বিষয়বস্তুতে চলুন

বেনাপোল এক্সপ্রেস

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার বর্তমান সংস্করণ, যা মোঃ সাকিবুল হাসান (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১১:০৪, ১৯ সেপ্টেম্বর ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক।

(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)
বেনাপোল এক্সপ্রেস
কুষ্টিয়া রেলওয়ে স্টেশন থ্রু যাওয়ার সময়
সংক্ষিপ্ত বিবরণ
পরিষেবা ধরনআন্তঃনগর ট্রেন
প্রথম পরিষেবা১৭ জুলাই ২০১৯
বর্তমান পরিচালকবাংলাদেশ রেলওয়ের পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে বিভাগ
যাত্রাপথ
শুরুবেনাপোল রেলওয়ে স্টেশন
বিরতি১২ টি
শেষকমলাপুর রেলওয়ে স্টেশন
যাত্রার গড় সময়৭ ঘণ্টা ৪৫ মিনিট
পরিষেবার হার৬ দিন (বুধবার বন্ধ)
রেল নং৭৯৫/৭৯৬
যাত্রাপথের সেবা
শ্রেণীএসি চেয়ার কার এবং চেয়ার কোচ
আসন বিন্যাসহ্যাঁ
ঘুমানোর ব্যবস্থাহ্যাঁ
খাদ্য সুবিধাহ্যাঁ
কারিগরি
পরিচালন গতি৫০-১০০-৮৫-১১৫-১০০

বেনাপোল এক্সপ্রেস ঢাকা-বেনাপোল রুটে চলাচলকারী একমাত্র আন্তঃনগর ট্রেন পরিষেবা যা ২০১৯ সালের ১৭ই জুলাই চালু করা হয়। বাংলাদেশ রেলওয়ে সংস্থার পশ্চিমাঞ্চল রেলওয়ে বিভাগ কর্তৃক পরিচালিত একটি বিলাসবহুল ও অত্যাধুনিক­ ট্রেন এটি।

ঢাকাগামী বেনাপোল এক্সপ্রেস গড়াই রেল সেতুতে উঠার সময়

নামকরণ

[সম্পাদনা]

যশোর জেলার অন্তর্গত বাংলাদেশের সর্ববৃহৎ স্থলবন্দর বেনাপোল স্থলবন্দর। এখান থেকেই ট্রেনটি যাত্রা শুরু করে বলে ট্রেনটির নামকরণ করা হয়েছে বেনাপোল এক্সপ্রেস

ইতিহাস

[সম্পাদনা]

১৯৬৫ সালে পাক-ভারত যুদ্ধ শুরু হলে ঢাকা থেকে বেনাপোলগামী এবং খুলনা থেকে বেনাপোলগামী রেল পরিষেবা বন্ধ করে দেয়া হয়। তবে রেলসড়ক ও স্টেশনসমূহ অবিনষ্ট থেকে যায়। ২০১৪ সালে যশোর থেকে বেনাপোল অবধি রেলসড়কের সংস্কার করা হয়। একই সঙ্গে স্টেশনগুলোর সার্বিক সংস্কার করা হয়। পরবর্তীকালে এই পথ দিয়ে খুলনা-কলকাতা রেলপরিষেবা চালু করা হয়। তবে ঢাকা-বেনাপোল রুটে কোন সরাসরি রেল পরিষেবা না থাকায় বাংলাদেশ সরকার এই রুটে একটি নতুন ট্রেন সেবা চালুর সিদ্ধান্ত নেয়। ২০১৯ এর জুলাই মাসের ১৭ তারিখ বুধবার বেনাপোল স্টেশন থেকে ঢাকার উদ্দেশ্যে “বেনাপোল এক্সপ্রেস” যাত্রা শুরু করে। গণভবন থেকে ভিডিও সম্মেলনের মাধ্যমে নতুন এ রেল পরিষেবার উদ্বোধন করেন প্রধানমন্ত্রী শেখ হাসিনা।[] প্রাথমিক ভাবে তিনটি নাম প্রধানমন্ত্রীর কাছে পাঠানো হয়। সেগুলোর হলো বেনাপোল এক্সপ্রেস, বন্দর এক্সপ্রেস ও ইছামতী এক্সপ্রেস। প্রধানমন্ত্রী বেনাপোল এক্সপ্রেস নামটি দেন।

শুরুতে ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানিকৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্রডগেজে নতুন ১২টি কোচ দিয়ে চলাচল শুরু করে ট্রেনটি। পরে তা পরিবর্তন করে ভারত থেকে আমদানিকৃত ব্রডগেজে পুরাতন ১০টি কোচ দেওয়া হলে বেনাপোলবাসী অত্যাধুনিক প্রযুক্তির নতুন কোচ পাওয়ার দাবিতে আন্দোলন শুরু করে।

অবশেষে ২০২৩ সালের ১৮ই এপ্রিল ঈদুল ফিতরের উপহার হিসেবে চীন থেকে (পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পের আওতায়) সদ্য আমদানিকৃত অত্যাধুনিক প্রযুক্তির ব্রডগেজে ১২টি কোচ দিয়ে যাত্রা শুরু করে বেনাপোল এক্সপ্রেস।

সময়সূচী

[সম্পাদনা]

নিম্নে পদ্মা সেতু রুটে চলাচল করার ক্ষেত্রে সময়সূচি কিছুটা পরিবর্তন করা হয়েছে।

ট্রেন

নং

প্রান্তিক

স্টেশন

ছাড়ার

সময়

গন্তব্য

স্টেশন

পৌছার

সময়

সাপ্তাহিক

ছুটি

৭৯৫ বেনাপোল ১৩:০০ কমলাপুর ২০:৪৫ বুধবার
৭৯৬ কমলাপুর ২৩:৪৫ বেনাপোল ০৭:২০

পরিবর্তনশীল বিধায় বাংলাদেশ রেলওয়ের অফিসিয়াল ওয়েবসাইটে গিয়ে সর্বশেষ সময়সূচী জানা যেতে পারে।

যাত্রাবিরতির স্টেশনসমূহ

[সম্পাদনা]

বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি যাত্রাপথ ১১টি রেলস্টেশনে যাত্রাবিরতি করে। এসব স্টেশনে যাত্রীরা ওঠানামা করেন। ৭৯৫/৭৯৬ নং বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি ২ নভেম্বর ২০২৩ইং থেকে পদ্মা সেতু হয়ে চলাচল করে। আগে এই ট্রেনটি ঢাকা বিমানবন্দর - যমুনা সেতু - ঈশ্বরদী জংশন হয়ে চলাচল করতো।

বর্তমান রুটে যাত্রাবিরতিসমূহ:

রোলিং স্টক

[সম্পাদনা]

বেনাপোল এক্সপ্রেস ট্রেনটি চীন থেকে (পদ্মা রেল লিংক প্রকল্পের আওতায়) সদ্য আমদানিকৃত ব্রডগেজ কোচগুলো দিয়ে পরিচালনা করা হয়। এই ট্রেনে মোট ১২টি কোচ রয়েছে। যার মধ্যে-

  • শোভন চেয়ার ৬টি,
  • এসি চেয়ার ২টি,
  • এসি কেবিন ১টি,
  • পাওয়ার কার ১টি,
  • গার্ড ব্রেক ২ টি।

আসন বিন্যাস

[সম্পাদনা]

সর্বমোট ১২ টি কোচ থাকবে এই ট্রেনে। যাত্রী ধারণ ক্ষমতা প্রায় ৮৯৬ জন। কোচ গুলোর মধ্যে -

• এসি চেয়ার – ১ টি (গ)

• এসি কেবিন – ১ টি (খ)

• শোভন চেয়ার – ৭ টি (ঘ, চ, ট)

• পাওয়ার কার+নামাজ ঘর+শোভন চেয়ার কোচ – ১টি (ঙ)

• গার্ড ব্রেক+ডাইনিং কার+শোভন চেয়ার কোচ – ২ টি (ক, ঠ)

বিশেষ আকর্ষণ

[সম্পাদনা]

• আধুনিক সুবিধা আছে এই ট্রেনে।

• ট্রেনটি একটি 'ক' শ্রেণির আন্তনগর ট্রেন

• ইন্দোনেশিয়া থেকে আমদানী করা কোচ।

• আধুনিক অটোমেটিক এয়ার ব্রেক সিস্টেম।

• আছে ডিজিটাল ডিসপ্লে।

• নিরাপদ স্লাইডিং ডোর।

• আধুনিক ও মানসম্মত চেয়ার ও বার্থ।

• টিভি, ওয়ার ফাই এবং মোবাইল চার্জের ব্যবস্থা।

• আধুনিক ডাইনিং সুবিধা সহ খাবার গাড়ী।

• রেলওয়ের নিজস্ব ক্যাটারিং সার্ভিস

• অজুখানা সহ নামাজ ঘর।

• আধুনিক পরিবেশ বান্ধব বায়ো-টয়লেট।

তথ্যসূত্র

[সম্পাদনা]
  1. "বিরতিহীন 'বেনাপোল এক্সপ্রেস' ট্রেনের যাত্রা শুরু আজ"প্রথম আলো। ১৭ জুলাই ২০১৯। সংগ্রহের তারিখ ৩০ আগস্ট ২০১৯ 

বহিঃসংযোগ

[সম্পাদনা]