বিষয়বস্তুতে চলুন

আমুন্ডসেন উপসাগর

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে
আমুন্ডসেন উপসাগর, নর্থ-ওয়েস্ট টেরিটোরিস অঞ্চল, কানাডা
  নুনাভুট
  নর্থওয়েস্ট টেরিটোরিস
  ইউকন টেরিটোরি
  ব্রিটিশ কলাম্বিয়া
  আলাস্কা
আমুন্ডসেন উপসাগরের উপগ্রহ চিত্র

আমুন্ডসেন উপসাগর (ইংরেজি: Amundsen Gulf উত্তর মহাসাগরের বোফর্ট সাগরের দক্ষিণ-পূর্ব বাহু। এটি প্রায় ৪০০ কিলোমিটার দীর্ঘ ও প্রায় ১৫০ কিলোমিটার প্রশস্ত। এর পশ্চিমে বোফর্ট সাগর, পূর্বে ভিক্টোরিয়া আইল্যান্ড দ্বীপ, উত্তরে ব্যাংকস আইল্যান্ড দ্বীপ এবং দক্ষিণে কানাডার মূল ভূখণ্ড। প্রশাসনিকভাবে এটি কানাডার নর্থ-ওয়েস্ট টেরিটোরিস (অর্থাৎ উত্তর-পশ্চিম ভূখণ্ডসমূহ) নামক অঞ্চলের অন্তর্গত।

১৮৫০ সালে ব্রিটিশ অভিযাত্রী রবার্ট ম্যাকক্লুর পশ্চিম দিক থেকে উপসাগরটিতে প্রবেশ করেন। তার অভিযানটিই জাহাজস্লেজগাড়িতে করে উত্তর-পশ্চিম অতিক্রম পথ পাড়ি দেওয়া প্রথম অভিযান ছিল। আটলান্টিক মহাসাগর থেকে প্রশান্ত মহাসাগরের যাওয়ার একটি জাহাজপথকে উত্তর-পশ্চিম অতিক্রম পথ নাম দেওয়া হয়। আমুন্ডসেন উপসাগর এই পথের পশ্চিম প্রান্তে অবস্থিত।

নরওয়েজীয় অভিযাত্রী রোয়াল্ড আমুন্ডসেনের নামে উপসাগরটির নামকরণ করা হয়েছে। তিনিই প্রথম জাহাজের মাধ্যমে উত্তর-পশ্চিম অতিক্রম পথটি পাড়ি দেন। আমুন্ডসেন ১৯০৩ ও ১৯০৬ সালের মধ্যবর্তী সময়ে উপসাগরটিতে অভিযান চালান।

এই উপসাগরের উপকূলে খুব কম লোকের বাস। এখানে অল্প কয়েকটি শহর ও লোকালয় আছে। এদের মধ্যে স্যাকস হার্বার, উলুকহাকটোক ও পাউলাটুক উল্লেখযোগ্য। উপসাগর থেকে উত্তর দিকে গেলে প্রিন্স অফ ওয়েলস সমুদ্র প্রণালীতে পৌঁছানো যায়। পূর্ব ও দক্ষিণ-পূর্ব দিকে গেলে ডলফিন ও ইউনিয়ন প্রণালী হয়ে সিম্পসন উপসাগর পার হয়ে করোনেশন উপসাগরে পৌঁছানো যায়। সেখান থেকে

সমস্ত আমুন্ডসেন উপসাগরটি উত্তর মেরুদেশীয় তুন্দ্রা জলবায়ু অঞ্চলের মধ্যে পড়েছে। এখানে শীতকালে অত্যন্ত তীব্র ঠান্ডা পড়ে। শীতকালের শেষভাগে আমুন্ডসেন উপসাগর সামুদ্রিক বরফে আবৃত থাকে। বেশিরভাগ বরফ জুলাই মাসে ভেঙে যায়। উপসাগরের উত্তর ও পূর্বের কিছু কিছু প্রত্যন্ত অংশে আগস্ট মাসে গিয়ে বরফ ভাঙে।

বেলুগা তিমি, সিলমাছ, উত্তর মেরুদেশীয় চার মাছ, কড মাছ, এমনকি স্যামন মাছও উপসাগরের পানিতে বিচরণ করে।