বিষয়বস্তুতে চলুন

হোনশু

উইকিপিডিয়া, মুক্ত বিশ্বকোষ থেকে

এটি এই পাতার বর্তমান সংস্করণ, যা কুউ পুলক (আলোচনা | অবদান) কর্তৃক ১৯:১৭, ৪ আগস্ট ২০২৪ তারিখে সম্পাদিত হয়েছিল ({{উৎসহীন}} ট্যাগ যোগ করা হয়েছে)। উপস্থিত ঠিকানাটি (ইউআরএল) এই সংস্করণের একটি স্থায়ী লিঙ্ক।

(পরিবর্তন) ← পূর্বের সংস্করণ | সর্বশেষ সংস্করণ (পরিবর্তন) | পরবর্তী সংস্করণ → (পরিবর্তন)
হোনশু
স্থানীয় নাম:
本州
হোণ্শুউ
ভূগোল
অবস্থানপূর্ব এশিয়া
দ্বীপপুঞ্জজাপান দ্বীপপুঞ্জ
আয়তন২,৩০,৫০০ বর্গকিলোমিটার (৮৯,০০০ বর্গমাইল)
আয়তনে ক্রম৭ম
তটরেখা৫,৪৫০ কিমি (৩,৩৮৬ মাইল)
সর্বোচ্চ উচ্চতা৩,৭৭৬ মিটার (১২,৩৮৮ ফুট)
সর্বোচ্চ বিন্দুফুজি পর্বত
প্রশাসন
জাপান
প্রশাসনিক অঞ্চলহিরোশিমা, ওকায়ামা, শিমানে, তোত্তোরি, য়ামাগুচি, হিয়োগো, কিয়োতো, মিয়ে, নারা, ওসাকা, শিগা, ওয়াকায়ামা, চিবা, গুন্‌মা, ইবারাকি, কানাগাওয়া, সাইতামা, তোচিগি, টোকিও, আকিতা, আওমোরি, ফুকুশিমা, ইওয়াতে, মিয়াগি, ইয়ামাগাতা, আইচি
বৃহত্তর বসতিতোকিও (জনসংখ্যা ১২,৫৭০,০০০)
জনপরিসংখ্যান
জনসংখ্যা৯৮,৩৫২,০০০ (১৯৯০)
জাতিগত গোষ্ঠীসমূহজাপানি
হানশুর স্যাটেলাইট ছবি

হোনশু (জাপানি ভাষায়: 本州 উচ্চারণ শুনুন আক্ষরিক অর্থে "প্রধান রাজ্য") জাপানের চারটি প্রধান দ্বীপের মধ্যে বৃহত্তম। উত্তরে ৎসুগারু প্রণালী হোণ্শুউ দ্বীপকে হোক্কাইদো দ্বীপ থেকে পৃথক করেছে; পূর্বে প্রশান্ত মহাসাগর; দক্ষিণে ইনল্যান্ড সাগর ও কানমন প্রণালী হোণ্শুউ দ্বীপকে শিকোকুকিউশু দ্বীপগুলি থেকে পৃথক করেছে; পশ্চিমে জাপান সাগর। দ্বীপটি প্রায় ১২৯০ কিলোমিটার দীর্ঘ এবং এর প্রস্থ ৪৮ থেকে মধ্যভাগে ২৪১ কিলোমিটার পর্যন্ত দেখা যায়। সন্নিকটবর্তী প্রায় ২০০টির মত ছোট দ্বীপের আয়তন গণনায় ধরে হোণ্শুউ দ্বীপের মোট আয়তন প্রায় ২,৩১,০০০ বর্গকিলোমিটার, যা জাপানের মোট আয়তনের ৬১%। আয়তনের দিক থেকে এটি বিশ্বের ৭ম বৃহত্তম দ্বীপ।

অঞ্চলের অন্যান্য দ্বীপের মত হোণ্শুউ দ্বীপও অত্যন্ত পার্বত্যময়। জাপানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গগুলি দ্বীপের মধ্যভাগের পার্বত্য অঞ্চলে অবস্থিত। এই পর্বতমালাটি জাপানি আল্পস পর্বতমালা নামে পরিচিত। জাপানের সর্বোচ্চ পর্বতশৃঙ্গ ফুজি সমুদ্র সমতল থেকে ৩,৭৭৬ মিটার উচ্চতাবিশিষ্ট। জাপানের সবচেয়ে উঁচু সক্রিয় আগ্নেয়গিরি আসামা পর্বত তোকিও শহর থেকে প্রায় ১৪০ কিলোমিটার উত্তর-পশ্চিমে অবস্থিত। ফুজি পর্বত অঞ্চলটিতে প্রায়ই বিরাট আকারের ভূমিকম্প হয়। হোণ্শুউ দ্বীপে তোনে, শিনানো এবং কিনো নদীগুলি অবস্থিত এবং এগুলি জাপানের বৃহত্তম নদীগুলির মধ্যে অন্যতম। শিনানো জাপানের দীর্ঘতম নদী। এছাড়াও এই দ্বীপে অনেক হ্রদ আছে যেগুলি গ্রীষ্মকালীন অবকাশযাপন কেন্দ্র হিসেবে ব্যবহৃত হয়।

হোনশু দ্বীপটি উত্তর-দক্ষিণে প্রায় ৮ ডিগ্রী অক্ষাংশ এলাকা জুড়ে অবস্থিত এবং ফলে দ্বীপের অঞ্চলভেদে জলবায়ুর ব্যাপক তারতম্য হয়। কেন্দ্রীয় পাহাড়ি অঞ্চলে পশ্চিমে ও দ্বীপের উত্তর অংশে শীতকালে প্রচুর শীত ও বরফ পড়ে। কিন্তু মৃদু কুরোশিও সমুদ্রস্রোত বা জাপান সমুদ্রস্রোতের কারণে দ্বীপের মধ্যভাগে পূর্ব উপকূলের শীতকালীন জলবায়ু মৃদু হয়। দক্ষিণ-পশ্চিম মৌসুমী বায়ুর প্রভাবে গ্রীষ্মকাল গরম ও আর্দ্র হয়; এসময় তাপমাত্রা ৩৫ ডিগ্রী সেলসিয়াস পর্যন্ত উঠে যেতে পারে। সাধারণত সেপ্টেম্বর ও অক্টোবর মাসে তাইফুন ঝড় আঘাত হানে এবং ভারী বর্ষণের কারণে বড় আকারের বন্যা হয়।

জাপানের অর্ধেকেরও বেশি লোক হোনশু দ্বীপের নিম্নভূমি এলাকায় বসবাস করে। বিশেষ করে কান্তো সমভূমি এলাকায় বৃহত্তর তোকিও মহানগরী অঞ্চলে দ্বীপের ২৫% লোক বাস করে। হোণ্শুউ দ্বীপে প্রায় ১০ কোটি লোক বাস করে। জনসংখ্যার বিচারে এটি বিশ্বের ২য় বৃহত্তম দ্বীপ (জাভা দ্বীপের পরেই)। তোকিও এখানকার বৃহত্তম নগরী। এর বাইরে ওসাকা, নাগোয়্যা, কিয়োতো, ইয়োকোহামা, কোবে এবং হিরোশিমা উল্লেখযোগ্য শহর। এই শহরগুলি দ্বীপের দক্ষিণ উপকূলে অবস্থিত এবং এরা একটি শিল্পবলয় গঠন করেছে। জাপান সাগরের তীরে দ্বীপের উত্তর-পশ্চিম অংশের অর্থনীতিতে মাছ ধরা ও কৃষিকাজ প্রধান কর্মকাণ্ড। নিইগাতা ধান উৎপাদনের জন্য বিখ্যাত। কান্তো ও নোবি সমভূমিতে ধান ও সবজির চাষ হয়। ইয়ামানাশি একটি গুরুত্বপূর্ণ ফল উৎপাদনকারী এলাকা। আওমোরির আপেল বিখ্যাত।