জংলী মরুয়া
জংলী মরুয়া | |
---|---|
ফুলসহ জংলী মরুয়া | |
বৈজ্ঞানিক শ্রেণীবিন্যাস | |
জগৎ/রাজ্য: | প্লান্টি (Plante) |
গোষ্ঠী: | ট্র্যাকিওফাইট (Tracheophytes) |
ক্লেড: | সপুষ্পক উদ্ভিদ (অ্যাঞ্জিওস্পার্মস) |
ক্লেড: | ইউডিকটস |
গোষ্ঠী: | অ্যাস্টেরিডস (Asterids) |
বর্গ: | Lamiales |
পরিবার: | Lamiaceae |
গণ: | Origanum L. |
প্রজাতি: | O. vulgare |
দ্বিপদী নাম | |
Origanum vulgare L. |
জংলী মরুয়া (বৈজ্ঞানিক নাম Origanum vulgare) পুদিনা পরিবারের (Lamiaceae) অন্তর্ভুক্ত একটি সপুষ্পক উদ্ভিদ। এটি পশ্চিম ও দক্ষিণ-পশ্চিম ইউরেশিয়ার নাতিশীতোষ্ণ অঞ্চলে এবং ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলে দেখতে পাওয়া যায়। পশ্চিমা বিশ্বে এটি "ওরেগানো" (বাংলায় বানানভেদে "অরিগানো") নামেও পরিচিত। জংলী মরুয়া একটি বহুবর্ষজীবী ভেষজ উদ্ভিদ।
বিবরণ
[সম্পাদনা]এর উচ্চতা ২০ থেকে ৮০ সেন্টিমিটার হয়ে থাকে। পত্রবিন্যাস বিপরীত ধরনের এবং পাতার দৈর্ঘ্য ১ থেকে ৪ সেন্টিমিটার। এর ফুলগুলি রক্তবেগুনী বর্ণের, ৩ থেকে ৪ মিলিমিটার দীর্ঘ এবং উল্লম্ব কাটার ন্যায় উৎপন্ন হয়। উদ্ভিদটি মরুয়ার সাথে সম্পর্কিত।[১]
রান্নায় ব্যবহার
[সম্পাদনা]জংলী মরুয়ার পাতা রান্নায় স্বাদ যোগ করতে ব্যবহার করা হয়। টাটকা পাতার চেয়ে শুকনো পাতা ব্যবহারে স্বাদ বেশি পাওয়া যায়। এটি সুগন্ধী, হালকা গরম ও ঈষৎ তিক্ত স্বাদবিশিষ্ট, যার মাত্রার তারতম্য হতে পারে। I
জংলী মরুয়া আধুনিক ইতালীয় রন্ধনশৈলীতে ব্যবহৃত প্রধান একটি ভেষজ মসলা। সেখানে এটির স্থানীয় নাম ওরেগানো। মূলত দক্ষিণ ইতালির মসলাযুক্ত খাবারের সাথে এটি বেশি ব্যবহার করা হয়। উত্তর ইতালীয় রান্নাতে সাধারণ মরুয়া বেশি পছন্দের মসলা।
২য় বিশ্বযুদ্ধশেষে মার্কিন সৈন্যরা ইতালি থেকে ফেরত আসার সময় পিজ্জার মসলা হিসেবে জংলী মরুয়া বা ওরেগানো দেশে ফেরত নিয়ে আসে এবং তখন থেকে মসলাটি মার্কিন যুক্তরাষ্ট্রেও জনপ্রিয়তা লাভ করে।
ইতালি ছাড়াও সমগ্র ভূমধ্যসাগরীয় অঞ্চলেই, বিশেষত তুরস্ক ও গ্রিসে জংলী মরুয়া ব্যাপকভাবে প্রচলিত। এছাড়া ফিলিপাইন ও লাতিন আমেরিকাতে বিশেষ করে আর্জেন্টিনীয় রন্ধনশৈলীতে এর ব্যবহার আছে।