দ্বাদশ জাতীয় সংসদে সংরক্ষিত নারী আসনে জয়পুরহাট জেলা থেকে দুজন আওয়ামী লীগের দলীয় মনোনয়ন পেয়েছেন। তাদের একজন হলেন ডা. রোকেয়া সুলতানা। তিনি শহীদ পরিবারের সন্তান। মহান স্বাধীনতা যুদ্ধের সময় তার বাবা শহীদ কবি মাহতাব উদ্দীনকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে হত্যা করে। মাহতাব পূর্ব পাকিস্তান রেলওয়ে স্টেশন মাস্টার ছিলেন।
১৯৭১ সালের ২২ এপ্রিল মাহতাব উদ্দীনকে পাকিস্তানি হানাদার বাহিনী ধরে নিয়ে গিয়েছিল। স্বজনরা তার মরদেহেরও খোঁজ পাননি।
খোঁজ নিয়ে জানা গেছে, ডা. রোকেয়া সুলতানার বাবার পৈতৃক বাড়ি জয়পুরহাট সদর উপজেলার বানিয়াপাড়া গ্রামে। তাদের পরিবার জয়পুরহাট শহরে বসবাস করেন। বাবার চাকরি সূত্রে রোকেয়া পড়ালেখা করেছেন কুড়িগ্রাম ও রংপুর জেলায়। তিনি কুড়িগ্রাম উচ্চ বিদ্যালয় থেকে মাধ্যমিক এবং কুড়িগ্রাম কলেজ থেকে উচ্চ মাধ্যমিক পাস করেন। পরে রংপুর মেডিকেল কলেজ থেকে এমবিবিএস পাস করেন।
মেডিকেলে পড়ার সময় তিনি রংপুর মেডিকেল কলেজ ছাত্রলীগের সাধারণ সম্পাদকের দায়িত্ব পালন করেছেন। চিকিৎসকদের সংগঠন বিএমএ’র সহসভাপতির দায়িত্ব পালন করেন। চিকিৎসক হিসেবে সরকারি চাকরি থেকে অবসর নেওয়ার পর তিনি সরাসরি আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িয়ে পড়েন। তিনি আওয়ামী লীগের কেন্দ্রীয় কমিটির স্বাস্থ্য ও জনসংখ্যাবিষয়ক সম্পাদক।
জেলা আওয়ামী লীগের যুব ও ক্রীড়াবিষয়ক সম্পাদক এবং আইনজীবী আনোয়ারুল ইসলাম জানান, ডা. রোকেয়া সুলতানার পরিবার দীর্ঘদিন ধরে আওয়ামী লীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত। তিনি ছাত্রলীগের রাজনীতির সঙ্গে জড়িত ছিলেন। রোকেয়ার ছোট ভাই আহম্মেদ মোশারফ নান্নু জয়পুরহাট জেলা আওয়ামী লীগের সাংস্কৃতিকবিষয়ক সম্পাদক। নান্নু সাংস্কৃতিক অঙ্গনে জয়পুরহাটের পরিচিত মুখ।
জয়পুরহাট মুক্তিযুদ্ধের সংগঠক এবং গবেষক আমিনুল হক বাবুল বলেন, এ জেলা দুজন সংরক্ষিত নারী সংসদ সদস্য পেতে চলেছে। এটা খুশির খবর। তারা মুক্তিযুদ্ধের চেতনা, শিক্ষা, বাঙালি সংস্কৃতি এবং অসাম্প্রদায়িক চেতনার বাংলাদেশ গড়বে বলে প্রত্যাশা করি।
মন্তব্য করুন