বিষয়বস্তুতে চলুন

ডিকশনারি অফ গ্রিক অ্যান্ড রোমান বায়োগ্রাফি অ্যান্ড মিথোলজি

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

ডিকশনারি অফ গ্রিক অ্যান্ড রোমান বায়োগ্রাফি অ্যান্ড মিথোলজি (ইংরেজি: Dictionary of Greek and Roman Biography and Mythology) হল ১৮৪৯ সালে প্রকাশিত একটি বিশ্বকোষ তথা জীবনী অভিধান। ১৮৪৪ সালে মূল বইটি সামান্য পরিবর্তিত শিরোনামে প্রকাশিত হয়েছিল। তিন খণ্ডে বিভক্ত ও ৩,৭০০ পৃষ্ঠা-সংবলিত এই অভিধানটির সম্পাদক ছিলেন উইলিয়াম স্মিথ। ১৯শ শতকের অভিধান-সংকলন বিদ্যার ক্ষেত্রে এটি একটি ধ্রুপদি কীর্তি। এই বইটি ছিল স্মিথের ডিকশনারি অফ গ্রিক অ্যান্ড রোমান অ্যান্টিকুইটিডিকশনারি অফ গ্রিক অ্যান্ড রোমান জিওগ্রাফি গ্রন্থদ্বয়ের সহায়ক গ্রন্থ।[]

লেখকবর্গ ও ক্ষেত্র

[সম্পাদনা]
ফিলোলাস পিথাগোরাস বই থেকে নির্বাচিত অংশ, (চার্লস পিটার ম্যাসন, ১৮৭০)

সম্পাদক ছাড়াও এই বইটিতে ৩৫ জন লেখকের একটি তালিকা দেওয়া হয়েছে। সম্পাদক নিজেও কয়েকটি সংজ্ঞা ও নিবন্ধ রচনা করেছেন। লেখকেরা ক্ল্যাসিকাল বিশেষজ্ঞ। তারা প্রধানত অক্সফোর্ড, কেমব্রিজ, রাগবি স্কুলবন বিশ্ববিদ্যালয়ের সঙ্গে যুক্ত। তবে কয়েকজন লেখক অন্যান্য প্রতিষ্ঠানের সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। এই গ্রন্থে জার্মান বিশেষজ্ঞ লিওনহার্ড স্মিৎজ পুরাণ সংক্রান্ত একাধিক নিবন্ধ রচনা করেছেন। উল্লেখ্য, স্মিৎজ ব্রিটেনে জার্মান ক্ল্যাসিকাল গবেষণা জনপ্রিয় করে তুলতে বিশেষ সাহায্য করেছিলেন।[]

জীবনী-সংক্রান্ত নিবন্ধগুলির ক্ষেত্রে স্মিথ পূর্ণাঙ্গ ও বিস্তারিত বিবরণ প্রদানের পক্ষপাতী ছিলেন। মুখবন্ধে তিনি লেখেন:

এই গ্রন্থে জীবনী-সংক্রান্ত নিবন্ধগুলির মধ্যে রয়েছে সুপ্রাচীন কাল থেকে শুরু করে ৪৭৬ খ্রিস্টাব্দে পশ্চিম সাম্রাজ্যের পতন এবং ১৪৫৩ খ্রিস্টাব্দে তুর্কিদের কনস্ট্যান্টিনোপল দখলের মাধ্যমে পূর্ব সাম্রাজ্যের পতন পর্যন্ত যে কোনও গুরুত্বের সকল গ্রিক ও রোমান লেখকদের জীবনী।

স্যামুয়েল শার্ক মনে করেন এডওয়ার্ড বানবেরি এই গ্রন্থে কুম্ভিলকবৃত্তি অবলম্বন করেছিলেন। ১৮৫০ সালের ৩ সেপ্টেম্বর তিনি নিজের ডায়েরিতে লেখেন:

ড. স্মিথের "ডিকশনারি অফ ক্ল্যাসিকাল বায়োগ্রাফি" গ্রন্থে টলেমিদের নিয়ে লেখা নিবন্ধগুলি পড়তে পড়তে আমি সত্যিই লজ্জিত হলাম। আমার "হিস্ট্রি অফ ইজিপ্ট" বইটির সাহায্যে নিবন্ধগুলি লিখেছেন ই. এইচ. বানবেরি। যদিও তিনি আমার ভাই ড্যানের থেকে এই উদ্দেশ্যে বইটি ধার করেছিলেন, তবুও কোনওরকম ঋণস্বীকার করেননি। []

এই ডিকশনারি গ্রন্থে ব্যবহৃত অনেক সংজ্ঞা ও নিবন্ধের উল্লেখ অধিকতর সাম্প্রতিক রুচনায় পাওয়া যায়। রবার্ট গ্রেভসের বিরুদ্ধে অভিযোগ করা হয় যে, তিনি দ্য গ্রিক মিথস রচনার সময় "তাঁর আপাতদৃষ্টিতে চিত্তাকর্ষক তথ্যসূত্রটিকে সরাসরি ও অপরীক্ষিতভাবে" এই গ্রন্থ থেকে তুলে নিয়েছিলেন।[]

বর্তমান ব্যবহার ও সহজলভ্যতা

[সম্পাদনা]

বর্তমানে এই গ্রন্থটি পাবলিক ডোমেইনের আওতাভুক্ত এবং ইন্টারনেটে বিভিন্ন ওয়েবসাইটে সুলভ। বইটি এখনও বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই নির্ভুল। অল্প কয়েকটি জীবনীসংক্রান্ত নিবন্ধের ক্ষেত্রে প্রাচীন গ্রন্থাবলির ব্যাপক সংশোধনের পরিপ্রেক্ষিতে কিছু পরিবর্তনের প্রয়োজন রয়ে গিয়েছে। তবে বইটিতে অনেক তথ্যই পাওয়া যায় না। বিশেষ করে, যেগুলি সাম্প্রতিক কালে আবিষ্কৃত হওয়া রচনা (যেমন অ্যারিস্টটলেরকনস্টিটিউশন অফ দি এথেনিয়ানস অথবা লিনিয়ার বি-র গুপ্তলিখনের পাঠোদ্ধার) এবং শিলালিপি-সংক্রান্ত উপাদান। সম্ভবত আরও গুরুতর একটি বিষয় হল, প্রাচীন প্রমাণগুলি যে বর্ণনা প্রসঙ্গে উদ্ধৃত হয়েছে তা পরবর্তী দেড়শো বছরের অনেক ক্ষেত্রেই পরিবর্তিত হয়ে গিয়েছে।

আরও দেখুন

[সম্পাদনা]

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. চিসাম, হিউ, সম্পাদক (১৯১১)। "Smith, Sir William"। ব্রিটিশ বিশ্বকোষ25 (১১তম সংস্করণ)। কেমব্রিজ ইউনিভার্সিটি প্রেস। পৃষ্ঠা 270। 
  2. Nick Lowe (২০ ডিসেম্বর ২০০৫)। "Killing the Graves myth"Times Online। London। ১ জুলাই ২০১৬ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০১৬-০২-২৬ 
  3. Clayden, PW। Samuel Sharpe। পৃষ্ঠা 82। সংগ্রহের তারিখ ১০ মে ২০১৬The biographical articles in this work include the names of all persons of any importance which occur in the Greek and Roman writers, from the earliest times down to the extinction of the Western Empire in the year 476 of our era, and to the extinction of the Eastern Empire by the capture of Constantinople by the turks in the year 1453." & "I certainly felt mortified on reading the articles on the Ptolemies in Dr. Smith's "Dictionary of Classical Biography." They were all written by E. H. Bunbury with the help of my "History of Egypt," and with-out any acknowledgment, though he even borrowed the volume from my brother Dan for the purpose. 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]

Also the Internet Archive has a derivative work: