বিষয়বস্তুতে চলুন

২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

উইকিউক্তি, মুক্ত উক্তি-উদ্ধৃতির সংকলন থেকে
বিষয়বস্তু বিয়োগ হয়েছে বিষয়বস্তু যোগ হয়েছে
হাম্মাদ (আলোচনা | অবদান)
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা
ট্যাগ: মোবাইল সম্পাদনা মোবাইল ওয়েব সম্পাদনা উচ্চতর মোবাইল সম্পাদনা
৫৬ নং লাইন: ৫৬ নং লাইন:
* তাদের সাথে আলোচনার কোন পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমাদের দাবি অত্যন্ত সুস্পষ্ট, তাদের কোন বক্তব্য থাকলে দেশবাসীর সামনেই মিডিয়া মারফত তা রাখতে পারেন। আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত। গুলি আর সন্ত্রাসের সাথে কোন সংলাপ হয় না।
* তাদের সাথে আলোচনার কোন পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমাদের দাবি অত্যন্ত সুস্পষ্ট, তাদের কোন বক্তব্য থাকলে দেশবাসীর সামনেই মিডিয়া মারফত তা রাখতে পারেন। আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত। গুলি আর সন্ত্রাসের সাথে কোন সংলাপ হয় না।
** আসিফ মাহমুদ [https://www.bbc.com/bengali/live/cgrlrjlj9drt#asset:2d5e6283-ba9d-4c26-b7e1-118dc3956d52 বিবিসি বাংলা]
** আসিফ মাহমুদ [https://www.bbc.com/bengali/live/cgrlrjlj9drt#asset:2d5e6283-ba9d-4c26-b7e1-118dc3956d52 বিবিসি বাংলা]
* আমরা এখন রাস্তায়, কারণ আমাদের হাজারো ভাই-বোন মারা গেছেন, হাজারো মানুষকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। যার ফলে এখন, বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে, ছাত্রদের সঙ্গে কর্মজীবী মানুষ, সঙ্গীত ও অভিনয় শিল্পীরাও একাত্মতা পোষণ করেছেন। তারা সবাই রাস্তায় নেমে  এসেছে, আন্দোলন করছে এবং একজন নাগরিক হিসেবে ও সাধারণ মানুষ হিসেবে তার অধিকার সম্পর্কে দাবি তুলছে। বাংলাদেশের পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী ছাত্রদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে এই আন্দোলনের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আমাদের একজন সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে মিথ্যা মামলায় তুলে নেওয়া হয়েছে। ছাত্ররা রাস্তায় নামলেই তারা গণহারে গ্রেফতার করছে। রংপুরে আন্দোলন করার সময় অসংখ্য ছাত্রছাত্রীদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা দিনদিন আরও কঠোর হচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন যুদ্ধের মধ্যে আছি আমরা। বাস্তবে আমাদের এখানে কোনো যুদ্ধ চলছে না, তাহলে আমার প্রশ্ন যুদ্ধ আসলে কেমন হয়। সরকার এটির সমাধান করতে পারত রক্ত ঝরার আগেই। আমাদের ভাই ও বোনদের গুলি খেয়ে রক্ত ঝরার আগেই সমাধান করা উচিত ছিল তাদের। এটা এখন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সরকার হাজারের বেশি মানুষকে মেরেছে,হাজারের বেশি মানুষকে তুলে নিয়েছে। সব মিলিয়ে নয় হাজারের বেশি মানুষকে তুলে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জেলে পাঠানো হয়েছে। কাজেই অবশ্যই আমরা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও আন্দোলন কারিদের পক্ষ থেকে করজোড়ে প্রত্যেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে সাহায্য চায়। তারা যেন সরকারকে প্রশ্ন করে, চাপ দেয়।’সরকার এটির সমাধান করতে পারত রক্ত ঝরার আগেই। আমাদের ভাই ও বোনদের গুলি খেয়ে রক্ত ঝরার আগেই সমাধান করা উচিত ছিল তাদের। এটা এখন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সরকার হাজারের বেশি মানুষকে মেরেছে,হাজারের বেশি মানুষকে তুলে নিয়েছে। সব মিলিয়ে নয় হাজারের বেশি মানুষকে তুলে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জেলে পাঠানো হয়েছে। কাজেই অবশ্যই আমরা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও আন্দোলন কারিদের পক্ষ থেকে করজোড়ে প্রত্যেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে সাহায্য চায়। তারা যেন সরকারকে প্রশ্ন করে, চাপ দেয়।’ সরকার এটির সমাধান করতে পারত রক্ত ঝরার আগেই। আমাদের ভাই ও বোনদের গুলি খেয়ে রক্ত ঝরার আগেই সমাধান করা উচিত ছিল তাদের। এটা এখন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সরকার হাজারের বেশি মানুষকে মেরেছে,হাজারের বেশি মানুষকে তুলে নিয়েছে। সব মিলিয়ে নয় হাজারের বেশি মানুষকে তুলে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জেলে পাঠানো হয়েছে। কাজেই অবশ্যই আমরা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও আন্দোলন কারিদের পক্ষ থেকে করজোড়ে প্রত্যেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে সাহায্য চায়। তারা যেন সরকারকে প্রশ্ন করে, চাপ দেয়।’
** প্রাপ্তি তাপসী [https://www.jugantor.com/national/833516/%E0%A6%8F%E0%A6%87-%E0%A6%86%E0%A6%A8%E0%A7%8D%E0%A6%A6%E0%A7%8B%E0%A6%B2%E0%A6%A8-%E0%A6%8F%E0%A6%96%E0%A6%A8-%E0%A6%86%E0%A6%B0-%E0%A6%95%E0%A7%8B%E0%A6%9F%E0%A6%BE-%E0%A6%B8%E0%A6%82%E0%A6%B8%E0%A7%8D%E0%A6%95%E0%A6%BE%E0%A6%B0%E0%A7%87-%E0%A6%B8%E0%A7%80%E0%A6%AE%E0%A6%BE%E0%A6%AC%E0%A6%A6%E0%A7%8D%E0%A6%A7-%E0%A6%A8%E0%A7%87%E0%A6%87 যুগান্তর]


== বহিঃসংযোগ ==
== বহিঃসংযোগ ==

১৫:১৬, ৩ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সংশোধিত সংস্করণ

২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলনের "বাংলা ব্লকেড", ৬ জুলাই ২০২৪
কোটা (×) মেধা (√)

২০২৪-এ বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন হলো বাংলাদেশে সব ধরনের সরকারি চাকরির ক্ষেত্রে কোটার ভিত্তিতে নিয়োগের প্রচলিত ব্যবস্থার সংস্কারের দাবিতে সংগঠিত একটি আন্দোলন। ২০২৪ সালের ৫ জুন বাংলাদেশ হাইকোর্ট ২০১৮ সালের ৪ অক্টোবর সরকারি চাকরিতে নারী কোটা ১০ শতাংশ, মুক্তিযোদ্ধা কোটা ৩০ শতাংশ এবং জেলা কোটা ১০ শতাংশ বাতিল করে জারি করা পরিপত্র অবৈধ ঘোষণা করার পর কোটা পদ্ধতির সংস্কার আন্দোলন ২০২৪ সালে নতুনভাবে আলোচনায় আসে।

স্লোগান

  • কে রাজাকার কে রাজাকার, তুই রাজাকার, তুই রাজাকার, শেখ হাসিনার বক্তব্য প্রত্যাহার করতে হবে
  • চেয়েছিলাম অধিকার, হয়ে গেলাম রাজাকার
  • কোটা না মেধা, মেধা মেধা
  • তুমি কে আমি কে রাজাকার রাজাকার, কে বলেছে কে বলেছে সরকার সরকার/স্বৈরাচার স্বৈরাচার
  • এই মুহুর্তে দরকার, সেনাবাহিনী সরকার [১]
  • লাখো শহীদের রক্তে কেনা

দেশটা কারো বাপের না।

বাংলাদেশে কোটা সংস্কার আন্দোলন সম্পর্কে উক্তি

  • বীর মুক্তিযোদ্ধা সবাই অনগ্রসর নন, তাই সরকারি চাকরিতে মুক্তিযোদ্ধা কোটা রাখা সংবিধানসম্মত নয়। মুক্তিযুদ্ধের চেতনার নামে বড় আকারে মুক্তিযোদ্ধা কোটা চিরস্থায়ী করলে স্বাধীনতার মূল উদ্দেশ্যকে ধ্বংস করা হয়।’
    • জি এম কাদের, বিরোধীদলীয় নেতা, ৩ জুলাই ২০২৪, জাতীয় সংসদে বাজেট অধিবেশনের সমাপনী বক্তব্য
  • মুক্তিযুদ্ধ ও মুক্তিযোদ্ধাদের বিরুদ্ধে এত ক্ষোভ কেন? মুক্তিযোদ্ধাদের নাতি-পুতিরাও পাবে না? তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা পাবে? আমার প্রশ্ন দেশবাসীর কাছে। তাহলে কি রাজাকারের নাতি-পুতিরা চাকরি পাবে, মুক্তিযোদ্ধারা পাবে না। অপরাধটা কী? নিজের জীবনবাজি রেখে, সংসার সব ফেলে দিয়ে মুক্তিযুদ্ধে অংশ নিয়েছে। দিনরাত খেয়ে না খেয়ে, কাদামাটি ভেঙে, রোদ-বৃষ্টি-ঝড় মোকাবিলা করে যুদ্ধ করে এ দেশের বিজয় এনেছে। বিজয় এনে দিয়েছিল বলে সবাই উচ্চপদে আসীন। এখানে দ্বন্দ্ব সৃষ্টি করা একটা কৌশল। তার মানে হলো মুক্তিযোদ্ধার সন্তান-নাতি-পুতিরা কেউ মেধাবী না, যত রাজাকারের বাচ্চারা-নাতি-পুতিরা হলো মেধাবী, তাই না? এটা ভুলে গেলে চলবে না যাদের মেধাবী না বলছে, তাদের হাতে ওনারা পরাজিত। যুদ্ধে মুক্তিযোদ্ধারা জয়ী হয়েছিল রাজাকারদের বিরুদ্ধে, এই কথাটা মনে রাখা উচিত। তাদের মেধাটা কোথায়? সেটা আমার প্রশ্ন। মেধা কার কত, সেটা পরীক্ষার প্রিলিমিনারিতে, লিখিত পরীক্ষায়, তারপর ভাইভা হয়। সেই সময় যেটা… সেটা বাস্তবতা তো যদি মুক্তিযোদ্ধার সন্তান হয় সেই পাবে। আর সব সময় সব কোটা পূর্ণ হয় না। যেটা বাকি থাকে তা তালিকা থেকেই দেওয়া হয়। অনেক চাকরিতে মেধার তালিকা থেকে দেওয়া হচ্ছে। এ নির্দেশনা দেওয়া আছে। কিন্তু সেখানে অবশ্যই মুক্তিযোদ্ধা অগ্রাধিকার পাবে, এটা দিতে হবে।
    • প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা ১৪ জুলাই ২০২৪ তারিখে গণভবনে বলেন।
  • কোটা সংস্কার আন্দোলনে যাঁরা ‘‘আমি রাজাকার’’ স্লোগান দিচ্ছেন, তাঁদের শেষ দেখিয়ে ছাড়ব
    • সাদ্দাম হোসেন, কেন্দ্রীয় সভাপতি, বাংলাদেশ ছাত্রলীগ, ১৫ জুলাই ২০২৪
  • কোটাবিরোধী ছাত্র আন্দোলনে কতিপয় নেতারা যে সব বক্তব্য রেখেছে, তার জবাব দেয়ার জন্য- আত্মস্বীকৃত রাজাকার, যারা নিজেদের ঔদ্ধত্যপূর্ণ মানসিকতার প্রকাশ ঘটিয়েছে; তার জবাব দেওয়ার জন্য ছাত্রলীগই যথেষ্ট। ছাত্রদের বিষয় ক্যাম্পাসের মধ্যেই সীমিত থাকবে। আমরা দেখি, রাজনৈতিকভাবে কারা প্রকাশ্যে আসে, তখন দেখা যাবে। আমরাও মোকাবেলা করতে প্রস্তুত।
  • যারা নিজেদেরকে রাজাকার বলে পরিচয় দেয়, তাদের মুক্তিযুদ্ধের শহীদের রক্তস্নাত লাল সবুজের পতাকা হাতে নিয়ে বা সে পতাকা কপালে বেঁধে নিয়ে মিছিল করবার কোনো অধিকার থাকতে পারে না।’’
  • এই আন্দোলনের শুরু থেকেই সরকার যথেষ্ট ধৈর্য ও সহনশীলতা প্রদর্শন করেছে। বরং আন্দোলনকারীদের নিরাপত্তা নিশ্চিত করার ক্ষেত্রে পুলিশ সহযোগিতা করে। মহামান্য রাষ্ট্রপতির কাছে যখন আন্দোলনকারীরা স্মারকলিপি প্রদান করার ইচ্ছা প্রকাশ করে, সে ক্ষেত্রে তাদের সুযোগ করে দেওয়া হয় এবং নিরাপত্তারও ব্যবস্থা নেওয়া হয়। অত্যন্ত পরিতাপের বিষয় হলো- কিছু মহল এই আন্দোলনের সুযোগটা নিয়ে অনাকাঙ্ক্ষিত উচ্চাভিলাষ চরিতার্থ করার সুযোগ নিয়ে সন্ত্রাসী কর্মকাণ্ডে লিপ্ত হয়। এর ফলে এই কোমলমতি শিক্ষার্থীদের আন্দোলনকে ঘিরে যে সব ঘটনা ঘটেছে, তা খুবই বেদনাদায়ক ও দুঃখজনক। অহেতুক কতগুলো মূল্যবান জীবন ঝরে গেল। আপনজন হারাবার বেদনা যে কত কষ্টের, তা আমার থেকে আর কে বেশি জানে।
    • শেখ হাসিনা, ১৭ জুলাই ২০২৪, জাতির উদ্দেশ্যে ভাষণে
  • ভাই, পানি লাগবে কারও পানি?
    • মীর মাহফুজুর রহমান মুগ্ধ, ১৮ জুলাই ২০২৪, ঢাকায় একটি আন্দোলনে পুলিশের লক্ষহীন এলোপাথাড়ি গুলিতে মৃত্যুর ১৫ মিনিট আগে ছাত্রদের মাঝে বিনামূল্যে পানি ও বিস্কুট বিতরণ করার সময় [৩]
  • ‘এ আগুন থামান। এ আগুন নেভানোর দায়িত্ব সরকারের। কালবিলম্ব না করে সম্ভব হলে আজ-কালকের মধ্যেই স্পেশাল কোর্ট বসিয়ে সমস্যার সমাধান করুন। সময় খুব কম। আমরাও সরকারে (এরশাদের আমলে) ছিলাম। আমরাও এভাবে আন্দোলনকে তুচ্ছতাচ্ছিল্য করেছিলাম। নূর হোসেন মারা যাওয়ার পর অনেকে বলেছিলেন, টোকাই মারা গেছে, কী হবে? কিন্তু আমি বলেছিলাম, না, এই নূর হোসেন একক কোনো ব্যক্তি নয়।’
    • কাজী ফিরোজ রশীদ, ১৮ জুলাই ২০২৪, নির্বাহী চেয়ারম্যান, জাতীয় পার্টি (রওশন এরশাদপন্থী)
  • ‘সব ধরনের সহিংসতা ও বলপ্রয়োগ, বিশেষ করে প্রাণহানির ঘটনার অবশ্যই তদন্ত করতে হবে এবং দায়ী ব্যক্তিদের জবাবদিহির আওতায় আনতে হবে। মতপ্রকাশের স্বাধীনতা ও শান্তিপূর্ণ সমাবেশ মানুষের মৌলিক মানবাধিকার।’
    • ফলকার টুর্ক, ১৮ জুলাই ২০২৪, জাতিসংঘের মানবাধিকারবিষয়ক হাইকমিশনার, এক্স (সাবেক টুইটার) হ্যান্ডলে
  • এটা অবশ্যই কারফিউ। এটা নিয়ম অনুযায়ীই হবে এবং সেটা শুট অ্যাট সাইট হবে।’
    • ওবায়দুল কাদের, ২০ জুলাই ২০২৪, গণভবনে ১৪ দলের বৈঠকের পর কারফিউ জারি ও সেনাবাহিনী মোতায়েনের সিদ্ধান্তের বিষয়ে সাংবাদিকদের দেওয়া বক্তব্য [৪]
  • আমি জানি ব্যবসা বানিজ্য সচল রাখতে হবে। এজন্য আপনাদের সহযোগিতা দরকার। যে ক্ষতি হয়েছে সেটি কারা করলো? এবার অতো সহজে ছাড়া হবে না। ধ্বংসযঞ্জে চালিয়ে দেশকে ধ্বংস করবে? আমি আপনাদের সহযোগিতা চাই যাতে দেশের ভাবমূর্তি ঠিক থাকে। ভাবমূর্তি ঠিক না থাকলে ব্যবসা লাটে উঠবে।
    • শেখ হাসিনা, ২২ জুলাই ২০২৪, ব্যবসায়ীদের সঙ্গে বৈঠকে
  • সরকার দেশে ইন্টারনেট বন্ধ করেনি, ইন্টারনেট বন্ধ হয়ে গেছে।’
    • জুনাইদ আহ্‌মেদ পলক, ২৭ জুলাই ২০২৪, ডাক, টেলিযোগাযোগ ও তথ্যপ্রযুক্তি প্রতিমন্ত্রী, ‘শান্তির জন্য বৃক্ষ’ কর্মসূচির উদ্বোধনী অনুষ্ঠানে। [৫]
  • মুক্তিযুদ্ধ এবং মুক্তিযোদ্ধার পরিবারের দিকেই যেন তাদের বেশি ক্ষোভ। আমার একটা কথা নিয়ে কত দিন প্রতিবাদ করল, কী কথা বলেছিলাম আমি? আমার কথাটাকে বিকৃত করা হয়েছিল। তাদের স্লোগানটা কী? ‘তুমি কে আমি কে, রাজাকার রাজাকার। তোমার বাবা, আমার বাবা, রাজাকার রাজাকার’। তার মানে তারা নিজেদেরই রাজাকার হিসেবে পরিচয় দিল। আমি তো তাদের রাজাকার বলিনি, তারা নিজেরাই স্লোগান দিয়ে নিজেদের রাজাকার হিসেবে পরিচিত করল সবার কাছে।”
    • শেখ হাসিনা, ২৭ জুলাই ২০২৪, বিটিভি ভবনের ক্ষয়ক্ষতি পরিদর্শনকালে।
  • আপনাদেরও সাহায্য চাই। যদি আপনারা কিছু জানেন, আমাদের জানাবেন। কারণ, এভাবে বারবার বাংলাদেশে সহিংসতা, এটা আর হতে দেওয়া হবে না। এ কারণে আপনাদের সাহায্য চাই। এমন জানোয়ারের মতো বর্বরতা কেউ কেউ করতে পারে? একজন মুসলমান আরেকজন মুসলমানের লাশ ঝুলিয়ে রাখতে পারে? যারা এগুলোর সাথে জড়িত, অবশ্যই এদের বিচার করতে হবে। তা না হলে মানুষের নিরাপত্তা দেওয়া যাবে না। আমি তো বুঝি আপনাদের বেদনা। প্রতিনিয়ত বাপ-মা-ভাই-বোনদের হারানোর ব্যথা নিয়ে আমাদের চলতে হয়। লাশটাও দেখতে পারিনি, কাফন-দাফনটাও করতে পারিনি। দেশেও ফিরতে পারিনি। ছয় বছর দেশে ফিরতে দেয়নি আমাকে। যখন দেশে এসেছি, সারা দেশ ঘুরেছি। এই দেশের মানুষের মুখে হাসি ফোটাতে চেয়েছি। সেই চেষ্টাই করে যাচ্ছিলাম। কিন্তু বারবার এই ধরনের ঘটনা ঘটাবে, এই সন্ত্রাসী ঘটনা ঘটাবে- এটা তো কাম্য না। আপনাদের কাছে শুধু এইটুকু বলবো, আপনারা সবুর করেন। আর আল্লাহকে ডাকেন যেন এই সমস্ত খুনি-জালেমের হাত থেকে আমাদের দেশটা রেহাই পায়। আমি আপনাদের সঙ্গে আছি, পাশে আছি। আমারও আপনাদের চোখের পানি দেখতে হচ্ছে। এটিই সবচেয়ে কষ্টের।
    • শেখ হাসিনা, ২৮ জুলাই ২০২৪, গণভবনে কোটা আন্দোলনে নিহত ছাত্রদের পরিবারের সঙ্গে সাক্ষাৎকালে
  • আন্দোলন প্রত্যাহার করে ডিবি অফিস থেকে প্রচারিত ছয় সমন্বয়কের ভিডিও স্টেটমেন্টটি আমরা স্বেচ্ছায় দেইনি। বৈষম্যবিরোধী ছাত্র আন্দোলনের কোনো সিদ্ধান্ত ডিবি অফিস থেকে আসতে পারে না। সারাদেশের সকল সমন্বয়ক ও আন্দোলনকারী শিক্ষার্থীদের অংশগ্রহণ ব্যতীত কোনো সিদ্ধান্ত চূড়ান্ত বলে গৃহীত হবে না। ডিবি অফিসে আমাদের জোর করে খাবার টেবিলে বসিয়ে ভিডিও করা হয়। আমাদের ছেড়ে দেবার আশ্বাস দিয়ে পরিবারকে ডেকে ১৩ ঘন্টা বসিয়ে রাখা হয় এবং মিডিয়ায় মিথ্যা স্টেটমেন্ট দেওয়ানো হয়। আমাদের শিক্ষকরা দেখা করতে আসলে, দেখা করতে দেওয়া হয়নি।
    • কোটা সংস্কার আন্দোলনের ৬ সমন্বয়ক, ২ আগস্ট ২০২৪ [৬]
  • তাদের সাথে আলোচনার কোন পরিকল্পনা আমাদের নেই। আমাদের দাবি অত্যন্ত সুস্পষ্ট, তাদের কোন বক্তব্য থাকলে দেশবাসীর সামনেই মিডিয়া মারফত তা রাখতে পারেন। আন্দোলনরত ছাত্র-জনতার সিদ্ধান্তই আমাদের সিদ্ধান্ত। গুলি আর সন্ত্রাসের সাথে কোন সংলাপ হয় না।
  • আমরা এখন রাস্তায়, কারণ আমাদের হাজারো ভাই-বোন মারা গেছেন, হাজারো মানুষকে গ্রেফতার করে জেলে পাঠানো হয়েছে। যার ফলে এখন, বাংলাদেশের সর্বস্তরের মানুষ রাস্তায় নেমে এসেছে, ছাত্রদের সঙ্গে কর্মজীবী মানুষ, সঙ্গীত ও অভিনয় শিল্পীরাও একাত্মতা পোষণ করেছেন। তারা সবাই রাস্তায় নেমে  এসেছে, আন্দোলন করছে এবং একজন নাগরিক হিসেবে ও সাধারণ মানুষ হিসেবে তার অধিকার সম্পর্কে দাবি তুলছে। বাংলাদেশের পুলিশ ও গোয়েন্দা বাহিনী ছাত্রদের তুলে নিয়ে যাচ্ছে, বিশেষ করে এই আন্দোলনের যারা নেতৃত্ব দিচ্ছেন, আমাদের একজন সমন্বয়ক আরিফ সোহেলকে মিথ্যা মামলায় তুলে নেওয়া হয়েছে। ছাত্ররা রাস্তায় নামলেই তারা গণহারে গ্রেফতার করছে। রংপুরে আন্দোলন করার সময় অসংখ্য ছাত্রছাত্রীদের পুলিশ গ্রেফতার করেছে। তারা দিনদিন আরও কঠোর হচ্ছে। মনে হচ্ছে যেন যুদ্ধের মধ্যে আছি আমরা। বাস্তবে আমাদের এখানে কোনো যুদ্ধ চলছে না, তাহলে আমার প্রশ্ন যুদ্ধ আসলে কেমন হয়। সরকার এটির সমাধান করতে পারত রক্ত ঝরার আগেই। আমাদের ভাই ও বোনদের গুলি খেয়ে রক্ত ঝরার আগেই সমাধান করা উচিত ছিল তাদের। এটা এখন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সরকার হাজারের বেশি মানুষকে মেরেছে,হাজারের বেশি মানুষকে তুলে নিয়েছে। সব মিলিয়ে নয় হাজারের বেশি মানুষকে তুলে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জেলে পাঠানো হয়েছে। কাজেই অবশ্যই আমরা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও আন্দোলন কারিদের পক্ষ থেকে করজোড়ে প্রত্যেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে সাহায্য চায়। তারা যেন সরকারকে প্রশ্ন করে, চাপ দেয়।’সরকার এটির সমাধান করতে পারত রক্ত ঝরার আগেই। আমাদের ভাই ও বোনদের গুলি খেয়ে রক্ত ঝরার আগেই সমাধান করা উচিত ছিল তাদের। এটা এখন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সরকার হাজারের বেশি মানুষকে মেরেছে,হাজারের বেশি মানুষকে তুলে নিয়েছে। সব মিলিয়ে নয় হাজারের বেশি মানুষকে তুলে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জেলে পাঠানো হয়েছে। কাজেই অবশ্যই আমরা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও আন্দোলন কারিদের পক্ষ থেকে করজোড়ে প্রত্যেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে সাহায্য চায়। তারা যেন সরকারকে প্রশ্ন করে, চাপ দেয়।’ সরকার এটির সমাধান করতে পারত রক্ত ঝরার আগেই। আমাদের ভাই ও বোনদের গুলি খেয়ে রক্ত ঝরার আগেই সমাধান করা উচিত ছিল তাদের। এটা এখন আমাদের গণতান্ত্রিক অধিকার। সরকার হাজারের বেশি মানুষকে মেরেছে,হাজারের বেশি মানুষকে তুলে নিয়েছে। সব মিলিয়ে নয় হাজারের বেশি মানুষকে তুলে নিয়ে গ্রেফতার করা হয়েছে এবং জেলে পাঠানো হয়েছে। কাজেই অবশ্যই আমরা বাংলাদেশের ছাত্রসমাজ ও আন্দোলন কারিদের পক্ষ থেকে করজোড়ে প্রত্যেক আন্তর্জাতিক গণমাধ্যম ও আন্তর্জাতিক কমিউনিটির কাছে সাহায্য চায়। তারা যেন সরকারকে প্রশ্ন করে, চাপ দেয়।’

বহিঃসংযোগ