অনলাইন পরিচয়
অনলাইন পরিচয় বা ইন্টারনেট পরিচিতি বা ভার্চুয়াল পরিচিতি একধরনের সামাজিক পরিচয় যা ইন্টারনেটের মাধ্যমে অনলাইন সম্প্রদায়ের মধ্যে হয়ে থাকে। এটি অবশ্য একজন মানুষ সক্রিয়ভাবে নিজেকে উপস্থাপন করাকেও বোঝায়। যদিও কিছু মানুষ তাদের সত্যিকারের নামই অনলাইনে ব্যবহার করে তবে কিছু মানুষ নিজেদেরকে বিভিন্ন ছদ্মনামের মাধ্যমে অজ্ঞাত রাখতে পছন্দ করেন, যা ব্যক্তি শনাক্তকরণ তথ্যে প্রভাব ফেলে। একজন ব্যবহারকারীর অনলাইন পরিচয় একটি নির্দিষ্ট অনলাইন সামজিক গ্রুপের সঙ্গে তার সম্পর্কের ভিত্তিতেও নির্ধারণ করা হতে পারে। কেউ কেউ তাদের পরিচয়ের ব্যাপারে হেঁয়ালিপূর্ণও হতে পারেন।
ইন্টারনেট ফোরাম, অনলাইন চ্যাটসহ কিছু কিছু ক্ষেত্রে একজন ব্যবহারকারী নিজেকে অ্যাভাটর (আইকনের মতো গ্রাফিক্স ছবি) রূপে উপস্থাপন করতে পারেন এবং সেক্ষেত্রে এটিই তাদের অনলাইন পরিচিতির একমাত্র উপায়।[১] অন্য ব্যবহারকারীদের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ার দ্বারা একজন প্রতিষ্ঠিত ব্যবহারকারী সম্মান অর্জন করেন, যা থেকে অন্য ব্যবহারকারীরা সিদ্ধান্ত নিতে পারেন যে এই ব্যবহারকারী বিশ্বস্ত কি না।[২] অনলাইন পরিচয় মূলত প্রমাণীকরণের মাধ্যমে সম্পন্ন হয়, যা মূলত নিবন্ধন করা এবং লগইন করাকে বোঝায়। কিছু ওয়েবসাইট ব্যবহারকারীর আইপি ঠিকানা বা শনাক্তকারী কুকিজের মাধ্যমে ব্যবহারকারীদের শনাক্ত করে থাকে। [৩]
নিজ এর ধারণা এবং এটি কীভাবে প্রযুক্তি ব্যবহারের মাধ্যমে প্রভাবিত হয় তা গবেষণার বিষয় হিসেবে শিক্ষা, সমাজবিদ্যা এবং মনস্তত্ত্ববিদ্যায় সমাদৃত। অনলাইন ডিজইনহিবিশন এফেক্ট একটি বড়ো উদাহরণ যা একজন ব্যক্তির অব্যক্তিসুলভ আচরণ এর কারণে অজ্ঞাতপ্রবণতা এবং ব্যক্তিগত প্রাধান্যকে বাড়িয়ে তুলছে। [৪]
অনলাইন সামজিক পরিচয়
[সম্পাদনা]পরিচয় প্রকাশ ভঙ্গি এবং পরিচয় প্রতিফলন
[সম্পাদনা]সামাজিক ওয়েব অর্থাৎ ওয়েব কে সামাজিক যোগাযোগ এর জন্য ব্যবহার মানুষকে এমন একটি প্ল্যাটফর্ম দিয়েছে যেখানে মানুষ সামাজিকভাবে তাদের পরিচয়ের প্রকাশ এবং প্রতিফলন ঘটাতে পারেন। [৫] যেমন মানুষ ফেসবুক অথবা লিংকডইনের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে সরাসরি ব্যক্তিগত প্রোফাইল তৈরি করে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেন। [৬]ব্লগ এবং অন্যান্য সামাজিক মাধ্যমে নিজের মতবাদ ব্যক্ত করার মাধ্যমে তারা মৌনভাবে তাদের পরিচয় প্রকাশ করেন।
একজন ব্যক্তির পরিচয় প্রকাশ গোপনীয়তার সাথে সম্পর্কিত কিছু বিষয় [২] উপস্থাপন করতে পারে। অনেক ব্যবহারকারীরা এক্ষেত্রে কিছু কৌশল গ্রহণ করেন যা তাদের ব্যক্তিগত তথ্য অনলাইনে প্রকাশের ক্ষেত্র নিয়ন্ত্রণ করতে সহায়তা করে। [৭] তবে কিছু কৌশলে ব্যবহারকারীদের যথেষ্ট প্রচেষ্টার প্রয়োজন হয়।
অনলাইন পরিচয়ের ধারণা উত্থাপনে শিক্ষাবিদদের মধ্যে অনেক প্রশ্ন উত্থাপিত হয়েছে। সামাজিক নেটওয়ার্কিং পরিষেবাদি এবং অনলাইন অবতার পরিচয়ের ধারণাকে আরো জটিল করে তুলেছে। একাডেমিয়া এই উদ্ভাবনী প্রবণতায় সাড়া দিয়ে টেকনোসেল্ফ এর মতো শিক্ষামূলক গবেষণার ক্ষেত্র তৈরি করেছে, যা প্রযুক্তিগত সমাজে মানুষের পরিচয়ের উপর গুরুত্বারোপ করে থাকে। অনলাইন কার্যাবলী আমাদের ব্যক্তিগত পরিচয়কেও প্রভাবিত করতে পারে।[৮] পরিচয় গঠনের সাথে সম্পর্কিত অনলাইন এবং অফলাইন পরিবেশগুলির মধ্যে সম্পর্ককে সমাধান করার জন্য আভি মার্সিওনও "VirtuReal" শব্দটি তৈরি করেছেন। ট্রান্সজেন্ডার মানুষের অনলাইন ব্যবহার ও কার্যাবলী সম্পর্কে গবেষণা করে তিনি প্রস্তাব করেন যে, ইন্টারনেট প্রাথমিক, পরিপূরক এবং / অথবা বিকল্প ক্ষেত্র হিসাবে ব্যবহার করা যেতে পারে। তিনি আরো বলেন যে, যদিও অফলাইন জগৎ একটি সীমানা নির্ধারণ করে যা অনলাইন জগতকে অক্ষাংশের মাঝে সীমাবদ্ধ করে ফেলে। তবুও এটি ট্রান্সজেন্ডার ব্যবহারকারীদের ক্ষমতায়নকারী সংস্থাগুলোর জন্য যথেষ্ট। [৯]
মুখোশের (Mask) ধারণা
[সম্পাদনা]ডরিয়ান উইজানভিভস্কি এবং রিচার্ড কোয়েন তাদের "বিল্ডিং ভার্চুয়াল কমিউনিকেশনস" বইতে "মুখোশ পরিচয়" ধারণার উপর গুরুত্ব সহকারে অনলাইন পরিচয় সন্ধান করেন।[স্পষ্টকরণ প্রয়োজন] তারা বলেন যে একজন মানুষ যখনই সামাজিক প্লাটফর্মে মিথস্ক্রিয়া করেন তখন তিনি তাঁর পরিচয়ের একটি মুখোশ তৈরি করেন। এটি আসলে ভিন্ন কিছু নয় এবং এমনকি একজন অনলাইন ব্যবহারকারীর তার প্রোফাইল এর ব্যাপারে সতর্ক থাকার কারণে এটি একটু বেশি প্রাধান্য পায়। তাকে অবশ্যই তার বয়স,লিঙ্গ ঠিকানা এবং ব্যবহারকারী নাম এর মত বিভিন্ন প্রশ্নের উত্তর দিতে হয়। আরো বলা যায় যে একজনের অনলাইন কার্যকলাপের বৃদ্ধির সাথে সাথে তার লেখার ভঙ্গি, ব্যবহৃত শব্দাবলী এবং বিষয়াবলী মূলত তার মুখোশ কে প্রভাবিত করে।
একজন ব্যক্তি মুখোশ পছন্দ করার পেছনে ন্যূনতম এক বা একাধিক বিষয়ে থাকে যা তার পছন্দ কে প্রকাশ করে। কেউ হয়ত একে মুখোশের রূপক বলতে পারেন। অনলাইন মুখোশ আসলে প্রকৃত পরিচয় প্রকাশ করে না। এটা কিছু ক্ষেত্রে মুখোশের পিছনে কি রয়েছে তার উদাহরণ প্রদান করে। উদাহরণস্বরূপ, একজন মানুষ যদি রকস্টারদের মত কাজ করতে পছন্দ করে তবে এই রূপক প্রকাশ করে যে ওই ব্যক্তি রক মিউজিক ভালবাসেন। এমনকি একজন ব্যক্তি যদি সম্পূর্ণ ভাবে মিথ্যা পরিচয় এর উপর পেছনে থাকতে চায় এটা তার ভয় এবং আত্মসম্মানের অভাব কে প্রকাশ করে অনেক আবেগীয় এবং মানসিক কারণে মানুষ অনলাইনে কার্যকলাপ করতে নিরুৎসাহী হতে পারেন। কিন্তু মুখোশ কে বেছে নেয়ার মাধ্যমে একজন মানুষ তার পরিচয় কে নিরাপদ রাখতে পারেন। অনলাইন পরিচয় এর সবচেয়ে বড়ো ভয় হলো যে কারো পরিচয় চুরি অথবা অপব্যবহার হতে পারে যা মানুষকে নিজের সম্পর্কে কিছু প্রকাশ করতে বাধাগ্রস্থ করে। কেউ কেউ তাদের পরিচয় চুরি অথবা অপব্যবহারের ভয়ে এমন কিছু তথ্য প্রকাশ করেন না যা ইতিমধ্যেই জনসম্মুখে রয়েছে। মুখোশ ধারণাটি ব্যবহারের মাধ্যমে একজন মানুষ কিছুটা আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে ইন্টারনেট ব্যবহার করতে পারেন।
ভিজনিয়েস্কি এবং কয়েন বলেন,"কোন পরিচয়টি প্রকৃতপক্ষে যাচাই করা গেছে, কীভাবে একজন আরেকজনকে খুঁজে পেয়েছেন, তার পরিবর্তন প্রক্রিয়া হিসেবে শিক্ষাকে দেখা যেতে পারে। শিক্ষা পরিচয় রূপান্তর কে বহন করে অন্য জিনিস গুলোর মধ্যে ইচ্ছা হলো পরিচয় প্রবণতা গড়ে তোলার একটি প্রক্রিয়া যা সাধারণভাবে শিক্ষিত করে তোলার প্রক্রিয়া কে বুঝানো হয়। অনলাইন সম্প্রদায়ের সঙ্গে মিথস্ক্রিয়ারত শিক্ষার্থীরা অবশ্যই তাদের ব্যাপারে স্বচ্ছ হতে হবে এবং এ ব্যাপারে সংবেদনশীল হতে হবে। শিক্ষিত করে তোলার জন্য একটি প্রক্রিয়া থাকতে হবে যা শিক্ষার্থীদের কে নিজেদের সবলতা এবং দুর্বলতা বুঝতে সাহায্য করবে।"[১০]
মিশ্র পরিচয়
[সম্পাদনা]এ মুখোশ ধারণাটি মিশ্রপরিচয় ধারণার সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ [১১] যেখানে অনলাইন-পরিচয় পর্যায়ক্রমে অফলাইন ব্যক্তিকে মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে অনলাইনে প্রথম পরিচয় হওয়া ব্যক্তিবর্গের সঙ্গে পরিচয় করিয়ে দেয়।
বিভিন্ন ক্ষেত্র
[সম্পাদনা]ব্লগিং
[সম্পাদনা]সাধারণত ব্লগগুলো স্বতন্ত্র রচনা কিংবা বৃহৎ আলোচনার অংশ হিসেবে একজন ব্যক্তি কে তার মতবাদ ব্যক্ত করার সুযোগ দেওয়ায় এটি মূলত আইডিয়া প্রকাশের একটি পাবলিক ফোরাম তৈরি করে। ব্যক্তিগত তথ্য সংরক্ষণ এবং পরিবার, সহকর্মী কিংবা সমাজের জন্য কটু কোন ধারণা কে প্রকাশ করার ক্ষেত্রে সম্পাদকীয় স্বাধীনতার জন্য ব্লগাররা প্রায়ই ছদ্মনাম ব্যবহার করতে পছন্দ করেন, সেটা হতে পারে ওয়ার্ডপ্রেস এর মত প্লাটফর্ম কিংবা ব্লগস্টার এর মত লাভকেন্দ্রিক সাইট। ছদ্মনাম ব্যবহার তাদের বাস্তব পরিচয় কে গোপন করে, কিন্তু তবুও অনলাইনে তাদের প্রদত্ত নামের উপর ভিত্তি করে তারা সম্মান অর্জন করেন।[১২]
জনসম্পদ
[সম্পাদনা]কোনো কোম্পানিতে চাকরি করার জন্য আবেদন করছে বর্তমানে একজন ব্যক্তির ডিজিটাল আইডেন্টিটি কিংবা ডিজিটাল পরিচয় প্রয়োজন হচ্ছে। বর্তমানে কয়েক বছর ধরে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো জনসম্পদ এর জন্য একটি গুরুত্বপূর্ণ হাতিয়ার হিসেবে কাজ করছে। "জনসম্পদে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের" ওপর কেপিএমজি কর্তৃক একটি জরিপ বলছে যে ৭৬ শতাংশ আমেরিকান কোম্পানিগুলো তাদের নিয়োগের জন্য লিঙ্কডইন ব্যবহার করে [১৩] খোঁজার সুবিধা হওয়ায় রেপুটেশন ম্যানেজমেন্ট আরো গুরুত্বপূর্ণ হয়ে উঠেছে, বিশেষ করে কর্মক্ষেত্রগুলোতে, যেমন আইনজীবী, ডাক্তার এবং হিসাব রক্ষক।
সামাজিক যোগাযোগ
[সম্পাদনা]ফেসবুক এবং মাইস্পেসের মতো সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলো ব্যবহারকারীদেরকে তাদের বাস্তব জীবন এবং অনলাইন পরিচয় এর মধ্যে দুরত্ব রাখার অধিকার প্রদান করে। এসব পরিচয় প্রায় তাদের নির্দিষ্ট কোন ধারণা, দৃষ্টিভঙ্গি কিংবা নিজেদের আদর্শ সংস্করণ হিসেবে তৈরি করা হয়। কোন নেটওয়ার্ক গ্রুপের সদস্য হওয়া বন্ধুদের সঙ্গে যোগাযোগ, ছবি আদান প্রদান ইত্যাদি মূলত উপস্থাপনার অন্তর্ভুক্ত। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে পরিচয়ের একটি বড়ো অংশ হলো গোপনীয়তা নিয়ন্ত্রক সেটিং। [১৪]
কিছু ব্যবহারকারী তাদের অনলাইন পরিচয় কে নিজের বাস্তব সত্তার বর্ধিতরূপে ব্যবহার করে এবং তাতে তাদের বাস্তব তথ্য সন্নিবেশিত থাকে। এ ধরনের ব্যবহারকারীরা তাদের অনলাইন সত্তার অবিচ্ছিন্ন তাকে মূল্যায়ন করে এবং নিজেদের চিত্রায়নের সঙ্গে সৎ থাকতে পছন্দ করেন। তবে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমের আরেকটি গ্রুপ রয়েছে যারা তাদের অনলাইন সত্তার সঙ্গে বাস্তব সত্তা একীভূত কারণে আপত্তি করে। এসব ব্যবহারকারী অনলাইন পরিচয় সঙ্গে পরীক্ষা করেছেন এবং শেষে তারা বুঝতে পেরেছেন যে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে একটি বিকল্প অনলাইন পরিচয় তৈরি করা সম্ভব। যেমন medium.com[১৫] এর একজন জনপ্রিয় ব্লগার Kel Champbell নামে লেখেন -যা তিনি নিজে দিয়েছেন, তাঁর পরিবার কর্তৃক প্রদত্ত নয়। তিনি বলেন যে, যখন তিনি অন্য ব্যবহারকারীর দ্বারা অনলাইনে আক্রমণের শিকার হয়েছেন, তখন তিনি নিজের প্রকৃত পরিচয় এর বদলে ক্যাল পরিচয় দ্বারা নিজেকে রক্ষা করতে সক্ষম হয়েছেন। এটি এক ধরনের ঢাল হয়ে ওঠে এবং অন্য ব্যবহারকারীদের সামনে তাকে মুখোশ পরায়।
অনলাইনের বিকল্প সত্ত্বা তৈরি - এগুলো একধরনের সুবিধা। "আই"(I) হয়ে যায় "মি" (Me) এবং ব্যবহারকারীদেরকে তাদের নিজেদের পছন্দমত নিজেদেরকে তৈরি করার সুযোগ দেওয়া হয়। ডানা বয়েজ এবং নুট লান্ডবাই এর মত বিজ্ঞানীদের গবেষণা থেকে পাওয়া গেছে যে, কিছু কিছু সংস্কৃতিতে একটি অনলাইন সত্তা তৈরি করা কে পবিত্র সুবিধা বলে মনে করা হয়। এর কারণ, অনলাইন সত্তা ব্যবহারকারীদেরকে এমন কিছু করতে দেয় যা বাস্তব জীবনে অসম্ভব। এসব সংস্কৃতিতে বিশ্বাস করা হয় যে, "আত্ম" অনলাইন জগতে একটি অতীন্দ্রিয় ধারণা হয়ে যায়; নিজের প্রোফাইলে লগইন করার মাধ্যমে ব্যবহারকারীরা তাদের ভৌত শরীরের শৃংখল থেকে মুক্ত হয় এবং পুরোপুরি নতুন ভার্চুয়াল জগতের সাথে বার্তালাপ করতে পারে।
সম্ভাবনাগুলো অসীম - এটি কয়েক দশকে সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর মারাত্মক জনপ্রিয়তার একটি ব্যাখ্যা। ব্যবহারকারীরা অসীম সম্ভাবনার দ্বারা অনুপ্রাণিত হয়। সম্ভবত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম গুলো সর্বদাই জনপ্রিয় থাকবে, যতক্ষণ পর্যন্ত মানুষের নিজেকে প্রকাশ করার প্রবণতা থাকবে।
অনলাইন ব্যবসা
[সম্পাদনা]সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোর উন্নতির ফলে নতুন ধরনের ঘটনা দেখা যাচ্ছে: সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যমে ব্যবসা। যেমন, উইচ্যাটের অনেক ব্যবহারকারী রয়েছেন তাদেরকে বলা হয় ওই-বিজনেসম্যান, যারা তাদের পণ্য উইচ্যাটে বিক্রি করেন। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে ব্যবসা করা অতটা সহজ নয়। সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমে থাকা পরিচয় সবসময় তাদের বাস্তব জগতের হয় না। ফলে নিরাপত্তার স্বার্থে মানুষ সাধারণত সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যমগুলোতে কাউকে বিশ্বাস করতে চায় না, বিশেষ করে যখন এটি আর্থিকসংশ্লিষ্ট হয়ে থাকে। তাই ওয়ে-বিজনেস্ম্যানদের জন্য রেপুটেশন অনেক গুরুত্বপূর্ণ। অন্যান্য ব্যবহারকারীদের মধ্য থেকে নিজেদের রেপুটেশন অর্জন করতে ওয়ে-বিজনেসম্যানদের প্রচুর পরিশ্রম করতে হয়।
অনলাইন শিক্ষা
[সম্পাদনা]যোগাযোগ
[সম্পাদনা]ক্লাস রুমে অনলাইন পরিচয়গুলো মানুষকে আবার নতুন করে ক্লাস রুমের পরিবেশ সম্পর্কে ভাবতে বাধ্য করেছে।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] অনলাইন ক্লাসের উদ্ভাবনের পর থেকে ক্লাসরুম গুলো পরিবর্তিত হয়ে গেছে এবং এতে প্রথাগত মুখোমুখি যোগাযোগ নেই। বরং এসব যোগাযোগ কম্পিউটার স্ক্রিন দ্বারা প্রতিস্থাপিত হয়েছে। শিক্ষার্থীরা যতক্ষণ পর্যন্ত নিজেদের পরিচয় না দেবে, ততক্ষন পর্যন্ত তাদেরকে দৃশ্যমান বৈশিষ্ট্যের ভিত্তিতে নির্ধারণ করা যায় না। প্রথাগত শ্রেণিকক্ষের শিক্ষার্থীরা সেই কক্ষে অবস্থানরত একজন শিক্ষকের সঙ্গে সরাসরি যোগাযোগ করে পাঠ চলাকালীন সময় যদি কোন প্রশ্ন তোলে তাহলে সেটা সঙ্গে সঙ্গে নিরসন করতে হয়। শিক্ষার্থীরা অন্য শিক্ষার্থীর সঙ্গে মুখোমুখি যোগাযোগ করতে পারে এবং এ যোগাযোগ শ্রেণিকক্ষের বাইরেও হতে পারে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তবে, তুলনামূলকভাবে ভীতু এবং সামাজিকভাবে নিরুৎসাহী শিক্ষার্থীদের জন্য ব্যক্তিগত যোগাযোগের মাধ্যমে সম্পর্ক বৃদ্ধি তুলনামূলক কম আকর্ষণীয় [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] এধরনের শিক্ষার্থীদের জন্য অনলাইন কোর্সগুলো তুলনামূলকভাবে আকর্ষণীয় যেখানে কম্পিউটার যোগাযোগ তাদেরকে ছদ্মবেশি এবং গোপনীয়তার সাথে থাকতে দেয়। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
দূরবর্তী ইন্টারনেট যোগাযোগ, এর প্রাদুর্ভাব এর দ্বারা শিক্ষার্থীরা এখন আর বাহ্যিক অবয়ব কিংবা বাচনভঙ্গি দেখে তাদের সহপাঠী নির্ধারণ করে না।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন] বরং তাদের সহপাঠীদের দ্বারা উপস্থাপিত তথ্য এতে প্রভাব ফেলে। কিছু কিছু শিক্ষার্থী এই বৈশিষ্ট্যের সঙ্গে খুবই স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করে কারণ এক্ষেত্রে জনসম্মুখে কথা বলতে হয় না [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
অধ্যাপকের ধারণা
[সম্পাদনা]অনলাইন লার্নিং এখন অধ্যাপকের ধারণায় পরিবর্তন আনতে বাধ্য করেছে। যদিও কিছু কিছু ক্ষেত্রে ছদ্মবেশী কিছু শিক্ষার্থীদের উচ্চতর পর্যায়ের স্বাচ্ছন্দ্যবোধে সহায়তা করে, কিন্তু অধ্যাপকের উচিত সব সময় সক্রিয় পরিচয় বহন করা, যাতে শিক্ষার্থীরা মনে করে যে অধ্যাপক যেকোনো সময় যেকোনো প্রশ্নের উত্তর দিতে সর্বদা প্রস্তুত। যদিও শিক্ষার্থী এবং অধ্যাপক সব সময় সরাসরি দেখা নাও করতে পারেন, কিন্তু তাদের পর্যায়ক্রমিকভাবে ইমেইল কিংবা অন্য কোন মাধ্যমে পারস্পরিক যোগাযোগ রাখা প্রয়োজন। এটি ব্যতীত শিক্ষার্থীদের মাঝে অনলাইন কোর্স থেকে ঝরে যাওয়ার প্রবণতা দেখা যাবে, কেননা তারা একটি কোর্স করছে কোনরকম সাহায্য ছাড়াই যা মোটেও কাম্য নয়।[১৬][১৭][১৮]
ভার্চুয়াল জগৎ
[সম্পাদনা]ভার্চুয়াল জগতে ব্যবহারকারীরা একটি ব্যক্তিগত অবতার তৈরি করে এবং ভার্চুয়াল সত্তার মাধ্যমে অন্যদের সঙ্গে যোগাযোগ করে। ভার্চুয়াল দৈহিক গঠন এবং কণ্ঠস্বর বাস্তব জগৎ কিংবা অলীক জগৎ থেকে হতে পারে। ভার্চুয়াল দৈহিক গঠন কিছুটা ব্যক্তিগত প্রত্যাশাকে প্রকাশ করে এবং ব্যবহারকারীরা সম্পূর্ণ বিপরীত ব্যক্তিত্ব নিয়ে ভার্চুয়াল জগতে খেলতে পারেন যা তাদের বাস্তব জগতের সঙ্গে সাদৃশ্যপূর্ণ নয়।
ইন্টারনেট ফোরাম
[সম্পাদনা]ইন্টারনেট ফোরাম একটি অনলাইন আলোচনা সাইট যেখানে মানুষ বার্তা আকারে তাদের কথাবার্তা রাখতে পারেন। বিভিন্ন বিষয় কিংবা গ্রুপ এর উপর ভিত্তি করে অনেক ধরনের ইন্টারনেট ফোরাম রয়েছে। ফোরামের ধরনের উপর ভিত্তি করে অনলাইন পরিচয় এর বৈশিষ্ট্য বিভিন্নতা দেখা যায় যেমন একটি বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএস ব্যবহারকারীরা সাধারণত অন্যদের মাঝে কিছু ব্যবহারকারীকে হয়তো বাস্তবেই জানবে কারণ ব্যবহারকারী শুধুমাত্র ওই বিশ্ববিদ্যালয়ের ছাত্র অথবা অধ্যাপক হতে পারেন। কিছু বিশ্ববিদ্যালয়ের বিবিএস স্কুল কর্তৃপক্ষের কর্তৃত্বাধীন থাকায় এবং সত্তা গুলো স্টুডেন্ট আইডির সাথে সম্পর্কিত থাকায়,কিছু কিছু সময় মত প্রকাশের স্বাধীনতা সীমিত হতে পারে। অন্যদিকে কিছু প্রশ্নোত্তর ওয়েবসাইট যেমন চীনের জিহু জনসাধারণের জন্য উন্মুক্ত এবং ব্যবহারকারীদের শুধুমাত্র ইমেইল ঠিকানা ব্যবহার করে নিবন্ধন করতে হয়। কিন্তু তারা কিছু প্রশ্নের নির্ভরযোগ্যতার জন্য তাদের বিশেষত্ব কিংবা ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতা সম্পর্কেও বলতে পারেন এবং অন্য ব্যবহারকারীরাও তাদের প্রোফাইল দেখে তাঁদেরকে উত্তর দিতে আমন্ত্রণ জানাতে পারেন। তাদের উত্তর এবং প্রোফাইল বাস্তব নামে কিংবা ছদ্মনামে হতে পারে।
সুবিধা এবং অসুবিধা
[সম্পাদনা]সুবিধা সমূহ
[সম্পাদনা]ভার্চুয়াল সম্প্রদায়ের একটি ইতিবাচক দিক হলো মানুষ এখন নিজেদেরকে কোনরূপ নিপীড়নের ভয় ছাড়াই প্রকাশ করতে পারছে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
এই স্বাধীনতা সমগ্র সমাজকে নতুন সম্ভাবনা দেখাচ্ছে, বিশেষ করে লিঙ্গ এবং যৌনতার ভূমিকা সম্পর্কে এমন উপায়ে জানছে যা ক্ষতিকর নয় বরং যারা পরিবর্তন মেনে নিতে সক্ষম তাদের জন্য উপকারী এবং আনন্দদায়ক। বিভিন্ন ভূমিকার মাধ্যমে স্বাচ্ছন্দ্যবোধ করার সুযোগ দিচ্ছে যা ব্যবহারকারীর বাস্তব জীবনে হয়তো প্রয়োগ করতে সক্ষম নয় [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
অনলাইন পরিচয় সংখ্যালঘু সম্প্রদায় অক্ষম জনসাধারণ ইত্যাদি এর জন্য অত্যন্ত উপকারী। অনলাইন পরিচয় মাঝেমাঝে সমাজের কুসংস্কার গুলো দূর করতে সাহায্য করে এবং সমাজের মূল্যবোধ সৃষ্টিতে সহায়তা করে।
এসব সুযোগ এর সবচেয়ে বড়ো উদাহরণ হল অনেক কমিউনিটিতে গে এবং লেসবিয়ানদেরকে স্বাগতম জানানো। এসব সম্প্রদায়ে তারা টিনএজারদেরকে অন্যদের সঙ্গে তাদের অভিজ্ঞতা ভাগ করার অধিকার দেয়।
অনলাইন জগৎ ব্যবহারকে ব্যবহারকারীদের তাদের পছন্দনীয় লিঙ্গ, যৌনতা এবং যৌন বৈশিষ্ট্য নির্বাচন করার এবং বাস্তবায়ন করার সুযোগ দেয়। প্রত্যেক অনলাইন মেয়াদে একজন ব্যবহারকারীর সুযোগ রয়েছে তার পরিচয় বদল করার এবং পরিচয় পরিস্ফুটিত করার। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
যারা শারীরিকভাবে এবং ইন্দ্রিয়ভাবে অক্ষম, অনলাইন পরিচয় তাদেরকে অনেক সামাজিক সুযোগ সুবিধা দিতে সক্ষম। অনলাইন মাধ্যমের নমনীয়তা তাদের ও ক্ষমতার উপর নিয়ন্ত্রণ রাখতে সাহায্য করে, যা বাস্তব সামাজিক মিথস্ক্রিয়ায় কিছুটা কঠিন। [১৯] গবেষকরা অন্তর্ভুক্তির উপর জোর দেন। তবে, এটি উল্লেখযোগ্য যে "স্বাভাবিককরণ" এ ক্ষতিকর পরিচয়ের সম্মুখীন হওয়ারও সম্ভাবনা থাকে, এমনকি ক্ষতিকারক এবং বিপজ্জনক পরিণতি ঘটানোর ক্ষমতা প্রদান করে, যা ব্যবহারকারীদের নিরাপত্তা বিপন্ন করতে পারে। [২০]
উদ্বেগ
[সম্পাদনা]প্রথমত অনলাইন এবং অফলাইন অস্তিত্বের বৈসাদৃশ্যের ধরুন সৃষ্ট প্রভাব এবং তার বিরূপ উপস্থাপনের উপরেই ব্যাপক উদ্বেগ সৃষ্টি হয় বিশেষত সবচেয়ে বেশি উদ্বেগ হল শিশু পর্নোগ্রাফি এবং ধর্মাবমাননা[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
লিঙ্গের ক্ষেত্রে মাঝেমাঝে যৌনতা এবং যৌন আচরণ একজন ব্যক্তির অফলাইন আবেগ প্রভাবিত করে [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বিশ্বাসযোগ্যতা
[সম্পাদনা]মানুষ অনলাইনে নিজের যে পরিচয় প্রকাশ করছে তা সর্বদাই তাদের বাস্তব জীবনের প্রতিফলন নয়। গবেষণায় দেখা গেছে যে, মানুষ অনলাইন ডেটিং সার্ভিস থাকে।[২১][২২] সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম যেমন ফেসবুকের ক্ষেত্রে এমনকি কোম্পানিরা ব্যবহারকারীর দৃশ্যমানতা বৃদ্ধির লক্ষ্যে বন্ধুদেরকে বিক্রি করার প্রস্তাব দিচ্ছে যা একজন ব্যক্তির সামাজিক পরিচয় বিশ্বস্ততাকে নিয়ে প্রশ্ন তুলছে। [২৩]
ভ্যান গিল্ডার [২৪] আশির দশকের প্রথম দিকের কম্পিউটার কনফারেন্সিং সিস্টেমের একটি বিখ্যাত ঘটনা পর্যবেক্ষণ করেন যেখানে একজন পুরুষ মনস্তত্ত্ববিদ জুলী(Julie) নামক এক নারী মনোবিদ হিসেবে পরিচয় দেন যার বধিরত্ব, অন্ধত্ব এবং মারাত্মক মৌখিক সমস্যাসহ বিভিন্ন অক্ষমতা ছিল। জুলি কম্পিউটার কনফেরেন্সিং সম্প্রদায়ের মনস্তাত্ত্বিক এবং আবেগীয় সমর্থন পেয়ে তিনি নিজেকে তাদের সঙ্গে একাত্ম করেন। মুখোমুখি সাক্ষাৎ না করায় জুলি তার একাধিক প্রতিবন্ধকতার সাথে যুক্ত অসহায় কলঙ্কের কারণে এই মনস্তাত্ত্বিক পৃথকভাবে নিজেকে উপস্থাপন করা বেছে নিয়েছিলেন। দৃশ্যমানতার অভাব এই পরিচয় রূপান্তরের সুযোগ দিয়েছিল, আবার এই মনস্তত্ত্ববিদ কে জুলির স্বামী মনে করা হয়েছিল। জুলি যখন দাবি করেছিল যে তিনি অসুস্থ, তখন তিনি জুলির কাছে যেতে সবাইকে নিষেধ করেন। এই উদাহরণটি মূলত অনলাইন মিথস্ক্রিয়ার মাধ্যমে পরিচয় গঠন যোগ্যতা রূপান্তর সহজলভ্যতা কে নির্দেশ করে এবং অদৃশ্যমানতা একে সহজলভ্য করে দিয়েছিল।
অনলাইন ক্যাটফিশিং
[সম্পাদনা]ক্যাটফিশিং হল এমন একটি পদ্ধতি যার মাধ্যমে একজন ব্যবহারকারী অনলাইনে তার জাল প্রোফাইল তৈরি করেন,কখনো কখনো জাল ছবি এবং তথ্য দ্বারা, যাতে তিনি অন্য ব্যবহারকারীদের সাথে জাল বন্ধুত্বের,ব্যবসায়িক কিংবা যৌন সম্পর্কে যেতে পারেন।[২৫] এমটিভি চ্যানেলের আপাতবাস্তব টেলিভিশন অনুষ্ঠান "ক্যাটফিশ: দ্য টিভি শো" এর মাধ্যমে "ক্যাটফিশিং" শব্দটি জনপ্রিয় হয়ে ওঠে।
পরিচয় পরিমাপ এবং অবকাঠামো
[সম্পাদনা]যিনি ইতিবাচক অনলাইন রেপুটেশন অর্জন করতে চান তার জন্য একটি সমস্যা হল যে তার রেপুটেশন। নির্দিষ্ট সাইটের জন্য অর্থাৎ কারো ইবে এর রেপুটেশন আমাজন এ স্থানান্তর করা যাবে না। পরিচয় ব্যবস্থাপনা অবকাঠামো নির্মাণের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রটোকল প্রস্তাব করা হয়েছে।[২৬][তথ্যসূত্র প্রয়োজন] তার সবগুলোর জন্য প্রয়োজন একটি উন্মুক্ত প্রধান অবকাঠামো যাতে দুটি ভিন্ন অনলাইন পরিচিতি একই হয়ে থাকে অর্থাৎ একই পরিচয় দুটি ভিন্ন সাইটে ব্যবহার করা যাবে ওপেন আইডি বিভিন্ন সবাই একই ডিজিটাল পরিচিতি দ্বারা লগইন প্রবেশ নিয়ন্ত্রণ এবং যাচাই করণ করা যায় তবে এসব সাইট অবশ্যই ওপেন আইডি সমর্থনযোগ্য হতে হবে।
রেপুটেশন ব্যবস্থাপনা
[সম্পাদনা]কিছু অর্থনিতিবিদ বিস্ময় প্রকাশ করেছেন যে গতিশীল ব্যবসায়ী সাইট যেমন ইবে ইত্যাদিই মূলত ইন্টারনেট কে সমৃদ্ধ করেছে [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] যখন দুটি ছদ্দবেশী পরিচয় কোন অনলাইন লেনদেনে আসতে চায় তখন তারা দোটানায় পড়ে যায়। লেনদেনটি সফল হবে যদি এবং কেবল যদি সত্তাদ্বয় পরস্পরকে বিশ্বাস করেন। কিন্তু তাদের মধ্যে এর জন্য কোন যৌক্তিক কারণ নেই। কিন্তু সফল ইন্টারনেট বাণিজ্যিক সাইট গুলো রেপুটেশন ব্যবস্থাপনা সিস্টেম উন্নত করেছে। যেমন ইবে এর মতামত বিভাগ যা লেনদেন সংক্রান্ত তথ্যাবলী সংরক্ষণ করে এবং যার দ্বারা ব্যবহারকারীরা একে অপরের বিশ্বাসযোগ্যতাকে রেটিং দিতে পারেন। তবে দূর্বৃত্ত ব্যবহারকারীরা এসব ওয়েবসাইটে প্রচুর সমস্যা করতে পারে [১৪]
অনলাইনে রেপুটেশন হলো এমন একটি ধারণা যার দ্বারা ইন্টারনেটে অন্য আরেকজন ব্যক্তির ডিজিটাল পদচিহ্ন রেখে যাওয়াকে বোঝায়। ডিজিটাল পদচিহ্ন বলতে সব ধরনের শেয়ার করা বিষয় প্রদান করা মতামত এবং তথ্যাবলি এর অন্তর্ভুক্ত।[২৭] যদি একজন ব্যবহারকারীর অনলাইন রেপুটেশন খারাপ থাকে তবে সে সহজেই নতুন ছদ্মনামে নতুন প্রোফাইল খুলতে পারে। এ কারণে অ্যামাজন কিংবা ইবে এর নতুন ব্যবহারকারীদের কে সাধারনত বিশ্বাস করা হয় না।যদি কোন ব্যক্তি কিংবা কোম্পানি তাদের অনলাইন রেপুটেশন ধরে রাখতে চায় তবে তারা প্রচুর কাঠিন্য অতিক্রম করতে হয়। এই কারণে ইন্টারনেটে আভিজাত্যপূর্ণ দোকান গুলোকে তুলনামূলকভাবে বেশি বিশ্বাস করা হয়।
বাস্তব জীবনের সামাজিক প্রতিবন্ধকতা সাথে সম্পর্ক
[সম্পাদনা]অবশ্যই এটা সত্য যে বাস্তব সামাজিক জীবনে কিছু ক্ষতিকর প্রতিবন্ধকতার সম্মুখীন হতে হয় শেষে প্রতিবন্ধকতা থেকে অনলাইন পরিচয় সম্পূর্ণভাবে মুক্ত নয়।
বিমূর্তি এবং প্রভাব
[সম্পাদনা]লিঙ্গ এবং যৌন পুনঃস্থাপন ইস্যুটি বিমূর্ততা এবং এর প্রভাবকে ব্যাপকভাবে তুলে ধরে। "বিমূর্তি" হল একজন ব্যবহারকারী যখন অনলাইনে থাকেন তখন তার ভৌত শরীরের কোন প্রয়োজন হয় না এবং এই ব্যবহারকারী পৃথকভাবে যোগদান করতে পারেন। অর্থাৎ এটি ভৌত শরীর থেকে তার পরিচয়ের পার্থক্যকে নির্দেশ করে। সাইবার জগতে যৌন পরিচয়ের অনেকাংশই অস্পষ্ট থাকে এবং তা শুধুমাত্র ব্যবহারকারীর নির্ধারণ করে দেয়। সুতরাং ভার্চুয়াল সেক্স এবং অনলাইন ডেটিং এর ক্ষেত্রে সততার প্রশ্ন উঠাই স্বাভাবিক। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] ম্যাক্রো বলেন, "ভার্চুয়াল সেক্স একজন মানুষের বাস্তব জীবনের সক্ষমতার চেয়েও শারীরিক উপস্থাপন এবং পর্যবেক্ষণের স্বাধীনতা প্রদান করে।"[২৮][২৯][৩০] এ সর্বোচ্চ পর্যায়ে, এটি শুধুমাত্র জটিলতাই করে না বরং দেহ, মন এবং নিজের মধ্যে প্রচুর বিভেদ সৃষ্টি করে যা শুধুমাত্র অনলাইন পরিচয়ের মাধ্যমে গঠিত হয়।
আইনি এবং নিরাপত্তা সমস্যা
[সম্পাদনা]অনলাইন পরিচয় এবং ব্যবহারকারীর অধিকার
[সম্পাদনা]অনলাইন ছদ্দবেশী তার ভবিষ্যৎ নির্ভর করে অনলাইন পরিচয় ব্যবস্থাপনা কতটা উন্নত হবে [তথ্যসূত্র প্রয়োজন] আইন প্রয়োগকারী কর্মকর্তারা প্রায়ই অনলাইন "ছদ্মবেশিতা" এবং "অজ্ঞাততার" বিরুদ্ধে অবস্থান করেন। তারা মনে করেন যে একজন অপরাধীর লুকিয়ে থাকার জন্য এগুলো মুক্ত নিমন্ত্রণ। [মৌলিক গবেষণা?] সুতরাং তারা একটি অনলাইন পরিচয় ব্যবস্থাপনা চান যা একজন মানুষের প্রকৃত পরিচয়ের সঙ্গে অনলাইন পরিচয়ের এক স্থায়ী এবং মজবুত সম্পর্ক তৈরি করবে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]]; এমন বেশিরভাগ প্রস্তাবে সিস্টেমটি একটি সুরক্ষিত সরকারি পরিচয় দলিলের উপর ভিত্তি করে তৈরি হবে। গুগলের সিইও এরিক স্মিথ বলেছেন যে গুগল প্লাসের সামাজিক যোগাযোগ মাধ্যম মূলত এই উদ্দেশ্যেই তৈরি করা হয়েছে।[৩১][৩২] তবে গুগল প্লাসের লগইন করার জন্য বৈধ নামের জায়গায় নিময়ির্স লেখা থাকায় কিছু মতদ্বৈততা সৃষ্টি হয়।[৩৩][৩৪]
অন্যদিকে অনলাইন সভ্য সমাজ অধিকার পরিষদ যুক্তি দেয় যে, কোন প্রাইভেসি ইনভেসিভ সিস্টেম এর প্রয়োজন নেই। রেপুটেশন ব্যবস্থাপনার মতো প্রযুক্তির সমাধান এখনই আশানুরূপ রয়েছে এবং আশা করা যাচ্ছে যে আরো উন্নত হবে। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
অনলাইন শিকারি
[সম্পাদনা]একজন অনলাইন শিকারি হল যে অন্য ব্যবহারকারীদের বিভিন্ন অস্বাভাবিক কর্মকাণ্ড যেমন যৌন কিংবা আর্থিক উদ্দেশ্যে মানসিক নিপীড়ন করেন। অনলাইন পরিচয়, যা মানুষের দৃষ্টি আকর্ষণ করবে এবং সাধারণত শিকারি কর্মকাণ্ডে যুক্ত হবে না, তৈরি করার সহজ কিন্তু সৌভাগ্যক্রমে কিছু উপায় আছে যার দ্বারা আপনি নিশ্চিত হতে পারবেন যে যে ব্যক্তি কিংবা ব্যক্তিবর্গ কে আপনি কখনো দেখেননি তারা আসলে কারা। অনেক মানুষ কারো লিখনশৈলী অথবা তাদের ওয়েবসাইটে থাকা ছবি গুলো দ্বারা কাউকে শনাক্ত করেনকিন্তু তারা খুব সহজেই প্রতারিত হতে পারেন। দীর্ঘমেয়াদী অনলাইন সম্পর্কও মাঝে মধ্যে একজন মানুষকে সঠিক ভাবে শনাক্ত করতে ব্যর্থ হয়।[তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
প্রতারিত ব্যক্তি প্রায়ই খুব বেশি দেরি হওয়ার আগ পর্যন্ত কোন সন্দেহ করে না, কেননা অপরপক্ষ সাধারণত তাকে বিশ্বাস করতে বাধ্য করে যে আমরা সমবয়সী। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
NBC এর সম্প্রচারিত ডেটলাইন অনলাইন শিকারীদের উপর তিনটি তদন্ত চালিয়েছিল। সেখানে কিছু প্রাপ্ত বয়স্করা অনলাইনে নিজেদেরকে অপ্রাপ্তবয়স্ক টিনএজ হিসেবে পরিচয় দিয়ে, অন্য প্রাপ্তবয়স্ক (শিকারি) দের সঙ্গে যৌনালাপ করে এবং তাদের ব্যক্তিগতভাবে দেখা করতে বলে। কিন্তু একজন টিনেজ এর সঙ্গে দেখা করার পরিবর্তে ওই শিকারি এন বি সি সংবাদদাতা ক্রিস হ্যান্ডসেন এর হাতে ধরা পড়ে এবং তাকে গ্রেফতার করা হয় ও সমগ্র দেশব্যাপী টেলিভিশনের মাধ্যমে দেখানো হয়। Dateline পাঁচটি ভিন্ন ভিন্ন অবস্থানে অনুসন্ধান চালিয়ে মোট ১২৯ জন ব্যক্তি কে গ্রেফতার করায়। [৩৫]
সরকারকে অনলাইন শিকারিদের গ্রেফতার করার জন্য সাহায্য করতে যুক্তরাষ্ট্রে ফেডারেল আইন অনুমোদন করা হয়। এরমধ্যে টেলিফোনে আড়িপাতা ও অন্তর্ভুক্ত যাতে একটি শিশু ক্ষতিগ্রস্ত হওয়ার পূর্বেই অনলাইন শিকারিদের কে ধরা যায়[৩৬] ক্যালিফোর্নিয়ায়, যেখানে Dateline এর একটি তদন্ত অনুষ্ঠিত হয়েছিল, কোন শিশুর সঙ্গে অনলাইনে যৌন আলাপে লিপ্ত হওয়া অপরাধ হিসেবে গণ্য করা হয়। যে ব্যক্তি এর উদ্দেশ্যে কোন বাড়িতে আসেন তাকে গুরুতর অপরাধে অভিযুক্ত করা হয় কারণ তার উদ্দেশ্য স্পষ্ট ছিল। [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
বাণিজ্যিক ক্ষেত্র
[সম্পাদনা]দুটি কারণে ইতিবাচক রেপুটেশন সম্পন্ন অনলাইন পরিচয় খুবই মূল্যবান, প্রথমত, এক বা একাধিক ব্যক্তি এই পরিচয়ের রেপুটেশন এর জন্য অনেক সময় এবং পরিশ্রম বিনিয়োগ করেছেন এবং, দ্বিতীয়ত, অন্য ব্যবহারকারীরা পরিচয়ের রেপুটেশন এর দিকে তাকিয়ে সিদ্ধান্ত নিবে এটি যথেষ্ট বিশ্বাস যোগ্য কিনা। সুতরাং এটি ঘটা অস্বাভাবিক নয় যে অনলাইন রেপুটেশন বিক্রির জন্য কোন ওয়েবসাইটে তোলা হয়েছে। তবে এ রেপুটেশন এর মালিকানা নিয়ে মতদ্বৈততা সৃষ্টি হয়। সম্প্রতি একটি মাল্টি প্লেয়ার অনলাইন গেম এভারকোয়েস্ট, যা সনি কর্তৃক অধিকৃত, এর একজন ব্যবহারকারী তার এভারকোয়েস্ট পরিচয় ইবে তে বিক্রি করতে যায়। সনি আপত্তি জানায় যে চরিত্রটি সনের কপিরাইকৃত মেধাস্বত্ব এবং এই নিলাম টির প্রত্যাহার চায়। এখন প্রশ্ন হলো একটি অনলাইন পরিচয়ের মালিক আসলে কে, ব্যবহারকারী যিনি তৈরি করেছেন নাকি কোম্পানি? [তথ্যসূত্র প্রয়োজন]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Adams, Suellen (২০০৫)। Information Behavior and the Formation and Maintenance of Peer Cultures in Massive Multiplayer Online Roleplaying Games: a Case Study of City of Heroes (পিডিএফ)। DiGRA: Changing Views - Worlds in Play। Authors & Digital Games research Association (DiGRA)। ১২ আগস্ট ২০১৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৪ জুলাই ২০১৯।
- ↑ ক খ Nabeth, Thierry (২৬ মে ২০০৬)। "Understanding the Identity Concept in the Context of Digital Social Environments" (পিডিএফ)। D2.2: Set of use cases and scenarios। FIDIS Deliverables। 2। FIDIS। পৃষ্ঠা 74–91।
- ↑ Hoffman, Chris। "The Many Ways Websites Track You Online"। How-To Geek (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৬।
- ↑ Suler, John (2004-6)। "The Online Disinhibition Effect"। CyberPsychology & Behavior (ইংরেজি ভাষায়)। 7 (3): 321–326। আইএসএসএন 1094-9313। ডিওআই:10.1089/1094931041291295। পিএমআইডি 15257832। সাইট সিয়ারX 10.1.1.514.4718 । এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Marcus, Bernd; Machilek, Franz; Schütz, Astrid (২০০৬)। "Personality in cyberspace: Personal web sites as media for personality expressions and impressions"। Journal of Personality and Social Psychology। 90 (6): 1014–1031। ডিওআই:10.1037/0022-3514.90.6.1014। পিএমআইডি 16784349।
- ↑ Young people at the crossroads : proceedings of the 5th International Youth Research Conference in Karelia, Petrozavodsk, September 2006। Muukkonen, Martti., Sotkasiira, Tiina.। Joensuu: Joensuun yliopisto, Karjalan tutkimuslaitos। ২০০৭। পৃষ্ঠা ৮৩–৯১। আইএসবিএন 9789522190208। ওসিএলসি 248546851।
- ↑ Tufekci, Zeynep (ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Can You See Me Now? Audience and Disclosure Regulation in Online Social Network Sites"। Bulletin of Science, Technology & Society। 28 (1): 20–36। ডিওআই:10.1177/0270467607311484। সাইট সিয়ারX 10.1.1.468.6581 ।
- ↑ Rodogno, R (২০১২)। "Personal Identity Online."। Philosophy & Technology।
- ↑ Marciano, Avi (2014-7)। "Living the VirtuReal: Negotiating Transgender Identity in Cyberspace"। Journal of Computer-Mediated Communication (ইংরেজি ভাষায়)। 19 (4): 824–838। ডিওআই:10.1111/jcc4.12081। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Wiszniewski, Dorian; Coyne, Richard (নভেম্বর ২০০৯) [2002]। "Mask and Identity: The Hermeneutics of Self-Construction in the Information Age"। Building Virtual Communities (1st সংস্করণ)। Cambridge University Press। পৃষ্ঠা 191–214। আইএসবিএন 9780511606373। ২৯ নভেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৫ জুলাই ২০১৯।
- ↑ Baker, Andrea J. (2009-12)। "Mick or Keith: blended identity of online rock fans"। Identity in the Information Society (ইংরেজি ভাষায়)। 2 (1): 7–21। আইএসএসএন 1876-0678। ডিওআই:10.1007/s12394-009-0015-5। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Dennen, Vanessa Paz (2009-12)। "Constructing academic alter-egos: identity issues in a blog-based community"। Identity in the Information Society (ইংরেজি ভাষায়)। 2 (1): 23–38। আইএসএসএন 1876-0678। ডিওআই:10.1007/s12394-009-0020-8। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Isaacson, Karen (মে ২০১২)। "Human Resources and Social Media" (পিডিএফ)। www.kpmg.com। KPMG। সংগ্রহের তারিখ নভেম্বর ২০, ২০১৬।
- ↑ ক খ Grohol, John M. (৪ এপ্রিল ২০০৬)। "Anonymity and Online Community: Identity Matters"। A List Apart। আইএসএসএন 1534-0295। ২৮ সেপ্টেম্বর ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Campbell, Kel (২০১৫-১১-২৪)। "Pseudonyms and True Names: The Sacred Power of Identity"। Medium (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৬।
- ↑ Chamberlin, By W. Sean; 12/11/01। "Face-to-Face vs. Cyberspace: Finding the Middle Ground -"। Campus Technology (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৬।
- ↑ Eteraz, Ali (৩০ জানুয়ারি ২০০৬)। "Online Education Is Not A Fad"। Dean's World। Dean Esmay। সংগ্রহের তারিখ ১৮ জুলাই ২০০৬।[স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
- ↑ Smith, Glenn Gordon; Ferguson, David; Caris, Mieke (২০০২)। "Teaching over the Web versus in the classroom: differences in instructor experience" (পিডিএফ)। International Journal of Instructional Media। 29 (1): 61–67। ২৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১০ অক্টোবর ২০১৩।
- ↑ Stendal, Karen (২০১২)। "How do People with Disability Use and Experience Virtual Worlds and ICT: A Literature Review"। Journal for Virtual Worlds Research। 5 (1)। ডিওআই:10.4101/jvwr.v5i1.6173।
- ↑ Bowker, Natilene; Tuffin, Keith (২০০৬-০৬-২৩)। "Dicing with Deception: People with Disabilities' Strategies for Managing Safety and Identity Online"। Journal of Computer-Mediated Communication (ইংরেজি ভাষায়)। 8 (2): 0–0। ডিওআই:10.1111/j.1083-6101.2003.tb00209.x।
- ↑ Epstein, Robert (2007-02)। "The Truth about Online Dating"। Scientific American Mind। 18 (1): 28–35। আইএসএসএন 1555-2284। ডিওআই:10.1038/scientificamericanmind0207-28। এখানে তারিখের মান পরীক্ষা করুন:
|তারিখ=
(সাহায্য) - ↑ Hancock, Jeffrey T.; Toma, Catalina; Ellison, Nicole (২০০৭)। "The truth about lying in online dating profiles"। Proceedings of the ACM Conference on Human Factors in Computing Systems (PDF)। CHI 2007। ACM। পৃষ্ঠা 449–452।
- ↑ Learmonth, Michael (২ সেপ্টেম্বর ২০০৯)। "Want 5,000 More Facebook Friends? That'll Be $654.30"। Advertising Age।
- ↑ Computerization and controversy : value conflicts and social choices। Kling, Rob, (2nd ed সংস্করণ)। San Diego: Academic Press। ১৯৯৬। আইএসবিএন 0124150403। ওসিএলসি 32349000।
- ↑ Reality television : oddities of culture। Slade, Alison, 1977-, Narro, Amber J.,, Buchanan, Burton P., 1963-। Lanham। আইএসবিএন 9780739185650। ওসিএলসি 874029553।
- ↑ Maliki, T. El; Seigneur, J. (অক্টোবর ২০০৭)। "A Survey of User-centric Identity Management Technologies"। The International Conference on Emerging Security Information, Systems, and Technologies (SECUREWARE 2007): 12–17। ডিওআই:10.1109/SECUREWARE.2007.4385303।
- ↑ Banger, Marnie (২০১৩-০৯-০৫)। "Young ones: your online reputation is, like, forever"। The Sydney Morning Herald (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৬।
- ↑ McRae, Shannon (১৯৯৭)। "Flesh Made Word: Sex, Text, and the Virtual Body"। Porter, David। Internet Culture। New York: Routledge। পৃষ্ঠা 75।
- ↑ Porter, David. (২০১৩)। Internet Culture.। Taylor and Francis। আইএসবিএন 9781135209049। ওসিএলসি 870590484।
- ↑ Galvin, Rachel (২০১৭-১১-২৩)। "Flesh Made Word"। Oxford Scholarship Online। ডিওআই:10.1093/oso/9780190623920.003.0002।
- ↑ Rosoff, Matt; By, Provided (২০১১-০৮-২৮)। "Google+ Isn't Just A Social Network, It's An "Identity Service" (GOOG)"। SFGate। ২০১৯-০৭-০৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৬।
- ↑ McLaughlin, Curtis P.। "Integrated Service Network (ISN)"। Encyclopedia of Health Care Management। 2455 Teller Road, Thousand Oaks California 91320 United States: SAGE Publications, Inc.। আইএসবিএন 9780761926740।
- ↑ "Google+ nymwars rage on, pseudonymous celebrity users are immune"। Boing Boing (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০১৯-০৭-০৬।
- ↑ Allan, David (২০১১)। Google SketchUp Workshop। Elsevier। পৃষ্ঠা 229–240। আইএসবিএন 9780240816272।
- ↑ Hansen, Chris (৩ ফেব্রুয়ারি ২০১১)। To Catch a Predator III। To Catch a Predator। NBC। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০০৬।
- ↑ Internet Laws। NetSafeKids। Washington, D.C.: National Academies Press। ২০০৩। আইএসবিএন 978-0-309-08274-7। ডিওআই:10.17226/10261। ৮ জানুয়ারি ২০০৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৭ জুলাই ২০০৬।