Impact On Economy
Impact On Economy
Impact On Economy
Since its inception at Wuhan located in Hubei State of China in December 2019, Novel
Corona Virus titled with SARS-CoV-2 causing COVID-19 standing for Corona Virus
Disease-2019 has been drastically spread and endangered the economic growth in almost 210
countries of the globe. Several Analysts, Researchers and Policy makers from all over the
countries reveal their concerns regarding the forthcoming impacts of COVID-19 on the
economic development of respective countries of the globe.
providing safety nets and securing access to food, medical supplies, and necessities
for the most vulnerable.
establishing temporary work programs for unemployed migrant workers
enacting debt relief measures for businesses and individuals
easing inter-regional customs clearance to speed up export and import of essential
goods to minimze short term economic distress
Considering people worst hit by the freeze on activities, govt should adopt
expansionary fiscal policies combined with monetary stimulus to keep credit flowing
in their economies
adopting temporary spending measures and coordinate with international financial
partners to avoid unsustainable long-term debt levels and fiscal deficits
The government should also consider an unconditional cash transfer program for an
initial period of three months at a rate of $95 per month, which corresponds to the
minimum wage for the formal sector in Bangladesh. This would cost the government
roughly $14 billion, or 4% of GDP.
With inflation expected to cool across the world, the central bank should follow the
steps taken by its counterparts across the world to inject further liquidity by reducing
the Statutory Liquidity Ratio and further reducing its policy rate. This will not only
help maintain liquidity within the banking sector but also provide smalland medium-
sized enterprises in the country with access to cheaper working capital to keep their
businesses afloat.
With a low debt-to-GDP ratio, Bangladesh has enough fiscal headroom to adapt an
expansionary approach in the short run to fight off the economic and humanitarian
aspect of this crisis. (Islam & Divadkar, 2020)
ADB (2020)
The low revenue to GDP ratio in Bangladesh diminishes the country's capacity to
sustain high economic growth and reduce poverty. Revenues thus need to be raised
significantly through comprehensive tax reforms, by expanding the tax base and
making resource mobilization more efficient to support much-needed public
expenditure on infrastructure, health and social development. (Parkash, 2020)
Apart from these recommendations, Centre for Policy dialogue (CPD) asks for a
number of steps as mentioned below:
“The global economy is clearly more shaky, with sluggish growth. It is clearly more
vulnerable to shocks.”~ Investment Management in London.~
“Global cooperation is essential to the containment of the Covid-19 and its economic
impact, particularly if the outbreak turns out to be more persistent and widespread.”
~ Kristalina Georgieva, The head of the International Monetary Fund ~
☞ Impose massive uncertainty about public health and economic well-being = গণস্বাস্থ্য ও সমৃদ্ধিশালী
অর্থনীতিতে ব্যাপক অনিশ্চয়তা আরোপ করা।
☞ Has spooked global markets and threatened prospects for economic growth = বৈশ্বিক মার্কে টগুলোকে
ভয়চকিত করেছে এবং অর্থনৈতিক উন্নতির প্রত্যাশাকে হুমকির মধ্যে নিয়ে গেছে।
☞ Sending markets into a wealth-destroying tailspin = মার্কে টগুলোকে অনিয়ন্ত্রিত সম্পত্তি ধ্বংসের দ্বারপ্রান্তে
নিয়ে যাচ্ছে।
☞ Into A Tailspin = Into a bad situation that keeps getting worse in a way that we cannot control.
☞ Offsetting the benefits of the trade truce and the geopolitical easing, and providing new reason for
businesses and households to hunker down = বাণিজ্য যুদ্ধের ফায়দা ও ভূ রাজনৈতিক শান্তি আনয়নে ভারসাম্য
রক্ষা করছে এবং নিরাপদে বাণিজ্য ও গৃহবাসীদের দীর্ঘমেয়াদে সুখকর করতে একটি নতু ন উদ্দেশ্য পেশ করছে।
☞ Hunker Down = To make one comfortable in a safe place, especially for a long period.
☞ Painted a bleak portrait of the global economy = বৈশ্বিক অর্থনীতির নিরানন্দ প্রতিকৃ তি অঙ্কন করা।
☞ Will be followed by a sluggish recovery = ধীরগতির পুনর্জ াগরণ হবে ।
☞ Major downturn in GDP growth=
জিডিপি বিকাশে ব্যাপক মন্দা।
☞ The period of devastating economic decline = ক্ষয়প্রাপ্ত অর্থনৈতিক অবনতির আমল।
☞ Stock markets have been volatile = শেয়ার বাজার পরিবর্ত নশীল ছিল।
☞ Deleterious effect on global economy = বৈশ্বিক অর্থনীতিতে ক্ষতিকর প্রভাব।
☞ Pushing our migrant workers into unimaginable vulnerabilities =
আমাদের অভিবাসী শ্রমিকদের অকল্পিত দুর্দ শার দিকে ঠেলে দিচ্ছে।
☞ The containment of the Covid-19= কভিড - ১৯ এর দমন।
☞ A severe and prolonged economic decline with high levels of unemployment and company
closures = উচ্চ মাত্রায় বেকারত্ব বৃদ্ধি ও কোম্পানি বন্ধের সাথে তীব্র এবং দীর্ঘায়ত
অর্থনৈতিক অবনতি।
☞ Post-traumatic stress disorder =
আঘাত পরবর্তী মানসিক অবসাদ।
☞ Contemplating the adverse affects of the global economic downturn on our export earnings and
inward remittances = রপ্তানি ধনাগম এবং নীরস প্রবাসী আয়ে বৈশ্বিক অর্থনৈতিক বিপর্যয়ের অননূকল প্রভাব
গভীরভাবে পর্যবেক্ষণ করে।
Corona's impact on unemployment and Poverty growth rate in Bangladesh"/
"বাংলাদেশে দারিদ্র এবং বেকারত্ব বৃদ্ধিতে করোনা ভাইরাসের প্রভাব"
The global epidemic corona is not only killing people at an increasing rate but also crippling
the world economy. The economy is facing a Great Depression, which is expected to surpass
all previous Great Depression. So,now we have to think about the issue of corona's impact on
the economy, also think about the next economic restructuring. Unemployment will emerge
as a major problem due to the terrible recession.
বৈশ্বিক মহামারী করোনায় ক্রমবর্ধমান হারে শুধু মানুষই মারা যাচ্ছে না, একই সঙ্গে তা বিশ্ব অর্থনীতিকেও
থামিয়ে দিচ্ছে। অর্থনীতি মহামন্দার সম্মুখীন, যা অতীতের সব মহামন্দাকেই ছাড়িয়ে যাবে বলে মনে করা
হচ্ছে। অর্থনীতিতে করোনার প্রভাব মোকাবেলার বিষয়টি নিয়ে তাই এখনই ভাবতে হবে। ভাবতে হবে
করোনা পরবর্তী অর্থনীতি পুনর্গঠন নিয়েও। ভয়াবহ মন্দার কারণে বেকারত্ব একটি বড় সমস্যা হিসেবে
আবির্ভূ ত হবে।
The retrenchment has already started. The International Labor Organization (ILO) fears that
the adverse effects of the coronavirus on the global economy could cause 3.3 billion working
people to become partially or completely unemployed.
ইতোমধ্যে কর্মী ছাঁটাই শুরু হয়েছে। আন্তর্জ াতিক শ্রম সংস্থা আইএলও আশঙ্কা প্রকাশ করেছে,
করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে যে বিরূপ প্রভাব পড়ছে তাতে ৩৩০ কোটি কর্মক্ষম মানুষের
আংশিক বা পুরোপুরি বেকার হয়ে যেতে পারে।
The United Nations says no such crisis has occurred since World War II. In December last
year, the ILO had predicted that 2.5 crore people would become unemployed again.
However, as the prevalence of coronavirus is long, that prognosis is no longer valid. In
addition, in the second quarter of 2020, the company thinks that the global organizations can
reduce the working hours by 7.8 percent. This will create the reality of about 200 million full-
time working people losing their jobs.
জাতিসংঘের এই সহযোগী সংগঠন বলেছে, দ্বিতীয় বিশ্বযুদ্ধের পর এমন সংকট আর আসেনি। গত বছর
ডিসেম্বরে আড়াই কোটি মানুষের নতু ন করে বেকার হয়ে যাওয়ার পূর্বাভাস দিয়েছিল আইএলও। তবে
করোনাভাইরাসের প্রাদুর্ভ াব দীর্ঘ হওয়ায় সেই পূর্বাভাস আর টিকছে না। এছাড়া ২০২০ সালে দ্বিতীয় পর্যায়ে
বিশ্বব্যাপী প্রতিষ্ঠানগুলো ৬ দশমিক ৭ শতাংশ কর্মঘণ্টা কমিয়ে দিতে পারে বলে মনে করছে সংস্থাটি। এটি
প্রায় ২০ কোটি পূর্ণকালীন কর্মজীবী মানুষের চাকরি হারানোর বাস্তবতা সৃষ্টি করবে।
The organisation also said that 24.7 million more people will become jobless, on top of the
188 million registered as unemployed in 2019.
সংস্থাটি আরও বলেছে যে, ২০১৯ সালের নিবন্ধিত বেকার হিসাবে ১৮৮ মিলিয়নের সাথে আরও ২৪.৭
মিলিয়ন মানুষ বেকার হয়ে পড়বে।
Self-employment in developing countries like Bangladesh, often serves to cushion the impact
of economic shifts. But it might not do so this time due to severe restrictions being placed on
the movement of people and goods. Reduction in access to work will also mean large income
losses for workers. The ILO study estimates these US$3.4 trillion by the end of 2020. This
will translate into falls in consumption of goods and services, in turn affecting the prospects
for businesses and economies.
বাংলাদেশের মতো উন্নয়নশীল দেশে আত্ন-কর্মসংস্থান প্রায়শই অর্থনৈতিক পরিবর্ত নের প্রভাবক হিসেবে কাজ
করে। তবে লোক ও পণ্যদ্রব্য চলাচলে গুরুতর বিধিনিষেধের কারণে এটি এখন তেমন প্রভাব ফেলতে পারছে
না । কাজের পরিধি হ্রাস মানে শ্রমিকদের জন্য বৃহত আয়ের ক্ষতি। আইএলও সমীক্ষা দেখা গিয়েছে,২০২০
শেষে এই ক্ষতির পরিমাণ দাড়াবে ৩.৪ ট্রিলিয়ন মার্কি ন ডলার।
যা বিভিন্ন পণ্য ও পরিষেবাগুলির ব্যবহারের ক্ষেত্রে পরিবর্ত ন আনবে, যার ফলে ব্যবসা এবং অর্থনীতির
সম্ভাবনাগুলিকে প্রভাবিত করবে।
The number of people who live in poverty despite holding one or more jobs will also increase
significantly. It is estimated that between 8.8 and 35 million more people will be added to the
ranks of the working poor.
এক বা একাধিক চাকরি থাকা সত্ত্বেও দারিদ্র্যে বসবাসকারী মানুষের সংখ্যাও উল্লেখযোগ্যভাবে বৃদ্ধি পাবে।
অনুমান করা যায় যে, ৮.৮ থেকে ৩৫ মিলিয়ন শ্রমজীবী মানুষ নতু নভাবে দরিদ্রদের মধ্যে যোগ হবে।
The strain on incomes resulting from the decline in economic activities will devastate
workers close to or below the poverty line. Therefore, it needs urgent large-scale and
coordinated measures to protect workers in the workplace. These includes support jobs and
income through social protections, paid leave and other subsidies.
অর্থনৈতিক ক্রিয়াকলাপ হ্রাসের কারনে আয়ের উপর চাপ সৃষ্টি করলে দারিদ্র্যসীমার কাছাকাছি বা তার নিচে
শ্রমিকরা নিঃস্ব হয়ে যাবে। সুতরাং, কর্মক্ষেত্রে কর্মীদের রক্ষার জন্য বৃহত আকারে এবং সমন্বিত ব্যবস্থা
নেওয়া অতীব জরুরি। এর মধ্যে রয়েছে সামাজিক সুরক্ষা, বেতনসহ ছু টি এবং অন্যান্য ভর্তু কির মাধ্যমে
কর্মসংস্থান ও আয়ের সহায়তা দেওয়া।
One of the major strengths of our economy is the garment sector which is going on somehow
now. A large part of the employment depends on the garment industry. Our economy is
prospering by exporting to this sector which has potential and a strong position in the
economy. Because most of the export products of Bangladesh are garments. Exports to
Europe and America have been affected by the corona.
আমাদের অর্থনীতির একটি বড় শক্তি হলো গার্মেন্ট খাত যা এখন কোনো রকমে চলছে। পোশাক শিল্পের ওপর
নির্ভ র কর্মসংস্থানের একটি বিশাল অংশ। সম্ভাবনাময় এবং অর্থনীতিকে শক্তিশালী অবস্থানে নিয়ে যাওয়া এই
খাতে রপ্তানি করে আমাদের অর্থনীতি সমৃদ্ধ হচ্ছে। কারণ বাংলাদেশের রপ্তানি পণ্যের মধ্যে বেশির ভাগই
পোশাক। ইউরোপ এবং আমেরিকায় করোনার প্রভাবের কারণে রপ্তানিতে প্রভাব পড়েছে।
Necessary steps have to be taken to keep the daily necessities market stable. The effects of
coronavirus will eventually subside. The world will try to turn around. The world turned
around even after the last Great Depression. It should be noted that no one's job should be
lost during this time. The government has announced incentives. Staff layoffs will not be a
permanent solution. Bangladesh's economic growth is in a strong position. In order to
maintain this condition, the continuity of the economy must be maintained.
নিত্যপ্রয়োজনীয় বাজার স্থিতিশীল রাখতে প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা নিতে হবে। করোনাভাইরাসের প্রভাব একসময়
স্তিমিত হয়ে আসবে। বিশ্ব চেষ্টা করবে ঘুরে দাঁড়াতে। বিগত মহামন্দার পরেও বিশ্ব ঘুরে দাঁড়িয়েছিল। লক্ষ
রাখতে হবে, এই সময়টায় কারও চাকরি যেন না যায়। সরকার প্রণোদনা ঘোষণা করেছে। কর্মী ছাঁটাই স্থায়ী
কোনো সমাধান হবে না। বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এই অবস্থা
বজায় রাখতে হলে অর্থনীতির ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে।
Bangladesh's economic growth is in a strong position. In order to maintain this condition, the
continuity of the economy must be maintained. Emphasis should also be placed on
diversification of export products to prevent the economy from slowing down due to the
Corona effect. However, this push will not come from one side only. It will have an impact
on technology products, garment products, daily necessities, and even communications. Thus,
the government is struggling to take multi-pronged measures to eliminate the problem of
unemployment in the country.
বাংলাদেশের অর্থনীতির প্রবৃদ্ধি একটি শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছে। এই অবস্থা বজায় রাখতে হলে অর্থনীতির
ধারাবাহিকতা বজায় রাখতে হবে। করোনার প্রভাবে অর্থনীতির গতি ধীর হওয়ার অবস্থা রুখতে রপ্তানি
পণ্যের বৈচিত্র্যের ওপরও জোর দিতে হবে। তবে এ ধাক্কা কেবল একদিক থেকে আসবে না। প্রযুক্তিপণ্য,
গার্মেন্টপণ্য, নিত্যপ্রয়োজনীয় পণ্য, এমনকি যোগাযোগ ক্ষেত্রেও এর প্রভাব পড়বে। এমনিতেই দেশের বেকার
সমস্যা দূর করার জন্য সরকার বহুমুখী পদক্ষেপ নিয়েও কিনারা করতে হিমশিম খাচ্ছে।
Now if its number increases further then the situation will be dire. So the problem of
unemployment must be handled by skilled hands.
এখন যদি এর সংখ্যা আরও বৃদ্ধি পায় তাহলে পরিস্থিতি হবে ভয়াবহ। তাই বেকারত্বের সমস্যা দক্ষ হাতে
সামাল দিতে হবে।
করোনার প্রভাবে অর্থনীতির গতি ধীর হওয়ার অবস্থা রুখতে রপ্তানি পণ্যের বৈচিত্র্যের ওপরও জোর দিতে
হবে।
The entire world is currently fighting the same battle - the fight against COVID-19. As each
day passes, contentions about the global economy, political and economic orders, and
healthcare systems continue to prevail in a myriad of discussions. The cost of the crisis in
terms of loss of lives is painful, but the effects on the sustainable development prospects and
the global economy are worrisome. Through many economic, social, and political avenues,
this pandemic is heralded to affect the global development objectives at a vast scale, more
prominently on the UN Sustainable Development Goals (SDGs).
The Sustainable Development Goals entails a vision of peace and prosperity for our world.
The goals essentially acknowledge the irreconcilable trinity of equity, efficiency, and
sustainability. This pandemic has uncovered the true colors of nations across the globe and
has brought into question the very growth in achieving these goals and following of this triad.
COVID-19 doesn’t just come in the way of the attainment of the SDGs but calls for a
reevaluation of its timeline since the existence of this onslaught has hindered the growth of its
accomplishment.
First off, the pandemic has created more isolated economics with the closure of borders and
international migration. There have also been various notions that have raised suspicion
among nations. All these factors playing out has led to the failure of multilateralism across
the globe. Ergo, the SDG that takes all of this in and slowly falls apart is Partnership for all
the goals (17 No).
Inevitably, the pandemic severely affects SDG 3 (Good Health and Well-Being). As of May
2020, the virus has caught hold onto 4 million people and has taken the lives of over 4 lakh
58 thousand individuals. As the world has taken on the norms of social distancing and
quarantine, we witness a heavy reliance on digital connectivity. However, the inability of
being accommodated in the virtual world will lead challenges in the equity dimension of
holistic developing, causing higher levels of poverty, hunger and thereby hampering SDGs 1,
2, 4, 6 and 10 (No Poverty, Zero Hunger, Quality Education, Clean Water, and Sanitation and
Reduced Inequalities respectively).
The dent that the pandemic will leave of SDGs 8 and 9 (Decent Work and Economic Growth
and Industry, Innovation and Infrastructure) is fretting. Inflation has collapsed around the
world and the global economy meets its deepest recession since the Great Depression. The
Organization for Economic Cooperation and Development (OECD) claimed that the annual
growth in the price of goods and services has slowed significantly since March as COVID-19
brought business activity to a near standstill. Although many services have moved into digital
space, there is are slump are closures of traditional manufacturing.
Contrariwise, reduced economic activity has led to nature’s relief, emphasizing on the
betterment of SDGs 13, 14, and 15 (Climate Action, Life below Water and Life on Land).
Jim Scheer, Head of Data and Analytics at the Sustainable Energy Authority of Ireland
asserted “We’re expecting to see about a 25% drop in transport for 2020…” leading to a
predicted 12% drop in Carbon Dioxide emissions. We have also seen the revival of many
species.
This pandemic showcases an opportunity for us to act in solidarity and take it as an impetus
to achieve the SDGs. It has utterly displayed the weaknesses in our global system. As our
world continues to deal with the challenges thrown by the pandemic, we cannot shift our eyes
away from the achievement of the SDGs. We must seek to turn the crisis into an opportunity
and ramp up necessary actions to achieve our goals. United we stand; divided we fall.
Report data collected from : Unicef Website
The sentiment that the banking sector is the heart of a healthy economy is more applicableto a
developing country like Bangladesh than any other.
There has been much talk about the banking sector as of late, mostly due to its
1) mounting non-performing loan (NPL)
2) lack of good governance
3) influence of the government over Bangladesh Bank
4) money laundering
5) malpractices by some bankers.
These factors are affecting our efficiency and productivity, as well as constraining businesses.
According to data from Bangladesh Bank, the number of bad loans increased to 11.23% at
the end of the third quarter of last year. NPLs now account for 11.45% of the total loans, up
from 10.41% in June of last year.
Good governance is another key issue that our banking sector lacks. The quality of
governance can affect the financial soundness indicators such as asset quality, capital
adequacy ratio, liquidity, earning capacity, and more.
Currently, there are fewer than 10,000 bank branches in the country. The number of bank
branches needs to be increased to bring people into the financial system.
Agent banking --an alternative delivery channel is concentrated in only three banks, with
DBBL, Bank Asia, and Al Arafah holding the major share of the market. Realizing the
importance, many banks have begun the practice of agent banking but have yet to initiate the
service.
Minimizing the risks of IT is another major challenge for the banking sector.According to
research on cyber security by the Bangladesh Institute of Bank Management (BIBM), 52% of
the banks are at a high risk of cyber attacks. It is imperative that we develop a system for
stopping any cyber attacks.
Banks should focus on bringing these people under the umbrella of their services. In addition,
the sector should develop asset quality management and show better financial performance
by ensuring good governance and other things..
২১টি প্রণোদনা প্যাকেজ!
.
.
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা করোনা ভাইরাসের সংকটের কারণে দেশের বিভিন্ন খাতে মোট প্রায় ১ লাখ ১২ হাজার ৬৩৩ কোটি টাকার ২১টি
প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করেছেন, যা দেশের মোট জিডিপির ৪ দশমিক ০৩ শতাংশ।
মাননীয় প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ঘোষিত প্রণোদনা প্যাকেজগুলোর মধ্যে রয়েছেঃ
১. রপ্তানিমুখী শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য বিশেষ তহবিল (মোট বরাদ্দ ৫,০০০ কোটি টাকা)
২. ক্ষতিগ্রস্ত শিল্প ও সার্ভি স সেক্টরের প্রতিষ্ঠানসমূহের জন্য ওয়ার্কি ং ক্যাপিটাল সুবিধ প্রদান (মোট বরাদ্দ ৩৩,০০০ কোটি টাকা)
৩. ক্ষু দ্র (কুটির শিল্প সহ) ও মাঝারি শিল্প প্রতিষ্ঠানসমূহের ওয়ার্কি ং ক্যাপিটাল সুবিধা প্রদান (মোট বরাদ্দ ২০,০০০ কোটি টাকা)
৪. বাংলাদেশ ব্যাংক প্রবির্তি ত ইডিএফ এর সুবিধা বাড়ানো (মোট বরাদ্দ ১২,৭৫০ কোটি টাকা)
৫. Pre-shipment Credit Refinance Scheme (মোট বরাদ্দ ৫,০০০ কোটি টাকা)
৬. চিকিৎসক, নার্স এবং স্বাস্থ্যকর্মীদের বিশেষ সম্মানি (১০০ কোটি টাকা)
৭. করোনা ভাইরাসে আক্রান্ত অথবা মৃত্যুর ক্ষেত্রে ক্ষতিপূরণ (৭৫০ কোটি টাকা)
৮. বিনামূল্যে খাদ্যসামগ্রী বিতরণ (মোট বরাদ্দ ২,৫০৩ কোটি টাকা)
৯. ১০ টাকা কেজি দরে চাউল বিক্রয় (মোট বরাদ্দ ২৫১ কোটি টাকা)
১০. লক্ষ্যভিত্তিক জনগোষ্ঠীর মাঝে নগদ অর্থ বিতরণ (মোট বরাদ্দ ১২,৫৮ কোটি টাকা)
১১. ভাতা কর্মসূচির আওতা বৃদ্ধি (মোট বরাদ্দ ৮১৫ কোটি টাকা)
১২. গৃহহীন মানুষদের জন্য গৃহ নির্মাণ (মোট বরাদ্দ ২১৩০ কোটি টাকা)
১৩. বোরো ধান/চাল ক্রয় কার্যক্রম (মোট বরাদ্দ ৮৬০ কোটি টাকা)
১৪. কৃ ষি কাজ যান্ত্রিকীকরণ (৩,২২২০ কোটি টাকা)
১৫. কৃ ষি ভর্তু কি (৯৫০০ কোটি টাকা)
১৬. কৃ ষি পুন:অর্থায়ন স্কীম (মোট বরাদ্দ ৫,০০০ কোটি টাকা)
১৭. নিম্ন আয়ের পেশাজীবী কৃ ষক/ক্ষু দ্র ব্যবসায়ীদের জন্য পুন:অর্থায়ন স্কীম (মোট বরাদ্দ ৩,০০০ কোটি টাকা)
১৮. কর্মসৃজন কার্যক্রম (পল্লী সঞ্চয় ব্যাংক, কর্মসংস্থান ব্যাংক, প্রবাসী কল্যাণ ব্যাংক এবং পিকেএসএফ এর মাধ্যমে ২,০০০ কোটি টাকা)
১৯. বাণিজ্যিক ব্যাংকসমুহের এপ্রিল-মে/২০২০ মাসে স্থগিতকৃ ত ঋণের আংশিক সুদ মওকুফ বাবদ সরকারের ভর্তু কি (২,০০০ কোটি টাকা)
২০. Credit Risk Sharing Scheme (CRS) for SME Sector (২,০০০ কোটি টাকা)
২১. রপ্তানিমুখী তৈরি পোশাক, চামড়াজাত পণ্য ও পাদুকাশিল্পের দু:স্থ শ্রমিকদের জন্য সামাজিক সুরক্ষা কার্যক্রম প্রবর্ত ন (১,১৩২ কোটি টাকা)।
শেখ হাসিনা সম্পর্কে লিখতে গেলে প্রথমেই বলতে হয় তিনি বঙ্গবন্ধুর কন্যা, এটাই তার বড় পরিচয়। তিনি কোনো দিন
স্বপ্নেও ভাবেননি যে, তার মহান পিতা ২৪ বছরের সংগ্রাম ও ৯ মাসের মুক্তিযুদ্ধের নেতৃ ত্ব দিয়ে বাংলাদেশ রাষ্ট্রের জন্ম
দিলেন আর তারই স্বাধীন করা দেশে মাত্র সাড়ে তিন বছর দেশ শাসনের সুযোগ পেলেন। যে অকল্পনীয়, মর্মান্তিক ও
নৃশংস ঘটনায় তার মহান পিতা পরিবারের অধিকাংশ সদস্যসহ তিনি হারালেন, তাও ছিল কল্পনার বাইরে।
সৌভাগ্যক্রমে দেশের বাইরে অবস্থান করায় তিনি প্রাণে বেঁচে যান। হয়তো মহান আলস্নাহর রহমত ছিল তার ওপর।
বিশেষ করে বাংলাদেশের ভবিষ্যতের কথা চিন্তা করে তাকে সেদিন বাঁচিয়ে রেখেছিলেন আলস্নাহ। স্কু লজীবন থেকেই
তার রাজনৈতিকচর্চ া শুরু। কলেজজীবনে ছাত্র সংসদ নেত্রী ও বিশ্ব বিদ্যালয়েও সক্রিয় রাজনৈতিককর্মী। প্রখ্যাত
পরমাণু বিজ্ঞানী ড. এম ওয়াজেদ মিয়ার সঙ্গে তার বিবাহ হয়। সেই সূত্রে '৭৫-এর ১৫ আগস্ট তিনি দেশের বাইরে
পশ্চিম জার্মানিতে ছিলেন। প্রায় ৬ বছর দেশের বাইরে অবস্থানকালে ১৯৮১ সালে তার অনুপস্থিতিতে দলের এক
বিশেষ অধিবেশনের মাধ্যমে সর্বসম্মতভাবে কাউন্সিলরদের সমর্থনে দলীয় প্রধান নির্বাচিত হওয়ার পর ওই বছরের ১৭
মে তিনি দেশে ফিরে আসেন। শেখ হাসিনার দেশে ফেরার সেদিনের প্রত্যাবর্ত নের দৃশ্য যারা অবলোকন করেছিলেন,
তাদের অবশ্যই মনে আছে লাখ লাখ জনতা, কর্মী, সমর্থক তাকে কীভাবে প্রাণঢালা অভিনন্দন জানিয়েছিলেন।
মুষলধারে বৃষ্টিকে অগ্রাহ্য করে প্রায় ২০ লাখ মানুষ নতু ন বিমানবন্দর থেকে ঢাকা পর্যন্ত সারিবদ্ধভাবে দাঁড়িয়ে ছিলেন।
কেন এই প্রাণঢালা অভ্যর্থনা। মনে হয় মানুষ যেন বঙ্গবন্ধুকে ফিরে পেল। ৭৫-এর ১৫ আগস্টের ভয়াবহ রাতের পর
থেকে সুদীর্ঘ সময় মানুষ যেন অপেক্ষমাণ ছিল এমন এক নেত্রীর জন্য যিনি তার পিতার মতো দেশের মানুষের জন্য
জীবন বিলিয়ে দেবেন। বাস্তবে কিন্তু তার প্রতিফলন ঘটছে। পিতার আদর্শে গড়া রাজনৈতিক দল বাংলাদেশ আওয়ামী
লীগের নেতৃ ত্বে দেশ স্বাধীন হয়েছে। আর তার হত্যার পর সেই দল যে চরম ব্যর্থতার পরিচয় দিয়েছিল, বাংলার মানুষ
তা হাড়ে হাড়ে টের পায়। সঠিক নেতৃ ত্বের শূন্যতায় যে অন্যতম কারণ এটাও মানুষের বুঝতে কোনো অসুবিধা হয়নি।
(৭৫-৮১) এই ৬ বছর খোন্দকার মোশতাক, সায়েম ও জিয়ার নেতৃ ত্বে দেশ যেভাবে স্বাধীনতার শত্রম্নদের দিয়ে
পরিচালিত হয়েছে একের পর এক অভু্ যত্থান-ষড়যন্ত্র ও তথাকথিত বিচারের নামে রাজনৈতিক প্রতিপক্ষকে হত্যা করা
হয়েছে, বিসর্জ ন দেওয়া হয়েছিল মুক্তিযুদ্ধের চেতনাকে, রাষ্ট্রীয় ৪ নীতির অবলুপ্তি ঘটিয়ে দেওয়া হয়েছে। সংবিধানকে
সাম্প্রদায়িক রূপ দেওয়া হয়। ঠিক পাকিস্তানি ধারায় দেশকে ফিরিয়ে নেওয়া হয়েছিল। এ সব কিছু র প্রতিরোধে
স্বাধীনতার পক্ষের বৃহত্তম দল তেমন কিছু করতে সক্ষম হয়নি বরং স্বৈরশাসক জিয়ার সঙ্গে গেপান আঁতাত করে অস্তিত্ব
ও নেতৃ ত্ব রক্ষায় অপচেষ্টা চালিয়েছে। বঙ্গবন্ধুর রেখে যাওয়া রাজনৈতিক দলকে ক্ষমতার কোন্দলে প্রায় দ্বিধা-বিভক্তির
জালে আবর্তি ত ছিল। এমন এক ক্রান্তিকালে এবং দেশ ও জাতির চরম দুঃসময়ে বাংলার নির্যাতিত, নিপীড়িত
মুক্তিপাগল মানুষ সঠিক সিদ্ধান্ত নিয়ে বিশেষ অধিবেশনের মাধ্যমে শেখ হাসিনাকে তার পিতার স্থানে বরণ করে নেয়।
সেই থেকে নতু ন পথে শেখ হাসিনার যাত্রা শুরু।
তথাকথিত নির্বাচনের মাধ্যমে জিয়া ও তার অবৈধ সরকার প্রতিষ্ঠিত হলো, দেশরক্ষায় আন্দোলনে নামতে হলো শেখ
হাসিনাকে। জনগণের ভোট ও ভাতের অধিকার ফিরিয়ে দেওয়ার দাবিসহ মৌলিক অনেক দাবি নিয়ে শেখ হাসিনা
রাজপথে অবস্থান নিলেন। তৎকালিন বিরোধী দল আওয়ামী লীগের আন্দোলনের মুখে বেশকিছু দাবি মেনে নিতে বাধ্য
হয় সরকার। আকস্মিক জিয়া নিহত হন তার সেনা সদস্যদের দ্বারা। কিন্তু স্বৈরশাসনের অবসান হলো না। কিছু দিনের
মধ্যে জেনারেল এরশাদ ক্ষমতা দখল করে একই ধারায় দেশ শাসন শুরু করলেন। তবে জেনারেল এরশাদ জিয়ার
আমলের মতো নৃশংস হত্যাকান্ড চালায়নি। শেখ হাসিনার আন্দোলনের ফলে তাকে নির্বাচন দিতে হয়েছে। সেই নির্বাচন
প্রভাবিত করে তিনি বিজয়ী হয়েছেন। কিন্তু আন্দোলনের মুখে স্বৈরশাসক এরশাদকে ক্ষমতা ছাড়তে হয়েছে। তারপর
অনুষ্ঠিত হয়েছে এক ষড়যন্ত্রমুখী নির্বাচন। বিরোধী দলের আন্দোলনে পরাজিত হলেও এরশাদ বিএনপির সঙ্গে গোপন
আঁতাত করে যেন নির্বাচন অনুষ্ঠিত হলে শেখ হাসিনা সরকার গঠন করতে ব্যর্থ হয়। সেই নির্বাচনে শেখ হাসিনার
বিজয়ী হওয়ার প্রবল সম্ভাবনা ছিল। শুধু প্রশাসনিক ষড়যন্ত্রের কারণে পরাজিত হতে হয়েছিল ও বেগম জিয়া
ক্ষমতাসীন হন। ৩ দলীয় জোটের সব শর্ত কে উপেক্ষা করে তিনি স্বৈরশাসকের মতো ১৯৯৬ সাল পর্যন্ত দেশ পরিচালনা
করতে থাকেন, চেয়েছিলেন তত্ত্বাবধায়ক সরকারকে প্রভাবিত করে ক্ষমতার মেয়াদ দীর্ঘায়িত করতে। কিন্তু গণ-
আন্দোলনের মুখে তাকে পরাজয় বরণ করতে হয়েছে। ৭৫-এর প্রতিবিপস্নবের ২১ বছর পর ১৯৯৬ সালে শেখ হাসিনা
ক্ষমতা গ্রহণের পর থেকেই শুরু হয়েছে মুক্তিযুদ্ধের ধারায় আবার দেশ পরিচালনা। বিসর্জি ত মূল্যবোধগুলো একে একে
পুনরুদ্ধার করা হয়েছে। জয় বাংলা স্স্নোগানে আবার মুখরিত হয়েছে বাংলার আকাশ-বাতাস। সাম্প্রদায়িকতার
পরিবর্তে প্রতিষ্ঠিত হয়েছে সেকু্যলার রাজনীতি। সরকার পরিচালনার ধারায় পরিবর্ত ন এনে মুক্তিযুদ্ধের ধারা
প্রতিষ্ঠিত করা হয়েছে। অতি অল্প সময়ের মধ্যে দেশ ও জাতিকে দ্রম্নত উন্নয়নের ধারায় এগিয়ে নেওয়ার জন্য যা কিছু
প্রয়োজন জননেত্রী শেখ হাসিনা একে একে সব পদক্ষেপ গ্রহণ করেছেন। প্রথম ৫ বছর অর্থাৎ ১৯৯৬-২০০১ মেয়াদ
অতিবাহিত হয়েছে দেশকে সঠিক ধারায় আনয়ন ও অগ্রগতির সঙ্গে পরিচালিত করতে। এরপর তত্ত্বাবধায়ক সরকারের
অধীনে ২০০৮ সালে অনুষ্ঠিত নির্বাচনে নিরঙ্কুসভাবে বিজয়ী হয়ে তিনি তার পিতার সোনার বাংলা বিনির্মাণে
আত্মনিয়োগ করেন। প্রথমেই দৃষ্টি দেন কৃ ষির ওপর। কৃ ষিভিত্তিক বাংলাদেশ কৃ ষক শ্রেণিকে অর্থনৈতিকভাবে সফল
করতে না পারলে যে জাতির অর্থনৈতিক মেরুদন্ড শক্তিশালী হয় না; এটা বুঝতে পেরেই তিনি কৃ ষিকে যান্ত্রিকীকরণ ও
বৈজ্ঞানিক ভিত্তিতে চাষাবাদের আওতায় এনে এবং কৃ ষকদের আর্থিক সহযোগিতা প্রদান ও চাষাবাদের উপকরণ
সহজলভ্য করার মাধ্যমে যে যুগান্তকারী পদক্ষেপগুলো বাস্তবায়ন করেন এর ফলে দেশ দ্রম্নত খাদ্য স্বনির্ভ রতা অর্জ ন
করে। খাদ্য ঘাটতির দেশ পরিণত হয় খাদ্য উদ্বৃত্তর দেশে। দেশের খাদ্য চাহিদা ৩ কোটি ৫৫ লাখ টন। এবার উৎপাদন
হয়েছে প্রায় পৌনে ৪ কোটি টন। প্রায় ২০ লাখ টন খাদ্য উদ্বৃত্ত। এটা সম্ভব হয়েছে শেখ হাসিনার যোগ্য নেতৃ ত্বের
কারণে। এ বছর একসঙ্গে ৩টা দুর্যোগ। মহামারি করোনা, ঘূর্ণিঝড় ও সুদীর্ঘ সময় বন্যা। লাখ লাখ টন খাবার
বিনামূল্যে প্রায় সাড়ে ৭ কোটি মানুষকে সরবরাহ করা হয়েছে। অনুদান দেওয়া হয়েছে দুর্বল শ্রেণিকে।
প্রায় ১ লাখ কোটি টাকা প্রণোদনা দেওয়া হয়েছে কৃ ষি, শিল্প, স্বাস্থ্য, শিক্ষা খাতে। করোনার ভয়াবহ প্রকোপ যেভাবে শেখ
হাসিনা সরকার মোকাবিলায় উদ্যোগী হয়েছে তার প্রশংসা করেছে বিশ্বস্বাস্থ্য সংস্থা।
এত বড় ত্রিমুখী মহাদুর্যোগের পর দেশের অর্থনীতিতে আবার অগ্রসরমান করতে সক্ষম হওয়া খুব সহজ ছিল না।
প্রধানমন্ত্রীর দক্ষতা ও দূরদৃষ্টির কারণে এটা সম্ভব হয়েছে। এ মহাদুর্যোগের পূর্বকালীন বাংলাদেশের বাস্তবতা কি ছিল।
জাতীয় প্রবৃদ্ধি ৮.২ শতাংশে উন্নীত, বার্ষিক মাথাপিছু গড় আয় ২০৬৪ মার্কি ং ডলার, মুদ্রাস্ফীতি ৫%, নতু ন বছরের
প্রথম দিনে বিনামূল্যে ৩৫ কোটি বই শিক্ষার্থীদের হাতে তু লে দেওয়া, বিদু্যৎ উৎপাদন ক্ষমতা ২০,০০০ মেগাওয়াট,
মিষ্টি পানির মাছ উৎপাদনে বিশ্বে দ্বিতীয়, শাকসবজি উৎপাদনে চতু র্থ, পোশাক রপ্তানিতে দ্বিতীয় বা তৃ তীয় অবস্থানে,
পদ্মা সেতু র মতো বৃহৎ প্রকল্প নিজস্ব অর্থায়নে হাতে নেয়া, শিল্প-বিপস্নব ঘটানোর লক্ষ্যে প্রায় ১০০টি শিল্পনগরী তৈরি,
মেট্রোরেল নির্মাণ, কর্ণফু লি ট্যানেল, রূপপুর আণবিক প্রকল্প, অপেক্ষাকৃ ত দুর্বল জনগোষ্ঠীর জন্য বিনামূল্যে বাসস্থান
সুবিধা, একটি বাড়ি একটি খামার প্রকল্পের মাধ্যমে দেশকে স্বনির্ভ র করা, ১৬ হাজার কমিউনিটি ক্লিনিক নির্মাণ
ইত্যাদি।
বিশ্ব পরিসরে বিশ্বের শ্রেষ্ঠ নেতাদের একজন হিসেবে অভিহিত ও প্রায় ৪০টি আন্তর্জ াতিক পুরস্কারে ভূ ষিত জননেত্রী
সফল রাষ্ট্রনায়ক শেখ হাসিনার দক্ষ ও বিচক্ষণ রাষ্ট্র পরিচালনা সাফল্যের স্বীকৃ তি এ কথা সর্বজন স্বীকৃ ত। শেখ হাসিনা
মানে উন্নয়ন, শেখ হাসিনা মানেই উৎপাদন ও অগ্রগতি। স্বল্পোন্নত দেশ থেকে মধ্যম আয়ের দেশের উত্তরণ।
বাংলাদেশের মহাক্রান্তিলগ্নে এমন একজন দক্ষ, সৎ, সাহসী, পরিশ্রমী, জনগণের প্রতি একান্তভাবে নিবেদিত দরদি ও
বিচক্ষণ রাষ্ট্রনায়ক পেয়ে সত্য সত্যই জাতি ধন্য।
ডা. এস এ মালেক : রাজনীতিক ও কলাম লেখক
প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা কোভিড-১৯ মোকাবেলায় সমন্বিত রোডম্যাপ করার তাগিদ দিয়ে বলেছেন, কোভিড-১৯
মোকাবেলায় আমাদের সুসমন্বিত রোডম্যাপ প্রয়োজন। এই সঙ্কট উত্তরণে ২০৩০ এজেন্ডা, প্যারিস চু ক্তি, আদিস
আবাবা এ্যাকশন এজেন্ডা আমাদের ব্লু-প্রিন্ট হতে পারে। এক্ষেত্রে জাতিসংঘকে অবশ্যই অনুঘটকের ভূ মিকা রাখতে
হবে। মঙ্গলবার রাতে জাতিসংঘের সদর দফতরে ‘ফাইন্যান্সিং ফর ডেভেলপমেন্ট ইন দ্য ইরা অব কোভিড-১৯ এ্যান্ড
বিয়োন্ড’ শীর্ষক হাই-লেভেল ইভেন্টে বক্তব্য রাখতে গিয়ে প্রধানমন্ত্রী এ আহ্বান জানিয়েছেন।
পূর্বে রেকর্ড কৃ ত এ ভিডিও বার্ত ায় প্রধানমন্ত্রী সঙ্কট থেকে উত্তরণে ছয় সুনির্দি ষ্ট সুপারিশ উপস্থাপন করেন।
সুপারিশগুলোর মধ্যে রয়েছে- প্রথমত, জি-২০, ওইসিডি কান্ট্রিজ, এমডিবিএস এবং আইএফআইএসের উচিত আর্থিক
প্রণোদনা বাড়ানো, অর্থ ছাড় দেয়া এবং ত্রাণের ব্যবস্থা করা। উন্নত অর্থনীতিগুলোকে অবশ্যই তাদের প্রতিশ্রুত শূন্য
দশমিক ৭ শতাংশ ওডিএ পূরণ করতে হবে।
দ্বিতীয় দফা সুপারিশে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোতে আমাদের বেশি বেসরকারী অর্থ ও বিনিয়োগ আনা
প্রয়োজন। ডিজিটাল বৈষম্য দূর করতে আমাদের অবশ্যই বিজ্ঞান, প্রযুক্তি এবং উদ্ভাবনের সুযোগ নিতে হবে। তৃ তীয়ত,
কোভিড পরবর্তী চাকরির বাজারের সময় এবং অভিবাসী শ্রমিকদের সহায়তার মাধ্যমে আমাদের রেমিটেন্স প্রবাহের
নি¤œ প্রবণতা ঠেকিয়ে বিপরীতমুখী করার জন্য আমাদের সঠিক নীতিমালা ও পদক্ষেপ প্রয়োজন। চতু র্থ দফা সুপারিশ
উপস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, উন্নয়নশীল দেশগুলোর জন্য উন্নত অর্থনীতিগুলোকে শুল্কমুক্ত, কোটামুক্ত বাজার
এ্যাক্সেস, প্রযুক্তি সহায়তা এবং আরও এক্সেসযোগ্য অর্থায়নের বিষয়ে প্রতিশ্রুতি অবশ্যই পূরণ করতে হবে।
পঞ্চম দফা সুপারিশ উপস্থাপন করে প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মহামারীর কারণে স্বল্পোন্নতের তালিকায় উঠে আসা
দেশগুলোর পিছিয়ে পড়া ঠেকাতে কমপক্ষে ২০৩০ সাল পর্যন্ত নতু ন আন্তর্জ াতিক সহায়তা ব্যবস্থা থাকতে হবে। সর্বশেষ
ষষ্ঠ দফা সুপারিশ তু লে ধরে তিনি বলেন, ক্লাইমেট এ্যাকশন এবং স্থিতিশীলতা পুনরুদ্ধারে অর্থায়নের জন্য আরও জোর
প্রচেষ্টা করা প্রয়োজন।
করোনা পরিস্থিতি মোকাবেলায় বাংলাদেশের নেয়া বিভিন্ন পদক্ষেপের কথা বিশ্ব নেতাদের সামনে তু লে ধরে প্রধানমন্ত্রী
শেখ হাসিনা বলেন, কোভিড-১৯ বাংলাদেশের অর্থনীতিতে প্রচ- রকম প্রভাব ফেলে। এই পরিস্থিতি মোকাবেলায়
আমরা তাৎক্ষণিকভাবে ১৩ দশমিক ২৫ বিলিয়ন ডলারের প্রণোদনা প্যাকেজ ঘোষণা করি, যা আমাদের জিডিপির ৪
দশমিক শূন্য ৩ শতাংশের সমান।
প্রধানমন্ত্রী বলেন, এই মহামারীর সময় সামাজিক নিরাপত্তা কর্মসূচীর আওতা বাড়ানো হয়েছে, কৃ ষক, শ্রমিক, শিক্ষার্থী,
শিক্ষক, শিল্পী ও সাংবাদিকসহ ৩০ মিলিয়নের বেশি মানুষকে আর্থিক সহায়তা দেয়া হয়। হাই-লেভেল এই ইভেন্টে
জাতিসংঘের মহাসচিব আন্থেনিও গুতেরেস ছাড়াও অন্যদের মধ্যে বক্তব্য রাখেন কানাডার প্রধানমন্ত্রী জাস্টিন ট্রু ডো,
জামাইকার প্রধানমন্ত্রী এ্যান্ডু হলনেস প্রমুখ।
করোনাকালীন ও পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থার চ্যালেঞ্জ
বৈশ্বিক মহামারী করোনাভাইরাসের প্রভাবে বিশ্বের বিভিন্ন দেশেই অর্থনীতি, সংস্কৃ তি, শিক্ষা ব্যবস্থা, স্বাস্থ্য খাতসহ প্রায়
প্রতিটি ক্ষেত্রের অবস্থা শোচনীয়। উন্নত দেশে করোনার যে ধরনের প্রভাব পড়েছে সেখানে তৃ তীয় বিশ্বের দেশগুলোর
জন্য এ পরিস্থিতি মোকাবেলা করা আরও কঠিন। সংশ্লিষ্টরা শিক্ষা খাতে চলমান সংকট মোকাবেলায় দিন-রাত কাজ
করে যাচ্ছেন।
বাংলাদেশেও প্রতিবছরের মতো ২০২০ সালের প্রথম দিনে বই বিতরণ, ফেব্রুয়ারিতে এসএসসি, দাখিল ও সমমানের
পরীক্ষা, বিশ্ববিদ্যালয়ে ভর্তি , নির্ধারিত সময়ে ক্লাস, পরীক্ষা ও ডিগ্রি প্রদান সবই নিয়ম মেনে চলছিল। কিন্তু মহামারী
করোনাভাইরাস যেন নিমিষেই চলমান শিক্ষা খাতের গতিটাকে অনেকটা থামিয়ে দিয়েছে। তবে সরকার, শিক্ষা
মন্ত্রণালয় এবং বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনসহ সংশ্লিষ্ট সবার প্রচেষ্টায় মহামারীর শুরুতে স্থবির হয়ে যাওয়া শিক্ষা
ব্যবস্থার গতি কিছু টা সচল রাখা গেছে।
প্রাথমিক শিক্ষাপ্রতিষ্ঠানগুলো বন্ধ হওয়ার পর গত ৭ এপ্রিল থেকে সংসদ টেলিভিশনে প্রাথমিক ক্লাস সম্প্রচারিত হচ্ছে।
তবে এটি শতভাগ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো যাচ্ছে না। মন্ত্রণালয় সূত্র জানায়, সংসদ টেলিভিশনে ক্লাস প্রচার করে ৫৯
থেকে ৫২ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে পাঠ পৌঁছানো সম্ভব হচ্ছে। মাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের অনলাইনে ক্লাস শুরু হয় ২৯
মার্চ থেকে। তবে ইন্টারনেটে সমস্যা, ডিভাইসের অপর্যাপ্ততা এই ক্লাসের জন্য বড় বাধা হয়ে দাঁড়িয়েছে। উচ্চশিক্ষার
ক্ষেত্রে অল্প কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় ছাড়া বাকিরা এখনও অনলাইনে ক্লাস শুরু করতে পারেনি। গত মাসে বিশ্ববিদ্যালয়
মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে বৈঠকের পর কয়েকটি বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইনে ক্লাস করার প্রস্তুতি নিচ্ছে। তবে এখানেও
শিক্ষকদের প্রশিক্ষণ, শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট ও ডিভাইসের সংকটের কথাই বলা হচ্ছে। যদিও বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি
কমিশনের সঙ্গে দেশের সরকারি মোবাইল কোম্পানি টেলিটকের আলোচনাসাপেক্ষে ইতোমধ্যে স্বল্পমূল্যে বিশ্ববিদ্যালয়ের
শিক্ষার্থীদের ইন্টারনেট দেয়ার উদ্যোগ নেয়া হয়েছে।
অর্থাৎ দেশের শিক্ষা ব্যবস্থা বৈশ্বিক মহামারী করোনার মধ্যে একদম থেমে না থাকলেও পুরোপুরি চালু করা সম্ভব
হয়নি। তবে যেহেতু শিক্ষাই একটি জাতির মেরুদণ্ড এবং শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতি ও সাফল্যের ওপরেই দেশের সামগ্রিক
উন্নতি নির্ভ রশীল; তাই শিক্ষা ব্যবস্থার গতিকে আরও চলমান রাখা বেশ গুরুত্বপূর্ণ। কিছু কার্যকর পদক্ষেপ গ্রহণ করা
গেলে আশা করি মহামারীকালীন ও পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থার গতিকে আরও ত্বরান্বিত করা যাবে।
প্রাথমিক শিক্ষার ক্ষেত্রে শিক্ষার্থীদের ব্যবহারের জন্য ‘হ্যালো টিচার’ নামে নতু ন মোবাইল অ্যাপ্লিকেশন (অ্যাপস) তৈরি
করা হচ্ছে; যা অতিদ্রুত তৈরি করে শিক্ষার্থীদের ব্যবহার উপযোগী করে তু লতে হবে। এই অ্যাপস ব্যবহার করে
শিক্ষার্থীরা পছন্দের শিক্ষক বাছাই করে তার কাছ থেকে শিক্ষার বিষয়ে পরামর্শ নিতে পারবে। গণিত, ইংরেজি, বাংলা,
বিজ্ঞানসহ নির্দি ষ্ট বিষয়ের শিক্ষক বাছাই করে পাঠ সম্পর্কে বুঝতে ও জানতে পারবে। মন্ত্রণালয় বলছে, বেতারে পাঠ
প্রচার শুরু হলে আরও ২০ থেকে ২৫ শতাংশ শিক্ষার্থীর কাছে পৌঁছানো যাবে। তাই বেতারে পাঠ প্রচারের ব্যবস্থাও
অতিদ্রুত শুরু করতে হবে, যাতে দেশের দুর্গম এলাকার শিক্ষার্থীরা মহামারীকালীন ও মহামারী পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থার
সাথে অতিদ্রুত যুক্ত হতে পারে। পাশাপাশি মুঠোফোন ব্যবহার করে হটলাইন সেবা চালু করতে হবে; যেখানে বেশ কিছু
নম্বরে ফোন করে শিক্ষার্থীরা তাদের প্রয়োজনীয় বিষয়ে শিক্ষকসহ সংশ্লিষ্টদের কাছ থেকে জানতে পারবে।
মাধ্যমিক ও উচ্চমাধ্যমিক স্তরের শিক্ষার্থীদের জন্য অতিদ্রুত বাংলাদেশ টেলিভিশন (বিটিভি) বা কোনো পৃথক
চ্যানেলের মাধ্যমে রুটিন মোতাবেক প্রতিদিন প্রতি শ্রেণির কমপক্ষে ১টি বিষয়ের ওপর ক্লাস টেলিভিশনে সরাসরি
সম্প্রচার করা প্রয়োজন। যেমন- শনিবার সকাল ৯.০০-৯.৫০ পর্যন্ত ষষ্ঠ শ্রেণির ইংরেজি ক্লাস এবং ১০.০০-১০.৫০
পর্যন্ত সপ্তম শ্রেণির গণিত ক্লাস সরাসরি সম্প্রচার করা হবে। যেখানে ক্লাস শেষে কিছু হোমওয়ার্ক /টেস্ট দেয়া যেতে
পারে; যা শিক্ষার্থী বাসায় বসে সমাধান করে রাখবে, সেটা পরের ক্লাসে শিক্ষক আলোচনা করবে এবং শিক্ষার্থী মিলিয়ে
নিবে। তাহলে শিক্ষার্থীর পড়াশোনার মনোভাব বাসায় বসেই করোনাকালীন বিরাজমান থাকবে এবং সেটা পরিবারের
অভিভাবকরা ও নিকটস্থ শিক্ষক মনিটরিং এবং সহযোগিতা করতে পারবেন। পাশাপাশি উক্ত ক্লাসের অডিও রেডিও
বেতারের মাধ্যমে প্রচার করে দুর্গম এলাকা যেখানে টেলিভিশনের সুবিধাও নেই সেখানেও শিক্ষার্থীদের মহামারীকালীন
পড়াশোনার আওতায় আনা যাবে।
অধিকাংশ বিশ্ববিদ্যালয় অনলাইন ক্লাস চালু করলেও স্বল্পমূল্যে দ্রুতগতিসম্পন্ন ইন্টারনেট সুবিধা ও ডিভাইস সমস্যার
কারণে সেটা ফলপ্রসূ হচ্ছে না। তাই অতিদ্রুত সব মোবাইল কোম্পানির সঙ্গে আলোচনা করে প্রয়োজনে বিশ্ববিদ্যালয়
থেকে শিক্ষার্থীদের মোবাইল ফোন নাম্বার মোবাইল কোম্পানিগুলোতে এন্ট্রি করে দিনের একটি নির্দি ষ্ট সময়ে বিনামূল্যে
শিক্ষার্থীদের দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা দিয়ে বিশ্ববিদ্যালয়গুলোতে অনলাইন ক্লাস ফলপ্রসূ করা যেতে পারে। অথবা
বিশ্ববিদ্যালয় মঞ্জুরি কমিশনের সঙ্গে টেলিটক মোবাইল কোম্পানির মতো অন্য মোবাইল কোম্পানিগুলো আলোচনার
ভিত্তিতে স্বল্পমূল্যে শিক্ষার্থীদের জন্য দ্রুতগতির ইন্টারনেট সুবিধা প্রদানের ব্যবস্থা করতে পারে। অন্যদিকে ডিভাইস
ক্রয়ের জন্য সরকার প্রদত্ত শিক্ষাঋণ অতিদ্রুত যেন শিক্ষার্থীরা পেতে পারে সেই ব্যবস্থা করতে পারলে অনলাইন ক্লাসে
শিক্ষার্থীদের অনেকেই অংশগ্রহণ করতে পারবে। পাশাপাশি অনলাইনে বিশ্ববিদ্যালয়ের শিক্ষক-শিক্ষিকাদের অনলাইন
ক্লাসের ওপর ট্রেনিং প্রদান করা গেলে বিশ্ববিদ্যালয় লেভেলে মহামারীকালীন ও মহামারী পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থা সচল
রাখা সম্ভব হবে।
পাশাপাশি করোনাপরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থা নিয়েও আমাদের এখনই ভাবা উচিত। করোনা মহামারীর এ সময়টা নিশ্চয়ই
কেটে যাবে একদিন। আমাদের বন্ধ থাকা শিক্ষাপ্রতিষ্ঠান আবার প্রাণচঞ্চল হয়ে উঠবে। শিক্ষক-শিক্ষার্থীমুখর হয়ে উঠবে
প্রতিটি ক্যাম্পাস। কিন্তু করোনা পরবর্তী আগামীর শিক্ষা ব্যবস্থা কেমন হবে? এক্ষেত্রে প্রথমেই খেয়াল করতে হবে
কারিকুলাম পুনঃসংস্করণের দিকে। অর্থাৎ কমিউনিটি বেইজড বা ক্রাউড সোর্স কারিকুলাম তৈরি করতে হবে। কারণ
জীবনমুখী, বাস্তবসম্মত ও প্রাকৃ তিক শিক্ষার ওপর গুরুত্ব দিতে হবে অনেক।
দক্ষতাভিত্তিক কারিকুলামের পাশাপাশি বাস্তবমুখী নানা কার্যক্রমও কারিকুলামে অন্তর্ভু ক্ত করা প্রয়োজন; যার মাধ্যমে
আগামী দিনে মহামারী এলে শিক্ষার্থীরাই প্রতিরোধে বেশ বড় ভূ মিকা পালন করতে পারবে। অন্যদিকে শিক্ষার্থীদের
পাঠ্যবইগুলো আরও যুগোপযোগী এবং বিস্তৃ ত করে তৈরি করতে হবে। পাশাপাশি সময়ের সঙ্গে যেকোনো পরিস্থিতি
মোকাবেলা করার জন্য শিক্ষার্থীদের একুশ শতকের দক্ষতায় দক্ষ করে তু লতে হবে। একই সঙ্গে শিক্ষার্থীদের
মানসিকভাবে আরও সুদঢ়ৃ ও আত্মপ্রত্যয়ী হওয়ার জন্য মনস্তাত্ত্বিক শিক্ষা খুব গুরুত্বপূর্ণ।
যেকোনো মহামারী রাষ্ট্রকে যেমন সমস্যায় ফেলে দেয়; তেমনই সমস্যা উত্তরণের জন্য অনেক সুযোগও তৈরি করে
দেয়। তাই মহামারীকালীন ও মহামারী পরবর্তী শিক্ষা ব্যবস্থাকে পুনঃসংস্করণ করার মাধ্যমে বর্ত মান সমস্যাগুলো
সমাধান করে সম্ভাবনাগুলো কাজে লাগাতে হবে। সেজন্য সবার সমন্বিত উদ্যোগ ও প্রচেষ্টা খুবই জরুরি। সরকারের
পাশাপাশি ব্যক্তি উদ্যোগে শিক্ষক, শিক্ষার্থী, অভিভাবক ও শিক্ষা সংশ্লিষ্ট সবাইকে এগিয়ে আসতে হবে। তবেই এ সময়
কেটে যাবে এবং শিক্ষা ব্যবস্থার অগ্রগতির মাধ্যমে দেশের চলমান উন্নয়ন কর্মকাণ্ডকে আরও ত্বরান্বিত করা যাবে।
লেখক: শাহ জালাল মিশুক, সহকারী অধ্যাপক, নগর ও অঞ্চল পরিকল্পনা বিভাগ, চট্টগ্রাম প্রকৌশল ও প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়।
It is heartening to know that despite the gloomy predictions of remittances going down as a
fallout of the Covid-19 crisis, quite the opposite has happened in the last few months.
According to a report in this daily, remittances have been pouring in consistently for the last
four months with USD 2.15 billion coming in last month, providing relief to the economy in
the middle of a pandemic. All this is good news for Bangladesh but as experts have pointed
out, we must not be complacent and must make sure that the upward trend in remittance
inflows is maintained. We must also explore the reasons for the inflow at a time when
thousands of migrant workers have been laid off and forced to come back home because of
the pandemic.
Experts have attributed several factors to this unexpected remittance inflow. These include:
migrant workers bringing back all their savings after being laid off; the two-percent cash
incentive being disbursed since July last year encouraging them to send money through
formal channels, especially with the hundi system being stalled; and some Bangladeshi
expats in North America and Europe deciding to keep their money in Bangladeshi banks that
offer some interest on their deposits as opposed to the almost zero interest in the host
countries.
But out of the one crore Bangladeshis living in about 160 countries, most are low-paid
migrant workers in the Middle East and Southeast Asian countries, who contribute a bulk of
foreign currency in the state coffers. If we want to maintain the upward trend in remittances,
we must take strategic steps to encourage the inflows. Sending money through formal
channels have to be made more attractive through continued cash incentives and by making
the process of sending money fast, simple and smooth. Previously, 49 percent of the total
remittance was sent using the non-banking channels. Agrani Bank's recent launch of an app-
based system in Singapore to reach Bangladeshi remitters is an example of how banks can
make sending money home easier. Of course, all this assumes that most of the migrants who
have come back will get their jobs back in foreign lands. The Bangladesh government must,
therefore, do its part in facilitating their return through negotiations with the host countries
and ensuring that plane tickets are available for those who need to go back to their jobs
within a certain period of time.
It is ironic that this uplifting news comes at a time when we also learn of returnee migrants
being incarcerated in jail because they have apparently "tarnished the image of the country".
This has been because of their undocumented status as a result of them being duped by
unscrupulous recruiters and employers. Instead of helping these migrants, many of whom
have contributed to the economy through their hard-earned remittances, we have ended up
adding to their trauma by treating them like criminals. Thus while we enjoy the fruits of the
high flow of remittances, we must also acknowledge the contributions of these workers by
treating them with respect, empathy and fairness
করোনাভাইরাসের মহামারি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়ানোর ইঙ্গিত দিচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। ইতিমধ্যেই দেশের অর্থনৈতিক
কর্মকাণ্ড ঘুরে দাঁড়াতে যে সব সূচক নিয়ামক হিসেবে কাজ করে সেগুলো ঊর্ধ্বমুখী ধারায় ফিরেছে। এর মধ্যে শীর্ষে
রয়েছে প্রবাসীদের পাঠানো কষ্টার্জি ত রেমিটেন্স। এর পরেই রয়েছে পোশাক শ্রমিকদের ঘাম ঝরানো রপ্তানি আয়। এ
ছাড়া রয়েছে দেশের কৃ ষি খাত ও শেয়ারবাজার। এদিকে আন্তর্জ াতিক উন্নয়ন সংস্থাগুলোও বাংলাদেশের অর্থনীতির
ঘুরে দাঁড়ানোর গতি বেশ উৎসাহব্যঞ্জক বলে মন্তব্য করেছেন।
সংশ্লিষ্টরা জানান, করোনাকালে স্বাভাবিকভাবেই শিল্প-কারখানার উৎপাদনে নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। কর্মী ছাঁটাইয়ের
মতো ঘটনা ঘটেছে।
এমনকি আর্থিক সংকটে পড়ে অনেক কারখানাও বন্ধ করা হয়েছে। কিন্তু করোনার ধাক্কা কাটিয়ে ধীরে ধীরে
পুনরুদ্ধারের পথে এগোচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
অর্থনীতির বিভিন্ন তথ্য-উপাত্ত বিশ্লেষণ করে দেখা গেছে, কৃ ষিপণ্যের উৎপাদন বেশ ভালো হচ্ছে। কোথাও কোনো
ঘাটতি নেই। পাশাপাশি দেশের রপ্তানি আয়, রেমিটেন্স প্রবাহ, শেয়ারবাজার ও বাংলাদেশ ব্যাংকের রিজার্ভ সহ বেশ
কিছু সূচক করোনা মহামারির ধাক্কা সামলে আগের ধারায় ফিরেছে।
এ ছাড়া মোট দেশজ উৎপাদন (জিডিপি) ৬.৮ শতাংশ বাড়তে পারে বলে প্রাক্কলন করেছে এশীয় উন্নয়ন ব্যাংক
(এডিবি)। বাংলাদেশ পরিসংখ্যান ব্যুরোর (বিবিএস) হিসেবে করোনাভাইরাসের মধ্যেও গেল ২০১৯-২০ অর্থবছরে
জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৫.২৪% অর্জ ন হয়েছে। সেই সঙ্গে দেশের মাথাপিছু আয়ও ২ হাজার ডলার ছাড়িয়ে ২ হাজার ৬৪ ডলারে
উঠেছে।
এদিকে বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, করোনার মধ্যে রেমিটেন্স আসার ক্ষেত্রে রেকর্ড হয়েছে। করোনার মধ্যে
আমদানি-রপ্তানি খাতও ঘুরে দাঁড়িয়েছে। শুধু তাই নয়, এই করোনাকালে সুবাতাস বইছে শেয়ারবাজারেও। দৈনিক
লেনদেনের পরিমাণ হাজার কোটি টাকা ছাড়িয়েছে। মূল্য সূচকও ৫ হাজার পয়েন্ট ছাড়িয়েছে। এ ছাড়া দেশে মূল্যস্ফীতি
নিয়ন্ত্রণের মধ্যে রয়েছে।
কয়েকদিন আগেও নিজেদের ব্যবসা-বাণিজ্য পরিচালনা, ছোট-বড় ব্যবসায়ী যারা ভবিষ্যৎ নিয়ে শঙ্কায় ছিলেন, তাদের
শঙ্কা কাটতে শুরু করেছে। ব্যবসায়ীদের আস্থা ফিরছে বলেও বেসরকারি গবেষণা প্রতিষ্ঠান সাউথ এশিয়ান নেটওয়ার্ক
অন ইকোনমিক মডেলিং (সানেম)-এর গবেষণায় উঠে এসেছে।
আইএমএফের ওয়েবসাইটে জিডিপির একটা বিশ্ব মানচিত্র আছে। যেসব দেশে জিডিপি শূন্যের নিচে, মানে ঋণাত্মক ৩
থেকে ঋণাত্মক ৬, তাদেরটা লাল; শূন্য থেকে ঋণাত্মক ৩ কমলা; আর যারা ধনাত্মক, তারা সবুজ। পুরো উত্তর
আমেরিকা লাল, ইউরোপ লাল, দক্ষিণ আমেরিকা লাল আর কমলা, অস্ট্রেলিয়া লাল। শুধু বাংলাদেশ, ভারত, চীনের
মতো অল্প ক’টি দেশ প্রবৃদ্ধিতে ইতিবাচক ধারাবাহিকতা অব্যাহত রাখছে।
যুক্তরাষ্ট্রের প্রবৃদ্ধি ঋণাত্মক ৫.৯ শতাংশ, যুক্তরাজ্যের ঋণাত্মক ৬.৫ শতাংশ, অস্ট্রেলিয়ার ঋণাত্মক ৬.৭ শতাংশ,
থাইল্যান্ড ঋণাত্মক ৬.৭ শতাংশ, পাকিস্তান ঋণাত্মক ১.৫ শতাংশ। সেখানে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ধনাত্মক ২
শতাংশ। এটা ২০২০ সালের কথা, আইএমএফের হিসাব।
অন্যদিকে ট্রেডিং ইকোনমিকস নামের একটা সাইট বলছে ২০২০-২১ সালে বাংলাদেশের প্রবৃদ্ধি হবে ৮.৫ শতাংশ।
এদিকে ওয়াশিংটন পোস্টের প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, মহামারি কাটিয়ে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বাংলাদেশের অর্থনীতি। এক্ষেত্রে
দেশটিকে আশা দেখাচ্ছে মূল রপ্তানি পণ্য পোশাক খাত ও প্রবাসীদের পাঠানো রেমিটেন্স।
পরিকল্পনা কমিশনের সাধারণ অর্থনীতি বিভাগের সদস্য ও সিনিয়র সচিব ড. শামসুল আলম বলেন, চলতি বছর
আমাদের ৩৮.৩ মিলিয়ন ধান উৎপাদন হয়েছে, গত বছর এর পরিমাণ ছিল ৩৬.৩ মিলিয়ন টন। এই বছর ২
মিলিয়ন টন বেশি উৎপাদন হয়েছে। গত জুলাই মাসে ৩০০ কোটি ডলার এবং গত আগস্ট মাসে আয় হয়েছে
৩৩৬.৩৩ কোটি ডলার। এটি ২০১৯ সালের একই সময়ের চেয়ে বেশি। এ ছাড়া প্রবাসী আয় রেকর্ড পরিমাণ
বেড়েছে। গত জুলাই মাসে রপ্তানি খাতে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৫.৯ শতাংশ এবং আগস্ট মাসে প্রবৃদ্ধি হয়েছে ৪.৩ শতাংশ।
অর্থনীতির এসব সূচক বিশ্লেষণ করে বলা যায় আমাদের অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়িয়েছে।
বিজিএমইএ’র সাবেক সভাপতি আনোয়ারুল আলম চৌধুরী পারভেজ বলেন, কোভিড-১৯ কারণে সারাবিশ্বের
অর্থনীতি টালমাটাল অবস্থার মধ্যে পড়েছে। সবশেষ কোয়ার্ট ারে জাপান, ভারত, ইউকে এবং জার্মানির অর্থনীতিতে
বড় ধরনের ধস নেমেছে। সেক্ষেত্রে বাংলাদেশ বেটার অবস্থানে রয়েছে। তিনি বলেন, চলতি অর্থবছরে আমাদের তৈরি
পোশাক খাত ধীরে ধীরে ভালো করছে। ফলে চলতি অর্থবছরের জুলাই থেকে সেপ্টেম্বর এই কোয়ার্ট ারে আমাদের
অর্থনীতি একটা স্বস্তিদায়ক অবস্থানে থাকবে বলে আশা করছি। তবে এটা বলা যায়, লোকাল মার্কে ট এখন স্বস্তির
জায়গায় আসেনি। স্থানীয় ছোট ছোট প্রতিষ্ঠানগুলোকে চাঙ্গা করতে পারলে আমাদের অর্থনীতি স্বস্তির মধ্যেই রাখা
সম্ভব হবে। সেজন্য লোকাল মার্কে টের দিকে নজর দিতে হবে।
বিজিএমইএ সভাপতি রুবানা হক বলেন, এই মুহূর্তে আমরা বলতে পারি, তৈরি পোশাক শিল্প মার্চ -মে সময়ের খারাপ
সময় কাটিয়ে আবার প্রবৃদ্ধির ধারায় ফিরে আসতে সক্ষম হয়েছে। পশ্চিমা দেশগুলোর অর্থনীতি ঘুরে দাঁড়ানোর সঙ্গে
সঙ্গে আমরা ক্রেতাদের সফলভাবে আলোচনার টেবিলে ফিরিয়ে আনতে সক্ষম হয়েছি। এ কারণেই বাতিল হওয়া ৩১৮
কোটি ডলারের ক্রয় আদেশের ৮০ থেকে ৯০ শতাংশই ফিরে পাওয়া গেছে।
পলিসি রিসার্চ ইনস্টিটিউটের নির্বাহী পরিচালক আহসান এইচ মনসুর বলেন, পোশাক খাত ভালোভাবে ঘুরে দাঁড়াচ্ছে।
আমাদের কৃ ষি খাতও ভালো করছে। রেমিটেন্স আসছে। এই সবই অর্থনীতির জন্য ভালো লক্ষণ।
এফবিসিসিআই’র সভাপতি শেখ ফাহিম বলেন, বাংলাদেশের উৎপাদন খরচ কম। আর এসব বিষয় মিলিয়ে বাংলাদেশ
অবশ্যই বিনিয়োগের একটি আকর্ষণীয় জায়গা। তিনি বলেন, আমরা বিনিয়োগে আগ্রহী বিভিন্ন দেশকে বলেছি, সব
ধরনের সহযোগিতা করবো, বিনিয়োগ করুন।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য বলছে, করোনার এই সময়ে প্রতিদিনই প্রবাসীরা আগের যেকোনো সময়ের চেয়ে বেশি
রেমিটেন্স পাঠাচ্ছেন। অর্থবছরের প্রথম মাস জুলাইতে প্রবাসীরা ২৬০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন। গত
বছরের জুলাইতে প্রবাসীরা রেমিটেন্স পাঠিয়েছিলেন ১৫৯ কোটি ৭৬ লাখ ডলার। এই হিসাবে গত বছরের একই
সময়ের তু লনায় রেমিটেন্স বেড়েছে এক বিলিয়ন ডলারের মতো। গত জুন মাসে প্রবাসীরা ১৮৩ কোটি ডলার
পাঠিয়েছেন। জুন মাসে এটি ছিল রেকর্ড । তবে সেই রেকর্ড ভেঙে জুলাইতে ২৬০ কোটি ডলারের রেমিটেন্স পাঠিয়েছেন
প্রবাসীরা। রেমিটেন্স প্রবাহ অব্যাহতভাবে বাড়ার ফলে বাংলাদেশ ব্যাংকের বৈদেশিক মুদ্রার রিজার্ভ ৩৭.২৮৭ বিলিয়ন
ডলারের সর্বোচ্চ রেকর্ড অতিক্রম করেছে। বাংলাদেশের ইতিহাসে যা এ যাবৎকালের মধ্যে সর্বোচ্চ।
গবেষণাকেই যেন পেশা হিসেবে গ্রহণ করা যায় সেরকম সুযোগ থাকতে হবে এদেশের তরুণ মেধাবীদের জন্য।
প্রাচীন যুগে ‘‘আগুন’’ আবিষ্কারের মধ্য দিয়ে মানব সভ্যতার এগিয়ে চলার যে নতু ন যুগের সূচনা হয় তারই
পরিক্রমায় কৃ ষিকাজ ও চাকার মতো ছোট-বড় নানা উদ্ভাবনের মাধ্যমেই যাযাবর আদিম মানুষেরা সমাজ ভিত্তিক
সভ্যতার গোড়াপত্তন করে।
১৭৮৪ সালে জেমস ওয়াটের বাষ্পীয় ইঞ্জিনের আবিষ্কার মানব সভ্যতায় প্রথম শিল্প বিপ্লবের সূচনা হয়। শ্রমভিত্তিক
উৎপাদন ব্যবস্থা থেকে আমরা যন্ত্রের মাধ্যমে উৎপাদন ব্যবস্থার সঙ্গে পরিচিত হই। ১৮৭০ সালের বিদ্যুতের আবিষ্কার
মানব সভ্যতায় নতু ন মাত্রা সংযুক্ত করে। ২য় শিল্প বিপ্লবটি ছিল মূলত বিদ্যুতকে কেন্দ্র করে। ৩য় শিল্প বিপ্লবে
কম্পিউটার ও ইন্টারনেটের ব্যপক ব্যবহার এবং অটোমেশন প্রযুক্তির ওপর ভিত্তি করে সভ্যতা এগিয়ে যায়, অনেকটা
অকল্পনীয় গতিতে।
বিগত সময়ের সমস্ত হিসেব-নিকাশকে বাতিল করে আমাদের দরজায় এখন যে শিল্প বিপ্লবটি কড়া নাড়ছে সেটি হচ্ছে
কৃ ত্রিম বুদ্ধিমত্তাভিত্তিক ৪র্থ শিল্প বিপ্লব, যার গতির দৌড় কল্পনার চেয়েও বেশি। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবটির ভিত হচ্ছে ‘‘জ্ঞান
এবং কৃ ত্রিম বুদ্ধিমত্তা’’ ভিত্তিক কম্পিউটিং প্রযুক্তি। রোবটিক্স, আইওটি, ন্যানো প্রযুক্তি, ডেটা সাইন্স ইত্যাদি প্রযুক্তি
প্রতিনিয়ত ৪র্থ শিল্প বিপ্লবকে নিয়ে যাচ্ছে অনন্য উচ্চতায়।
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের প্রভাব সবচেয়ে বেশি পড়বে কর্মবাজারে। অটোমেশন প্রযুক্তির ফলে ক্রমশ শিল্প কারখানা হয়ে পড়বে
যন্ত্রনির্ভ র। টেক জায়ান্ট কোম্পানি অ্যাপলের হার্ড ওয়্যার নির্মাতা প্রতিষ্ঠান ফক্সকন ইতোমধ্যে ৬০ হাজার কর্মী ছাটাই
করে তার পরিবর্তে রোবটকে কর্মী হিসাবে নিয়োগ দিয়েছে। বিগত বছরগুলোতে চীনের কারখানাগুলোতে রোবট
ব্যবহারের হার বৃদ্ধি পেয়েছে ৩০.৮%। ওয়ার্ল্ড ইকোনমিক ফোরাম তাদের একটি গবেষণা প্রতিবেদনে জানিয়েছে,
২০২২ সালের মধ্যে রোবটের কারণে বিশ্বজুড়ে সাড়ে ৭ কোটি মানুষ চাকরি হারাবে। ম্যাককিনস গ্লোবাল ইন্সটিটিউটের
তথ্যমতে, ২০৩০ সালের মধ্যে চাকরি হারানো মানুষের সংখ্যা হবে প্রায় ৮০ কোটি । ফরচু ন ম্যাগাজিনের এক
প্রতিবেদনে বলা হয়েছে, বিশ্বের অন্তত ৫০০টি নেতৃ স্থানীয় কোম্পানি তাদের নিয়োগ প্রক্রিয়া ছেড়ে দিয়েছে কৃ ত্রিম
বুদ্ধিমত্তার হাতে, অর্থাৎ যন্ত্র এখন মানুষকে নিয়োগ দিচ্ছে। ধরা যাক চালকবিহীন গাড়ির কথা, টেসলা ২০২০ সালে
নিউইয়র্কে র রাস্তায় এ ধরনের গাড়ি নামানোর ঘোষণা দিয়েছে, অবশ্য দুবাইসহ অনেক জায়গায় পরীক্ষামূলকভাবে
চলছে এ ধরনের গাড়ি। অদূর ভবিষ্যতে দেখা যাবে শুধুমাত্র এ ধরনের গাড়ির কারণেই লাখ-লাখ চালককে চাকরি
হারাতে হবে। ড্রাইভার ছাড়া গাড়ি পেলে কে চাইবে বেতন দিয়ে ড্রাইভার রাখতে?
এসব আশঙ্কার ভেতরেই রয়েছে আগামী দিনের অর্থনৈতিক সমৃদ্ধি অর্জ নের বিশেষ সম্ভাবনা। বাংলাদেশে বর্ত মানে
তরুণের সংখ্যা ৪ কোটি ৭৬ লাখ যা মোট জনসংখ্যার ৩০%। বাংলাদেশের ক্ষেত্রে আগামী ৩০ বছর জুড়ে তরুণ বা
উৎপাদনশীল জনগোষ্ঠী সংখ্যাগরিষ্ঠ থাকবে। বাংলাদেশের জন্য ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল ভোগ করার এটাই সব থেকে
বড় হাতিয়ার। জ্ঞানভিত্তিক এই শিল্প বিপ্লবে প্রাকৃ তিক সম্পদের চেয়ে দক্ষ মানবসম্পদই হবে বেশি মূল্যবান। ৪র্থ শিল্প
বিপ্লবের ফলে বিপুল পরিমাণ মানুষ চাকরি হারালেও এর বিপরীতে সৃষ্টি হবে নতু ন ধারার নানাবিধ কর্মক্ষেত্র। নতু ন
যুগের এসব চাকরির জন্য প্রয়োজন উঁচু স্তরের কারিগরি দক্ষতা। ডেটা সাইন্টিস্ট, আইওটি এক্সপার্ট , রোবটিক্স
ইঞ্জিনিয়ারের মত আগামি দিনের চাকরিগুলোর জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী তরুণ জনগোষ্ঠী।
অক্সফোর্ড বিশ্ববিদ্যালয়ের এক গবেষণা অনুযায়ী, আগামী দুই দশকের মধ্যে মানবজাতির ৪৭% কা স্বয়ংক্রিয় কৃ ত্রিম
বুদ্ধিমত্তা সম্পন্ন যন্ত্রের মাধ্যমে হবে। ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের ফলে শ্রমনির্ভ র এবং অপেক্ষাকৃ ত কম দক্ষতা নির্ভ র চাকরি
বিলুপ্ত হলেও উচ্চদক্ষতা নির্ভ র যে নতু ন কর্মবাজার সৃষ্টি হবে আমাদের তরুন প্রজন্মকে তার জন্য প্রস্তুত করে তোলার
এখনই সেরা সময়। দক্ষ জনশক্তি প্রস্তুত করা সম্ভব হলে জনমিতিক লভ্যাংশকে কাজে লাগিয়ে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল
ভোগ করার ক্ষেত্রে বাংলাদেশ অন্যান্য অনেক দেশ থেকে অনেক বেশি উপযুক্ত।
এক্ষেত্রে আমাদের জন্য সবচেয়ে ভালো উদাহরণ হতে পারে জাপান। ২য় বিশ্বযুদ্ধের পর ভঙ্গুর অর্থনীতি থেকে আজকের
২য় বৃহত্তম অর্থনীতির দেশ জাপান পৃথিবীকে দেখিয়ে দিয়েছে শুধুমাত্র মানবসম্পদকে কাজে লাগিয়ে অর্থনৈতিক এবং
সার্বিক জীবনমানের উত্তরণ ঘটানো যায়। জাপানের প্রাকৃ তিক সম্পদ অত্যন্ত নগণ্য এবং আবাদযোগ্য কৃ ষি জমির
পরিমান মাত্র ১৫%। জাপান তার সব প্রাকৃ তিক প্রতিকূলতাকে অতিক্রম করেছে তার জনসংখ্যাকে সুদক্ষ জনশক্তিকে
রূপান্তরিত করার মাধ্যমে। জাপানের এই উদাহরণ আমাদের জন্য সবচেয়ে বেশি উপযোগী। বাংলাদেশের সুবিশাল
তরুণ জনগোষ্ঠীকে জনসম্পদে রূপান্তরিত করতে পারলে আমাদের পক্ষেও উন্নত অর্থনীতির একটি দেশে পরিণত হওয়া
অসম্ভব নয়।
৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুযোগকে কাজে লাগাতে হলে আমাদের প্রধানতম লক্ষ্য হতে হবে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের উপযোগী সুদক্ষ
মানবসম্পদ সৃষ্টি, আর এজন্য প্রয়োজন হবে শিক্ষা ব্যবস্থার আমূল পরিবর্ত ন। জ্ঞানভিত্তিক সমাজ গঠনের জন্য
মেধাবীদের মূল্যায়ন করতে হবে, বাড়াতে হবে গবেষণায় বরাদ্দ। গবেষণাকেই যেন পেশা হিসেবে গ্রহণ করা যায়
সেরকম সুযোগ থাকতে হবে এদেশের তরুণ মেধাবীদের জন্য। আর সেরকমটি সম্ভব হলে আমাদের পক্ষে জাপানের
মতো মানব সম্পদ ভিত্তিক একটি কল্যাণরাষ্ট্র গঠন করা অসম্ভব হবে না। ৪র্থ শিল্প বিপ্লব এখন কেবল গবেষণা-পত্রের
তাত্ত্বিক কথা নয়। প্রতিনিয়ত ডিজিটালাইজেশনের দৌড়ে খাপ খাওয়াতে না পারলে ৪র্থ শিল্প বিপ্লবের সুফল পাওয়া
মোটেই সম্ভব হবে না। আগামীর পৃথিবীটি হবে জ্ঞানভিত্তিক প্রজন্মের পৃথিবী, তাই সেই সময়ের জন্য প্রস্তুতি নেয়ার
এখনই সময়। অন্যথায় পিছিয়ে থাকার গল্প কেবল বারবারই পুনরাবৃত্তি হতে থাকবে।
.তারল্য হল ব্যাংকের স্বল্প কালিনে অর্থ পরিশোধ করার ক্ষমতা। তারল্য সংকট বলতে আমরা বুঝি – কোন কারণে
গ্রাহক যদি ব্যাংকের নিকট টাকা চেয়ে না পান তখন তারল্য সংকট পরিলক্ষিত হয় অর্থাৎ গ্রাহকের চাহিদা মেটানোর
মত টাকা ব্যাংকে জমা না থাকার মত অবস্থাকে তারল্য সংকট বলে।তারল্য সংকট বর্ত মানে আমাদের দেশে প্রকট
আকার ধারণ করেছে।বেসরকারি খাতের সবচেয়ে বড় ব্যাংকগুলো নাজেহাল অবস্থায়, চলছে কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে
বিশেষ সুদে ঋণ বরাদ্দ নিয়ে।
গ্রাহক ব্যাংকের নিকট গিয়ে তার চাহিদা মত টাকা লেনদেন করতে পারছে না।বিশেষকরে যারা ঋণ নিতে চায় তারা
তাদের প্রয়োজনীয় ঋণ পাচ্ছে না। এই অবস্থা বেশ কিছু দিন ধরেই বিরাজমান। কোন ভাবেই এর উন্নতি লক্ষ্য করা
যাচ্ছে না। বরং করোনা মহামারীতে দিন কে দিন এই অবস্থা আরো খারাপের দিকে যাচ্ছে।
বাংলাদেশে ব্যাংকের তথ্যমতে,সার্বিকভাবে ব্যাংকখাতের উদ্ধৃত তারল্য কমছে।আবার, তারল্যের উপর চাপের কারণে
সুদহার কমানো যাচ্ছে না।একদিকে যেমন আমানতে সুদের হার বেশি গুনতে হচ্ছে,অন্যদিকে ঋণ আদায় বাড়ানো যাচ্ছে
না।গত মাসের তথ্যমতে মাত্র ১২ টি ব্যাংকে তহবিল আছে ঋণ দেবার মত,বাকি ব্যাংক গুলো চলছে ধার করে।
বাংলাদেশ ব্যাংকের তথ্য অনুযায়ী, গত বছরের ডিসেম্বর শেষে উচ্চ খেলাপি ঋণের কারণে প্রয়োজনীয় ন্যূনতম মূলধন
সংরক্ষণে (সিএআর) ব্যর্থ হয়েছে ১২ ব্যাংক। ডিসেম্বর প্রান্তিক শেষে এসব ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি দাঁড়িয়েছে প্রায় ২৩
হাজার ৬০০ কোটি টাকা। এ সময় ব্যাংকিং খাতে সামগ্রিক মূলধন পর্যাপ্ততার হার (সিআরএআর) সামান্য হ্রাস পেয়ে
দাঁড়িয়েছে ১১ দশমিক ৫৭ শতাংশ। আগের প্রান্তিক সেপ্টেম্বর শেষে ১২ ব্যাংকের মূলধন ঘাটতি ছিল ১৭ হাজার ৬৫৮
কোটি টাকা।
এই বার আসা যাক তারল্য সংকট কেন হচ্ছে তার কিছু কারন। বর্ত মানে বাংলাদেশের অর্থনীতির আলোকে তারল্য
সংকটের কিছু কারন উল্লেখ করা হলোঃ
১. সরকারী ঋণ: বর্ত মানে বিভিন্ন কারণে সরকার ব্যাংকগুলি থেকে অতিরিক্ত ঋণ নিচ্ছে, ফলস্বরূপ ব্যাংকগুলি চরম
তরলতার সংকটে রয়েছে।
২. শেয়ারবাজারে বিনিয়োগ: অল্প সময়ে বেশি লাভের আশায় অনেকে ব্যাংক ও অন্যান্য আর্থিক প্রতিষ্ঠান থেকে প্রচু র
পরিমাণে অর্থ সংগ্রহ করে শেয়ার বাজারে বিনিয়োগ করেছে।শেয়ারবাজারের ক্রমাগত ধ্বসে অনেকে অাত্নহত্যা
করায় খেলাপি ঋণ বাড়ছে,যার কারণে তারল্য সংকট চরমে।
৩. আমানতকারীদের অবিশ্বস্ততা: ব্যাংকিং খাতে বেশ কয়েকটি বড় আর্থিক কেলেঙ্কারি জনগণের মধ্যে আস্থার সংকট
তৈরি করেছে। এখন অনেক লোক ব্যাংকে টাকা রাখার চেয়ে সঞ্চয়পত্রের বিনিয়োগে বেশি আগ্রহী। এসব কারণে
ব্যাংকিং খাতে তরলতার সংকট তৈরি হয়েছে।
৪. ঋণ পরিশোধের মেয়াদ বাড়ানো:এক সমীক্ষণ থেকে দেখা গেছে যে এক ধরণের ব্যবসায়ী খেলাপিদের তালিকায়
অন্তর্ভু ক্ত থেকে নিরাপদে থাকার ভয়ে আগে তিন মাসের মধ্যে ঋণ পরিশোধ করতেন। কিন্তু এখন খেলাপি ঋণের সংজ্ঞা
পরিবর্তি ত হওয়ায় ব্যবসায়ীরা ৯ মাস পাচ্ছেন। অন্য কথায়, এখন ব্যবসায়ীরা ৯ মাস ঋণ পরিশোধ না করেই খেলাপি
থেকে মুক্ত থাকতে পারবেন। ফলস্বরূপ, তিন মাসের শেষে যারা ঋণ শোধ করতো তারা এখন ৯ মাসের শেষে ঋণ
পরিশোধ করছে। এটি ব্যাংকে নগদ প্রবাহকে বাধা দিচ্ছে।
৫. মেগাপ্রজেক্টে বিনিয়োগ: মেগা অবকাঠামোগত প্রকল্পগুলির চলমান বাস্তবায়ন নগদ ঘাটতি বাড়িয়ে তোলে। কারণ
ঋণদানকারীরা কেন্দ্রীয় ব্যাংক থেকে ডলার কেনার মাধ্যমে এগুলি বাস্তবায়নের জন্য আমদানি অর্থায়ন সরবরাহ করে
চলেছে।
৬. বৈদেশিক মুদ্রার পরিমান কমে যাওয়াঃ বেশ কিছু দিন ধরে লক্ষ্য করা যাচ্ছে যে আমাদের দেশে রেমিটেন্স প্রবাহ
কমে গেছে। কারন বিদেশ থেকে কর্মী প্রেরন ও কর্মী না নেয়া বিভিন্ন কারনে রেমিটেন্স প্রবাহ কমে গেছে। করোনা
পরিস্থিতির কারনে এই তারল্য সংকট আর প্রকট আকার ধারন করেছে।
৭.দেশে বিদ্যমান উচ্চহারে মুদ্রাস্ফীতি: মুদ্রাস্ফীতি এটি আরেকটি অন্যতম প্রধান কারন। মুদ্রাস্ফীতির কারনে মানুষের
ক্রয়ক্ষমতা কমে গেছে। মানুষ উচ্চ মূলে জিনিসপত্র কিনতে হচ্ছে, ফলে মানুষ বাধ্য হয়ে ব্যাংককে পূর্বের সঞ্চয়ের টাকা
তু লে জীবিকা নির্বাহের চেষ্টা করছে।
তারল্য সংকট সমাধানে ব্যাংকগুলো অনেক পরিকল্পনা হাতে নিয়েছে।
তারল্য সংকট সমাধানের উপায় ও করণীয়:
১.সর্বপ্রথম আইন পরিবর্ত ন করা,কঠোর নীতিমালা প্রণয়ন।
২.খেলাপি ঋণ আদায়ে অর্থ ঋণ আদালতকে প্রভাবমুক্ত ও কার্যকর করা।
৩.খেলাপিঋণ গ্রহীতার সাথে সমঝোতার মাধ্যমে বিতরণকৃ ত ঋণ আদায়ে সচেষ্ট হওয়া।
৪.ঋণ প্রদানেরপূর্বে যথাযথ মনিটরিং।
৫.অতিরিক্ত মুনাফা অর্জ নের প্রবৃত্তি ত্যাগ করা।
৬.দক্ষ জনবল নিয়োগ করা।
৭.বাংলাদেশ ব্যাংক এর নির্দে শনা যথাযথভাবে অনুসরণ করা।
৮.সরকারের অতিমাত্রায় ঋণ গ্রহন বন্ধ করা।
৯.দেশের বাহিরে টাকা পাচার বন্ধ করা।
১০.বৈদেশিক মুদ্রা অর্জ নে সরকারকে প্রয়োজনীয় পদক্ষেপ গ্রহণ করা।
ব্যাংক ও আর্থিক প্রতিষ্ঠানে বিদ্যমান তারল্য সংকটের প্রকৃ ত কারন অনুসন্ধান করে এর সমাধানের উপায় খুজে বের
করা খুবই জরুরি। সেই সাথে ভবিষ্যতে এমন সংকট সৃষ্টি হতে না পারে তার প্রয়োজনীয় ব্যবস্থা এখনি নেয়া জরুরি।
যার, ফলে সমৃদ্ধ হবে ব্যাংকের তারল্য,সম্ভাবনায় ভরে উঠবে বাংলাদেশের অর্থনীতি।
.
Some say that wisdom comes with age while others insist that it comes from learning. Presently, with
the unadulterated touch of internet, learning is open to all. Hence, people in the countries where
traditional learning is facing various obstacles can take advantage of online courses.
COVID-19, specifically, has become a catalyst for educational institutions worldwide to search for
innovative solutions in a relatively short period. To help to decrease the spread of the virus and to
flatten the curve, schools around the world(including Bangladesh) have adopted online learning, an
electronically supported learning that relies on the Internet for teacher/student interaction and the
distribution of class materials.Never before have so many children been out of school at the same time
in any scenario ; Be it Bangladesh or any other affected country. The risk-control decisions have led
millions of students into temporary 'home-schooling' or 'online-learning' situations, especially in some
of the most heavily impacted countries. These changes have certainly caused a degree of
inconvenience, but they have also prompted new examples of educational innovation.
“Educating the mind without educating the heart is no education at all.” ― Aristotle
On March 16, 2020, amidst fears of the coronavirus outbreak, the Bangladesh government issued a
directive decreeing all educational institutions under the Ministry of Education to close.Online
learning is a saviour in these testing times and by choosing to learn from the most qualified teachers at
the cheapest of prices students can make the most of the time that they have in their hand.while there
have been inevitable teething problems, one can simply not deny that online courses represent the
future. The recent outbreak has left many experts wondering the course of events in future and online
learning is the only thing right now which can save our life from coming to a complete standstill.
In these testing circumstances due to impromptu closure, the biggest benefactors and the blessings in
disguise are the online learning platforms. Also known as E-learning this online learning method can
cater to the growing demands of the students in the most efficient manner. The online learning
platforms have seen a spike in the number of students who are enrolling in the plethora of courses
they offer.
.
Perils Of Online Education In Bangladesh =>
°°°°°°°
.
To tranquilize uncertainty prevails in our educational sector, some institutes have attempted online
education, but without a national policy they ran into legions of obstacles. For conducting online
classes, some basic requirements must be available to the students and teachers. The first three
primary requirements are digital devices, high-speed internet and a platform. Devices mean a personal
desktop computer, laptop or at least a smartphone. Uninterrupted high-speed internet is also a primary
necessity for online class as the users have to stream online videos or live videos. Without high-speed
internet, we might browse on the internet and use Facebook or WhatsApp but cannot stream live
videos. The third necessary facility is a user-friendly platform or learning management system. There
are many platforms available on the internet such as Google Classroom, Zoom, Moodle, et cetera.
With a short training, students and teachers can use these platforms. This short training is also
important for remote learning as it requires a little bit of digital literacy of the users. Actually, if these
three things can be ensured for both teachers and students then online class could be started.
But the main point is that whether these basic requirements are available to the students and teachers
or not. The Bangladesh Bureau of Statistics’ Multiple Indicator Cluster Survey 2019 shows that only
37.6 per cent of households in the country have access to internet. It also found that only 5.6 per cent
of households have a computer. It is imperative to state that, only internet connection is not adequate
for remote learning. It requires uninterrupted high-speed internet. Truly, we are yet to meet
infrastructural requirements of online class for all students. The policy makers need to address these
issues to accommodate all the students or a large number of students will be left outside of the system.
°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°°
Finally, Technological advancement is ensuring convenience for us in almost every step of our lives,
and we have seldom volatility about the fact. The use of technology, in fact, in the field of education
is becoming indispensable worldwide.In a matter of weeks, coronavirus (COVID-19) has changed
how students are being educated around the world. The education sector of Bangladesh is also
experiencing a strange transition. Those changes give us a glimpse at how education could change for
the better – and the worse – in the long term.Coronavirus is changing everything. It is creating a new
world. A world that we don't know of yet, but people, along with the educational system, must be
resilient to adapt to new changes that the pandemic will bring. We must remember the wise sayings -
"Education is the most powerful weapon which you can use to change the world."
by Nelson Mandela, an important way forward, we do believe, to truly implement Digital Bangladesh.
=============================
☞ The unadulterated touch of internet
= ইন্টারনেটের নিখাদ স্পর্শ।
☞ COVID-19, specifically, has become a catalyst for educational institutions worldwide = কভিড -
১৯, বিশেষভাবে, তামাম দুনিয়ার শিক্ষা প্রতিষ্ঠানের নিকট একটি অনুঘটক হিসেবে কাজ করেছে।
☞ Issued a directive decreeing all educational institutions under the Ministry of Education to close =
বিজ্ঞপ্তি প্রকাশ করে হুকুমজারি করার মাধ্যমে সকল শিক্ষা প্রতিষ্ঠান বন্ধ ঘোষণা করা।
☞ In these testing circumstances due to impromptu closure =
আপদকালীন সময়ে পূর্বাভাস ছাড়া বন্ধ হওয়ার কারণে ।
☞ The plethora of courses = A lot Of courses
☞ It is imperative to state that = বলা অত্যাবশ্যক যে।
☞ We are yet to meet infrastructural requirements of online class for all students =সকল শিক্ষার্থীদের
অনলাইন ক্লাসের খাতিরে অবকাঠামোগত প্রয়োজন মেটানো এখনো বাকি আছে।
☞ We have seldom volatility about the fact = এই প্রসঙ্গে আমাদের তিল পরিমাণ সন্দেহ নেই ।
করোনাভাইরাসের বিপর্যয় মোকাবিলার লক্ষ্য নিয়ে ১১জুন বেলা তিনটায় জাতীয় সংসদে স্পিকার শিরীন শারমিন
চৌধুরীর সভাপতিত্বে অর্থমন্ত্রী আ হ ম মুস্তফা কামাল ২০২০-২১ অর্থবছরের প্রস্তাবিত বাজেট পেশ করেন।
মানুষের জীবন রক্ষা আর জীবিকার নিশ্চয়তা দিতে 'অর্থনৈতিক উত্তরণ: ভবিষ্যৎ পথ পরিক্রমা' শিরোনামে ২০২০-
২০২১ অর্থ বছরের জন্য ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকার বাজেট প্রস্তাব পেশ করা হয়েছে, যেখানে ৬ শতাংশ ঘাটতির
কথা বলা হয়েছে (চলতি বছরের তু লনায় যা ১ শতাংশ বেশি) ।
করোনাভাইরাস মোকাবিলার জন্য এবার স্বাস্থ্য ও কৃ ষিখাতকে ঘিরে দীর্ঘমেয়াদী পরিকল্পনা হাতে নেয়া হয়েছে।
এই বাজেটে কোভিড-১৯ এ আক্রান্তদের চিকিৎসা দিতে যেসব আমদানিকৃ ত চিকিৎসা সরঞ্জামের প্রয়োজন, সেগুলোর
দাম কমানোর প্রস্তাব করা হয়েছে।
এবারের বাজেটে ব্যক্তিগত করের হার কমানো হলেও ব্যাংক হিসাবের স্থিতির ওপর আবগারি শুল্কের হার বাড়ানোর
প্রস্তাব করা হয়েছে।
ব্যাংক হিসেবে ১০ লাখ থেকে ১ কোটি টাকা জমা থাকলে আবগারি শুল্ক আগে যেখানে ২৫০০ টাকা দিতে হতো।
সেখানে এখন সেটা বাড়িয়ে ৩০০০ টাকা করার প্রস্তাব করা হয়েছে।
প্রস্তাবিত বাজেটের আকার ৫ লাখ ৬৮ হাজার কোটি টাকা। যা চলতি অর্থবছর অর্থাৎ ২০১৯-২০ অর্থবছরের চেয়ে
১৩.২% বেশি। টাকার অংকে এই পার্থক্য ৬৬ হাজার ৪২৩ কোটি টাকা।
বাজেটে ঘাটতি রয়েছে ১ লাখ ৯০ হাজার টাকা। আর নতু ন বছরের জন্য জিডিপি প্রবৃদ্ধি ৮.২ শতাংশ ধরা হয়েছে।
কোভিড- ১৯ রোগের প্রাদুর্ভ াবে বর্ত মান দেশের প্রতিটি শিল্প খাত ও অর্থনৈতিক ক্ষেত্র গুলো তে অনেকটা মন্দা ভাব
বিরাজ করছে। পাশাপাশি জনস্বাস্থ্য এখন বড় সংকটে। তাই এইবারের বাজেট সরকারের প্রত্যাশিত জিডিপি লক্ষ্য পূরণ
করা টা অনেক কষ্টসাধ্য হইয়ে পড়বে। করোনা ভাইরাস জনিত কারণে লকডাউন ও ব্যবসায় শ্লথ গতির কারণে
বর্ত মান বছরের বছরের রাজস্ব লক্ষ্যমাত্রা, দেশের অঅভ্যন্তরীণ শিল্পের উন্নতি ঘটানো সম্ভব নাও হতে পারে।
বলা হচ্ছে, ঊনিশশো তিরিশের দশকে যে বিশ্ব মহামন্দা পরিস্থিতি (যা গ্রেট ডিপ্রেশন নামে পরিচিত) তৈরি হয়েছিল,
তার পর এই প্রথম করোনাভাইরাসের কারণে বিশ্ব অর্থনীতিতে আবার বড় রকমের ধ্বস নেমেছে।
স্বল্প, মধ্য ও দীর্ঘমেয়াদি পরিকল্পনার মাধ্যমে দ্রুত পরিবর্ত ন, পরিবর্ধন ও পরিমার্জ নের ব্যবস্থা রেখেই অত্যন্ত ক্ষিপ্রতার
সঙ্গে সব চ্যালেঞ্জ মোকাবেলার পূর্বপ্রস্তুতি থাকতে হবে।
#বিশ্ব_অর্থনীতির_যে_ক্ষতি_করেছে_ও_করবে_করোনাভাইরাস
করোনাভাইরাসের আঘাতে বিপর্যস্ত হয়ে পড়েছে গোটা বিশ্ব, ভেঙে পড়েছে অর্থনীতি।
এই ভাইরাসের ছোবলে বিশ্বজুড়ে এখন পর্যন্ত আক্রান্ত হয়েছে ১ কোটি ১১ লাখ ৯১ হাজার ৮১০ জন। এর
মধ্যে মৃত্যু হয়েছে ৫ লাখ ২৯ হাজার ১২৭ জনের। বিশ্বব্যাপী প্রতিমুহূর্তে বাড়ছে এই আক্রান্ত ও মৃত্যুর সংখ্যা।
.
এখন পর্যন্ত মারণ এই ভাইরাসের কোনো প্রতিষেধক আবিষ্কার না হওয়ায় সামাজিকভাবে এটিকে প্রতিরোধের
চেষ্টা করছে। এ জন্য বিশ্বের আক্রান্ত প্রায় সব দেশই লকডাউনের মধ্য দিয়ে চলছে। এতে করে ভয়াবহ ধস
নেমেছে বিশ্ব অর্থনীতিতে।
এক নজরে বিশ্ব অর্থনীতির ভয়াবহ ধসের চিত্র তু লে ধরা হল:-
১. করোনায় লকডাউনের কারণে বিশ্বের সবচেয়ে ধনী রাষ্ট্র আমেরিকার রপ্তানি বাণিজ্যে চরম ধস নেমেছে।
এতে করে মার্কি ন বাণিজ্য ঘাটতি ২০০৯ সালের পর সর্বনিম্ন স্তরে নেমে গেছে।
২. করোনার কারণে গাল্ফ উপসাগরীয় দেশ বাহরাইন, কুয়েত, ইরাক, ওমান, কাতার, সৌদি আরব ও
সংযুক্ত আরব আমিরাতের অর্থনীতিতেও ব্যাপক ধস নেমেছে। আন্তর্জ াতিক মুদ্রা তহবিলের (আইএমএফ)
মতে, এ বছর এই দেশগুলোর অর্থনীতি ৭.৬ শতাংশ হারে সংকুচিত হবে।
৩. এশিয়ার দেশ ইন্দোনেশিয়ার বার্ষিক মূল্যস্ফীতি গত জুনে চরমে পৌঁছেছে, যা গত ২০ বছরে সর্বনিম্ন।
.
.
৪. চলতি বছর (২০২০ সাল) ইউরোপের দেশ গ্রিসের অর্থনীতি ৫.৮ শতাংশ হ্রাস পাবে। ব্যাংক অব গ্রিস
সম্প্রতি এই তথ্য জানিয়েছে।
৫. করোনার কারণে যুক্তরাজ্যের অর্থনীতিতেও ভয়াবহ ধস নেমেছে। চলতি বছরের শুরুতে ব্রিটেনের
অর্থনীতির যে পতন দেখা যায়, তা দেশটির ৪০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি।
৬. মহামারির কারণে ভিয়েতনামের জিডিপি রেকর্ড হারে কমেছে। চলতি বছরের প্রথমার্ধে দেশটির জিডিপি
ছিল মাত্র ১.৮১ শতাংশ, যা ২০১১ সালের পর সর্বনিম্ন।
৭. করোনাভাইরাসের প্রকোপ থেকে সামলাতে চরম ঝুঁ কির মুখে পড়েছে অস্ট্রেলিয়ার অর্থনীতিও। দেশটিতে
এরই মধ্যে গত ৩০ বছরের ইতিহাসে সবচেয়ে বেশি মুদ্রাস্ফীতি দেখা দিয়েছে। সেই সঙ্গে দেশটিতে
করোনাকালে বেকারত্বের হার বেড়েছে ৭.১ শতাংশ, যা গত ১৯ বছরের ইতিহাসে সর্বোচ্চ।
৯. আইএমএফ’র মতে, বৈশ্বিক এই সংকটের কারণে চলতি বছর বৈশ্বিক অর্থনীতি ৪.৯ শতাংশ সংকুচিত
হতে পারে।
ট্রাম্প থেকে বাইডেনের পলিসিগত পার্থক্য যে যে যায়গায়!আশাকরি নতু ন কিছু জানতে পারবেন।
Pandemic response
Joe Biden has repeatedly emphasized his plans to allow scientists to lead the federal
coronavirus response and has championed mask-wearing.
The former vice president wants to recruit at least 100,000 Americans for a "public health
jobs corps" of contact tracers to help track and curb outbreaks.
He has even called for a "Pandemic Testing Board" that would bump up the supply
coronavirus tests.
Biden also plans to restore the White House National Security Council Directorate for Global
Health Security and Biodefense, the pandemic response team he created with
President Barack Obama in 2016.
The former vice president says he'll establish at least 10 mobile testing sites and drive-
through Covid testing facilities in each state to speed up testing and protect healthcare
workers.
If elected president, Biden also plans to provide a daily White House report on how many
Covid tests have been performed by the Centers for Disease Control and Prevention, state
and local health authorities, and private labs.
আর্মেনিয়া-আজারবাইজান-রাশিয়া চু ক্তি
২০২০ সালের ১২ জুলাই থেকে সীমান্ত এলাকায় বিচ্ছিন্ন সংঘর্ষ (skirmishes) ঘটছে সাবেক সোভিয়েত ইউনিয়নের দুই রিপাবলিক
আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে। এর মধ্যে বেশ কয়েকবার অস্ত্রবিরতি হলেও কোনো শান্তি চু ক্তি হয়েছিলো না।
আর্মেনিয়রা নাগর্নো কারাবাখসহ বেশ কিছু অঞ্চলে নিয়ন্ত্রণ নিয়েছিলো। তবে ২৭ সেপ্টেম্বর ২০২০ আজারবাইজান তাদের ভূ খণ্ড পুন-উদ্ধারে
তু রস্কের সহযোগিতায় অভিযান শুরু করে এবং সফলও হয়।
কিন্তু শেষ দিকের ছয় সপ্তাহের তু মুল লড়াইয়ের পর ৯ নভেম্বর ২০২০ অবেশে চু ক্তি হলো।
চু ক্তির পক্ষ তিনটি দেশ: আর্মেনিয়া-আজারবাইজান-রাশিয়া। চু ক্তিতে স্বাক্ষর করেছেন Armenia Prime Minister Nikol Pashinyan,
Azerbaijan President Ilham Aliyev, and Russian President Vladimir Putin.
আর্মেনিয়া আগামী কয়েক সপ্তাহের মধ্যে নিকটবর্তী আরও কিছু এলাকা থেকে সরে যাবে।
আর্মেনিয়ার প্রধানমন্ত্রী পাশিনিয়ান বলছেন-"এটা কোনো বিজয় নয় কিন্তু নিজেকে পরাজিত না ভাবলে এখানে কোনো পরাজয় নেই।''
নাগর্নো কারাবাখ
নাগর্নো কারাবাখ মানে হলো উঁচু কালো পাহাড়। এটি দক্ষিণ ককেশাশের একটি স্থলবেষ্টিত ভূ খণ্ড। এই ভূ খণ্ডটি অবস্থিত আজারবাইজানের
ভিতরে। আন্তর্জ াতিকভাবে আজারবাইজানের অংশ হিসেবেই অধিক স্বীকৃ ত।
কিন্তু এখানে আর্মেনিয় জাতিগোষ্ঠী আর্ট সাখ প্রজাতন্ত্র (Republic of Artsakh) নামে একটি দেশ গঠন করেছে।
নাগোর্নো-কারাবাখের রাজধানী স্টেপানাকার্টে র কাছে পাহাড়ের ওপর গড়ে উঠেছে শুষা শহর। এর ভেতর দিয়ে চলে যাওয়া সড়ক যুক্ত
হয়েছে আর্মেনিয়ার সঙ্গে।
নাগর্নো কারাবাখ নিয়ে ১৯৮৮ সালে আর্মেনিয়া ও আজারবাইজানের মধ্যে যুদ্ধ শুরু হয়। ১৯৯১ সালে সোভিয়েত ইউনিয়ন ভেঙে যাওয়ার পর
সংঘর্ষ আরো ছড়িয়ে পড়লে নাগর্নো কারাবাখে স্বাধীনতার ঘোষণা দেয় আর্মেনিয়রা।
১৯৯৪ সালে রাশিয়ার মধ্যস্থতায় আর্মেনিয়া-আজারবাইজান অস্ত্রবিরতি চু ক্তি (বিশকেক প্রোটোকল) স্বাক্ষরিত হলেও উভয় দেশে একে অপরের
বিরুদ্ধে গুলি ছোড়ার অভিযোগ করে আসছে।
মিনস্ক গ্রুপ
১৯৯২ সালে প্রতিষ্ঠিত হয় Conference on Security and Cooperation in Europe (CSCE) যা মিনস্ক গ্রুপ নামে পরিচিত।
পরবর্তীকালে যার নামকরণ করা হয় Organization for Security and Co-operation in Europe (OSCE)।
এটি প্রতিষ্ঠা করা হয়েছিলো- নাগর্নো কারাবাখ সংকটের শান্তিপূর্ণ সমাধানের লক্ষ্যে।
আমেরিকা
রাশিয়া
ফ্রান্স
Armenia
Azerbaijan
Belarus
Germany
Finland
Italy
Sweden
Turkey
এই মুহূর্তে যদি কোনো রিটেন পরীক্ষার আন্তর্জ াতিকের কেউ প্রশ্ন করতে বসেন নিশ্চিতভাবেই একটি প্রশ্ন
তিনি করবেন যে- বাইডেনের জয়লাভে বাংলাদেশে ইতিবাচক কী প্রভাব পড়বে। ভাইভা
পরীক্ষাগুলোতেও এই বিষয়টি নিয়ে প্রশ্ন করা হবে। সাথে নেতিবাচক প্রভাবটাও জানতে চাইতে পারে।
সুতরাং প্রার্থীদের এই বিষয়টি গুরুত্ব দিয়ে পড়া উচিত।
বাংলাদেশের জন্য ইতিবাচক যা হতে পারে
১. বাইডেন প্যারিস জলবায়ু চু ক্তি বাস্তবায়নের ঘোষণা দেয়ায় বাংলাদেশ পরোক্ষভাবে হলেও এর সুবিধা ভোগ করবে।
২. বাংলাদেশকে দেয়া জিএসপি বা বিশেষ বাণিজ্য সুবিধা বাইডেন সরকার পুনর্বহাল না করলেও ব্যবসা-বাণিজ্যের
আরও কিছু ক্ষেত্র প্রসারিত হতে পারে।
৩. রোহিঙ্গা সংকট নিরসনেও বাংলাদেশের পক্ষে যুক্তরাষ্ট্রের নৈতিক সমর্থন আরও জোরালো হবে।
৬. ট্রাম্প সরকার বিশ্ব স্বাস্থ্য সংস্থা ও জাতিসংঘকে চাঁদা দেয়া বন্ধ রেখেছিল। বাইডেন সরকার সেটা পুনরায় চালুর
প্রতিশ্রুতি দেয়ায় বাংলাদেশ পরোক্ষভাবে হলেও সুবিধা পাবে।
৭. ভারতে এখন এমন অনেক ইস্যু এখন আছে যা ডেমোক্র্যাটদের পছন্দ না। আর এর সুবিধা পাবে বাংলাদেশ।
আন্তর্জ াতিক সম্পর্ক বিশ্লেষক ও অর্থনীতিবিদদের বরাত দিয়ে জার্মানভিত্তিক সংবাদমাধ্যম ডয়চে ভেলে
এক প্রতিবেদনে বলেছে, যুক্তরাষ্ট্রে ক্ষমতার এ পালাবদলে নানা দিক থেকে সুবিধা পেতে পারে বাংলাদেশ।
তবে এর অনেকটাই নির্ভ র করছে সুবিধা আদায় করতে বাংলাদেশ কূটনৈতিকভাবে কতটা তৎপরতা
তার ওপর।