উইকিপিডিয়া:ভিডিওউইকি/ম্যালেরিয়া
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
[সম্পাদনা]ম্যালেরিয়া হল মানুষ এবং অন্যান্য প্রাণীদের একটি মশা-বাহিত সংক্রামক রোগ।[১]
রোগের লক্ষণ
[সম্পাদনা]প্রথম দিকে মাথাধরা, ক্ষুধামন্দা, বমি বমি ভাব, কোষ্ঠকাঠিন্য, অনিদ্রা ইত্যাদি লক্ষণ দেখা দেয়।[২]
মারাত্মক ম্যালেরিয়া লক্ষণ
[সম্পাদনা]মারাত্মক ক্ষেত্রে ম্যালেরিয়া হলে হলুদ ত্বক, মৃগী রোগে আক্রান্ত হওয়া খিঁচুনি, কোমা, বা মৃত্যুর কারণ হতে পারে।[২]
লক্ষণ সময়
[সম্পাদনা]সংক্রামিত মশার কামড়ানোর সাধারণত দশ থেকে পনের দিন পরে লক্ষণগুলি দেখা দেয়।[১]
চিকিৎসা না করার ঝুঁকি
[সম্পাদনা]যদি সঠিকভাবে চিকিৎসা না করা হয়, কয়েক মাস পরে এই রোগের পুনরাবৃত্তি হতে পারে।[১]
আংশিক প্রতিরোধের ক্ষমতা
[সম্পাদনা]সম্প্রতি যারা কোন প্রকারের সংক্রমণ থেকে সুস্থ হয়েছেন, তাদের মধ্যে পুনরায় সংক্রমণের সাধারণত হালকা লক্ষণ দেখা যেতে পারে।[২]
আংশিক প্রতিরোধের ক্ষমতা সীমাবদ্ধতা
[সম্পাদনা]এই আংশিক প্রতিরোধের ক্ষমতা কয়েক মাস থেকে কয়েক বছরের মধ্যে অদৃশ্য হয়ে যায়, যদি কোন ব্যক্তির ম্যালেরিয়ার ক্রমাগত সংস্পর্শে থাকে। [২]
কারণ
[সম্পাদনা]ম্যালেরিয়া রোগের মূল কারণে প্লাজমোডিয়াম গোত্রের প্রোটিস্টা (এক ধরনের অণুজীব)।[১]
প্রাথমিক সংক্রমণ
[সম্পাদনা]এই রোগটি একটি সংক্রমিত স্ত্রী মশার (আনোফেলিস মশা) কামড় সাথে শুরু হয়, যা তার লালা মাধ্যমে প্রোটিস্টর সংবহন তন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে এবং শেষে যকৃৎতে পৌছায়, যেখানে তারা পরিপক্ক হয় এবং বংশবৃদ্ধি করে এবং ছড়িয়ে পড়ে।[১]
যকৃৎতে ছড়িয়ে পড়া
[সম্পাদনা]লালার মাধ্যমে প্রোটিস্টর সংবহন তন্ত্রের মধ্যে প্রবেশ করে এবং শেষে যকৃৎতে পৌছায়, যেখানে তারা পরিপক্ক হয় এবং বংশবৃদ্ধি করে। [২]
ম্যালেরিয়া সংক্রমণের প্রজাতি
[সম্পাদনা]মানুষের দেহে পাঁচটি প্রজাতির প্লাজমোডিয়াম প্রেরণ এবং সংক্রমণ ঘটতে পারে। [২] বেশিভাগ ক্ষেত্রে মৃত্যুর কারণ হল প্লাজমোডিয়াম ফ্যালসিপেরাম।[২][১]
রোগ নির্ণয়
[সম্পাদনা]ম্যালেরিয়া সাধারণত ব্লাড ফিল্মস ব্যবহার করে রক্তের দূরবীক্ষণ পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়,
দ্রুত রোগ নির্ণয়
[সম্পাদনা]অথবা অ্যান্টিজেন-ভিত্তিক দ্রুত ডায়গনস্টিক পরীক্ষার মাধ্যমে নির্ণয় করা হয়।[২]আধুনিক প্রযুক্তিতে প্যারাসাইটের ডিএনএ শনাক্ত করার জন্য পলিমারেজ শৃঙ্খল বিক্রিয়ার ব্যবহার উন্নত করা হয়েছে, কিন্তু এর খরচ ও জটিলতার জন্য ব্যাপকভাবে ম্যালেরিয়া-কবলিত এলাকায় ব্যবহার করা হয় না।[৩]
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ "Malaria Fact sheet N°94"। WHO। মার্চ ২০১৪। ৩ সেপ্টেম্বর ২০১৪ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৮ আগস্ট ২০১৪।
- ↑ ক খ গ ঘ ঙ চ ছ জ Caraballo H (২০১৪)। "Emergency department management of mosquito-borne illness: Malaria, dengue, and west nile virus"। Emergency Medicine Practice। 16 (5)। ২০১৬-০৮-০১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা।
- ↑ Nadjm B, Behrens RH (২০১২)। "Malaria: An update for physicians"। Infectious Disease Clinics of North America। 26 (2): 243–59। ডিওআই:10.1016/j.idc.2012.03.010। পিএমআইডি 22632637।