সামুদ্রিক সাপ
সামুদ্রিক সাপ | |
---|---|
বাংলাদেশ ও ভারতসহ প্রশান্ত ও ভারত মহাসাগরীয় অঞ্চলের হলুদ পেট সামুদ্রিক সাপ (Laticauda colubrina)। | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ: | প্রাণী জগৎ |
পর্ব: | কর্ডাটা |
উপপর্ব: | Vertebrata |
শ্রেণী: | Reptilia |
বর্গ: | Squamata |
উপবর্গ: | Serpentes |
পরিবার: | Hydrophiidae বোই, ১৮২৭ |
সামুদ্রিক সাপ (ইংরেজি: Sea snake) হচ্ছে এক প্রকার বিষধর এলাপিড সাপ, যারা তাদের জীবনের পুরোটা বা বেশিরভাগ সময় সমুদ্রে কাটায়। যদিও স্থলজ সাপ থেকে এদের উৎপত্তি ও বিকাশ, তবুও এদের সবাই তাদের সম্পূর্ণ জীবনটাই সমুদ্রের জলজ পরিবেশে কাটিয়ে দেয়, এবং তারা কখনোই স্থলভাগে আসে না। ব্যতীক্রমতা ঘটে শুধু লেটিকডা গণের (Laticauda) ক্ষেত্রে। এই গণের সাপসমূহের পূর্ববংশধরদের বৈশিষ্ট্য সমুন্নত রয়েছে, এবং তারা তাদের জীবনের স্বল্প একটি ভাগ স্থলভাগে কাটায়। ভারত ও প্রশান্ত মহাসাগরের উষ্ণ সমুদ্র স্রোতের অঞ্চলে সামুদ্রিক সাপের বিস্তৃতি লক্ষ্য করা যায়। এদের সবারই প্যাডেলর বা পা-দানির মতো লেজ রয়েছে, এবং অনেকের রয়েছে পার্শ্বীয় প্রতিসাম্য শরীর, যা অনেকটা সামুদ্রিক বাইন মাছের সাথে সাদৃশ্যপূর্ণ। সামুদ্রিক সাপের মাছের মতো ফুলকা নেই, তাই শ্বসনকার্য সম্পাদনের জন্য তাদের নিয়মিত পানির ওপরে উঠে আসতে হয়। জলজ এবং বায়ু শ্বাস-প্রশ্বাসযোগ্য মেরুদণ্ডীদের মধ্যে এরা অন্যতম।[১] সামুদ্রিক সাপের মধ্যে কিছু সাপ ও তাদের প্রজাতিসমূহ বিশ্বের সবচেয়ে বিষধর হিসেবে স্বীকৃত। এদের মধ্যে কিছু আছে যারা আচরণগতভাবে যথেষ্ট শান্তিপ্রিয়, নিরীহ, এবং শুধুমাত্র তখনই দংশন করে যখন তারা নিজেদেরকে হুমকির সম্মুখীন মনে করে। এছাড়া বাকি প্রজাতিগুলো অনেক বেশি আক্রমণাত্মক। এখন পর্যন্ত সামুদ্রিক সাপের অন্তর্ভুক্ত ১৭টি গণ এবং ৬২টি প্রজাতি পাওয়া গেছে।[২][৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Parker HW, Grandison AGC. 1977. Snakes – a natural history. Second Edition. British Museum (Natural History) and Cornell University Press. 108 pp. 16 plates. LCCCN 76-54625. আইএসবিএন ০-৮০১৪-১০৯৫-৯ (cloth), আইএসবিএন ০-৮০১৪-৯১৬৪-৯ (paper).
- ↑ "Elapidae"। ইন্টিগ্রেটেড ট্যাক্সোনোমিক ইনফরমেশন সিস্টেম।
- ↑ Elapidae ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১১ অক্টোবর ২০০৮ তারিখে at the New Reptile Database.