বিষয়বস্তুতে চলুন

অ্যাডাম গিলক্রিস্ট

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
অ্যাডাম গিলক্রিস্ট
অ্যাডাম গিলক্রিস্ট, প্রাক্তন অস্ট্রেলিয়ান ব্যাটসম্যান এবং উইকেটরক্ষক
ব্যক্তিগত তথ্য
পূর্ণ নাম
অ্যাডাম ক্রেগ গিলক্রিস্ট
জন্ম (1971-11-14) ১৪ নভেম্বর ১৯৭১ (বয়স ৫২)
বেলিংটন, নিউ সাউথ ওয়েলস, অস্ট্রেলিয়া
ডাকনামগিলি, চার্চি
উচ্চতা১.৮৫ মিটার (৬ ফুট ১ ইঞ্চি)
ব্যাটিংয়ের ধরনবাম হাতি
বোলিংয়ের ধরনডান হাতি অফ স্পিন
ভূমিকাউইকেটরক্ষক-ব্যাটসম্যান
আন্তর্জাতিক তথ্য
জাতীয় দল
টেস্ট অভিষেক
(ক্যাপ ৩৮১)
৫ নভেম্বর ১৯৯৯ বনাম পাকিস্তান
শেষ টেস্ট২৪ জানুয়ারি ২০০৮ বনাম ভারত
ওডিআই অভিষেক
(ক্যাপ ১২৯)
২৫ অক্টোবর ১৯৯৬ বনাম দক্ষিণ আফ্রিকা
শেষ ওডিআই৪ মার্চ ২০০৮ বনাম ভারত
ওডিআই শার্ট নং১৮
ঘরোয়া দলের তথ্য
বছরদল
১৯৯২-১৯৯৪নিউ সাউথ ওয়েলস
১৯৯৪–২০০৮ওয়েস্টার্ন অস্ট্রেলিয়া
২০০৮–২০১০ডেকান চার্জারস
২০১০মিডেলসেক্স কাউন্টি ক্লাব
২০১১–২০১০কিংস ইলেভেন পাঞ্জাব
খেলোয়াড়ী জীবনের পরিসংখ্যান
প্রতিযোগিতা টেস্ট ওডিআই প্রথম-শ্রেণী লিস্ট এ ক্রিকেট
ম্যাচ সংখ্যা ৯৬ ২৮৭ ১৯০ ৩৫৬
রানের সংখ্যা ৫,৫৭০ ৯,৬১৯ ১০,৩৩৪ ১১,৩২৬
ব্যাটিং গড় ৪৭.৬০ ৩৫.৮৯ ৪৪.১৬ ৩৪.৯৫
১০০/৫০ ১৭/২৬ ১৬/৫৫ ৩০/৪৩ ১৮/৬৩
সর্বোচ্চ রান ২০৪* ১৭২ ২০৪* ১৭২
বল করেছে ১২
উইকেট
বোলিং গড়
ইনিংসে ৫ উইকেট
ম্যাচে ১০ উইকেট -
সেরা বোলিং ১/১০
ক্যাচ/স্ট্যাম্পিং ৩৭৯/৩৭ ৪১৭/৫৫ ৭৫৬/৫৫ ৫২৬/৬৫
উৎস: ক্রিকেটআর্কাইভ, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০১৬

অ্যাডাম ক্রেইগ গিলক্রিস্ট (জন্ম ১৪ নভেম্বর ১৯৭১, বেলিংএন, নিউ সাউথ ওয়েলস), ডাকনাম গিলিচার্চ,[] একজন অস্ট্রেলিয়ান ক্রিকেট খেলোয়াড়।[] প্রথম শ্রেণীর ক্রিকেটে তার অভিষেক ঘটে ১৯৯২ সালে, একদিনের আন্তর্জাতিক ক্রিকেটে প্রথম খেলেন ১৯৯৬ সালে এবং টেস্ট ম্যাচ ক্রিকেটে অভিষেক ১৯৯৯ সালে।[] তিনি ২০০০ সাল থেকে উভয় ধারার অস্ট্রেলিয়ার সহ-অধিনায়কের দায়িত্ব পালন করছেন এবং নিয়মিত অধিনায়ক স্টিভ ওয়াহ ও রিকি পণ্টিংয়ের অনুপস্থিতিতে দলকে নেতৃত্ব দিয়েছেন।

গিলক্রিস্ট একজন আক্রমণাত্মক বাঁহাতি ব্যাটসম্যান এবং কার্যকর উইকেট-রক্ষক, জাতীয় দলের জন্য তিনি দু'টি দায়িত্ব পালন করেন। তাকে ক্রিকেট ইতিহাসের অন্যতম সেরা উইকেট-রক্ষক-ব্যাটসম্যান হিসেবে আখ্যায়িত করা হয়।[][] তার স্ট্রাইক রেট ওয়ানডে ও টেস্ট ক্রিকেটে প্রায় সর্বোচ্চ এবং টেস্ট ক্রিকেটে তিনি দ্বিতীয় দ্রুততম সেঞ্চুরির মালিক। গিলক্রিস্ট পীচে প্রতিবাদ করার জন্য আলোচিত এবং বেশ কয়েকবার এজন্য ম্যাচ ফি জরিমানা দিয়েছেন। এছাড়াও তিনি ওয়াকিং করার জন্য বিখ্যাত এবং নিজেকে আউট মনে করলে আম্পায়ারের সিদ্ধান্তের বিপরীতে হেটে চলে যান।

পুরো ক্যারিয়ারজুড়ে গিলক্রিস্ট অস্ট্রেলিয়ান জাতীয় দলের হয়ে ৯০ টি টেস্ট এবং ২৫০টি একদিনের আন্তর্জাতিক ম্যাচ খেলেছেন। তিনি টানা তিনটি বিশ্বকাপ ফাইনালে পঞ্চাশ রানের অধিক ইনিংস খেলার বিরল রেকর্ডের অধিকারী। (১৯৯৯, ২০০৩ ও ২০০৭ সালে)।

সম্মাননা

[সম্পাদনা]

২০০২ সালে উইজডেন কর্তৃক বর্ষসেরা পাঁচ ক্রিকেটারের একজনরূপে নির্বাচিত করা হয়।[] অস্ট্রেলিয়া ক্রিকেটে অসাধারণ অবদানের জন্য ২০১২ সালে অস্ট্রেলিয়ার হল অব ফেমে তাকে অন্তর্ভুক্ত করা হয়।[]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. অলিভার ব্রেট (২০০৩-০৩-১৭)। "নো রুম অ্যাট দ্য ইনস"BBC Sport। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০২-২৩ 
  2. "অ্যাডাম গিলক্রিস্ট বায়োগ্রাফি"ক্রিকইনফো। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০২-২০ 
  3. অলিভার আইরিশ (২০০৩-০২-০২)। "দি লর্ডডাউন অন পুল এ"। অবজারভার স্পোর্ট মান্থলি। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০২-২২ 
  4. "শ্রীলঙ্কা ওয়ানডে স্কোয়াড টু টুর ইংল্যাণ্ড 2006"ইংল্যান্ড এবং ওয়েলস ক্রিকেট বোর্ড। ২০০৭-০৪-০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০২-২২ 
  5. Wisden। "CRICKETER OF THE YEAR 2002, Adam Gilchrist"। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০০৭ 
  6. "Adam Gilchrist AM"। Sport Australia Hall of Fame। ২২ সেপ্টেম্বর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ সেপ্টেম্বর ২০১৩ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]