কিম চেক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়
김책공업종합대학 | |
প্রাক্তন নামসমূহ | পিয়ং ইয়াং প্রযুক্তি কলেজ (平壤工業大學) |
---|---|
স্থাপিত | ১৯৫১ |
সভাপতি | হং সেও-হুন |
প্রশাসনিক ব্যক্তিবর্গ | ২,০০০ |
শিক্ষার্থী | ১০,০০০ |
অবস্থান | , |
পোশাকের রঙ | নীল |
ওয়েবসাইট | www |
কিম চেক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় | |
চোসেঙ্গুল | 김책공업종합대학 |
---|---|
হাঞ্ছা | 金策工業綜合大學 |
সংশোধিত রোমানীকরণ | Kimchaek Gongeop Jonghap Daehak |
ম্যাক্কিউন-রাইশাওয়া | Kimch'aek Kongŏp Chonghap Taehak |
কিম চেক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় উত্তর কোরিয়ার পিয়ং ইয়াং-এ টেডং নদীর তীরে অবস্থিত একটি বিশ্ববিদ্যালয়। জেনারেল কিম চেকের নামানুসারে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের নামকরণ করা হয়েছে।
পারমাণবিক চুল্লি, পারমাণবিক ইলেকট্রনিক্স, পারমাণবিক জ্বালানী ও পারমাণবিক প্রকৌশলের উপর এই বিশ্ববিদ্যালয়ের পাঠ্যসূচি প্রশিক্ষণ গবেষণা ও প্রযুক্তিগত জনবলে বিশেষ মনোযোগ প্রদান করে। এখান থেকে পাশ করা স্নাতকগণ ইয়ংবিয়ন নিউক্লিয়ার রিসার্চ সেন্টার বা পাকচোন-কুনের পারমাণবিক কেন্দ্রে যোগদান করেন।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]কিম চেক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয় মূলত কিম ইল-সাং বিশ্ববিদ্যালয়ের অংশ ছিল। ১৯৪৮ সালের ২৭শে সেপ্টেম্বর এটি পিয়ং ইয়াং প্রযুক্তি কলেজ হিসেবে প্রতিষ্ঠিত হয়েছিল। ১৯৫১ সালে জেনারেল কিম চেক কোরীয় যুদ্ধে মৃত্যুবরণ করলে তার সম্মানার্থে এই কলেজের নাম পরিবর্তন করে কিম চেক প্রযুক্তি কলেজ রাখা হয়।
শুরুর দিনগুলিতে এই কলেজে খনিজ ভূতত্ত্ব, যন্ত্র প্রকৌশল, ধাতু প্রকৌশল, ও ত্বড়িৎ প্রকৌশল-সহ নয়টি অনুষদ ছিল এবং ৮০-এর অধিক শিক্ষক ও ১৫০০-এর অধিক শিক্ষার্থী ছিল।
১৯৮৮ সালের মে মাসে কলেজটিকে বিশ্ববিদ্যালয়ে উত্তীর্ণ করা হয় এবং এর নামকরণ করা হয় কিম চেক প্রযুক্তি বিশ্ববিদ্যালয়। ১৯৮১ থেকে ১৯৯৩ সালের মধ্যে বৃহদাকার নির্মাণকার্যের মধ্য দিয়ে এর প্রাঙ্গণ দ্বিগুণ করা হয় এবং বর্তমান ৪০০,০০০ বর্গমাইল আকারে আনা হয়।[১]
শিক্ষা কার্যক্রম
[সম্পাদনা]এই বিশ্ববিদ্যালয়ে ১৮টি বিভাগ এবং ৮০টি পাঠ্যসূচি রয়েছে। এর শিক্ষার্থী সংখ্যা প্রায় ১০,০০০ এবং ২,০০০ জন ব্যক্তি প্রশাসনিক কাজে নিয়োজিত। এখানে ১০টি গবেষণা ইনস্টিটিউট, একটি স্নাতক বিদ্যালয়, ৫৪টি গবেষণাগার এবং ৬০০,০০০ খণ্ড সংবলিত একটি গ্রন্থাগার রয়েছে। এই বিশ্ববিদ্যালয়ের প্রাঙ্গণের আকার ৪০০,০০০ বর্গমিটার।
কোরিয়ান ওয়ার্কার্স পার্টি সেন্ট্রাল কমিটির অধীনস্থ বিজ্ঞান ও শিক্ষা বিভাগ সকল তদারকির দায়িত্ব পালন করে, কিন্তু শিক্ষা মন্ত্রণালয়ের উচ্চ শিক্ষা বিভাগে প্রশাসনিক বিষয়াবলি দেখাশুনা করে। প্রতিটি শহর বা প্রদেশে পিপল্স কমিটির অধীনে শিক্ষা ব্যুরো রয়েছে যা শিক্ষা নীতি নির্ধারণে এবং স্থানীয় শিক্ষা ব্যুরো বিদ্যালয়ের কিছু নীতি নির্ধারণে অবদান রাখে।
বিশ্ববিদ্যালয়টির বর্তমান সভাপতি হং সেও-হুন।[২]
২০১২ সালে এই বিশ্ববিদ্যালয়ের কয়েকজন শিক্ষার্থী নসোটেক ও কোরিও টুর্সের সাথে মিলে পিয়ংইয়াং রেসার নামে একটি রেসিং ভিডিও গেম তৈরি করে যা উত্তর কোরিয়ায় পর্যটনের বিকাশে সহায়তা করেছে।[৩]
অর্জন
[সম্পাদনা]২০১৯ সালে বিশ্ববিদ্যালয়টি আন্তর্জাতিক কলেজিয়েট প্রোগ্রামিং প্রতিযোগিতায় ৮ম স্থান অধিকার করে। এর পূর্বে ২০১৮ সালের ডিসেম্বর মাসে এই বিশ্ববিদ্যালয় "এশিয়া - ইস্ট" বিভাগে স্বর্ণপদক অর্জন করে আন্তর্জাতিক পর্যায়ে ফাইনালে অংশগ্রহণের সুযোগ পায়।[৪]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Kim Chaek University of Technology | Facilities | NTI"। www.nti.org। সংগ্রহের তারিখ ২ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ কাং, টায়-জুন (২৯ জুন ২০১৯)। "North Korean Universities Join Hands With Pyongyang in Nurturing the Science Sector"। দ্য ডিপ্লোমেট (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ "ABOUT KORYO TOURS PYONGYANG RACER"। কোরিও টুর্স। ২৩ অক্টোবর ২০১৩ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২০।
- ↑ উইলিয়ামস, মার্টিন (৩ মে ২০১৯)। "Kim Chaek University ranks 8th in international programming contest"। নর্থ কোরিয়া টেক - 노스코리아테크 (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ৩ নভেম্বর ২০২০।