অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (টেনিস)
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন | ||
---|---|---|
অফিসিয়াল ওয়েব সাইট | ||
অবস্থান | মেলবোর্ন অস্ট্রেলিয়া | |
ভেন্যু | মেলবোর্ন পার্ক | |
সারফেস | হার্ড | |
পুরুষদের ড্র | ১২৮এস / ১২৮কিউ / ৬৪ডি | |
মহিলাদের ড্র | ১২৮এস / ৯৬কিউ / ৬৪ডি | |
প্রাইজমানি | A$৭৬,৫০০,০০০ (২০২৩) [১] | |
গ্র্যান্ড স্ল্যাম | ||
অস্ট্রেলিয়ান ওপেন (ইংরেজি: Australian Open) হল চারটি টেনিস গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টের প্রথমটি যা প্রতিবছর জানুয়ারিতে অস্ট্রেলিয়ার মেলবোর্ন পার্কে অনুষ্ঠিত হয়। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ১৯০৫ সাল থেকে ১৯৮৭ সাল পর্যন্ত গ্রাস কোর্টে অনুষ্ঠিত হলেও ১৯৮৮ সাল থেকে হার্ড কোর্টে অনুষ্ঠিত হচ্ছে। ম্যাট্স উইল্যান্ডার হলেন একমাত্র পুরুষ খেলোয়াড় যিনি গ্রাস ও হার্ড দুই কোর্টেই এই টুর্নামেন্ট জিতেছেন।
অন্যান্য গ্র্যান্ড স্ল্যাম টুর্নামেন্টের মতো অস্ট্রেলিয়ান ওপেনেও পুরুষ এবং মহিলা একক; পুরুষ, মহিলা ও মিশ্র দ্বৈত; জুনিয়র, হুইলচেয়ার ও লিজেন্ডদের প্রতিযোগিতা অনুষ্ঠিত হয়।
এই ওপেনের দুটি প্রধান কোর্ট হচ্ছে রড লেভার অ্যারিনা ও হাইসেন্স অ্যারিনা। কোর্ট দুটোর বিশেষ ছাদ রয়েছে যেগুলো বেশি গরম বা বৃষ্টিতে বন্ধ রাখা যায়। অস্ট্রেলিয়ান ওপেন ও উইম্বলডন এ দুটি স্ল্যামই কেবল ইনডোরে খেলা হয়।
এটি গ্রীষ্মের মাঝামাঝি অনুষ্ঠিত হয়। তাপমাত্রা অসহনীয় অবস্থায় পৌঁছালে সর্বোচ্চ তাপমাত্রা নীতি গ্রহণ করা হয়।
অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে সাধারণত প্রচুর দর্শকের সমাগম ঘটে। ২০১০ অস্ট্রেলিয়ান ওপেনে একদিনে ৭৭,০৪৩ দর্শকের উপস্থিতি এবং সর্বমোট ৬৫৩,৮৬০ দর্শকের উপস্থিতি ঘটে যা যে-কোন গ্র্যান্ড স্ল্যামের জন্য রেকর্ড।[২]
২০ বছর ধরে থাকা রিবাউন্ড এইস সারফেস ২০০৮ সালে থেকে প্লেক্সিকুশন সারফেসে পরিবর্তন করা হয়।[৩] এই নতুন সারফেসের সুবিধা হল এটি বেশি স্থায়ী এবং বেশি তাপমাত্রার জন্য উপযোগী। এই পরিবর্তন মতবিরোধের সম্মুখীন হয় কারণ এটি ইউএস ওপেনে ব্যবহৃত ডেকোটার্ফ সারফেসের মতোই।[৪] পুরুষ এককে রজার ফেদেরার এবং মহিলা এককে সেরেনা উইলিয়ামস রিবাউন্ড এইস ও প্লেক্সিকুশন এ দুই সারফেসেই এই টুর্নামেন্ট জিতেছেন।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]অস্ট্রেলিয়ান ওপেন টেনিস অস্ট্রেলিয়া দ্বারা নিয়ন্ত্রিত, যা আগে লন টেনিস অ্যাসোসিয়েশন অব অস্ট্রেলিয়া নামে পরিচিত ছিল। এই টুর্নামেন্ট প্রথমে অস্ট্রেলেশিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ নামে পরিচিত ছিল। ১৯২৭ সালে এর নাম হয় অস্ট্রেলিয়ান চ্যাম্পিয়নশিপ এবং ১৯৬৯ সালে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন।[৫] ১৯০৫ সাল থেকে অস্ট্রেলিয়ান ওপেন অস্ট্রেলিয়ার পাঁচটি ও নিউজিল্যান্ডের দুটি শহরে অনুষ্ঠিত হয়েছেঃ মেলবোর্ন (৫৪ বার), সিডনি (১৭ বার), অ্যাডিলেড (১৪ বার), ব্রিসবেন (৭ বার), পার্থ (৩ বার), ক্রাইস্টচার্চ (১৯০৬ সালে) এবং হাস্টিংস (১৯১২ সালে)।[৫] ভৌগোলিক দূরত্ব ও যাতায়াত সমস্যার কারণে প্রথমদিকের টুর্নামেন্টগুলোতে খেলোয়াড়ের অভাব ছিল। ১৯৬৯ সালে টুর্নামেন্টটি অস্ট্রেলিয়ান ওপেন নামে ব্রিসবেনে সকল খেলোয়াড়ের জন্য উন্মুক্ত হিসেবে আয়োজিত হয়।[৬] ১৯৭২ সালে যখন এটি প্রতি বছর একই শহরে আয়োজনের সিদ্ধান্ত নেয়া হয়, কুইয়ং লন টেনিস ক্লাবকেই নির্বাচিত করা হয় কারণ পৃষ্ঠপোষকরা মেলবোর্নকেই পছন্দ করতেন বেশি। ১৯৮৮ সালের টুর্নামেন্টে কুইয়ং লন টেনিস ক্লাব থেকে মেলবোর্ন পার্কে(পূর্বের ফ্লিন্ডার্স পার্ক) স্থানান্তর করা হয় এবং প্রথম রিবাউন্ড এইস সারফেসে খেলা হয়। এবছর ৯০ শতাংশ দর্শক বেড়ে যায়। [৭] টুর্নামেন্টটি সাধারণত ডিসেম্বর বা ডিসেম্বর-জানুয়ারি মাস মিলিয়ে অনুষ্ঠিত হত। ১৯৮৫ সালের ডিসেম্বরের পর ১৯৮৭ সালের জানুয়ারিতে অনুষ্ঠিত হবার কারণে ১৯৮৬ সালে এটি অনুষ্ঠিত হয়নি। ১৯৮৭ সালের পর থেকে নিয়মিত জানুয়ারি মাসে অনুষ্ঠিত হয়ে আসছে।
সাম্প্রতিক উপস্থিতি
[সম্পাদনা]- ২০১১ – ৬৫১,১২৭[১১]
- ২০১০ – ৬৫৩,৮৬০[১২]
- ২০০৯ – ৬০৩,১৬০[১৩]
- ২০০৮ – ৬০৫,৭৩৫[১৪]
- ২০০৭ – ৫৫৪,৮৫৮[১৫]
- ২০০৬ – ৫৫০,৫৫০[১৬]
- ২০০৫ – ৫৪৩,৮৭৩[১৭]
- ২০০৪ – ৫২১,৬৯১[১৬]
ট্রফি ও প্রাইজমানি
[সম্পাদনা]- মহিলা এককের বিজয়ীকে ডাফনে আখার্স্ট মেমোরিয়াল কাপ দেয়া হয়।
- পুরুষ এককের বিজয়ীকে নরম্যান ব্রুকস চ্যালেঞ্জ কাপ দেয়া হয়।
২০১০ সাল থেকে পুরুষ ও মহিলা এককের বিজয়ীকে সমপরিমাণ প্রাইজমানি দেয়া হচ্ছে।
২০১8 সালের পুরুষ ও মহিলা এককের প্রাইজমানি:[১৮]
প্রথম রাউন্ড | $২৭,৬০০ |
---|---|
দ্বিতীয় রাউন্ড | $৪৫,৫০০ |
তৃতীয় রাউন্ড | $৭১,০০০ |
চতুর্থ রাউন্ড | $১২৫,০০০ |
কোয়ার্টার ফাইনালিস্ট | $২৫০,০০০ |
সেমি ফাইনালিস্ট | $৫০০,০০০ |
রানার্স আপ | $১,২১৫,০০০ |
চ্যাম্পিয়ন | $২,৪৩০,০০০ |
বর্তমান চ্যাম্পিয়ন
[সম্পাদনা]
|
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]- ↑ "Prize Money"। australianopen.com। সংগ্রহের তারিখ ১ মার্চ ২০১৪।
- ↑ The Final Word: Australian Open 2010
- ↑ "List of Classified Court Surfaces"। ২৫ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ ফেব্রুয়ারি ২০১০।
- ↑ http://boston.bizjournals.com/boston/stories/2008/01/28/story7.html
- ↑ ক খ Tristan Foenander। "History of the Australian Open – the Grand Slam of Asia/Pacific"। Australian Open। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-২২।
- ↑ "Milton Tennis Centre"। Australian Stadiums। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-২৫।
- ↑ Frank Cook (১৪ ফেব্রুয়ারি ২০০৮)। "Open began as Aussie closed shop"। The Daily Telegraph। news.com.au। ৬ ডিসেম্বর ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২০০৮-০১-২২।
- ↑ "AO 2014 – The Final Word"। ২৭ জানুয়ারি ২০১৪। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Australian Open 2013 – The Final Word"। ২৮ জানুয়ারি ২০১৩। সংগ্রহের তারিখ ৭ ফেব্রুয়ারি ২০১৪।
- ↑ "Top 10: Memorable AO2012 moments"। ২৯ জানুয়ারি ২০১২। সংগ্রহের তারিখ ৪ মার্চ ২০১২।
- ↑ "Closing notes: Australian Open 2011"। ৩০ জানুয়ারি ২০১১। ২ ফেব্রুয়ারি ২০১১ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৭ জানুয়ারি ২০১২।
- ↑ "Federer wins fourth Australian Open, 16th major singles title"। ৩১ জানুয়ারি ২০১০। সংগ্রহের তারিখ ৭ মার্চ ২০১০।
- ↑ Australian Open 2009 - the final word
- ↑ "The Australian Open - History of Attendance" (পিডিএফ)। Australian Open। ৫ সেপ্টেম্বর ২০০৭ তারিখে মূল (PDF) থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ৩০ জানুয়ারি ২০০৮।
- ↑ "AO 2007: The Final Word"। Tennis Australia। ১৮ জানুয়ারি ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০০৮।
- ↑ ক খ Australian Open Tennis Attendance History ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ১৬ নভেম্বর ২০১৬ তারিখে — Altius Directory
- ↑ "Safin credits Lundgren for resurgence"। Sports Illustrated। CNN। ৩০ জানুয়ারি ২০০৫। ২৫ জুলাই ২০০৮ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ২৫ জানুয়ারি ২০০৮।
- ↑ "Prize Money"। AustralianOpen.com। ১৭ জুলাই ২০১২ তারিখে মূল থেকে আর্কাইভ করা। সংগ্রহের তারিখ ১৯ জানুয়ারি ২০১১।