কালো ছত্রাক (কোভিড-১৯ জনিত অবস্থা)
কোভিড-১৯-সম্পর্কিত মিউকরমাইকোসিস,[১] যা সাধারণত কালো ছত্রাক বা কৃষ্ণ ছত্রাক হিসেবে উল্লেখিত হয়,[২] হলো কোভিড-১৯ এর সাথে সম্পর্কিত মিউকরমাইকোসিসের তথা অ্যাগ্রেসিভ ধাঁচের ছত্রাক সংক্রমণ।[৩] নাক, চোখ এবং মস্তিষ্কে আক্রান্ত করে, যার ফলে কখনো কখনো এটাকে 'রাইনো-অরবিটার-সেরেব্রাল (আরওসি) মিউকরমাইকোসিস' হিসেবেও উল্লেখ করা হয়ে থাকে।[৪]
কোভিড-সম্পর্কিত মিউকরমাইকোসিসের তথ্য সাধারণত বিরল ছিল।[১] চিকিৎসা সাহিত্যের পর্যালোচনা করে দেখা যায় ২০২১ সালের ৯ জানুয়ারি পর্যন্ত সারা বিশ্বে এ ধরনের মাত্র ৮টি ঘটনা ঘটেছে।[১] এই প্রতিবেদন অনুযায়ী মিউকরমাইকোসিসের সবচেয়ে সাধারণ ঝুঁকির কারণ ছিল ডায়াবেটিস।[১] হাসপাতালে ভর্তির সময় (প্রায়শই ভর্তির ১০-১৪ দিন পরে) বেশিরভাগ ক্ষেত্রেই এই রোগ দেখা যায় এবং আক্রান্ত ব্যক্তিদের মধ্যে অনেকেই মারা যায়।[১] প্রথম থেকেই অ্যাগ্রেসিভ চিকিৎসা অপরিহার্য হিসেবে বিবেচিত হয়।[১] ধারণা করা হয় যে ৪০% থেকে ৮০% মিউকরমাইকোসিসের কোনো ধরণে আক্রান্তরা মৃত্যুবরণ করেন, যা সংক্রমণস্থল এবং অন্তর্নিহিত স্বাস্থ্য অবস্থার উপর নির্ভর করে।[৫]
কোভিড-সম্পর্কিত মিউকরমাইকোসিস ভারতের মানুষকে বিশেষভাবে প্রভাবিত করেছে।[২] রাশিয়াতেও এ সমস্যা দেখা দেয়।[৬] বাংলাদেশেও এই রোগী শনাক্ত করা হয়।[৭] ভারতে এই সংক্রমণের উচ্চমাত্রার কারণ হিসেবে কোভিড সংক্রমণের উচ্চ হার এবং ডায়াবেটিসের উচ্চ হারকে নির্দেশ করা হয়।[৮] ২০২১ সালের মে মাসে ইন্ডিয়ান কাউন্সিল অব মেডিকেল রিসার্চ কোভিড-সম্পর্কিত মিউকরমাইকোসিসকে শনাক্ত করে প্রয়োজনীয় চিকিৎসার জন্য নির্দেশিকা জারি করে।[৯]
দ্রুত ক্রমবর্ধমান আক্রান্ত ঘটনার ফলে রাজস্থান সরকার ১৯ মে ২০২১ তারিখে এই রোগকে মহামারী ঘোষণা করে। রাজস্থান সরকারের পাশাপাশি হরিয়ানা, তামিলনাড়ু, তেলেঙ্গানা এবং গুজরাত সরকারও এখন এই মহামারী ঘোষণা করেছে।[১০]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ Garg D, Muthu V, Sehgal IS, Ramachandran R, Kaur H, Bhalla A, Puri GD, Chakrabarti A, Agarwal R (২০২১)। "Coronavirus Disease (Covid-19) Associated Mucormycosis (CAM): Case report and systematic review of literature"। Mycopathologia। 186 (2): 289–298। ডিওআই:10.1007/s11046-021-00528-2। পিএমআইডি 33544266
|pmid=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। পিএমসি 7862973|pmc=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। - ↑ ক খ Biswas, Soutik (২০২১-০৫-০৯)। "Mucormycosis: The 'black fungus' maiming Covid patients in India"। BBC News।
- ↑ "Black Fungus: Symptoms, IIMS & ICMR Guidelines PDF for Mucormycosis"। S A NEWS (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৫-২১। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২১।
- ↑ Sen M, Honavar SG, Sharma N, Sachdev MS (২০২১)। "COVID-19 and Eye: A review of ophthalmic manifestations of COVID-19"। Indian Journal of Ophthalmology। 69 (3): 488–509। ডিওআই:10.4103/ijo.IJO_297_21। পিএমআইডি 33595463
|pmid=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। পিএমসি 7942063|pmc=
এর মান পরীক্ষা করুন (সাহায্য)। - ↑ Cornely OA, Alastruey-Izquierdo A, Arenz D, ও অন্যান্য (২০১৯)। "Global guideline for the diagnosis and management of mucormycosis: an initiative of the European Confederation of Medical Mycology in cooperation with the Mycoses Study Group Education and Research Consortium" (পিডিএফ)। The Lancet. Infectious Diseases। 19 (12): e405–e421। ডিওআই:10.1016/S1473-3099(19)30312-3। পিএমআইডি 31699664।
- ↑ "Russia Confirms Rare, Deadly 'Black Fungus' Infections Seen in India"। The Moscow Times (ইংরেজি ভাষায়)। ২০২১-০৫-১৭।
- ↑ হোসেন, আকবর (২৫ মে ২০২১)। "ব্ল্যাক ফাঙ্গাস সংক্রমণ থেকে সুরক্ষার সাতটি উপায়"। বিবিসি বাংলা। সংগ্রহের তারিখ ২৯ মে ২০২১।
- ↑ Runwal, Priyanka (২০২১-০৫-১৪)। "A rare black fungus is infecting many of India's COVID-19 patients—why?"। National Geographic (ইংরেজি ভাষায়)।
- ↑ "ICMR releases diagnosis and management guidelines for COVID-19-associated Mucormycosis"। Firstpost। ২০২১-০৫-১৭।
- ↑ Delhi/Jaipur/LucknowMay 19, Dev Ankur Wadhawan Pankaj Jain Samarth Shrivastava Kumar Kunal New; May 19, 2021UPDATED:; Ist, 2021 17:51। "Rajasthan declares black fungus an epidemic; cases pile up in several states | 10 points"। India Today (ইংরেজি ভাষায়)। সংগ্রহের তারিখ ২০২১-০৫-২০।