বিষয়বস্তুতে চলুন

মুঘল চিত্রশিল্প

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
একটি মুঘল চিত্রশিল্প।

মুঘল চিত্রশিল্প দক্ষিণ এশিয়ার এক ধরনের চিত্রকর্ম, যা মূলত ক্ষুদ্র চিত্রশিল্প এবং একে বই হিসাবে অথবা ব্যক্তিগত অ্যালবাম হিসাবে উল্লেখ করা যেতে পারে৷ চিত্রশিল্পটিতে পারস্যের চিত্রশিল্পের বেশ প্রভাব আছে এবং বৃহত্তর অর্থে এ উভয় চিত্রশিল্পই (চীনা চিত্রশিল্প) দ্বারা প্রভাবিত৷ এর সাথে যোগ হয়েছে হিন্দু, জৈনবৌদ্ধ ধর্মাবলম্বীদের চিত্রশিল্পের অবাধ মিশ্রণ৷ তবে এ চিত্রশিল্পটি মূলত ১৬শ শতক হতে ১৮শ শতকে ভারত শাসনকারী মুঘল সম্রাটদের শাসন আমলে চর্চা-কৃত চিত্রশিল্পকেই বোঝায়৷ মুঘল চিত্রশিল্প হিন্দুমুসলিম উভয় সম্প্রদায়ের মধ্যে বিস্তৃতি লাভ করেছে৷ এমনকি শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যেও এ চিত্রশিল্পের চর্চা লক্ষ্য করা যায়৷

উৎপত্তি

[সম্পাদনা]

মুঘল চিত্রশিল্প পারস্য এবং ভারতের চিত্রশিল্পের এক ধরনের অবাধ মিশ্রণ৷ পূর্বহতেই দিল্লির তুর্কী-আফগান সুলতানাতের মুসলিমদের মধ্যে ক্ষুদ্র চিত্রশিল্পের চর্চা ছিল, যা মুঘল সম্প্রদায়ের মাধ্যমে অধিগৃহিত হয়৷ এর পর মুঘলদের মত মধ্য এশিয়ার অন্যান্য বিজয়ী শক্তি বিভিন্ন সময়ে বাইরের সংস্কৃতির পৃষ্ঠপোষকতা করেন৷ যদিও প্রথম দিককার মুঘল শিল্পকর্মগুলোর প্রথমটি পাওয়া গেছে ভারতের মানডু শহরে এবং এর পূর্বের চিত্রশিল্পগুলোর মধ্যে প্রায় সবগুলোই হারিয়ে গেছে৷ অবশ্য মুঘলদের দ্বারা ভারতবর্ষ অধিকৃত হওয়ার পর পারস্যের চিত্রশিল্পের ধারার কিছু পরিবর্তন করা হয়৷ যেমন: পারস্যের চিত্রশিল্পগুলোতে প্রাণী এবং বৃক্ষের ছবিগুলো যেভাবে দূর অবস্থানে ফুটিয়ে তোলা হতো, মুঘল চিত্রশিল্পে এক্ষেত্রে প্রাণী, গাছপালার ছবিগুলো আরও স্পষ্ট ও বাস্তবসম্মতভাবে উপস্থাপন করা হত৷

মুঘল সাম্রাজ্যের প্রতিষ্ঠাতা সম্রাট বাবরের সময়কার কোনও চিত্রকর্ম অবশ্য পরবর্তীতে পাওয়া সম্ভব হয়নি৷ তার লেখা বাবরনামা হতেও এ সম্পর্কে জানা যায় না৷ সম্রাট আকবরের সময়ে অবশ্য বেশ কিছু চিত্রকর্ম প্রস্তুত করা হয়৷ কিছু কিছু শিল্পকর্মের উপর তার সীলও পাওয়া যায়৷ মুঘলরা যেহেতু সুদূর তিমুর হতে ভারতে এসেছিলো, তাই তাদের উপর স্পষ্টতই পারস্যের সংস্কৃতির প্রভাব পরিলক্ষিত হয়৷ আর এ কারণেই এ সকল বিজেতারা পারসিক সাহিত্য এবং শিল্পের পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন৷

মুঘল শাসন আমলে রাজ্যের শিল্পশালাগুলোতে চিত্রকর্ম তৈরি করা হত৷ ভালো ভালো আর্টিস্ট বা চিত্রশিল্পীদের রাজ দরবারে সমাদর করা হত৷ অনেকসময় একটি চিত্রকর্মের জন্য অনেক শিল্পীরা একত্রিতভাবে কাজ করতেন৷[]

মুঘল মিনিয়েচার চিত্র

[সম্পাদনা]
জাহাঙ্গীর তপস্বী যদরুপ দর্শন করছেন, ১৭১৭-২০, ল্যুভর, প্যারিস।
ভারতে মুঘল আমলে অনেক বিখ্যাত মিনিয়েচার চিত্র অঙ্কিত হয়েছে। ভারত তথা দক্ষিণ এশিয়ার এই চিত্রকর্ম মুঘলদের প্রবর্তিত, যা মূলত ক্ষুদ্র চিত্রশিল্প এবং যাকে বই হিসাবে অথবা ব্যক্তিগত অ্যালবাম হিসাবে উল্লেখ করা যেতে পারে৷ চিত্রশিল্পটিতে পারস্যের চিত্রশিল্পের প্রভাব রয়েছে এবং তা  বৃহত্তর তুর্কি-চীনা চিত্রশিল্প দ্বারা প্রভাবিত৷

মুঘলরা ইরানি, পারসিয়ান, তুর্কি, চীনা ঐতিহ্যের সঙ্গে ভারতের হিন্দু, জৈন ও বৌদ্ধ চিত্র শিল্পকলার মিশ্রণ ঘটিয়ে অপূর্ব ও অভিনব মুঘল মিনিয়েচার উদ্ভব করেন, যা সারা বিশ্বে অনন্য ও অভিনব রূপে নন্দিত। ১৬ শতক থেকে ১৮ শতক পর্যন্ত সময়কালে মিনিয়েচার চিত্রের স্বর্ণযুগ বিরাজমান ছিল, যা ভারত ও দক্ষিণ এশিয়া ছাড়িয়ে সারা পৃথিবীতে বিস্তৃতি লাভ করে৷ শিখ সম্প্রদায়ের মধ্যেও এ চিত্রশিল্পের চর্চা লক্ষ্য করা যায়৷

মুঘল মিনিয়েচার চিত্রশিল্প পারস্য এবং ভারতের চিত্রশিল্পের এক ধরনের মিশ্রণ হলেও তা আগে থেকেই দিল্লির তুর্কী-আফগান সুলতানাতে প্রচলিত ছিল। দিল্লির মুসলিমদের মধ্যে ক্ষুদ্র চিত্রশিল্পের চর্চা ছিল, যা মুঘল সম্প্রদায়ের মাধ্যমে অধিগৃহিত হয়।


  মুঘল সম্রাটদের সূক্ষ্ম রুচি ও শিল্পবোধে তাঁরা চিত্রকলার ও অনুরাগী ছিলেন, এবং তার পৃষ্ঠপোষকতা করেছেন। বিখ্যাত চিত্র সমালোচক ড. অশোক কুমার দাস মন্তব্য করেছেন - " The Mughal school of painting represents one of the most significant phases of Indian art. " মুঘল সাম্রাজ্যের পতনের দীর্ঘকাল পরেও এর প্রভাব উত্তর ভারত, দাক্ষিণাত্য, রাজস্থান ও পঞ্জাবের পার্বত্য অঞ্চলে দীর্ঘস্থায়ী একটা ছাপ রেখেছিল। প্রায় প্রত্যেক মুঘুল সম্রাটই চিত্রশিল্পে আগ্রহী ছিলেন এবং তাঁদের দৃষ্টিভঙ্গি ছিল উদার ও ধর্মনিরপক্ষ। এর ফলে ভারতীয় চিত্রকলায় একটি নতুন রূপ পরিগ্রহন করেছিল। রাজপ্রাসাদই ছিল শিল্পচর্চার মূল কেন্দ্র।

মুঘল সম্রাটরা যদি চিত্রাঙ্কনে উৎসাহ না দিতেন, তাহলে ভারতীয় চিত্রকলা অবশ্যই অনেকটা দরিদ্র থেকে যেত। প্রসঙ্গত উল্লেখযোগ্য, সমগ্র সুলতানি যুগে কোনো ছবি বা চিত্রিত পাণ্ডুলিপি পাওয়া যায়নি, কারণ দিল্লির সুলতানরা অঙ্কন শিল্পের পৃষ্ঠপোষক ছিলেন না। এ কথার অর্থ অবশ্য এই নয় যে, ছবি আঁকার রেওয়াজ উঠে গিয়েছিল। আমির খসরু, সামস-ই-সিরাজ, আফিফ মৌলানা দাউদ প্রভৃতির লেখায় দেওয়ালচিত্র অঙ্কন ও শিল্পীদের কথা জানা যায়। কিন্তু সুলতানি রাজসভায় চিত্রাঙ্কন পৃষ্ঠপোষকতার অভাব আমাদের বিশেষভাবে চোখে পড়ে। মুঘল আমলে পরিস্থিতির আমূল পরিবর্তন হয়েছিল। মুঘল চিত্রাঙ্কন শিল্পে ধর্মকে প্রাধান্য দেননি। তাঁদের বিষয়বস্তু ছিল রোমান্টিক প্রেম ও ভালোবাসা, যুদ্ধ, মুসলিম ও রাজপুত শিভালরি (Chivalry) ইত্যাদি।

ভারতে মুঘলরা আসার আগেই পুঁথিপত্র চিত্রায়ণের কাজ শুরু হয়ে যায়, পূর্ব ভারতে পাল রাজাদের আমলে বৌদ্ধ ধর্ম প্রসারের সাথে সাথে বৌদ্ধ পুঁথিচিত্রণ চলতে থাকে। জৈন পুঁথিচিত্রণ পদ্ধতি, যাকে পশ্চিম ভারতীয় পুঁথিচিত্রণ বলে বলা হয়েছে, সেগুলিও চলে। ত্রয়োদশ শতাব্দীতে সুলতানী যুগ প্রতিষ্ঠিত হলে পারসিক চিত্রকলার প্রভাব জৈন পুঁথি চিত্রণের উপরে পড়তে থাকে। এইগুলিতে পারসীক রঙের ব্যবহার বিশেষ করে নীল রং এবং শাহী নামে পরিচিত বিদেশী রা।

হুমায়ুনের সময়(১৫৩০-৪০ এবং ১৫৫৫-৫৬)

[সম্পাদনা]

মুঘল যুগের চিত্রকলার প্রতিষ্ঠাতা ছিলেন হুমায়ুন।মুঘল সাম্রাজ্যের দ্বিতীয় সম্রাট হুমায়ুন পারসিক শিল্পের অনুরাগী ছিলেন।দিল্লীর সিংহাসন হারিয়ে তিনি যখন পারস্য ও আফগানিস্তানে আশ্রয় নেন তখনই তাঁর সাথে পরিচিত হন পারস্যের দুজন বিখ্যাত চিত্রকর মীর সৈয়দ আলী এবং আব্দুস সামাদতার ভাই কামরান মির্জা কাবুলে একটি কর্মশালা পরিচালনা করছিলেন৷ ধারণা করা হয় যে সম্রাট হুমায়ুন কর্মশালাটিতে আগ্রহ প্রকাশ করেন৷ এ সময়কার উল্লেখযোগ্য চিত্রকর্ম হলো খামসা অব নিজামি৷ কাজটিতে বিভিন্ন চিত্রশিল্পীর চিত্রনৈপূন্যের অবদার স্পষ্ট প্রতীয়মান৷।এখানেই অল্প বয়েসে আকবর চিত্রকলার শিক্ষা নেন। এই সময়ে করা আব্দুস সামাদের কয়েকটি ছবি পরবর্তীকালে জাহাঙ্গির সংগ্রহ করে গুলশান অ্যালবামে রেখেছিলেন। হুমায়ুন দিল্লিতে ফিরে এলে তাঁর সাথে দিল্লী আসেন পারস্যের সেই দুই চিত্রশিল্পী। তারা দিল্লিতে একটি বড় কারখানা (বর্তমান দিনের স্টুডিও) তৈরি করেন। সাম্রাজ্যের বিভিন্ন জায়গা থেকে জ্ঞানীগুনি শিল্পীদের এখানে আনা হয়। কয়েক বছরের মধ্যে এখান থেকে কয়েকটা পুঁথিচিত্রণ বেরিয়ে আসে। এগুলির মধ্যে হামজানামা অন্যতম একটি।

আকবরের সময়(১৫৫৬-১৬০৫)

[সম্পাদনা]

মুঘল চিত্রশিল্পের চর্চা ও সর্বোচ্চ বিকাশ সম্ভবত সম্রাট হুমায়নের উত্তরাধিকারী সম্রাট আকবরের সময়কালে ঘটে৷ এ মহান সম্রাট শিল্প ও সংস্কৃতির অন্যতম পৃষ্ঠপোষক ছিলেন৷ জানা যায় যে তরুণ বয়সে তিনি চিত্রশিল্পের উপর পড়াশোনাও করেন৷ এ সময়কার উল্লেখযোগ্য কাজগুলো হল- তোতানামা, হামজানামা, গুলিস্তান, দারাবনামা ইত্যাদি৷[৮] ১৫৭০ সাল হতে ১৫৮৫ সাল অবধি সম্রাট আকবর একশরও অধিক চিত্রকরকে মুঘল চিত্রশিল্পের কাজে নিযুক্ত করেন৷

         পরবর্তীকালে আকবরের রাজসভায় স্বকীয় একটি শিল্পশৈলী গড়ে উঠেছিল। প্রথমদিকের কাজে পারসীক রূপকথার প্রভাব দেখা যায়, আর এই পারসীক চিত্রকলার পরম্পরা থেকে ক্রমশ ভারতীয় বাস্তবতা ঐ সব অনুচিত্রে এসে যায়। দক্ষ চিত্রশিল্পীরা মুঘল কারখানায় কাজ পেতে থাকেন, তারা নতুন পারসীক আঙ্গিক গ্রহণ করলেও পুরনো শিক্ষা পদ্ধতি বিসর্জন দেননি। আকবর মুসলিম ধর্ম ত্যাগ না করেও অন্যান্য ধর্ম সম্পর্কে জানতে আগ্রহী ছিলেন, উনি হিন্ধু ধর্মগ্রন্থের পারসীক অনুবাদ করান, এবং এই অনুবাদ গুলির সাথে চিত্র অঙ্কন করা হয়েছিল। এই চিত্রায়নের ভার দুজন পারসীক শিল্পীর হাতে থাকলেও বহু ভারতীয় চিত্রকর সেখানে কাজ করেন। কালক্রমে এদের অনেকেই বিখ্যাত চিত্রশিল্পী হয়ে ওঠেন। এদের মধ্যে উল্লেখ করা যায় দাসওয়ান্ত, বাসাওয়ান, কেশব, মহেশ প্রমুখের নাম।
      একমাত্র রজমনামা পুঁথিতেই দাসওয়ান্তের আঁকা চিত্রের নিদর্শন পাওয়া যায়, তবে সেখানে তিনি সম্পূর্ণ কাজ শেষ না করেই মারা যান, ফলে তার ফেলে 
  যাওয়া অসমাপ্ত  কাজ সমাপ্ত করেন অন্য এক চিত্রকর। অন্যান্য চিত্রেও এই রজমনামার প্রভাব পড়েছিল বলে মনে করা হয়। রামায়ণ পুঁথিচিত্রণটি সমাপ্ত হয় রাজকীয় চিত্রশালায় নভেম্বর 1588 সালে। আবুল ফজল বলেছেন প্রায় সবাই এই কাজে অংশনেন। এর মধ্যে 176টি চিত্র আছে।

1602 সালে আবুল ফজল মারা গেলে আকবরনামা অসম্পূর্ণ থাকে। কিন্তু 1590 থেকেই আকবরের আদেশে এর চিত্রণ শুরু হয়, যার মধ্যে একটি নতুন আঙ্গিক লক্ষ্য করা যায়, এর মধ্যে বাস্তব ঘটনার চিত্রণ ও সভ্যতার ইতিহাসের ঘটনাবলীকে দেখানোর চেষ্টা হতে থাকে।

জাহাঙ্গীরের সময়(১৬০৫-২৫)

[সম্পাদনা]

সম্রাট জাহাঙ্গীর শিল্প ও সংস্কৃতির অনুরাগী এবং পৃষ্টপোষক ছিলেন এবং তার সময়ে মুঘল চিত্রশিল্পের উৎকর্ষ সাধিত হয়৷ তিনি ইউরোপীয় চিত্রকর্মের প্রতি অনুরক্ত ছিলেন এবং তার শাসনামলে মুঘল চিত্রশিল্প একটি নতুন মাত্রা লাভ করে৷ তার সময়ে রচিত জাহাঙ্গীরনামায় অনেক চিত্রকর্ম পরিলক্ষিত হয়৷

শিল্প বিশেষজ্ঞ আনন্দকুমার স্বামী জাহাঙ্গীরের রাজত্বকালকে মুঘল চিত্রকলার ইতিহাসে " সুবর্ণ যুগ " বলে আখ্যায়িত করেছেন। জাহাঙ্গীরের আমলে মুঘল চিত্রশিল্পী আত্মনির্ভর ও পরিপক্ক হয়ে ওঠে এবং ভারতীয় শিল্পীর ইউরোপিয়ান চিত্রকলার সংস্পর্শে আসেন, আর ঠিক এই সময় থেকেই ভারতীয় চিত্রের সামনে শিল্পীর নাম লেখা শুরু হয়।

শাহজাহানের সময়(১৬২৮-৫৯)

[সম্পাদনা]

সম্রাট শাহজাহানের রাজত্বকালে মুঘল চিত্রশিল্প যদিও কিছুটা অগ্রগতি লাভ করে, তথাপি এ সময়ে মুঘল চিত্রশিল্প ধীরে ধীরে কিছুটা স্তিমিত হয়ে আসছিলো৷

     শাহজাহানের চিত্রকলার তুলনায় স্থাপত্য ও ভাস্কর্যের প্রতি আগ্রহ ছিল বেশি। তার আমলে কোনো কোনো মুঘল রাজকর্মচারী ব্যক্তিগত ভাবে চিত্রকলার পৃষ্ঠপোষকতা করতেন। এই সবের পরেও তার রাজত্বকালকে  অনেকে মুঘল চিত্রকলার " Beginning of the end "  বলে উল্লেখ করেন।


আওরঙ্গজেব চিত্রকলার ঘোর বিরোধী ছিলেন, তিনি মুঘলচিত্র কারখানা (স্টুডিও) বন্ধ করে দিয়েছিলেন। তৎকালীন দরবারের পৃষ্ঠপোষকতা লাভ করা শিল্পীর প্রাদেশিক দরবারে আশ্রয় নেন। তাই পার্সি ব্রাউন বলেছেন " শাহজাহানের আমলে মুঘল চিত্রকলার যে অবক্ষয় সূচিত হয়, তা আওরঙ্গজেবের সময়কালে পূর্ণতা পায়।

বর্তমান সময়ের মুঘল চিত্রশিল্প

[সম্পাদনা]

মুঘল চিত্রশিল্পের চর্চা বর্তমান সময়েও পরিলক্ষিত হয়৷ বর্তমান সময়ের অনেক প্রতিভাবান চিত্রশিল্পী দ্বারা মুঘল চিত্রশিল্পের বেশ কিছু অনন্য চিত্রকর্ম প্রস্তুত হয়েছে৷

উল্লেখ

[সম্পাদনা]
  1. Sarafan, Greg (6 November 2011)। "Artistic Stylistic Transmission in the Royal Mughal Atelier"। Sensible Reason। ৩ অক্টোবর ২০১৯ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১১ মার্চ ২০১৭