বিষয়বস্তুতে চলুন

পেনগঙ্গা নদী

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
পেনগঙ্গা নদী
২০১৮ সালের জুলাই মাসে বন্যার সময়ে তোলা ছবি
অবস্থান
দেশভারত
প্রাকৃতিক বৈশিষ্ট্য
দৈর্ঘ্য৪৯৫ কিমি (৩০৮ মা)

পেনগঙ্গা নদী হল ভারতের মহারাষ্ট্র রাজ্যের বুলদানা জেলা, হিঙ্গোলি জেলা, নান্দেড জেলা, ইয়েভাতমল জেলা, চন্দ্রপুর জেলা এবং ওয়াশিম জেলার প্রধান নদী। এটি জেলার দক্ষিণ-পূর্ব সীমানা ধরে আঁকাবাঁকা ঘোরানো পথে প্রবাহিত হয়েছে। এটি খুব গভীর এবং এই নদীতে পাড়ি দেওয়া খুব কঠিন। এটি অজন্তা থেকে উৎপন্ন এবং জেলার অন্য প্রধান নদী ওয়ারধা নদীর একটি প্রধান উপনদী। এটি উমরখেদের কাছে মারাঠওয়াড়া এবং বিদর্ভকে বিভক্ত করেছে।

ওয়াশিম জেলায় নদীর নামে একটি ছোট রেলস্টেশন রয়েছে।

নদীর গতিপথ

[সম্পাদনা]

নদীর মোট দৈর্ঘ্য ৪৯৫ কিমি (৩০৮ মা)।[] পেনগঙ্গা নদী মহারাষ্ট্রের ঔরঙ্গাবাদ জেলার অজন্তা পর্বত শ্রেণী থেকে উৎপন্ন। এরপরে এটি বুলদানা জেলা এবং ওয়াশিম জেলার মধ্যে দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। এটি ওয়াসিমের রিসোদ তহশিল দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে, সেখানে এটি শেলগাঁও রাজগুরে গ্রামের কাছে উপনদী হিসাবে কাস নদীকে পেয়েছে এবং তারপরে এটি ওয়াসিম এবং হিঙ্গোলি জেলার সীমানা দিয়ে প্রবাহিত হয়েছে। অতঃপর এটি মহারাষ্ট্রের যাবৎমল জেলা, চন্দ্রপুর জেলা এবং নান্দেড় জেলার মধ্যে সীমানা নির্দেশ করে প্রবাহিত হয়েছে। এরপরে এটি মহারাষ্ট্র এবং তেলেঙ্গানার মধ্যে রাজ্য সীমানা ধরে প্রবাহিত হয়েছে। এটি নান্দেদে মহুরের কাছে "পুর নদী"র সাথে মিলিত হয়েছে। যাবৎমল জেলার ওয়ানী শহর এবং চন্দ্রপুর জেলার করপানা তালুকের কোড়সি গ্রামের কাছে দেউরওয়াড়া গ্রামে, ছোট বিদর্ভ নদ পেনগঙ্গা নদীর সাথে মিশেছে। যাবৎমল শহরের ওয়ানী শহরের কাছে জুগাড়ে একটি পুরোন শিব মন্দির রয়েছে। প্রতি বছর নভেম্বর মাসে গুরু পূর্ণিমার সময় নানা জায়গা থেকে ভক্তরা এখানে উপাসনা করতে আসে। পেনগঙ্গা নদী চন্দ্রপুর জেলার চন্দ্রপুর তালুকের ওয়াদা নামক একটি ছোট গ্রামের কাছে ওয়ারধা নদীতে মিলেছে।

ওয়ার্ধা নদী প্রাণহিতা নদীতে পড়েছে, যেটি আবার গোদাবরী নদীতে গিয়ে মিশেছে,[] যা অবশেষে অন্ধ্রপ্রদেশ রাজ্যের রাজমন্দ্রির ঠিক পূর্ব দিক দিয়ে বঙ্গোপসাগরে গিয়ে পড়েছে।

উপনদী সমূহ

[সম্পাদনা]

পেনগঙ্গা নদীর উপনদীগুলি হল আদন, কাস, অরুণাবতী, কায়াধু এবং পাস নদী।[]

এই নদী মহারাষ্ট্রের ওয়াসিম এবং যাবৎমল জেলায় সেচের জন্য জল সরবরাহ করে। এই নদীর ওপরে দুটি বাঁধ নির্মিত হচ্ছে, উচ্চ পেনগঙ্গা এবং নিম্ন পেনগঙ্গা। এই বাঁধটি ইসাপুর বাঁধ নামেও পরিচিত। এই বাঁধটির দেখাশোনা করে 'পুসাদ' তালুক। নিকটবর্তী তালুকগুলি হল কালামনুরী, পুসাদ, উমরখেদ এবং হাদগাঁও।[] এর উপনদী "পুস নদী"তে, পুসাদ শহরের কাছে ১৯৭১ সালে নির্মিত উচ্চ পুস বাঁধ রয়েছে,[][] এবং ১৯৮৩ সালে মহাগাঁওয়ের কাছে নিম্ন পুস বাঁধ নির্মিত হয়।[][]

পেনগঙ্গা নদী বর্ষায় এবং শীতে প্লাবিত হয়। গ্রীষ্মেও এই নদীতে মাঝে মাঝে বন্যা হয়। পেনগঙ্গা নদীর উপর একটি বড় বাঁধ তৈরির প্রস্তাব রয়েছে।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. Penganga river, telangana360.com, accessed 6 November 2019.
  2. "Yavatmal district"। ২০০৭-০৭-১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৭-০৪-১৩ 
  3. "Specifications of large dams in India" (পিডিএফ)। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জুন ২০১১ 
  4. "Upper Pus (Pus) D01030"। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  5. "Lower Pus D02869"। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৩ [স্থায়ীভাবে অকার্যকর সংযোগ]
  6. "Specifications of large dams in India" (পিডিএফ)। ২১ জুলাই ২০১১ তারিখে মূল (পিডিএফ) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২ ডিসেম্বর ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

টেমপ্লেট:Hydrography of Maharashtra