মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি
মহাপ্রাণ | |
---|---|
◌ʰ | |
এনকোডিং | |
এন্টিটি (দশমিক) | ʰ |
ইউনিকোড (ষটদশমিক) | U+02B0 |
ধ্বনিবিজ্ঞানে প্রাণ বলতে স্পর্শ বা উষ্ম ব্যঞ্জনধ্বনির উচ্চারণের সাথে নির্গত শ্বাসবায়ুকে বোঝায়। বাংলাসহ বেশিরভাগ ইন্দো-আর্য ভাষা এবং বেশিরভাগ পূর্ব এশীয় ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায় (যেমন "তালা" ও "থালা")। অন্যদিকে ইংরেজি ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায় না এবং অবস্থানভেদে এর ব্যবহার লক্ষ করা যায়।
উপস্থাপনা
[সম্পাদনা]আন্তর্জাতিক ধ্বনিমূলক বর্ণমালায় অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির প্রতীকের ডানদিকে অঘোষ স্বররন্ধ্রীয় উষ্মধ্বনির প্রতীকের ⟨h⟩ ঊর্ধ্বলিপি রূপ ⟨◌ʰ⟩ যোগ করে মহাপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনি লেখা হয়। যেমন, ⟨p⟩ হচ্ছে অল্পপ্রাণ অঘোষ উভয়ৌষ্ঠ্য স্পর্শধ্বনি এবং তার ডানদিকে ⟨◌ʰ⟩ যোগ করলে মহাপ্রাণ অঘোষ উভয়ৌষ্ঠ্য স্পর্শধ্বনি ⟨pʰ⟩ বোঝাবে।
অল্পপ্রাণ বা টেনুইস ব্যঞ্জনধ্বনিকে সমান চিহ্নের ঊর্ধ্বলিপি রূপ ⟨◌˭⟩ দিয়ে চিহ্নিত করা হয়, যেমন ⟨p˭⟩। অবশ্য অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনিকে সাধারণত আলাদাভাবে চিহ্নিত করা হয় না, যেমন ⟨p⟩।
ধ্বনিবিজ্ঞান
[সম্পাদনা]ধ্বনিতত্ত্ব
[সম্পাদনা]বিভিন্ন ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির বিভিন্ন গুরুত্ব রয়েছে। অনেক ভাষায় মহাপ্রাণ ও অল্পপ্রাণ ব্যঞ্জনধ্বনির মধ্যে পার্থক্য বোঝা যায়, আবার অনেক ভাষায় তা বোঝা যায় না।
বাংলা ও অন্যান্য ভারতীয় ভাষা
[সম্পাদনা]বাংলাসহ বেশিরভাগ ইন্দো-আর্য ভাষায় অঘোষ অল্পপ্রাণ, অঘোষ মহাপ্রাণ, ঘোষ অল্পপ্রাণ ও ঘোষ মহাপ্রাণ—এই চারপ্রকার স্পর্শ ব্যঞ্জনধ্বনি রয়েছে, যেমন /p pʰ b bʱ/ (বাংলায় প, ফ, ব, ভ)।