রেশম চাষ
রেশম সুতা উৎপাদনের লক্ষ্যে রেশমপোকা প্রতিপালনকে রেশম চাষ বলে। এটি ফলিত প্রাণিবিজ্ঞান এর অন্যতম একটি শাখা। রেশম চাষের ইংরেজি শব্দ Sericulture - এর আভিধানিক অর্থ Culture of Sericine বা সেরিসিন নামক এক ধরনের প্রোটিন এর লালন।[১] এই সেরিসিন হলো রেশমের মূল গাঠনিক পদার্থ। অর্থাৎ যে জীব সেরিসিন নামক প্রোটিন বস্তু প্রস্তুত করে তার লালন-পালন ই হচ্ছে সেরিকালচার বা রেশম চাষ।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]খ্রিষ্ট জন্মের প্রায় ২০০০ বছর আগে চীন দেশে সর্বপ্রথম রেশম সুতা আবিষ্কৃত হয়। এরপর প্রায় দুই থেকে আড়াই হাজার বছর পর্যন্ত চীনারা একচেটিয়াভাবে অত্যন্ত গোপনীয়নতার সাথে রেশমী সুতা ও রেশমী কাপড় তৈরি করত। খ্রিষ্টের জন্মের প্রায় সাড়ে পাঁচশত বছর পর দুজন ইউরোপীয় পাদ্রী চুরি করে রেশম উৎপাদনের কৌশল শিখে নেন। এবং ইউরোপে কিছু রেশম পোকার ডিম ও তুঁত গাছের বীজ নিয়ে এসে রেশম চাষ শুরু করেন।[২] বর্তমানে বিশ্বের অনেক দেশ উন্নতমানের রেশম সুতা ও রেশম পোকার চাষ করে।
কার্যক্রম
[সম্পাদনা]রেশম চাষের মূল কার্যক্রম তিনটি-
তুঁতপাতা উৎপাদন : রেশম কীটের খাদ্য
[সম্পাদনা]= তুঁত গাছের বংশবৃদ্ধি
[সম্পাদনা]তুঁত চাষ পদ্ধতি
[সম্পাদনা]তুঁত চাষের যত্ন
[সম্পাদনা]তুঁত গাছের ক্ষতিকর কীটপতঙ্গ
[সম্পাদনা]রেশম পোকা (পলু) পালন
[সম্পাদনা]রেশম পোকার জাত
[সম্পাদনা]পলু পোষা
[সম্পাদনা]রেশম পোকার রোগ, পেষ্ট ও নিয়ন্ত্রণ ব্যবস্থা
[সম্পাদনা]প্রধাণত রেশম পোকার তিন ধরনের রোগ লক্ষ্য করা যায়। যথা:
১.অনুজীব ঘটিত রোগ
২.বিপাক ক্রিয়ায় বিঘ্ন জনিত রোগ
৩.পতঙ্গ শ্রেণি দ্বারা আক্রান্ত হওয়া জনিত রোগ
অনুজীব ঘটিত রোগ:
[সম্পাদনা]সূক্ষ আনুবিক্ষণিক জীব দ্বারা সংঘটিত কয়েকপ্রকার রোগের আলোচনা করা হল-
১.ফ্লাচারী বা কালশিরা রোগ
২.গ্রাসেরি বা রসা রোগ
৩.মুস্কার ডাইন বা চুনাকাঠি রোগ (ছত্রাকের আক্রমণে চুনের মতো সাদা রোগ l)
৪.পেব্রাইন বা কটারোগ
ফ্লাচারী বা কালশিরা রোগ:
[সম্পাদনা]রোগের ধরন:
ব্যাকটেরিয়ার আক্রমণে হয়।
রোগের লক্ষণ:
খোলস বদল ক্ষতিগ্রস্ত হয়।ত্বক হলুদ বর্ণ ধারণ করে ও রক্ত দুধের মতন হয়।দেহ অন্তঃস্থযন্ত্র সমূহের পচন হয় এবং লার্ভার মৃত্যু ঘটে।
প্রতিকারের উপায়:
পরিষ্কার,পরিচ্ছন্ন রাখা প্রয়োজন।আক্রান্ত লার্ভা এবং মৃত পোকা গুলিকে নষ্ট করে ফেলতে হবে।
রিলিং : সুতা আহরণ
[সম্পাদনা]সুতা আহরণ পদ্ধতি সমূহ
[সম্পাদনা]বাজার জাতকরণ
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ Vainker, Shelagh (২০০৪)। Chinese Silk: A Cultural History। Rutgers University Press। পৃষ্ঠা 20। আইএসবিএন 0813534461।
- ↑ Barber, E. J. W. (১৯৯২)। Prehistoric textiles: the development of cloth in the Neolithic and Bronze Ages with special reference to the Aegean (reprint, illustrated সংস্করণ)। Princeton University Press। পৃষ্ঠা 31। আইএসবিএন 978-0-691-00224-8। সংগ্রহের তারিখ ৬ নভেম্বর ২০১০।