স্ট্রেঞ্জার থিংস (মরশুম ১)
স্ট্রেঞ্জার থিংস | |
---|---|
মৌসুম ১ | |
শ্রেষ্ঠাংশে | |
পর্বের সংখ্যা | ৮ |
মুক্তি | |
মূল নেটওয়ার্ক | নেটফ্লিক্স |
মূল মুক্তি | ১৫ জুলাই ২০১৬ |
মার্কিন কল্পবিজ্ঞান-ভৌতিক ওয়েব টেলিভিশন ধারাবাহিক স্ট্রেঞ্জার থিংসের প্রথম মরশুমটি শুধুমাত্র নেটফ্লিক্সের ওয়েব স্ট্রীমিঙের মাধ্যমে ১৫ই জুলাই ২০১৬ সালে মুক্তি পায়। ধারাবাহিকটি ডাফ ভ্রাতৃদ্বয় দ্বারা নির্মিত এবং তারা সহ শন লেভি এবং ড্যান কোহেন এই ধারাবাহিকের নির্বাহী প্রযোজক। প্রথম মরশুমের শ্রেষ্ঠাংশে আছেন উইনোনা রাইডার, ডেভিড হারবার, ফিন উল্ফহার্ড, মিলি ববি ব্রাউন, গেটন ম্যাটার্যাজো, কেলেব ম্যাকলখলিন, ন্যাটালিয়া ডায়ার, চার্লি হিটন, কারা বুয়োনো, ম্যথিউ মোডাইন, নোয়া শ্ন্যাপ এবং জো কিরি।
কাহিনী সংক্ষেপ
[সম্পাদনা]প্রথম মরশুমের গল্প শুরু হয় নভেম্বর ১৯৮৩-তে, যখন হকিন্স জাতীয় গবেষণাগারের গবেষকরা "দ্য আপসাইড ডাউন" নামক একটি বিকল্প আয়ামের যাওয়ার দ্বার সৃষ্টি করে ফেলেন। উইল বায়ার্সকে আপসাইড ডাউনের এক জীব অপহরণ করে, এবং তার মা, জয়েস বায়ার্স, এবং হকিন্সের পুলিশ প্রধান জিম হপার উইলের খোঁজ করা শুরু করে। একই সময় ইলেভেন (এগারো) নামে এক সাইকোকাইনেটিক ক্ষমতা সম্পন্ন এক যুবতী সেই গবেষণাগার থেকে পালিয়ে যায় এবং উইলকে খুঁজে পাওয়ার জন্য উইলের বন্ধু মাইক, ডাস্টিন এবং লুকাসকে সহায়তা করে।[১]
চরিত্রসমূহ এবং অভিনেতামন্ডলি
[সম্পাদনা]প্রধান চরিত্র
[সম্পাদনা]- জয়েস বায়ার্সের ভূমিকায় উইনোনা রাইডার[২]
- জিম হপারের ভূমিকায় ডেভিড হারবার[২]
- মাইক হুইলারের ভূমিকায় ফিন উল্ফহার্ড[৩]
- ইলেভেন “এল”-এর ভূমিকায় মিলি ববি ব্রাউন[৩]
- ডাস্টিন হেন্ডার্সনের ভূমিকায় গেটন ম্যাটার্যাজো[৩]
- লুকাস সিনক্লেয়ারের ভূমিকায় ক্যালেব ম্যাকলখলিন[৩]
- ন্যান্সি হুইলারের ভূমিকায় ন্যাটালিয়া ডায়ার[৩]
- জোনাথান বায়ার্সের ভূমিকায় চার্লি হিটন[৩]
- ক্যারেন হুইলারের ভূমিকায় কারা বুয়োনো[৪]
- মার্টিন ব্রেনারের ভূমিকায় ম্যথিউ মোডাইন[৫]
পৌনঃপুনিক চরিত্র
[সম্পাদনা]- উইল বায়ার্সের ভূমিকায় নোয়া শ্ন্যাপ[৩]:
- স্টিভ হ্যারিংটনের ভূমিকায় জো কিরি[৬][৭]
- বারবারা "বার্ব" হল্যান্ডের ভূমিকায় শ্যানন পার্সার[৮]
- লনি বায়ার্সের ভূমিকায় রস প্যাট্রীজ[৯]
- টেড হুইলারের ভূমিকায় জন ক্রেস্ট
- দানবের ভূমিকায় মার্ক স্টেগের[১০]
- অফিসার পাওয়েলের ভূমিকায় রব মর্গান
- অফিসার ক্যালাহানের ভূমিকায় জন পল রেনল্ডস
- র্যান্ডাল পি হ্যাভেন্সের ভূমিকায় স্কট ক্লার্ক
- টেরি আইভসের ভূমিকায় এইমি মালিন্স[১১]
- কনি ফ্রেজিয়ারের ভূমিকায় ক্যাথারিন ডায়ার
- ট্রয়ের ভূমিকায় পেটন উইখ[১২]
- জেমসের ভূমিকায় কেড জোন্স
- টমি এইচ-এর ভূমিকায় চেস্টার রাশিং
- ক্যারলের ভূমিকায় চেলসী ট্যালমেজ
- হলি হুইলারের ভূমিকায় টিন্সলি এবং অ্যানিস্টন প্রাইস
- বেনি হ্যামন্ডের ভূমিকায় ক্রিস সালিভান
- প্রধান এজেন্টের ভূমিকায় টোবিয়াস ইয়েলিনেক
- ফ্লোরেন্স "ফ্লো"-এর ভূমিকায় সুজান শালহুব লার্কিন
পর্বসমূহ
[সম্পাদনা]সামগ্রিক নং. | মৌসুমে নং. | শিরোনাম | পরিচালক | লেখক | মূল মুক্তির তারিখ | |
---|---|---|---|---|---|---|
১ | ১ | "চ্যাপ্টার ওয়ান: দ্য ভ্যানিশিং অফ উইল বায়ার্স" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ১৫ জুলাই ২০১৬ | |
১৯৮৩ সালের ৬ই নভেম্বর মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রের ইন্ডিয়ানার শহর হকিন্সে ইউনাইটেড স্টেটস ডিপার্টমেন্ট অব এনার্জির গবেষণাগারে এক বৈজ্ঞানিক এক অদৃষ্ট প্রাণী দ্বারা আক্রান্ত হয়। ১২ বছরের উইল তার বন্ধুদের সাথে ডাঞ্জিয়ন্স অ্যান্ড ড্রাগন্স খেলে সাইকেল করে বাড়ি ফেরার পথে সেই প্রাণীর সম্মুখিন হয় এবং তারপর থেকে তাকে আর খুঁজে পাওয়া যায় না। পরের দিন, হাসপাতালের গাউন পরা কদম-ছাঁট করা এক তরুণী একটি স্থানীয় খাবারে দোকান থেকে খাবার চুরি করে। সেই দোকানের মালিক, ব্যানি, তার উপর করুণা দেখিয়ে তাকে খেতে দেয় এবং সরকারি সমাজকল্যানমূলক সংস্থায় যোগাযোগ করেন। মেয়েটির হাতের উল্কি থেকে জানা যায় যে তার নাম ইলেভেন। একটি মহিলা সমাজকর্মী সেজে সেখানে আসে এবং বেনিকে হত্যা করে। কিছু সশস্ত্র লোক সেই দোকানে ইলেভেনের খোঁজ করে, কিন্তু সে পালিয়ে যায়। উইলের মা জয়েস বায়ার্স মনে করেন যে তিনি ফোনে উইলের কন্ঠ শুনতে পান, কিন্তু তাঁর ফোনের শর্ট সার্কিট হয়। উইলের বন্ধু মাইক, ডাস্টিন এবং লুকাস জঙ্গলে উইলের খোঁজ করত গিয়ে ইলেভেনকে পায়। | ||||||
২ | ২ | "চ্যাপ্টার টু: দি উইয়ের্ডো অন মেপেল স্ট্রীট" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ১৫ জুলাই ২০১৬ | |
উইলের বন্ধুরা ইলেভেনকে মাইকের বাড়িতে নিয়ে আসে, যেখানে সে বেসমেন্টে ঘুমায়। পরের দিন, মাইক ইলেভেনকে ডাকনাম দেয় "এল"। সে বলে যে "দুষ্টু লোক" তাকে খুঁজছে, এবং সে মাইকের বাবা-মার সঙ্গে দেখা করতে অস্বিকার করে। গবেষণাগারের বৈজ্ঞানিকরা উইলের বাড়িতে দেওয়াল থেকে চুঁইয়ে পড়া একটি পদার্থ খুঁজে পায়। মাইকের বাড়িতে ইলেভেন ছবিতে উইলকে দেখে চিনতে পারে। ডাস্টিন এবং লুকাস মাইকের বাবা-মাকে ইলেভেনের ব্যাপারে জানাতে চায়, কিন্তু ইলেভেন সাইকোকাইনেসিসের মাধ্যমে তাদের আটকে দেয়। উইলকে খোঁজার সময় মাইকদের বিজ্ঞান শিক্ষক মিঃ ক্লার্ক গবেষণাগারের বাইরে হাসপাতালের গাউনের একটি টুকরো আবিষ্কার করেন। মাইকের দিদি ন্যান্সি তার বন্ধু বারবারাকে নিয়ে স্টিভের বাড়ির একটি পার্টিতে যায়। উইল যে জঙ্গল থেকে নিখোঁজ হয় তার দাদা জোনাথান সেই জঙ্গলে অনুসন্ধান করতে যায়। চেঁচামেচি শুনে সে সেইদিকে দৌড়ে যায়, কিন্তু গিয়ে দেখে যে স্টিভ, ন্যান্সি এবং তাদের বন্ধুরা স্টিভের সুইমিং পুলের কাছে ফুর্তি করছে। সে গোপনে তাদের ছবি তুলতে থাকে। একাকী পুলের ধারে বসে থাকা বারবারা হঠাৎ অদৃশ্য হয়ে যায়। জয়েস উইলের থেকে আরেকটি ফোন পায়, উইলের ঘর থেকে গান-বাজনা শুনতে পায়, এবং ঘরের দেওয়ালে কিছু একটা বেড়িয়ে আসতে দেখে। | ||||||
৩ | ৩ | "চ্যাপ্টার থ্রি: হলি, জলি" | শন লেভি | জেসিকা মেক্লেনবার্গ | ১৫ জুলাই ২০১৬ | |
বার্বারা একটি খালি এবং ক্ষয়প্রাপ্ত পুলের মধ্যে জেগে ওঠে। সে ন্যান্সির জন্য চিৎকার করে এবং সেই পুল থেকে উঠে বেরিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করে, কিন্তু কেউ তাকে নিচে টেনে নিয়ে যায়। জয়েস তার বাড়ির ভেতরের দেওয়ালগুলিতে ক্রিসমাসের আলো লাগায় উইলের সাথে কথা বলার জন্য, যে সেই আলোগুলিকে চালু এবং বন্ধ করতে পারে। হকিন্স গবেষণাগারের পরিচালক ডঃ মার্টিন ব্রেনার পুলিশ প্রধান হপারকে গবেষণাগারের নিরাপত্তা ক্যামেরার ফুটেজ দেখার অনুমতি দেয়, কিন্তু হপার বুঝতে পারেন যে সেটি জাল। হপার এবং তার সহকারী হকিন্স গবেষণাগার, ডঃ ব্রেনার এবং টেরি আইভস নামে একজন মহিলা, যিনি দাবি করেছিলেন যে ব্রেনার তার মেয়েকে জোর করে নিয়ে গেছে, তাদের বিষয় অনুসন্ধান করা শুরু করে। ইলেভেন একটি ফ্ল্যাশব্যাক দেখতে পায় যেখানে ডঃ ব্রেনার, যাকে সে পাপা বলে ডাকে, তাকে নির্জন কারাবাসে রেখেছে। ন্যান্সি নিখোঁজ বার্বের সম্পর্কে উদ্বিগ্ন। স্টিভ এবং তার বন্ধুরা জোনাথানের ছবি তোলা সম্পর্কে জানতে পারে এবং সেই ছবিগুলি এবং তার ক্যামেরা ধ্বংস করে ফেলে। ন্যান্সি বার্বের জন্য অনুসন্ধান করতে গিয়ে তার গাড়ি খুঁজে পায় এবং জঙ্গলের মধ্যে একটা অচেনা প্রাণীকে দেখতে পায়। জয়েস উইলের সঙ্গে যোগাযোগ করার জন্য আলোগুলি ব্যবহার করে একটি সাংকেতিক পদ্ধতি তৈরি করে, যার মাধ্যমে উইল জানায় যে জীবিত কিন্তু নিরাপদ নয়। সে জয়েসকে দৌড়ে পালিয়ে যেতে বলে, আর ঠিক সেই সময় জয়েস ঘরের দেওয়ালের মধ্যে দিয়ে একটা প্রাণীকে বেড়িয়ে আসতে দেখে। উইলের বন্ধুরা ইলেভেনের সঙ্গে গোপনে "অপারেশন মার্কউড" শুরু করে। কিন্তু, এই সময়েই উইলের শরীর নাকি একটি খাদের জলে আবিষ্কৃত হয়, যার ফলে মাইক, ডাস্টিন এবং লুকাস দুঃখে বিধ্বস্ত হয়ে পরে। | ||||||
৪ | ৪ | "চ্যাপ্টার ফোর: দ্য বডি" | শন লেভি | জাস্টিন ডবেল | ১৫ জুলাই ২০১৬ | |
মাইকের ওয়াকি-টকির মাধ্যমে ইলেভেন উইলের বন্ধুদের প্রমাণ করে যে উইল তখনও জীবিত। জয়েস মৃতদেহ দেখতে শবাগারে যায় এবং বিশ্বাস করতে চায় না যে সেটি উইল। ছেলেরা ইলেভেনকে বিদ্যালয়ের ভিতরে নিয়ে যাওয়ার জন্য তার সাজসজ্জা পালটিয়ে ফেলে। জয়েস বসার ঘরের দেওয়ালে উইলের আওয়াজ শুনতে পায়। দেওয়ালের ওয়ালপেপার ছিঁড়ে সে উইলকে একটা পতলা আবরনের পিছনে দেখতে পায়। বিদ্যালয়ে ইলেভেন মিঃ ক্লার্কের হ্যাম রেডিওর ব্যবহার করে উইল এবং তার মা'র কথোপকথন শুনতে পায়। জয়েস একটি কুঠার দিয়ে কাঠের দেওয়াল ভেঙে দেয়, কিন্তু সেই ভাঙা অংশ দিয়ে শুধুমাত্র তার ঘরের সামনের বারান্দা দেখতে পায়। ন্যান্সি জোনাথানের তোলা ছবিতে বার্বের পিছনে একটি কালো মূর্তি দেখতে পায়। জোনাথান বুঝতে পারে যে এই মূর্তিটি তার মায়ের দেওয়া বর্ণনার সাথে মিলেছে: দীর্ঘ বাহু সহ এবং মুখবিহীন একটি মানবাকৃতি মূর্তি। ন্যান্সি তার নিখোঁজ বন্ধুর সম্পর্কে পুলিশ বলে এবং তার মায়ের কাছে স্বীকার করে যে সে স্টিভেনের সঙ্গে একই বিছানায় রাত্রি যাপন করেছে। যখন সে স্টিভকে পুলিশের সঙ্গে কথা বলার কথা বলে, এবং এই দেখে বিরক্ত হয় যে স্টিভ শুধুমাত্র এই চিন্তা করছে যে তার বাবা তাকে না বকে। যে রাষ্ট্রীয় পুলিশটি উইলের মৃতদেহটি পেয়েছিলেন হপার তার মুখোমুখি হয়, এবং তাকে প্রহার করে তার কাছ থেকে জানতে পারে যে তাকে মিথ্যা বলার জন্য আদেশ করা হয়েছিল। হপার শবাগারে যায় এবং দেখে যে মৃতদেহটি একটি পুতুল। সে হকিন্স গবেষণাগারে অনুপ্রবেশ করে। | ||||||
৫ | ৫ | "চ্যাপ্টার ফাইভ: দ্য ফ্লী অ্যান্ড দ্য অ্যাক্রোব্যাট" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | অ্যালিসন ট্যাট্লক | ১৫ জুলাই ২০১৬ | |
উইলের বাবা লনি জয়েসকে আশ্বাস দেয় যে তার অভিজ্ঞতাগুলি তার ভ্রান্ত ধারণা। হপার গবেষণাগারের বেসমেন্টে একটি প্রবেশদ্বার আবিষ্কার করে, কিন্তু গবেষণাগারের রক্ষিবাহিনী তাকে মেরে অজ্ঞান করে দেয়। তার যখন জ্ঞান ফেরে তখন নিজেকে নিজের বাড়িতে পায়, এবং সেখানে একটা মাইক্রোফোন খুঁজে পায়। হপারের সহকারী তাকে জানায় যে বার্বারার গাড়িটা পাওয়া গেছে, কিন্তু হপারের কাছে রাষ্ট্রীয় পুলিশের জড়িত থাকাটা সন্দেহজনক বলে মনে হয়। ছেলেরা ঠিক করে নেয় যে উইল ইলেভেনের বলা "আপসাইড ডাউনে" আটকে পড়েছে, এবং ডেমোগরগনের মত কোন দানব তার পশ্চাদ্ধাবন করছে। উইলের অন্ত্যেষ্টিক্রিয়া পরে, বিজ্ঞান শিক্ষক মিঃ ক্লার্ক ছেলেদের বলে যে একটি উচ্চ শক্তিযুক্ত স্থান-কাল ছেদ বিভিন্ন মহাবিশ্বের মধ্যে একটি পথ তৈরি করতে পারে। তাদের কম্পাস ব্যবহার করে তারা পৃথিবীর তড়িৎচুম্বকীয় ক্ষেত্রর বিঘ্ন অনুসন্ধান করে। গবেষণাগারে সেই প্রাণীর সম্মুখিন হওয়ার কথা মনে পড়ায় ইলেভেন কম্পাসের দিক পুননির্দেশ করে দেয়। মাইক তার সমর্থন করে, সে এবং লুকাস হাতাহাতি করে, এবং ইলেভেন টেলিকাইনেসিসের মাধ্যমে লুকাসকে মাইকের উপর থেকে ছুড়ে ফেলে দেয়। ডাস্টিন এবং মাইক যখন অজ্ঞান লুকাসকে শুশ্রূষা করতে যায়, তখন ইলেভেন পালিয়ে যায়। জঙ্গলে ন্যন্সি এবং জোনাথান একটি আহত হরিণ খুঁজে পায়। অচেনা প্রাণীটি হরিণটিকে টেনে নিয়ে যায়, এবং ন্যন্সি রক্তের দাগ অনুসরণ করে আপসাইড ডাউনের প্রবেশদ্বারের কাছে পৌছায়। সে হামাগুড়ি দিয়ে ঢোকে, এবং দেখে যে প্রাণীটি হরিণটিকে খাচ্ছে। তার পায়ের তলায় একটি গাছের ডাল ভাঙার আওয়াজ হয় এবং প্রাণীটির দৃষ্টি সেই দিকে আকর্ষিত হয়। | ||||||
৬ | ৬ | "চ্যাপ্টার সিক্স: দ্য মন্স্টার" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | জেসিকা নিকসন-লোপেজ | ১৫ জুলাই ২০১৬ | |
জোনাথান ন্যন্সিকে প্রবেশদ্বার থেকে টেনে বার করে সেই দানবটি থেকে বাঁচাল। পরে স্টিভ তাদের একসঙ্গে দেখে এবং অনুমান করে যে তারা ডেটিং করছে। ন্যন্সি এবং জোনাথান দানবটিকে হত্যা করার প্রতিজ্ঞা করে এবং সেই উদ্দেশ্যে সেনা উদ্বৃত্ত ভান্ডার থেকে বিভিন্ন সামগ্রি কেনে। স্টিভের সাথে হাতাহাতির সময় জোনাথান অসাবধানতাবসত একজন পুলিশ অফিসারকে আক্রমণ করে এবং গ্রেফতার হয়। জয়েস এবং হপার টেরি আইভসকে যখন খুঁজে বার করে তখন সে ক্যাটাটনিক এবং তার বোন বেকি তার পরিচর্যা করছে। বেকি তাদের জানায় যে এমকেআল্ট্রা প্রকল্পের অধিনে টেরির উপর পরীক্ষা-নিরিক্ষা চালান এমন সময় যখন সে গর্ভবতী হলেও সে সেই ব্যাপারে জানত না; টেরি মনে করে যে তার মেয়ে জন্ম হওয়ার পরেই ব্রেনার সেই মেয়েকে অপহরণ করে। জয়েস এবং হপার এই সিদ্ধান্তে আসে যে ইলেভেনই খুব সম্ভবত জেন। ইলেভেন দোকান থেকে এগো ওয়াফেলস চুরি করে। ইলেভেনের মনে পরে যে তাকে যখন সেই দানবের সাথে টেলিকাইনেসিসের মাধ্যমে সংযোগ স্থাপন করতে বলা হয়েছিল তখন সে ঘটনাক্রমেগ গবেষণাগারের বেসমেন্টে আপসাইড ডাউনের প্রবেশদ্বার খুলে ফেলেছিল। ইলেভেনকে খুঁজতে গিয়ে ডাস্টিন এবং লুকাস তাদের বিদ্যালয়ের মস্তান ট্রয় এবং জেমসের সম্মুখিন হয়। ট্রয় ডাস্টিনকে ছুড়ির ডগায় রেখে মাইককে বলে যে হ্রদে উইলের দেহ পাওয়া গিয়েছিল সেই হ্রদে সে যেন ঝাঁপ দেয়। মাইক ঝাঁপ দেয় কিন্তু ইলেভেন তাকে হাওয়ায় ভাসিয়ে নিরাপদে নিয়ে আসে এবং সেই মস্তানরা ভয় পেয়ে সেখান থেকে পালিয়ে যায়। সেই ত্রিমুর্তী নিজেদের মধ্যে আলিঙ্গন করে বিবাদ মিটিয়ে মাইকের ঘরের উদ্দেশ্যে রওনা দেয়। লুকাস বুঝতে পারে যে গবেষণাগারের প্রতিনিধিরাও মাইকের বাড়ির উদ্দেশ্যে চলেছে। | ||||||
৭ | ৭ | "চ্যাপ্টার সেভেন: দ্য বাথটাব" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | জাস্টিন ডবেল | ১৫ জুলাই ২০১৬ | |
লুকাস ওয়াকি-টকির মাধ্যমে মাইককে সতর্ক করে দেয় যে সরকারী প্রতিনিধিরা তার বাড়ির দিকে যাচ্ছে। মাইক, ডাস্টিন এবং ইলেভেন পালিয়ে যায়। সেই প্রতিনিধিদের বাধা দেওয়ার জন্য ইলেভেন টেলিকাইনেসিসের মাধ্যমে একটি ভ্যান উল্টিয়ে, এবং ইলেভেনরা পালিয়ে যায়। লুকাস মাইক এবং এগারো সঙ্গে বিবাদ মিটিয়ে নেয়। জোনাথানের হাতাহাতির কারণে জয়েস এবং হপারকে পুলিশ স্টেশনে ডাকা হয়। জোনাথান এবং ন্যান্সি দানবের ব্যাপারটা জয়েস এবং হপার কে জানায়। এই চারজন মাইক এবং তার বন্ধুদের যোগাযোগ করে এবং তারা এক জায়াগায় মিলিত হয়। তারা ইলেভেনকে বলে উইল আর বার্বারাকে খোঁজার জন্য, কিন্তু এর আগের ঘটনার জন্য সে দুর্বল হয়ে পড়েছে। ইলেভেনের ক্ষমতা বৃদ্ধির জন্য তারা বিদ্যালয়ে ঢুকে একটি জ্ঞানেন্দ্রীয়-বঞ্চনা ট্যাংক তৈরি করে। ইলেভেন বার্বারার মৃতদেহ দেখতে পায় এবং দেখে যে তার মুখের মধ্যে থেকে একটি স্লাগ জাতীয় প্রাণী বেড়িয়ে আসছে। জয়েসের সাহায্যে ইলেভেন উইলকে জীবিত অবস্থায় আপসাইড ডাউনে তার বাড়ির পিছনে তৈরি "কাস্টেল বায়ার্সে" দেখতে পায়। হপার এবং জয়েস হকিন্স গবেষণাগারে ঢোকে, কিন্তু নিরাপত্তাকর্মীরা তাদের গ্রেফতার করে। ন্যান্সি এবং জোনাথান সেই দানবকে হত্যা করার প্রতিজ্ঞা করে এবং পুলিশ স্টেশন থেকে তাদের শিকার করার জিনিসগুলি চুরি করে। আপসাইড ডাউনে দানবটি উইলকে তার লুকানোর জায়াগায় খুঁজে পায়। | ||||||
৮ | ৮ | "চ্যাপ্টার এইট: দি আপসাইড ডাউন" | ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | কাহিনী: পল ডিখটার টেলিনাট্যকার: ডাফার ভ্রাতৃদ্বয় | ১৫ জুলাই ২০১৬ | |
হপার এবং জয়েস আপসাইড ডাউনে প্রবেশ করে যেখানে তারা টাউন গ্রন্থাগারে উইলকে অচৈতন্য অবস্থায় পায় এবং তাকে পুনরুজ্জীবিত করে। ন্যান্সি এবং জোনাথান বায়ার্সদের বাড়িটিতে ফাঁদ পাতে, তারপর নিজেদের হাত কেটে রক্ত বার করে সেই দানবকে প্রলুব্ধ করার চেষ্টা করে। জোনাথানের কাছে ক্ষমা চাওয়ার অভিপ্রায় স্টিভ সেখানে আসে, কিন্তু সেই দানব তাকে আক্রমণ করে। দানবটি ফাঁদে পা দেয়, কিন্তু ছাড়া পেয়ে আপসাইড ডাউনে পালিয়ে যায়। ইলেভেন এবং ছেলেরা বিদ্যালয়ে গিয়ে লুকায়। মাইক ইলেভেনকে বিদ্যালয়ের "স্নো বল" নাচে তার সঙ্গে যাওয়ার জন্য বলে এবং তাকে চুম্বন করে। সৈন্যদল ইলেভেনকে আবার আটক করার জন্য বিদ্যালয়ে প্রবেশ করে করে, কিন্তু সে তাদের হত্যা করে এবং নিজে মাটিতে লুটিয়ে পড়ে। যখন ব্রেনার ইলেভেনকে আদর করে, সেই সময় দানবটি তাকে হত্যা করে। দানবটি তাদের শ্রেণীকক্ষে আটকে ফেলে, কিন্তু ইলেভেন সেটিকে দেওয়ালে আটকে ফেলে। ইলেভেন দানবটিকে ধুলিসাৎ করে ফেলে, এবং নিজেও অদৃশ্য হয়ে যায়, যার ফলে মাইক বিধ্বস্ত হয়ে যায়। উইলকে হাসপাতালে ভর্তি করা হয় এবং সে তার পরিবার এবং বন্ধুদের সাথে মিলিত হয়। হপারকে তার অনিচ্ছা সত্ত্বেও একটি কালো গাড়িতে তোলা হয়। এক মাস পর, ন্যান্সি এবং স্টিভকে আবার একসাথে দেখা যায়, এবং তারা এখন জোনাথানের বন্ধু। হপার এগো ওয়াফেলসের একটা বাক্স জঙ্গলে রেখে আসে। উইল একটা স্লাগ-জাতীয় প্রাণীকে উগরে বার করে, এবং পৃথিবীকে আপসাইড ডাউন হিসাবে কল্পনা করে, কিন্তু এই ব্যাপারে সে তার পরিবারের কাছে লুকিয়ে রাখে। |
প্রযোজনা
[সম্পাদনা]সম্প্রসার
[সম্পাদনা]স্ট্রেঞ্জার থিংসের সৃষ্টিকর্তা হচ্ছেন ম্যাট এবং রস ডাফার, যাদের পেশাদারী নাম হচ্ছে "দ্য ডাফার ব্রাদার্স" বা ডাফার্স ভ্রাতৃদ্বয়।[১৩] দুজনে ২০১৫ সালে তাদের হিডেন নামক চলচ্চিত্রের লেখার এবং প্রযোজনার কাজ শেষ করেন। এই চলচ্চিত্রে তারা এম নাইট শ্যামালানের শৈলী অনুকরণ করার চেষ্টা করেছিলেন। কিন্তু সেই সময়ে চলচ্চিত্রটির পরিবেশক ওয়ার্নার ব্রাদার্সের অভ্যন্তরীন পরিবর্তনের ফলে চলচ্চিত্রটি তেমনভাবে প্রচার এবং মুক্তি পায়নি, এবং ভ্রাতৃদ্বয়েরা তাদের ভবিষ্যতের ব্যাপারে অনিশ্চিত হয়ে পরেন।[১৪] তবে তাদেরকে অবাক করে দিয়ে হিডেনের চিত্রনাট্য টেলিভিশন প্রযোজক ডোনাল্ড ডি লাইনের মনে প্রভাব ফেলে এবং তিনি তাদের ওয়েওয়ার্ড পাইন্সে শ্যামালানের সঙ্গে কাজ করার সুযোগ করে দেন। এই ধারাবাহিকের প্রযোজনার কাজের সময়ে শ্যামালান তাদের পরামর্শদাতা হিসাবে কাজ করেন, এবং এই কাজ শেষে হওয়ার পরে ভ্রাতৃদ্বয়েরা মনে করেন যে তারা তাদের নিজস্ব টেলিভিশন ধারাবাহিকে কাজের জন্য তৈরি করতে প্রস্তুত।[১৫]
মুক্তি
[সম্পাদনা]অভ্যর্থনা
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Gallagher, Caitlin (জুলাই ১৫, ২০১৬)। "Is Hawkins A Real Town? 'Stranger Things' Will Make You Nostalgic For These Other '80s Classics"। Bustle। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৫, ২০১৬।
- ↑ ক খ Ausiello, Michael (জুন ১৫, ২০১৫)। "Scoop: Winona Ryder to Headline Untitled Netflix Supernatural Thriller"। TVLine। আগস্ট ১৬, ২০১৫ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৪, ২০১৫।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ Andreeva, Nellie (আগস্ট ২০, ২০১৫)। "Duffer Bros. Netflix Supernatural Drama Series Sets Young Cast, Gets Title"। Deadline Hollywood। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২৪, ২০১৫।
- ↑ Petski, Denise (সেপ্টেম্বর ১, ২০১৫)। "Cara Buono Joins Netflix's 'Stranger Things'; Dean Cain In 'Lady Dynamite'"। Deadline Hollywood। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৬।
- ↑ "Netflix's 'Stranger Things' Adds Matthew Modine to Cast (Exclusive)"। TheWrap। অক্টোবর ২৭, ২০১৫। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৬।
- ↑ Crossan, Ashley (আগস্ট ৩১, ২০১৬)। "EXCLUSIVE: 'Stranger Things' Actor Joe Keery on Season 2, Steve's Hair and Justice for Barb"। Entertainment Tonight। সেপ্টেম্বর ২, ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ জানুয়ারি ২, ২০১৭।
- ↑ Petski, Denise (অক্টোবর ১৪, ২০১৬)। "'Stranger Things' Netflix Series Adds Two New Regulars, Promotes Two For Season 2"। Deadline Hollywood। সংগ্রহের তারিখ অক্টোবর ১৪, ২০১৬।
- ↑ Coates, Tyler (আগস্ট ১, ২০১৬)। "This 19-Year-Old Unknown Actress Just Became an '80s Cult Icon"। Esquire। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৪, ২০১৬।
- ↑ Petski, Denise (সেপ্টেম্বর ১, ২০১৫)। "Ross Patridge Joins cast of Stranger Things"। Deadline Hollywood। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ৪, ২০১৬।
- ↑ Nyren, Erin (মে ৩১, ২০১৭)। "Mark Steger on Portraying the Monster in 'Stranger Things'"। Variety। সংগ্রহের তারিখ জুন ৭, ২০১৭।
- ↑ Kubai, Andy (আগস্ট ১৯, ২০১৬)। "'Stranger Things' Real Life Conspiracy and Occult Connections"। Screenrant.com। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২২, ২০১৬।
- ↑ Randall, Kayla (নভেম্বর ২০১৬)। "Two young Louisiana actors are featured in two buzzed-about Netflix shows"। 225 Baton Rouge। সংগ্রহের তারিখ মার্চ ৫, ২০১৭।
- ↑ Mellor, Louisa (জুলাই ১৫, ২০১৬)। "Netflix's Stranger Things spoiler-free review"। Den of Geek। সংগ্রহের তারিখ জুলাই ১৭, ২০১৬।
- ↑ Sternbergh, Adam (আগস্ট ২০, ২০১৭)। "Turned Upside Down"। Vulture। সংগ্রহের তারিখ আগস্ট ২২, ২০১৭।
- ↑ Grow, Kory (আগস্ট ৩, ২০১৬)। "'Stranger Things': How Two Brothers Created Summer's Biggest TV Hit"। Rolling Stone। ফেব্রুয়ারি ৩, ২০১৭ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ফেব্রুয়ারি ৬, ২০১৭।