বিষয়বস্তুতে চলুন

আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার ইতিহাস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
২০০৯ সালের চূড়ান্ত খেলায় লর্ডসের নার্সারী প্রান্তে লাসিথ মালিঙ্গা বোলিং করছেন।

আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতার ইতিহাস তেমন দীর্ঘদিনের নয়। ২০০৭ সালে প্রথমবারের মতো আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়। প্রথমে সিদ্ধান্ত নেয়া হয়েছিল যে, প্রতি দুই বছর অন্তর প্রতিযোগিতাটি অনুষ্ঠিত হবে। কোন কারণে আইসিসি ক্রিকেট বিশ্বকাপ একই বছরে গড়ালে এ প্রতিযোগিতাটি এর পূর্বের বছর আয়োজনের ব্যবস্থা করা হবে।

প্রথম আইসিসি বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতা ২০০৭ সালে দক্ষিণ আফ্রিকায় অনুষ্ঠিত হয়। চূড়ান্ত খেলায় ভারত, পাকিস্তানকে পরাজিত করার মাধ্যমে শিরোপা লাভ করে। এতে আইসিসি'র দুইটি সহযোগী দেশ ৫০-ওভারের প্রতিযোগিতা হিসেবে ২০০৭ সালের আইসিসি বিশ্ব ক্রিকেট লীগ প্রথম বিভাগে অংশ নিয়ে যোগ দেয়। ডিসেম্বর, ২০০৭ সালে সিদ্ধান্ত নেয়া হয় যে, অধিকতর ভালো দল নির্ধারণে ২০-ওভারের বাছাইপর্ব প্রতিযোগিতা আয়োজন করা হবে। ছয় দলের অংশগ্রহণে শীর্ষস্থানীয় দুই দল ২০০৯ সালের বিশ্ব টুয়েন্টি২০ প্রতিযোগিতায় অংশ নিবে ও প্রত্যেকেই প্রাইজমানি বাবদ $২৫০,০০০ মার্কিন ডলার লাভ করবে।[]

ইংল্যান্ডে অনুষ্ঠিত দ্বিতীয় প্রতিযোগিতায় পাকিস্তান শিরোপা জয় করে। ২১ জুন, ২০০৯ তারিখে দলটি শ্রীলঙ্কাকে পরাভূত করে। ২০১০ সালের প্রতিযোগিতা ওয়েস্ট ইন্ডিজে অনুষ্ঠিত হয়। মে, ২০১০ সালের ঐ প্রতিযোগিতায় ইংল্যান্ড অস্ট্রেলিয়াকে ৭ উইকেটের ব্যবধানে হারায়। ২০১২ সালে শ্রীলঙ্কাকে হারিয়ে ওয়েস্ট ইন্ডিজ শিরোপা জয় করে। প্রথমবারের মতো স্বাগতিক দল চূড়ান্ত খেলায় অবতীর্ণ হয়। শিরোপালাভের লড়াইয়ে আয়ারল্যান্ডআফগানিস্তানসহ ১২-দল অংশ নেয়। এছাড়াও, প্রথমবারের মতো এ প্রতিযোগিতাটি এশিয়ার মাটিতে অনুষ্ঠিত হয়। একমাত্র দল হিসেবে পাকিস্তান প্রথম চার প্রতিযোগিতার শেষ চারে পৌঁছে। ২০১৪ সালে দলের সংখ্যা বৃদ্ধি করে ১৬-দলে রূপান্তর করা হয়। তন্মধ্যে, তিন দলের অভিষেক ঘটে। শ্রীলঙ্কা পূর্বে আরও দুইবার চূড়ান্ত খেলায় অংশ নিয়েছিল। এবার তারা শিরোপা জয় করে। পাঁচটি প্রতিযোগিতায় ভিন্ন ভিন্ন চারটি দল চ্যাম্পিয়ন হয়।

দল সংখ্যা বৃদ্ধি

[সম্পাদনা]

২০১৪ সালের প্রতিযোগিতা বাংলাদেশে অনুষ্ঠিত হয়। এতে ১৬টি দল অংশ নেয়। আইসিসি'র দশটি পূর্ণাঙ্গ সদস্যসহ ২০১৩ সালের বাছাইপর্বের অংশগ্রহণকারী শীর্ষ ছয়টি দল ছিল। ৮ অক্টোবর, ২০১২ তারিখে আইসিসি টি২০আই চ্যাম্পিয়নশীপ র‌্যাঙ্কিংয়ের শীর্ষ আট পূর্ণাঙ্গ সদস্যকে বাইরে রেখে সুপার টেন পর্বের আয়োজন করা হয়।[][] বাদ-বাকী আটটি দলকে নিয়ে গ্রুপ পর্বের আয়োজন করা হয়। শীর্ষ দুই দল সুপার টেন পর্বে খেলার সুযোগ পায়। নেপাল, হংকংসংযুক্ত আরব আমিরাত - এ তিনটি দলের প্রতিযোগিতায় অভিষেক ঘটে। চূড়ান্ত খেলায় শ্রীলঙ্কা শিরোপা জয় করে। দলটি ভারতকে ১৩ বল বাকী রেখে ৬ উইকেটের ব্যবধানে পরাজিত করে। দক্ষিণ আফ্রিকার ইমরান তাহির ও ভারতের বিরাট কোহলি যথাক্রমে সর্বোচ্চ উইকেটরান সংগ্রাহক হন।

বিজয়ী দল, অধিনায়ক ও কোচ

[সম্পাদনা]
সাল স্বাগতিক বিজয়ী দল অধিনায়ক প্রধান কোচ
২০০৭  South Africa  ভারত মহেন্দ্র সিং ধোনি নেই
২০০৯  England  পাকিস্তান ইউনুস খান ইন্তিখাব আলম
২০১০  West Indies  ইংল্যান্ড পল কলিংউড অ্যান্ডি ফ্লাওয়ার
২০১২  Sri Lanka  ওয়েস্ট ইন্ডিজ ড্যারেন স্যামি অটিস গিবসন
২০১৪  Bangladesh  শ্রীলঙ্কা দীনেশ চন্ডিমাল
লাসিথ মালিঙ্গা
পল ফারব্রেস

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "ICC World Twenty20 Qualifier to be held in Ireland"। ESPNcricinfo। ১৩ ডিসেম্বর ২০০৭। সংগ্রহের তারিখ ১৭ মে ২০১২ 
  2. "West Indies to start World T20 title defence against India"ICC। ২৭ অক্টোবর ২০১৩। ২৯ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ অক্টোবর ২০১৩ 
  3. "BCB promises stellar T20 WC"The Daily Star। ৭ এপ্রিল ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৯ এপ্রিল ২০১৩ 

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]