Ict - 4
Ict - 4
ঢাকা বিশ্ববিদ্যালয়
● ওয়েব ডিজাইন এর ধারনা
● ওয়েবসাইটের কাঠামো
● HTML
● ওয়েবপেজ ডিজাইনিং
● ওয়েবসাইট পাব্লিশিং
ওয়েব পেজ: HTML ও অন্যান্য ভাষায় লেখা একধরনের ওয়েব ডকুমেন্ট যা ইন্টারনেট ব্যবহারকারীদের দেখার জন্য সার্ভ ারে রাখা
হয় তাকে ওয়েব পেইজ বলে।
ওয়েব পেইজের বিষয়বস্তু: ওয়েব পেইজে তেক্সট বা লেখা, ছবি, অ্যানিমেশন ছাড়াও বিভিন্ন ধরনের ডেটা ফাইল, ভিডিও, অডিও
ইত্যাদি এবং অন্য কোনো পেইজের লিংক থাকতে পারে। ওয়েব পেইজের বিষয়বস্তু ব্রাউজারে প্রদর্শনের জন্য বিভিন্ন ধরনের প্রোগ্রাম
ফাইলের প্রয়োজন হয়।
I. টেক্সট ডেটা ফাইল: .pdf (Portable Document File), .ppt (powerPoint Presentation), .docs বা .doc
(Document) ইত্যাদি ফাইল।
II. ছবি ও গ্রাফিক্স ফাইল: .jpg/jpeg (Joint photographic Expert), .png (Portable Network Graphics), .gif
(Graphics Interchange Format), .bmp (bitmap image file)
ওয়েবসাইট: ইন্টারনেটের সাথে যুক্ত কোনো সার্ভ ারে বরাদ্দকৃ ত লোকেশন যেখানে এক বা একাধিক ওয়েব পেইজ সংরক্ষণ করে রাখা
যায় তাকেই ওয়েবসাইট বলে। গঠন বৈচিত্রের উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইট ২ প্রকার। যথা:
1. স্ট্যাটিক ওয়েবসাইট: যে সকল ওয়েবসাইটের ডেটার মান ওয়েব পেইজ চালু অবস্থায় পরিবর্ত ন করা যায় না তাকে স্ট্যাটিক
ওয়েবসাইট বলে।
2. ডায়নামিক ওয়েবসাইট: যে সকল ওয়েবসাইটের ডেটার মান ওয়েব পেইজ চালু অবস্থায় পরিবর্ত ন করা যায় তাকে
ডায়নামিক ওয়েবসাইট বলে।
১) স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটের পেজগুলোতে কন্টেন্ট নির্দি ষ্ট থাকে । ১) ডায়নামিক ওয়েবসাইটের পেজগুলোতে পরিবর্ত নশীল তথ্য
২) ব্রাউজারে খুব দ্রুত লোড হয় থাকে। (ইন্টার
্যাক্টিভ ওয়েব পেজ)
৩) এ ধরনের ওয়েবসাইট বেশি নিরাপদ কারন এখানে কেবল ২) ব্রাউজারে লোড হতে তু লনামূলক সময় বেশি লাগে।
একমুখি কমিউনিকেশন হয় (সার্ভ ার টু ক্লায়েন্ট) ৩) এ ধরনের ওয়েবসাইট তু লনামূলক কম নিরাপদ কারন
৪) এ ধরনের ওয়েবসাইট উন্নয়নে HTML, CSS ব্যবহৃত হয়। এখানে উভয়মুখী কমিউনিকেশন হয়।
৫) স্ট্যাটিক ওয়েবসাইটে সাধারণত কোনো ডাটাবেজ ব্যবহৃত ৪) এ ধরনের ওয়েবসাইট উন্নয়নে PHP, Perl, ASP.Net,
হয় না। Java Script ইত্যাদি ব্যবহৃত হয়।
৬) এ ধরনের ওয়েবসাইট উন্নয়নে খরচ কম হয়। ৫) ডায়নামিক ওয়েবসাইট উন্নয়নে ডাটাবেজ ব্যবহৃত হয়।
৭) এ ধরনের ওয়েবসাইট উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন খুব সহজ। ৬) এ ধরনের ওয়েবসাইট উন্নয়নে খরচ বেশি হয়।
৭) এ ধরনের ওয়েবসাইট উন্নয়ন ও নিয়ন্ত্রন জটিল।
ওয়েব পোর্ট াল: ওয়েব পোর্ট াল একটি ওয়েবসাইট যেখানে প্রয়োজনীয় বিভিন্ন ধরনের কন্টেন্ট, লিংক, সার্ভি স বা সেবার তথ্য
ব্যবহারকারীদের জন্য সহজভাবে উপস্থাপন করা হয়।
ওয়েব ব্রাউজার: ইন্টারনেট ব্রাউজিং মানে হচ্ছে এক ওয়েব পেইজ থেকে অন্য ওয়েব পেইজে ভ্রমণ করা বা ভিজিট করা। এইসব
কাজের জন্য বিভিন্ন ধরনের সফটওয়্যার ব্যবহার করা হয়। এই সফটওয়্যারকে ব্রাউজার সফটওয়্যার বলা হয়। অর্থাৎ, যে
সফটওয়্যারের সাহায্যে বিভিন্ন ওয়েব পেইজ প্রদর্শন করা যায় বা দেখা যায় তাকে ওয়েব ব্রাউজার বলে। যেমন: ইন্টারনেট
এক্সপ্লোরার, মজিলা ফায়ারফক্স, গুগল ক্রোম, অপেরা ইউসি, সাফারি ইত্যাদি,
URL: ১৯৯৫ সালে www (world Wide Web) এর জনক টিম বার্নাস লি www তথা ইন্টারনেটে যুক্ত প্রতিটি ওয়েবসাইটকে
পৃথকভাবে চিহ্নিত করার জন্য URL (Uniform Resource Locator) কে উপস্থাপন করেন। URL er পূর্ব নাম ছিলো URI
(Uniform Resource Identifier) । একটি URL এর গুরুত্বপূর্ণ অংশসমূহ:-
1. প্রোটোকল নেম: যে নিয়মনীতির উপর নির্ভ র করে ডেটা স্থানান্তর করা হয় তাকে প্রোটোকল বলে। কিছু প্রোটোকলের নাম-
➔ http : HyperText Transfer Protocol ( ইন্টারনেটে ডকুমেন্ট ট্রান্সফারের জন্য ব্যবহৃত হয়। ক্লায়েন্টের সাথে
সার্ভ ারের সংযোগ তৈরি করে। ক্লায়েন্ট কম্পিউটার থেকে পাঠানো রিকুয়েস্ট সার্ভ ারে প্রদান করে এবং সার্ভ ারে
প্রেরিত ডেটা ক্লায়েন্টের নিকট প্রেরণ করে।)
➔ TCP/IP : Transmission Control Protocol / Internet Protocol ( ইন্টারনেটে ব্যবহৃত প্রোটোকল)
➔ FTP : File Transfer Protocol (ইন্টারনেট মাধ্যম ব্যবহার করে ফাইল আদান প্রদানের জন্য ব্যবহৃত প্রোটোকল
)
➔ VoIP : Voice Over Internet Protocol
➔ SMTP : Simple Mail Transfer Protocol
➔ POP : Post Office protocol
➔ IMAP : Internet Message Access protocol
2. সাব ডোমেইন: মূলত কি ধরনের হোস্ট হচ্ছে তা এখানে উল্লেখ করতে হয়।
3. ডোমেইন: IP Adress এর alphabetic ফরমেট
4. ডিরেক্টরি, ফাইল পাথ ও ফাইল নেম:
আইপি অ্যাড্রেস (IP Adress): ইন্টারনেটের সাথে সম্পর্ক যুক্ত প্রতিটি কম্পিউটার বা ইলেক্ট্রনিক ডিভাইসকে শনাক্তকরনের জন্য
এক ধরনের অদ্বিতীয় নাম্বার ব্যবহার করা হয় তাকে আইপি অ্যাড্রেস বলে।
● আইপি অ্যাড্রেস কখনো ডু প্লিকেট হয় না। অর্থাৎ একই আইপি অ্যাড্রেস একের অধিক ডিভাইসে ব্যবহার করা যাবে না।
● সংশ্লিষ্ট দুই ধরনের আইপি অ্যাড্রেস হয়ে থাকে। যথা: IPV4 ও IPV6 ।
মোট আইপি 2
32
= 4294967296 2
128
= 3. 4 × 10
38
ডোমেইন নেইম: আইপি অ্যাড্রেস মনে রাখা বেশ কষ্টসাধ্য বেপার। এই বিষয়টি সহজতর করার জন্য ইন্টারনেটে Domain Name
System (DNS) নামে একটি পদ্ধতি ব্যবহার করা হয়। ডোমেইন নেইম হচ্ছে এক বা একাধিক আইপি অ্যাড্রেসকে সনাক্তকরণের
জন্য একটি অদ্বিতীয় আলফানিউমেরিক ঠিকানা।
ডোমেইন নেইমের দুইটি অংশ থাকে। যথা :
1. রুট লেভেল / টপ লেভেল (TLP): রুট লেভেল বলতে ডোমেইনের ধরন বঝায়। ডট (.) এর পরের অংশকে রুট লেভেল
বলে। এটা দুই প্রকার হতে পারে। i) জেনেরিক ii) কান্ট্রি।
2. সেকেন্ড লেভেল: সেকেন্ড লেভেলে ডোমেইনের পরিচিতিমূলক নিজস্ব নাম থাকে। ডট (.) এর আগের অংশকে সেকেন্ড লেভেল
বলে।
ওয়েব সাইটের কাঠামো: একটি ওয়েবসাইটের ভিতরে অনেক ওয়েব পেইজ থাকতে পারে। ওয়েব সাইতের অন্তর্গত বিভিন্ন পেইজগুলো
কীভাবে সাজানো থাকবে তাই হলো ওয়েব সাইটের কাঠামো। একটি ওয়েবসাইটে প্রবেশ করলে প্রথমে কোন পেইজ আসবে, সেখান
থেকে প্ন্যান্য পেইজে কীভাবে যাওয়া যাবে তা ওয়েব সাইটের কাঠামোতে ঠিক করা হয়। একটি ওয়েব সাইটের কাঠামো মূলত তিন
ভাগে বিভক্ত। যথা:
I. হোম পেইজ (Home Page)
II. মূল ধারার পেইজ (Main Sections)
III. উপ ধারার পেইজ (Sub Sections)
ওয়েব সাইটের বৈশিষ্ট্য বা ওয়েব লিংকের উপর ভিত্তি করে ওয়েবসাইট স্ট্রাকচারকে চার (4) ভাগে ভাগ করা যেতে পারে। যথা:
1) সিকুয়েন্স বা লিনিয়ার স্ট্রাকচার: যে স্ট্রাকচারে ওয়েব পেইজগুলো সারিবদ্ধভাবে একটির পর আরেকটি থাকে তাকে সিকুয়েন্স বা
লিনিয়ার স্ট্রাকচার বলে। এই স্ট্রাকচারটি সবচেয়ে সহজ এবং সরল। এই ধরনের পেইজগুলোতে সাধারণত Next, previous, Last,
First ইত্যাদি লিংক ব্যবহার করা হয়। সিকুয়েন্স স্ট্রাকচার আবার দুই ধরনের হয়-
I. স্ট্রেইট লিনিয়ার স্ট্রাকচার: সাধারণত ট্রেনিং সাইট বা প্রোগ্রামিং লজিকযুক্ত সাইটে এ ধরনের স্ট্রাকচার ব্যবহার করা হয়।
II. লিনিয়ার সিকুয়েন্স স্ট্রাকচার: অধিকতর জটিল ওয়েবসাইটগুলোতে লজিক্যাল সিকুএন্সের মাধ্যমে অরগানাইজড করা যেতে
পারে। এক্ষেত্রে মূল সিকুএন্সের প্রতিটি পেজ এক বা একাধিক পেজের সাথে যুক্ত হতে পারে।
2) ট্রি বা হায়ারার্কি ক্যাল স্ট্রাকচার: যে স্ট্রাকচারে ওয়েব পেজগুলো এক বা একাধিক লেভেল পর্যন্ত সংরক্ষণ করা যায় তাকে ট্রি বা
হায়ারার্কি ক্যাল স্ট্রাকচার বলে।
● এ স্ট্রাকচারে প্রথম পেইজকে হোম পেইজ বা রুট নোট পেইজ বলে।
● বড় বড় প্রতিষ্ঠান বা কর্পোরেট লেভেল ওয়েবসাইট ডিজাইনের ক্ষেত্রে ট্রি স্ট্রাকচার ব্যবহার করে।
● এটি তথ্য উপস্থাপনের সবচেয়ে উত্তম পন্থা।
● ট্রি স্ট্রাকচার দু ধরনের হয়ে থাকে। যথা: i) সরল হাব স্ট্রাকচার ii) জটিল হায়ারার্কি ক্যাল স্ট্রাকচার
3) ওয়েব লিংকড বা নেটওয়ার্ক : যে স্ট্রাকচারে ওয়েব পেইজগুলো একটি আরেকটির সাথে লিংক করা থাকে তাকে ওয়েব লিংকড বা
নেটওয়ার্ক স্ট্রাকচার বলে।
● এ ধরনের স্ট্রাকচারে অনেকগুলো লিংক থাকায় এটি তু লনামূলকভাবে জটিল প্রকৃ তির হয়ে থাকে তবে ব্যবহারের দিক থেকে
এ স্ট্রাকচার সহজ হয়।
4) হাইব্রিড বা কম্বিনেশন স্ট্রাকচার: একাধিক ওয়েব স্ট্রাকচারের সমন্বয়ে যে ওয়েবসাইট গঠিত হয় সেই তখন তাকে হাইব্রিড বা
কম্বিনেশন স্ট্রাকচার বলে।
● এ স্ট্রাকচার সবচেয়ে জটিল তবে ব্যবহারের দিক থেকে সবচেয়ে সহজ।
HTML- এর মৌলিক বিষয়সমূহ
এইচটিএমএল (HTML): HTML এর পূর্ণরূপ Hypertext Markup Language । এটি কোনো প্রগ্রামিং ল্যাংগুয়েজ নয়। এর
সাহায্যে ওয়েবপেইজ ডিজাইন করা হয়। এটি একটি Markup Language । Markup Language কিছু Markup Tag এর সাহায্যে
গঠিত। যার সাহায্যে ওয়েব পেইজে বিভিন্ন জনিস প্রদর্শন করা যায়।
● ১৯৯০ সালে Tim Berners-Lee HTML আবিষ্কার করেন।
● বিভিন্ন তথ্য পৃথিবীর এক জায়গা থেকে অন্য জায়গায় পৌঁছে দেয়ার উদ্দেশ্যে HTML এর উৎপত্তি।
● HTML এর প্রচলিত ভার্সন হলো XHTML (Extensible hyperText Markup Language) এবং সর্বশেষ ভার্সন হচ্ছে
HTML5 । WC3 নামের একটি সংস্থা HTML তৈরি এবং ম্যানেজমেন্ট করে।
HTML এর সুবিধা ও অসুবিধা:
সুবিধাসমূহ অসুবধাসমূহ
Attribute: অ্যাট্রিবিউট HTML এলিমেন্ট এর অতিরিক্ত আনুষঙ্গিক তথ্যাদি প্রকাশ করে। মূলত HTML এলিমেন্টের কার্যক্ষমতা
বর্ধিত করার জন্য অ্যাট্রিবিউট ব্যবহার করা হয়। নিচে কিছু এলিমেন্টের Attribute উল্লেখ করা হলো।
Tag Attribute and value (ভ্যালু উদাহরণস্বরূপ)
<body> bgcolor=”green”
HTML এ বহুল ব্যবহৃত কিছু ট্যাগ সমূহ নিচের টেবিলে উল্লেখ করা হলো:
Tag Tag এর ব্যবহার উদাহরণ ফলাফল
<b> লেখাকে italic form এ লেখার জন্য <b> Academix </b> Academix
<strike>, টেক্সটকে মাঝ বরাবর কেটে দেওয়ার জন্য <s> Academix </s> Academix
<s>, <del>
<q> টেক্সটের দুপাশে ডাবল কোটেশন দেওয়ার জন্য <q> Academix </q> “Academix”
<br> একক লাইন ব্রেক করার জন্য I Love <br> Statistics I Love
Statistics
Table
<table> ....... <table> টেবিল তৈরিতে ব্যবহৃত হয় border টেবিলের চতু র্দিকে বর্ড ার দেওয়ার জন্য
align টেবিলের অবস্থান ডানে, বামে বা
মাঝখানে দেওয়ার জন্য
<th> …… </th> টেবিলের হেডিং সেল তৈরিতে ব্যবহৃত হয় colspan কলামের বিস্তৃতি বাড়ানোর জন্য
rowspan সারির বিস্তৃতি বাড়ানোর জন্য
<td>......... </td> টেবিলের ডেটা সেল তৈরিতে ব্যবহৃত হয়
জ্ঞ্যানমূলক ও অনূধাবনমূলক প্রশ্ন
জ্ঞ্যানমূলক প্রশ্ন:
অনূধাবনমূলক প্রশ্ন