বিষয়বস্তুতে চলুন

ধমনি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
ধমনি
মানব দেহের গুরুত্বপূর্ণ ধমনিগুলোর অবস্থান
ধমনির গঠন
বিস্তারিত
শনাক্তকারী
লাতিনarteries
মে-এসএইচD001158
টিএ৯৮A12.0.00.003
A12.2.00.001
টিএ২3896
এফএমএFMA:50720
শারীরস্থান পরিভাষা

ধমনি (ইংরেজি: Artery; গ্রিক ἀρτηρία - artēria, "শ্বাসনালি, ধমনি"[]) মানব দেহের এমনসব রক্তবাহী নালি যেগুলো হৃৎপিণ্ড থেকে পরিশোধিত রক্ত বহন করে দেহের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করে। ধমনি সবসময় পরিশোধিত তথা অক্সিজেনসমৃদ্ধ (অক্সিজেনেটেড) রক্ত দেহের বিভিন্ন অংশে সরবরাহ করে; তবে ব্যতিক্রম হলো ফুসফুসীয় ধমনি(যা অক্সিজেনবিহীন রক্ত হৃদপিণ্ডে পরিবহন করে) এবং নাভি ধমনি(যা অক্সিজেনবিহীন রক্ত ভ্রূণীয় রক্তব্যবস্থা থেকে অমরায় পরিবহন করে)।[]

ধমনির গঠন

[সম্পাদনা]

ধমনির প্রাচীর পুরু ও স্থিতিস্থাপক, ধমনির প্রাচীর তিন স্তর বিশিষ্ট ৷ ধমনিতে কপাটিকা বা পর্দা থাকে না৷ এর নালিপথ সরু৷ হৃৎপিণ্ডের প্রত্যেক সংকোচনের ফলে দেহের ছোটবড় সব ধমনিতে রক্ত তরঙ্গের ন্যায় প্রবাহিত হয়৷ এতে ধমনিগাত্র সংকুচিত ও প্রসারিত হয়৷ ধমনির এই স্ফীতি ও সংকোচনকে নাড়ির স্পন্দন বলে৷ ধমনির ভিতর রক্ত প্রবাহ, ধমনিগাত্রের সংকোচন ও প্রসারণ, স্থিতিস্থাপকতা নাড়িস্পন্দনের প্রধান কারণ৷ হাতের কবজির উপর হাত রেখে নাড়িস্পন্দন অনুভব করা যায়৷ তবে নাড়িস্পন্দন এমন ভাবে অনুভব করতে হবে যেন হাতের তর্জনী হৃৎপিণ্ডের দিকে থাকে৷

আণুবীক্ষণিক গঠন

[সম্পাদনা]
ধমনির আণুবীক্ষণিক গঠন

ধমনি তিনটি কোষস্তর নিয়ে গঠিত৷ যথা:

  1. টিউনিকা এক্সটার্না (Tunica Externa): এটি একটি তন্তুময় যোজক কলা দিয়ে তৈরি৷
  2. টিউনিকা মিডিয়া (Tunica Media): বৃত্তাকার অনৈচ্ছিক পেশি দিয়ে তৈরি মাঝের স্তর৷
  3. টিউনিকা ইন্টার্না (Tunica Interna): এই ভিতরের স্তরটি সরল আবরণী কলা দিয়ে তৈরি৷

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. ἀρτηρία, Henry George Liddell, Robert Scott, A Greek-English Lexicon, on Perseus
  2. বর্দ্ধন, সেন, ভক্ত। উচ্চমাধ্যমিক জীববিজ্ঞান। ক্যালকাটা বুক হাউস। 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]