অ্যাট ইটার্নিটিস গেট (চলচ্চিত্র)
এই নিবন্ধটি ইংরেজি উইকিপিডিয়ার সংশ্লিষ্ট নিবন্ধ অনুবাদ করে সম্প্রসারণ করা যেতে পারে। (নভেম্বর ২০২২) অনুবাদ করার আগে গুরুত্বপূর্ণ নির্দেশাবলী পড়ার জন্য [দেখান] ক্লিক করুন।
|
অ্যাট ইটার্নিটিস গেট | |
---|---|
পরিচালক | জুলিয়ান শ্নাবেল |
প্রযোজক | জন কিলিক |
রচয়িতা |
|
শ্রেষ্ঠাংশে | |
সুরকার | তাতিয়ানা লিসোভস্কায়া |
চিত্রগ্রাহক | বেনো ডেলোম |
সম্পাদক |
|
পরিবেশক |
|
মুক্তি |
|
স্থিতিকাল | ১১০ মিনিট[১] |
দেশ |
|
ভাষা |
|
আয় | $১১.২ মিলিয়ন[২] |
অ্যাট ইটার্নিটিস গেট ২০১৮ সালে মুক্তিপ্রাপ্ত একটি জীবনী নাট্য চলচ্চিত্র। চিত্রশিল্পী ভিনসেন্ট ভ্যান গগ-এর জীবনের শেষ বছরগুলোর কাহিনী এখানে বর্ণিত হয়েছে। ছবিটি ভ্যান গগের জীবনীকার স্টিভেন নাইফে ও গ্রেগরি হোয়াইট স্মিথের বিতর্কিত তত্ত্বের নাটকীয়করণ করেছে। তাদের ধারণা, ভ্যান গগ প্রকৃতপক্ষে আত্মহত্যা করেননি। তার মৃত্যু অন্য কেউ ঘটিয়েছে।
জুলিয়ান শ্নাবেল ছবিটির পরিচালক ও সহ-সম্পাদক। স্নাবেল, জঁ ক্লদ কারিয়ে এবং লুইস ক্লুগেলবার্গ এর চিত্রনাট্য রচনা করেছেন। উইলেম ডাফো এখানে ভ্যান গগের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। অন্যান্য ভূমিকায় রয়েছেন রুপার্ট ফ্রেন্ড, অস্কার আইজ্যাক, ম্যাডস মিককেলসেন, ম্যাথিউ আমালরিক, ইমানুয়েল সেইনার ও নিয়েলস আরেস্ট্রাপ। ২০১৭ সালের শেষ দিকে ফ্রান্সের বিভিন্ন স্থানে ৩৮ দিন প্রধান দৃশ্যায়ন হয়। জীবনের শেষ সময়টুকু ভ্যান গগ সেখানে অতিবাহিত করেছেন।
৭৫-তম ভেনিস চলচ্চিত্র উৎসবে ২০১৮ সালের ৩ সেপ্টেম্বর এটি মুক্তি পায়। সিবিএস ফিল্মস ২০১৮ সালের ১৬ নভেম্বর যুক্তরাষ্ট্রে ছবিটি মুক্তি পায়। ২০১৯ সালের ১৫ নভেম্বর নেটফ্লিক্স কর্তৃক ফ্রান্সে এটির স্ট্রিমিং শুরু হয়। ঐ বছরের ২৯ মার্চ যুক্তরাজ্যে এটির প্রথম প্রদর্শনী হয়। ছবিটি সমালোচকদের কাছ থেকে ইতিবাচক মূল্যায়ন লাভ করে। ডাফোর অভিনয় ব্যাপক প্রশংসা লাভ করেছিল। একাডেমি পুরস্কার ও গোল্ডেন গ্লোব পুরস্কারের জন্যও ছবিটি মনোনীত হয়। সেরা অভিনেতা ক্যাটাগরিতে ছবিটি ভোলপি কাপ পুরস্কার লাভ করে।
কাহিনীসংক্ষেপ
[সম্পাদনা]শৈল্পিক ও আবেগিক শ্রান্তিতে ভিনসেন্ট সর্বদাই অভিভূত। আর্লের প্রাকৃতিক দৃশ্যাবলির প্রতি তার নান্দনিক নিবেদন চোখে পড়ার মতো। তেলরং কিংবা স্কেচ ব্যবহার করে এগুলোকে মোহনীয় জাদুতে ফুটিয়ে তুলেন তিনি। আর্লের একটি পীতবর্ণের ভবনের একটি কক্ষে তার ঠাঁই হয়। স্থির জৈবনিক সত্তার ক্ষণস্থায়ী প্রকৃতি নিয়ে ভিনসেন্ট সতত অনুধ্যান করেন। তিনি মৌসুমী ফুল নিয়ে ভাবেন। ফুলকে অবিনশ্বররূপে প্রতিনিধিত্ব করতে যে শৈল্পিক কারুকলার প্রয়োজন হয়, তা নিয়েও ভিনসেন্ট চিন্তা করেন।
একজন স্থানীয় নারী ভিনসেন্টকে একটি স্কেচ বুক উপহার দেন। কলম ও কালির আঁচড়ে তিনি সেখানে ছবি আঁকতে শুরু করেন। ভিনসেন্ট অনেক রকম দার্শনিক ও অস্তিত্ববাচক প্রশ্নের মুখোমুখি হন। তিনি ভাবেন, শুধু দৃশ্য আঁকলেই চলবে না, বরঞ্চ তার অন্তর্নিহিত অবিনশ্বরতাও উপলব্ধি করতে হবে। প্রকৃতির গোপন অর্থ বোঝার নিরলস প্রচেষ্টা ভিনসেন্টের যাবতীয় চিন্তার একটি মুখ্য প্রতিপাদ্য।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "At Eternity's Gate"। Venice International Film Festival 2018। Venice Biennale। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ২৭, ২০১৮।
- ↑ "At Eternity's Gate (2018)"। BoxofficeMojo। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১২, ২০২০।