বাইজেন্টাইন-সেলজুক যুদ্ধ
বাইজেন্টাইন-সেলজুক যুদ্ধ | |||||||||
---|---|---|---|---|---|---|---|---|---|
মূল যুদ্ধ: বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যের পতন | |||||||||
| |||||||||
বিবাদমান পক্ষ | |||||||||
বাইজেন্টাইন সাম্রাজ্যক্রুসেডার রাষ্ট্রসমূহত্রেবিজন্ড সাম্রাজ্য | সেলজুক সাম্রাজ্যরুম সালতানাত | ||||||||
শক্তি | |||||||||
আনু. ১০৭১:১লক্ষ সৈন্য১১৪০:২৫,০০০ থেকে ৫০,০০০ সক্রিয় সৈন্য | অজ্ঞাত |
বাইজেন্টাইন-সেলজুক যুদ্ধ হচ্ছে এশিয়া মাইনর ও সিরিয়ার নিয়ন্ত্রণ নিয়ে বাইজান্টাইন সম্রাজ্য এবং সেলজুকদের মধ্যে সংঘটিত ধারাবাহিক যুদ্ধ। সেন্ট্রাল এশিয়ার তৃণভূমি থেকে হান্স দ্বারা একই ধরনের রোমান প্রতিদ্বন্ধিদের সাথে শুরু হওয়া সংঘাত নতুন ইসলামিক আদর্শে উজ্জবিত সেলজুকরা বজায় রাখেন। অনেক ক্ষেত্রে সেলজুকরা রাশিদুন,উমাইয়া,আব্বাসীয় দ্বারা শুরু করা আরব-বাইজেন্টাইন যুদ্ধকে পূনজীবিত করেন।
বর্তমানে মানযিকারট যুদ্ধকে তুর্কিদের কাছে বাইজান্টাইনদের প্রথম পরাজয় হিসেবে ধরা হয়। যাইহোক তুর্কিস আক্রমণে বাইজান্টাইন আর্মি অত্যন্ত শক্তিশালি ছিলো ১০৭১ এর আগ পর্যন্ত যখন থেম সিস্টেম দুর্বল হচ্ছিলো। এমনকি মানযিকারট যুদ্ধের পরও বাইজেন্টাইন শাসন শেষ হয়ে যায়নি। তুর্কিরা ও তাদের প্রতিদ্বন্ধীদের কোনো ছাড় দেয়নি। আরো বিশ বছর পর তুর্কিরা সমগ্র আনাতোলিয়া উপদ্বীপের নিয়ন্ত্রণ নিতে পেরেছিলো।
সে সময় সেলজুক তুর্কি এবং তাদের মিত্ররা মিশরের ফাতিমাহ খিলাফাতকে আক্রমণ করে জেরুজালেম দখল করে এবং প্রথম ক্রুসেড এর অনুঘটক হিসেবে ভূমিকা পালন করে। যদিও প্রথম ক্রুসেডে উভয় পক্ষ ব্যাপক লাভবান হয়েচিলো কিন্তু ক্রুসেডারদের বাইজান্টাইন সহায়তা বিশ্বাসঘাতকতা ও লুটপাট মিশ্রিত ছিলো। মানযিকারটের শত বছরের মধ্যে বাইজান্টাইনরা পুনরায় তুর্কিদের এশিয়া মাইনরের উপকূল থেকে সরাতে পেরেছিলো এবং কনস্টান্টিনোপল এমনকি মিশর পর্যন্ত তাদের প্রভাব বিস্তার করেছিলো। পরে বাইজান্টাইনরা কোনো সাহায্য পায়নি, এমনকি চতুর্থ ক্রুসেড কনস্টান্টিনোপল ধ্বংস সাধনে পরিচালনা করা হয়েছিল। সংঘর্ষ নিস্তেজ হওয়ার আগ পর্যন্ত নিকিয়ার দুর্বল সম্রাজ্য থেকে সেলজুকরা অনেক অঞ্চল দখল করতে সক্ষম হয়েছিলো। পরে সালতানাত মঙ্গোলদের দ্বারা দখল হয়ে যায়। গাজীদের উত্থান এবং বাইজান্টাইন-অটোমান যুদ্ধের মাধ্যমে শেষ হয়।
উৎপত্তি
[সম্পাদনা]রোমান সম্রাজ্যের পতনে বাইজান্টাইন সম্রাজ্যের উত্থানের সময় এই যুদ্ধের বীজ নিহীত। তৃতীয় শতাব্দীতে বাইজান্টাইন সম্রাজ্যের উত্থানের আগে রোমান সম্রাজ্য মারাত্মক সামরিক ও রাজনীতিক প্রতিকূলতা মোকাবিলা করে। রাজনীতিক গুপ্তহত্যা এবং মারাত্মক সংঘর্ষে ৫০ বছরে ৩২ সম্রাট ক্ষমতা গ্রহণ এবং হারান। অর্থনেতিক এবং পপুলেশন সমস্য পরিস্থিতি আরও জটিল করে তুলে।
চতুর্থ শতকে কোন যুদ্ধে না জেতার কারণে দাসের অভাব দেখা দিয়েছিল ফলে রোমান সম্রাজ্যের জনসংখ্যা কমতে শুরু করে। কন্সটান্টিন-১ এবং থিওডিয়াস প্রথম দের মত সম্রাটের কারণে রোমান সম্রাজ্য দীরঘায়িত হয়ছিল। তথাপি ৩৯৫ ক্রিস্টাব্দে তা দুই ভাগে ভাগ হয়ে যায়।