ঘানা

পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র

ঘানা বা গানা (ইংরেজি: Ghana গানা, আসান্তে চুই ভাষায়: Ghana বা Gaana গানা) পশ্চিম আফ্রিকার একটি রাষ্ট্র। ১৯৫৭ সাল পর্যন্ত এটি গোল্ড কোস্ট নামের একটি ব্রিটিশ উপনিবেশ ছিল। ঐ বছর এটি সাহারা-নিম্ন আফ্রিকান দেশগুলির মধ্যে প্রথম দেশ হিসেবে ইউরোপীয় ঔপনিবেশিক শাসন থেকে স্বাধীনতা লাভ করে। আধুনিক ঘানার কয়েকশত মাইল উত্তর-পশ্চিমে ঊর্ধ্ব নাইজার নদীর তীরে অবস্থিত মধ্যযুগীয় সাম্রাজ্য ঘানার নামে দেশটির নামকরণ করা হয়। স্বাধীনতার পর আফ্রিকান বাকী দেশগুলির স্বাধীনতার জন্য ঘানা নেতৃত্ব দেয়।

ঘানার প্রজাতন্ত্র

ঘানার জাতীয় পতাকা
পতাকা
ঘানার জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
জাতীয় মর্যাদাবাহী নকশা
নীতিবাক্য: "স্বাধীনতা এবং সুবিচার"
ঘানার অবস্থান
রাজধানী
ও বৃহত্তম নগরী বা বসতি
আক্রা
সরকারি ভাষাইংরেজি[]
জাতীয়তাসূচক বিশেষণঘানাইয়ান
সরকারসাংবিধানিক প্রজাতন্ত্র
জন আটা মিলস্‌
জন দ্রামানী মাহামা
জোয়েস ব্যানফোড-আডো‌
জোরজিনা থেওডোরা উড্‌
স্বাধীনতা 
• ঘোষিত
৬ই মার্চ ১৯৫৭[][][]
• প্রজাতন্ত্র
১লা জুলাই ১৯৬০
• সংবিধান
২৮শে এপ্রিল ১৯৯২
আয়তন
• মোট
২,৩৮,৫৩৫ কিমি (৯২,০৯৯ মা) (80th)
• পানি (%)
4.61 (11,000 km2 / 4,247 mi2)
জনসংখ্যা
• ২০১৪ আনুমানিক
২,৭০,৪৩,০৯৩[] (45th)
• ২০১০ আদমশুমারি
২,৪২,০০,০০০[]
• ঘনত্ব
১০১.৫/কিমি (২৬২.৯/বর্গমাইল) (103rd)
জিডিপি (পিপিপি)২০১৭ আনুমানিক
• মোট
$131.498 billion[] (70th)
• মাথাপিছু
$4,650[] (126th)
জিডিপি (মনোনীত)২০১৭ আনুমানিক
• মোট
$42.753 billion[] (69th)
• মাথাপিছু
$1,511[] (126th)
জিনি (২০০৬)42.8[]
মাধ্যম
মানব উন্নয়ন সূচক (২০১৫)বৃদ্ধি 0.579[১০]
মধ্যম · 139th
মুদ্রাঘানাইয়ান সেডি (GHS)
সময় অঞ্চলইউটিসি০ (GMT)
• গ্রীষ্মকালীন (ডিএসটি)
ইউটিসি০ (GMT)
কলিং কোড২৩৩
ইন্টারনেট টিএলডি.জিএইস
ঘানার টপোগ্রাফিক মানচিত্র

ঘনবসতিপূর্ণ এই দেশটিতে ১০০-রও বেশি জাতির লোকের বাস। কিন্তু অন্যান্য আফ্রিকান দেশগুলির মত এখানে দেশ বিভাজনকারী জাতিগত সংঘাত তেমন মাথাচাড়া দিয়ে ওঠেনি। আক্রা দেশের বৃহত্তম শহর ও রাজধানী। ইংরেজি সরকারী ভাষা হলেও বেশির ভাগ ঘানাবাসী কমপক্ষে একটি আফ্রিকান ভাষায় কথা বলতে পারেন।

ঘানার অর্থনীতি আফ্রিকার অন্যতম শক্তিশালী অর্থনীতিগুলির একটি, কিন্তু এখনও কৃষি দেশটির অর্থনীতির মূল ভিত্তি এবং এখানকার বেশির ভাগ লোকই দরিদ্র। স্বর্ণখনিশিল্প, চকোলেটের উপাদান কাকাও উৎপাদন, এবং পর্যটন দেশটির আয়ের প্রধান উৎস। কয়েকশ বছর আগে ঘানা সোনার একটি উৎস বলে পরিচিত ছিল। ১৫শ ও ১৬শ শতকে যেসব ইউরোপীয় এখানে সোনার খোঁজে এসেছিলেন, তারা অঞ্চলটিকে গোল্ড কোস্ট নাম দেন।

সামরিক কু এবং অর্থনৈতিক সমস্যা ১৯৬০-এর দশক থেকে ১৯৮০-র দশক পর্যন্ত ঘানাকে বিপর্যস্ত করে রাখে। ১৯৯০-এর দশকে ঘানাতে গণতন্ত্র প্রতিষ্ঠিত হয় এবং আফ্রিকান রাজনীতিতে একটি নেতৃস্থানীয় দেশ হিসেবে এটি আবির্ভূত হয়। ১৯৯৭ সালে ঘানার এক কূটনীতিক কফি আনান জাতিসংঘের মহাসচিব হন।

নামকরনের ইতিহাস

সম্পাদনা
 
ঘানা দেশের ১ম রাজা

ঘানা শব্দের অর্থ যোদ্ধা রাজা[১১][১২] মধ্যযুগীয় ঘানা সাম্রাজ্য থেকে এ নামের উৎপত্তি। বর্তমান ঘানা থেকে উত্তর ও পশ্চিম দিকে অবস্থান ছিল ঘানা সাম্রাজ্য-এর। ১৯৫৭ সালে ব্রিটিশ কলোনী গোল্ড কোস্ট স্বাধীনতা লাভ করে। স্বাধীনতার ছয়মাসের ১৯৫৭ সালে গোল্ড কোস্টের নাম ঘানা হিসেবে রাখা হয়।[১৩]

ইতিহাস

সম্পাদনা

প্রগৌতিহাসিক যুগের নির্দশন প্রমাণ করে প্রাচীন ঘানাতে ব্রোঞ্জ যুগ থেকে মানুষের বসবাস ছিল।[১৪] যদিও এগারো শতক পর্যন্ত আধুনিক ঘানার দখলকৃত ছিল।[১৫] বর্তমান ঘানাতে ১৬শতকে বর্তমান অধিবাসীদের আবির্ভাব ঘটে।[১৬] এগারো শতকের প্রথমদিকে আকান জনগোষ্ঠী বুনুমান নামের জনবসতি গড়ে তোলে।[১৭] এই অঞ্চলেই ষোল শতকে গাদাগোমবা নামের দুটি ভিন্ন রাষ্ট্র গড়ে উঠেছিল।[১৬]

 
16th – 17th century Akan Terracotta, Metropolitan Museum of Art, New York

রাজনীতি

সম্পাদনা

প্রশাসনিক অঞ্চলসমূহ

সম্পাদনা

জলবায়ু

সম্পাদনা

ঘানার জলবায়ু ক্রান্তীয় জলবায়ু। দুইটি প্রধান ঋতু হলো: গ্রীষ্মবর্ষা

অর্থনীতি

সম্পাদনা

জনসংখ্যা

সম্পাদনা

ঘানাতে বর্তমান জনসংখ্যা প্রায় ২৪মিলিয়ন। ১৯৬০ সালে স্বাধীনতার পরে প্রথম আদমশুমারিতে ঘানার জনসংখ্যা ছিল ৬.৭ মিলিয়ন।[১৯]

ধর্ম বিশ্বাস

সম্পাদনা

খ্রিস্টান ধর্মাবলম্বী - ৭০.২%

ইসলাম ধর্মাবলম্বী - ১৮.১%

প্রচলিত ধর্ম - ৮%

হিন্দু ধর্মাবলম্বী - ৫.১%

অন্যান্য - ০.৫%

সংস্কৃতি

সম্পাদনা

আরও দেখুন

সম্পাদনা

তথ্যসূত্র

সম্পাদনা
  1. "Emefa.myserver.org"। ২৬ এপ্রিল ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২১ ডিসেম্বর ২০১০ 
  2. "Language and Religion"। Ghana Embassy। ১ মার্চ ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৮ জানুয়ারি ২০১৭English is the official language of Ghana and is universally used in schools in addition to otheniner local languages. The most widely spoken local languages are, Ga, Dagomba, Akan and Ewe. 
  3. Video: A New Nation: Gold Coast becomes Ghana In Ceremony, 1957/03/07 (1957)Universal Newsreel। ১৯৫৭। সংগ্রহের তারিখ ২০ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  4. "First For Sub-Saharan Africa"। BBC। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  5. "Exploring Africa – Decolonization"। exploringafrica.matrix.msu.edu। ২ জুন ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  6. "Population projection by sex, 2010 to 2014, National" (পিডিএফ)। Ghana Statistical Service। ৪ আগস্ট ২০১৪ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ আগস্ট ২০১৪ 
  7. Antoinette I. Mintah (২০১০)। "2010 Provisional Census Results Out"। 4 February 2011। Population Division, Ghana Government। ১৫ জুন ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১১ 
  8. "Ghana"। International Monetary Fund। 
  9. "GINI index–World Bank"World Bank। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ডিসেম্বর ২০১৪ 
  10. "2016 Human Development Report" (পিডিএফ)। United Nations Development Programme। ২০১৬। সংগ্রহের তারিখ ২১ মার্চ ২০১৭ 
  11. Ghana – MSN Encarta। ১ নভেম্বর ২০০৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৩ অক্টোবর ২০১২ , Encarta.msn.com
  12. Jackson, John G. (2001) Introduction to African Civilizations, Citadel Press, p. 201, আইএসবিএন ০-৮০৬৫-২১৮৯-৯.
  13. "Etymology of Ghana"। Douglas Harper। সংগ্রহের তারিখ ১২ মে ২০১২ 
  14. "Ghana Museums & Monuments Board"। ghanamuseums.org। ২৭ ডিসেম্বর ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৫ ফেব্রুয়ারি ২০১২ 
  15. the Tribes and States 23.books.google.com. Retrieved 13 December 2010.
  16. Pre-Colonial Period. ghanaweb.com. Retrieved 13 December 2010.
  17. for Development – Akan Bono 11th century.books.google.com. Retrieved 13 December 2010.
  18. "Ghana Travel Weather Averages (Weatherbase)"। ৩০ অক্টোবর ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১ জুন ২০১৩ 
  19. "Ghana – population". Library of Congress Country Studies.

বহিঃসংযোগ

সম্পাদনা
সরকারী
পর্যটন
সাধারণ তথ্য

  উইকিমিডিয়া অ্যাটলাসে ঘানা

সংবাদ মিডিয়া
স্বাস্থ্য
  • Korle Bu Hospital
  • Unite For Sight at Buduburam Refugee Camp, Ghana A Unite For Sight video documentary with interviews of residents at Buduburam Refugee Camp, Ghana. Unite For Sight provides free eye care for the residents.
  • Subayo Foundation A not for profit charity for women and children in Ghana based out of the US.
  • Ghana Eye Foundation A Non Governmental Organisation to create awareness and mobilise resources to support the provision of a sustainable, equitable and quality eye health service by well-trained and appropriately motivated personnel to all residents in Ghana.
অন্যান্য