

[সম্পাদনা]

১৪৯০ সালে জ্যকাম একটি বড় ও সরল কৃষক পরিবারে জন্মগ্রহণ করেন। তিনি ছিলেন ক্রুসেডের যুদ্ধে অংশগ্রহণকারী নাইটদের বংশধর। তার পিতার দিকের একজন পূর্বপুরুষ এন্টিওচের অবরোধে মৃত্যুবরণ করেছিলেন।[]

দ্রোহ

[সম্পাদনা]

পিয়েরে গ্যারলফস দনিয়া ও জ্যাকাম একত্রে তাদের মাতৃভূমি ফ্রিজিয়াকে ডাচ দখলদারীদের কাছ থেকে মুক্ত করার জন্য লড়াই করেছেন।[] প্রথমে মেদেমব্লিক এলাকাটি সেক্সনদের দ্বারা দখল হয়, এরপর ডাচরা এলাকাটি জয় করে। দনিয়া ও জ্যাকামের উদ্দেশ্য ছিলো এলাকাটি স্বাধীন করা। দনিয়ার নেতৃত্বে, তারা সাধারণত গেরিলা আক্রমণ চালাতো ও কয়েকটি সফল অভিযানও পরিচালনা করেন। এরমধ্যে উল্লেখযোগ্য মেদেমব্লিক শহর ও দুটি হল্যান্ডিক ক্যাসল অবরোধ। তাদের সবচেয়ে বড় সাফল্য আসে সমুদ্রে, যাইহোক দনিয়া ও জ্যাকাম দুজন মিলে মোট ২৮টি ডাচ জাহাজ ডুবিয়ে দেন; যার ফলে দনিয়া ক্রস অফ দ্য ডাচম্যান উপাধিতে পরিচিতি লাভ করেন।[]

১৫১৯ সালের দিকে দনিয়ার স্বাস্থ্য খারাপ হতে শুরু করে ও তিনি বিদ্রোহী কমান্ডার থেকে অবসর নেন। ১৫২০ সালে তিনি মারা যাওয়ার পর জ্যাকাম বিদ্রোহীদের কমান্ডার হিসেবে অভিষিক্ত হন। তিনি নেতৃত্ত্ব গ্রহণ করে বাহিনীর সৈন্য সংখ্যা ৪০০০ এ উন্নীত করেন। জ্যাকাম যদিও কিছু বিজয় অর্জন করেন কিন্তু তিনি ছিলেন আগের কামান্ডারের চেয়ে অনেক ধীর ও ধীরে ধীরে তার সৈন্য সংখ্যা কমতে শুরু করে। জ্যাকাম ও তার সৈন্যরা জলদস্যুতায় যোগদান করেন; তারা ফ্রিজিয়ার অনেক গ্রামে লুটতরাজ করেন, ফলে তিনি তার নিজের জনগণের কাছেই বিশ্বাস ও সমর্থন হারান। ফলে তিনি বিভিন্ন স্থানে পরাজিত হতে থাকেন।

মৃত্যু

[সম্পাদনা]

কয়েকটি ধারাবাহিক পরাজয়ের পর তিনি ও তার অবশিষ্ঠ সেনাসদস্যদের ১৫২৩ সালে গ্রেফতার করে ফ্রিজিয়ার লিউয়ার্ডেনে আনা হয়। সেখানে প্রকাশ্যে তাদের শিরোচ্ছেদ করা হয়।[] জ্যাকাম ও বিদ্রোহীদের মৃত্যুর সাথে সাথে ফ্রিজিয়ার বিদ্রোহেরও অবসান হয়। এটি ছিলো ফ্রিজিয়ার ইতিহাসে সর্বশেস বিদ্রোহ।

পদটীকা ও তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Eekhoff, W.(1851). Beknopte geschiedenis van Friesland (in Dutch). Leeuwarden: W. Eekhoff. 138-139.
  2. Kok, Jacobus (১৭৯১)। "Pier Gerlofs Donia"। Vaderlandsch Woordenboek (Dutch ভাষায়)। 24 (P-R)। Amsterdam: Johannes Allart। পৃষ্ঠা 17–21। 
  3. J.J. Kalma. Grote Pier Van Kimswerd (1970), p. 51. আইএসবিএন ৯০-৭০০১০-১৩-৫.
  4. Beekman, Martinus. Beschreiving van de Stad en Baronnie Asperen. Vertoonende haare oudheid, gebouwen, hooge, en verdere regeering, ens. Utrecht, Mattheus Visch, 1745.
  5. "Greate Pier fan Wûnseradiel" (West Frisian ভাষায়)। Gemeente Wûnseradiel। ২০১২-০৯-১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-০৪