প্রধান মূল
একটি প্রধান মূল পদ্ধতিগতভাবে একটি উদ্ভিদের, বৃহত্তম অংশ, অধিক কেন্দ্রীয়, এবং সবচেয়ে প্রভাবশালী শিকড় যা থেকে অন্য শিকড় পার্শ্বত প্ররোহ হয়। সাধারণত একটি প্রধান মূল কিছুটা সোজা এবং খুব পুরু হয়, আকৃতি মধ্যে সরুকারী হয়, এবং সরাসরি নিম্নগামী বৃদ্ধি ঘটে।[১]
প্রধানমূলের বৈশিষ্ট্য
[সম্পাদনা]বৃক্ষের প্রধানমূল প্রথমদিকে মাধ্যাকর্ষণের প্রভাবেই নিচের দিকে যায়, কিন্তু সাধারণ বৃক্ষের শেকড় এক মিটারের মধ্যেই সীমিত হয়ে যায়। এর কারণ, শিকড় যত নিচে যেতে থাকে মাটি তত কঠিন ও দুর্ভেদ্য হতে থাকে। এতে অক্সিজেন এবং জল দুটোরই অভাব দেখা দেয়। এই অবস্থায় পাশ থেকে শিকড়গুলো ছড়িয়ে যেতে থাকে বাতাস, জল ও পুষ্টির সন্ধানে। তবে এর কিছু ব্যতিক্রমও দেখা যায়। পৃথিবীর একেক জায়গার মাটি একেক রকম, প্রতিটি ইকোসিস্টেমের মাটিই ভিন্ন। মেরু তুন্দ্রায় হিমজমাট মৃত্তিকার উপর পর্যন্ত শিকড়ের বিস্তার ঘটে আর শুষ্ক মরুতে গাছের শিকড় বালির ভেতর শতফুট নিচেও চলে যেতে পারে। সাধারণত ছোট বীজধারী গাছের প্রধানমূল ছোট হয় যেমন, বট, অশ্বত্থ, উইলো, পপলার ইত্যাদি।
মুলের প্রকারভেদ
[সম্পাদনা]অভিযোজনের কারণেও শিকড়ের নানাবিধ রূপান্তর ঘটতে পারে যেমন অস্থানিকমূল, বায়বীয়মূল, চোষকমূল, ঠেসমূল, অধিমূল, শ্বাসমূল ইত্যাদি। অক্সিজেন ও জলের যুগ্ম সরবরাহ না থাকলে শিকড় সেদিকে প্রবাহিত হতে পারে না। মাটির নিচে জলের গতি খুবই কম। তাই শিকড়কেই বেরুতে হয় জলের সন্ধানে যে জলে দ্রবীভূত থাকে নানারকম পুষ্টি। এই পুষ্টি সংগ্রহের জন্য থাকে মাইকোরাইজা নামের এক ধরনের মিথোজীবী ছত্রাক যার কারণে সংগ্রহ শতগুণ বেড়ে যায়। শিকড় স্বভাবগতভাবে সুবিধাবাদী; এরা পাথরের ফাটলে, অপেক্ষাকৃত নরম মাটির ভেতরে, পুরানো শিকড়ের চ্যানেলেই প্রবাহিত হতে চায়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Botany Manual: Ohio State University"। ৬ আগস্ট ২০০৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ ফেব্রুয়ারি ২০১৭।