যশবন্ত সিনহা
যশবন্ত সিনহা | |
---|---|
সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের সহ-সভাপতি | |
কাজের মেয়াদ ১৫ মার্চ ২০২১ – ২১ জুন ২০২২ | |
নেতা | মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় |
পূর্বসূরী | দীনেশ ত্রিবেদী |
উত্তরসূরী | TBD |
ভারতের বিদেশমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ১ জুলাই ২০০২ – ২২ মে ২০০৪ | |
প্রধানমন্ত্রী | অটল বিহারী বাজপেয়ী |
পূর্বসূরী | যশবন্ত সিং |
উত্তরসূরী | নটবর সিং |
ভারতের অর্থমন্ত্রী | |
কাজের মেয়াদ ৫ ডিসেম্বর ১৯৯৮ – ১ জুলাই ২০০২ | |
প্রধানমন্ত্রী | অটল বিহারী বাজপেয়ী |
পূর্বসূরী | পি. চিদম্বরম |
উত্তরসূরী | যশবন্ত সিং |
কাজের মেয়াদ ১০ নভেম্বর ১৯৯০ – ৫ জুন ১৯৯১ | |
প্রধানমন্ত্রী | চন্দ্র শেখর |
পূর্বসূরী | মধু দণ্ডবতে |
উত্তরসূরী | মনমোহন সিং |
সংসদ সদস্য, লোকসভা | |
কাজের মেয়াদ ১৯৯৮ – ২০১৪ | |
পূর্বসূরী | এম. এল. বিশ্বকর্মা |
উত্তরসূরী | জয়ন্ত সিনহা |
সংসদীয় এলাকা | হাজারীবাগ |
সংসদ সদস্য, রাজ্যসভা | |
কাজের মেয়াদ ১৯৮৮ – ১৯৯৪ | |
ব্যক্তিগত বিবরণ | |
জন্ম | [১] পাটনা, বিহার প্রদেশ, ব্রিটিশ ভারত (বর্তমান সময়ে বিহার, ভারত)[১] | ৬ নভেম্বর ১৯৩৭
জাতীয়তা | ভারতীয় |
রাজনৈতিক দল | ইউপিএ (২০২২–বর্তমান) |
অন্যান্য রাজনৈতিক দল | সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেস (২০২১-২০২২) ভারতীয় জনতা পার্টি (১৯৯২–২০১৮) জনতা দল (১৯৮৪-১৯৯১) |
দাম্পত্য সঙ্গী | নীলিমা সিনহা |
সন্তান | জয়ন্ত সিনহা সুমন্ত সিনহা |
বাসস্থান | নতুন দিল্লি, ভারত |
পেশা | সরকারি কর্মচারী, রাজনীতিবিদ |
পুরস্কার | লেজিওঁ দনর (২০১৫) |
ওয়েবসাইট | yashwantsinha |
যশবন্ত সিনহা (হিন্দুস্তানি উচ্চারণ: [jəʃˈʋən̪t̪ sɪnˈɦɑː], জন্ম ৬ নভেম্বর ১৯৩৭) একজন ভারতীয় প্রশাসক এবং রাজনীতিবিদ। তিনি ১৯৯০ সাল থেকে ১৯৯১ সাল পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী চন্দ্র শেখরের অধীনে এবং পুণরায় মার্চ ১৯৯৮ থেকে জুলাই ২০০২ পর্যন্ত প্রধানমন্ত্রী অটল বিহারী বাজপেয়ীর অধীনে অর্থমন্ত্রী হিসেবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি জুলাই ২০০২ থেকে মে ২০০৪ বিদেশমন্ত্রী হিসেবেও দায়িত্ব পালন করেন। ২১ এপ্রিল ২০১৮-এ দল ত্যাগ করার আগে তিনি ভারতীয় জনতা পার্টির একজন সিনিয়র নেতা ছিলেন।
২০২১ সালের মার্চ মাসে তিনি সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন; তবে তিনি ২০২২ সালের জুনে দলত্যাগ করেন কারণ ২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনে তাদের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসাবে তিনি বিরোধী জোটের দ্বারা সমর্থিত হন।।
প্রাথমিক জীবন
[সম্পাদনা]সিনহার জন্ম বিহারের পাটনায় এক কায়স্থ পরিবারে। তিনি ১৯৫৮ সালে রাষ্ট্রবিজ্ঞানে স্নাতকোত্তর ডিগ্রি লাভ করেন।[১] পরবর্তীকালে, তিনি ১৯৬২ সাল পর্যন্ত পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ে এই বিষয়ে অধ্যাপনা করেন।
সিভিল সার্ভিস কর্মজীবন
[সম্পাদনা]সিনহা ১৯৬০ সালে ইন্ডিয়ান অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ সার্ভিসে যোগ দেন এবং ২৪ বছরেরও বেশি সময় তার চাকরির মেয়াদে গুরুত্বপূর্ণ পদে অধিষ্ঠিত ছিলেন। তিনি ৪ বছর সাব-ডিভিশনাল ম্যাজিস্ট্রেট এবং জেলা ম্যাজিস্ট্রেট হিসাবে দায়িত্ব পালন করেন। তিনি ২ বছর বিহার সরকারের অর্থ বিভাগে আন্ডার সেক্রেটারি এবং ডেপুটি সেক্রেটারি ছিলেন এবং তারপরে তিনি ভারত সরকারের ডেপুটি সেক্রেটারি হিসাবে বাণিজ্য মন্ত্রণালয়ে কাজ করেছিলেন।
১৯৭১ থেকে ১৯৭৩ সাল পর্যন্ত তিনি জার্মানির বনে ভারতীয় দূতাবাসে প্রথম সচিব (বাণিজ্যিক) ছিলেন। পরবর্তীকালে, তিনি ১৯৭৩ থেকে ১৯৭৪ সাল ফ্রাঙ্কফুর্টে ভারতের কনসাল জেনারেল হিসেবে কাজ করেন। এই ক্ষেত্রে সাত বছরেরও বেশি সময় ধরে কাজ করার পর, তিনি বৈদেশিক বাণিজ্য এবং ইউরোপীয় অর্থনৈতিক সম্প্রদায়ের সাথে ভারতের সম্পর্কের বিষয়ে অভিজ্ঞতা অর্জন করেন। তারপরে, তিনি বিহার রাজ্য সরকারের শিল্প পরিকাঠামো বিভাগে এবং ভারত সরকারের শিল্প মন্ত্রণালয়ে বিদেশী শিল্প সহযোগিতা, প্রযুক্তি আমদানি, মেধা সম্পত্তি অধিকার এবং শিল্প অনুমোদন নিয়ে কাজ করেন।
পরে তিনি ১৯৮০ থেকে ১৯৮৪ সাল পর্যন্ত সারফেস ট্রান্সপোর্ট মন্ত্রকের ভারত সরকারের যুগ্ম সচিব ছিলেন, তাঁর প্রধান দায়িত্ব ছিল সড়ক পরিবহন, বন্দর এবং জাহাজ। তিনি ১৯৮৪ সালে চাকরি থেকে পদত্যাগ ।
রাজনৈতিক কর্মজীবন
[সম্পাদনা]জনতা দল
[সম্পাদনা]সিনহা ১৯৮৪ সালে ভারতীয় প্রশাসনিক পরিষেবা থেকে পদত্যাগ করেন এবং জনতা পার্টির সদস্য হিসাবে সক্রিয় রাজনীতিতে যোগ দেন। তিনি ১৯৮৬ সালে দলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন এবং ১৯৮৮ সালে রাজ্যসভার (ভারতীয় সংসদের উচ্চকক্ষ) সদস্য নির্বাচিত হন।
১৯৮৯ সালে জনতা দল গঠিত হলে তিনি দলের সাধারণ সম্পাদক নিযুক্ত হন। তিনি চন্দ্র শেখরের মন্ত্রিসভায় নভেম্বর ১৯৯০ থেকে জুন ১৯৯১ পর্যন্ত অর্থমন্ত্রী হিসাবে কাজ করেছিলেন।
বিজেপি
[সম্পাদনা]তিনি ১৯৯৬ সালের জুন মাসে ভারতীয় জনতা পার্টির জাতীয় মুখপাত্র হন। তিনি ১৯৯৮, ১৯৯৯ এবং ২০০৯ সালে হাজারীবাগ (লোকসভা কেন্দ্র) থেকে বিজেপি প্রার্থী হিসাবে লোকসভায় নির্বাচিত হন। তিনি ১৯৯৮ সালের মার্চ মাসে অর্থমন্ত্রী নিযুক্ত হন। তিনি ১ জুলাই ২০০২-এ বিদেশ মন্ত্রী হিসাবে নিযুক্ত হন। ২০০৪ সালের লোকসভা নির্বাচনে, কেবি সহায়ের নাতি প্রশান্ত সহায়ের সক্ষম প্রচেষ্টায় তিনি হাজারীবাগ নির্বাচনী এলাকায় পরাজিত হন যিনি পরে তার জীবনও রক্ষা করেছিলেন। তিনি ২০০৫ সালে সংসদে পুনরায় প্রবেশ করেন। ১৩ জুন ২০০৯-এ, তিনি বিজেপির সহ-সভাপতি পদ থেকে পদত্যাগ করেন। ২০১৮ সালে তিনি "দলের অবস্থা" এবং "ভারতে গণতন্ত্র বড় বিপদের" উল্লেখ করে বিজেপি ছেড়েছিলেন। [২]
তৃণমূল কংগ্রেস এবং ২০২২-এর রাষ্ট্রপতি প্রচার
[সম্পাদনা]২০২১ সালের ১৩ মার্চ, তিনি ২০২১ সালের পশ্চিমবঙ্গ বিধানসভা নির্বাচনের ঠিক আগে বিজেপির বিরুদ্ধে লড়াই করার জন্য তৃণমূল কংগ্রেসে যোগ দেন। ১৫ মার্চ ২০২১-এ তিনি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নেতৃত্বাধীন দলের সহ-সভাপতি নিযুক্ত হন। তিনি ২০২২ সালের রাষ্ট্রপতি নির্বাচনের জন্য বিরোধী দলের রাষ্ট্রপতি প্রার্থী হিসাবে সর্বসম্মতিক্রমে নির্বাচিত হন, যার ফলে তিনি রাষ্ট্রপতির জন্য মনোনীত হওয়া প্রথম তৃণমূল কংগ্রেস নেতা হয়েছিলেন।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ১৯৩৭-এ জন্ম
- জীবিত ব্যক্তি
- ভারতের অর্থমন্ত্রী
- ভারতের বিদেশমন্ত্রী
- দ্বাদশ লোকসভার সদস্য
- ত্রয়োদশ লোকসভার সদস্য
- পঞ্চদশ লোকসভার সদস্য
- পাটনার ব্যক্তি
- জনতা দলের রাজনীতিবিদ
- বিহারের রাজ্যসভা সদস্য
- ভারতীয় বেসামরিক কর্মচারী
- পাটনা বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাক্তন শিক্ষার্থী
- লেজিওঁ দনর প্রাপক
- ঝাড়খণ্ডের রাজ্যসভা সদস্য
- ঝাড়খণ্ডের ভারতীয় জনতা পার্টির রাজনীতিবিদ
- জনতা পার্টির রাজনীতিবিদ
- ঝাড়খণ্ডের লোকসভা সদস্য
- কর্পোরেট বিষয়ক মন্ত্রী
- বিহার বিধানসভার সদস্য ১৯৯৫-২০০০
- ঝাড়খণ্ডের তৃণমূল কংগ্রেসের রাজনীতিবিদ
- বিহার বিধানসভায় বিরোধী দলনেতা
- পাটনার রাজনীতিবিদ