সৌর পঞ্জিকা
অবয়ব
সৌর পঞ্জিকা হলো এমন পঞ্জিকা (বর্ষপঞ্জি) যেখানে দিনসমূহকে হিসাব করার জন্য সূর্যের ঘুর্ণন পদ্ধতির ফলে উদ্ভূত গণনাকে ব্যবহার করা হয়।[১] হিসাবের সুবিধার্থে পৃথিবীতে সৌর পঞ্জিকার ব্যবহারই অধিক প্রচলিত; যেমনঃ ইংরেজি পঞ্জিকা, বাংলা পঞ্জিকা।[২]
ইতিহাস
[সম্পাদনা]প্রাথমিকভাবে বর্ষ গণনা করা হতো চাঁদের আবর্তন হিসাব করে, সুমেরীয় সভ্যতায় যা প্রথম দৃষ্ট হয়; কিন্তু জ্যোতির্বিজ্ঞান, হিসাব-নিকাশ প্রভৃতিতে অগ্রগামী থাকায় মিশরীয়রাই পৃথিবীতে প্রথম সৌর পঞ্জিকার প্রচলন করে।[৩]
ভিত্তি
[সম্পাদনা]সৌর পঞ্জিকার ভিত্তি হলো পৃথিবীর আহ্নিক গতির সময়কাল এবং বার্ষিক গতির সময়কাল।[১]
উদাহরণ
[সম্পাদনা]কয়েকটি সৌর পঞ্জিকার উদাহরণ হলোঃ
- বঙ্গাব্দ - বঙ্গাব্দ, বাংলা সন বা বাংলা বর্ষপঞ্জি হল বঙ্গদেশের একটি ঐতিহ্য মণ্ডিত সৌর পঞ্জিকা ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি।[২]
- জুলিয় বর্ষপঞ্জি - জুলিয়ান বর্ষপঞ্জী খৃষ্টপূর্ব ৪৬ খ্রিষ্টাব্দে জুলিয়াস সিজার কর্তৃক প্রবর্তিত একটি ঐতিহ্যবাহী সৌর ক্যালেন্ডার।[৪]
- গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী - গ্রেগরীয় বর্ষপঞ্জী, গ্রেগোরিয়ান বর্ষপঞ্জী, পাশ্চাত্য বর্ষপঞ্জী, ইংরেজি বর্ষপঞ্জি বা খ্রিষ্টাব্দ হল আন্তর্জাতিকভাবে প্রায় সর্বত্র স্বীকৃত একটি সৌর বর্ষপঞ্জী, যা বিভিন্ন সময় ধাপে ধাপে উন্নয়নের ফলে বর্তমান রুপে আবির্ভূত হয়েছে।[৫][৬][৭][৮][৯]
- থাই (শ্যামদেশীয়) সৌর বুদ্ধাব্দ - থাইল্যান্ডে প্রচলিত সৌর ভিত্তিক বর্ষপঞ্জি বুদ্ধাব্দ নামেই পরিচিত, যাতে সূর্যের একেকটি রাশিতে অবস্থানের উপর ভিত্তি করে একেকটি মাস গণিত হয়।
- ইরানি বর্ষপঞ্জী - ইরানি বর্ষপঞ্জী অথবা পারস্য বর্ষপঞ্জী হল বৃহত্তর ইরানে প্রায় দুই সহস্রাব্দব্যাপী প্রচলিত বর্ষপঞ্জী, যাতে বছর শুরু হয় ইরানি সময়ানুসারে গণিত মহাবিষুবের দিনে।
- বাইজেন্টাইন বর্ষপঞ্জী - বাইজেন্টাইন বর্ষপঞ্জী হল ইস্টার্ন অর্থোডক্স চার্চ কর্তৃক ব্যবহৃত একটি সৌর ভিত্তিক পঞ্জিকা, যা কনস্টান্টিনোপল সৃষ্টির যুগ (Creation Era of Constantinople) বা বিশ্ব এর যুগ (Era of the World) নামে পরিচিত।[১০]
- শকাব্দ - শকাব্দ (অথবা শালীবাহনাব্দ) হল ভারতীয় উপমহাদেশে বহুলপ্রচলিত এক প্রাচীন সৌর অব্দ।[১১]
আরও দেখুন
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ "সৌর-পঞ্জিকা"। http://onushilon.org। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮।
|প্রকাশক=
এ বহিঃসংযোগ দেয়া (সাহায্য) - ↑ ক খ সৈয়দ আশরাফ আলী (জানুয়ারি ২০০৩)। "বাংলা বর্ষপঞ্জি"। সিরাজুল ইসলাম। [[বাংলাপিডিয়া]]। ঢাকা: এশিয়াটিক সোসাইটি বাংলাদেশ। আইএসবিএন 984-32-0576-6। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮। ইউআরএল–উইকিসংযোগ দ্বন্দ্ব (সাহায্য)
- ↑ "যেভাবে এলো ইংরেজি ক্যালেন্ডার"। বাংলানিউজটোয়েন্টিফোর.কম অনলাইন। ৩১ ডিসেম্বর ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ "রোমের সৌর পঞ্জিকা"। দৈনিক বাংলাদেশ প্রতিদিন অনলাইন। ১৬ এপ্রিল ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৪ জানুয়ারি ২০১৮।
- ↑ Introduction to Calendars ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৯ অক্টোবর ২০১১ তারিখে. United States Naval Observatory. Retrieved 15 January 2009.
- ↑ Calendars ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১ এপ্রিল ২০০৪ তারিখে by L. E. Doggett. Section 2.
- ↑ The international standard for the representation of dates and times, ISO 8601, uses the Gregorian calendar. Section 3.2.1.
- ↑ See Wikisource English translation of the (Latin) 1582 papal bull Inter gravissimas, instituting Gregorian calendar reform.
- ↑ Moyer (1983).
- ↑ Pavel Kuzenkov. "How Old is The World? The Byzantine Era and its Rivals". Institute for World History, Moscow, Russia. In: Elizabeth Jeffreys, Fiona K. Haarer, Judith Gilliland. Proceedings of the 21st International Congress of Byzantine Studies: London, 21–26 August 2006: Vol. 3, Abstracts of Communications. Ashgate Publishing, Ltd., 2006. pp. 23–24.
- ↑ The Indian Calendar, NASA Eclipse Website
বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- বাংলা বর্ষপঞ্জি - বাংলাপিডিয়া হতে সংকলিত নিবন্ধ।