পোয়াতিয়ে
পোয়াতিয়ে | |
---|---|
প্রেফ্যক্ত্যুর ও কম্যুন | |
পোয়াতিয়ের অবস্থান লুয়া ত্রুটি মডিউল:তথ্যছক_মানচিত্র এর 86 নং লাইনে: bad argument #1 to 'sqrt' (number expected, got nil)। | |
স্থানাঙ্ক: ৪৬°৩৫′ উত্তর ০°২০′ পূর্ব / ৪৬.৫৮° উত্তর ০.৩৪° পূর্ব | |
দেশ | ফ্রান্স |
নগরের পৌরসভা | পোয়াতিয়ে |
ক্যান্টন | পোয়াতিয়ে-১, ২, ৩, ৪ ও ৫ |
আন্তঃগোষ্ঠী | সিইউ গ্রঁ পোয়াতিয়ে |
সরকার | |
• মেয়র (২০২০-২০২৬) | লেওনোর মোঁকোন্দ্যুয় (দ্য গ্রিন্স) |
আয়তন১ | ৪২.১১ বর্গকিমি (১৬.২৬ বর্গমাইল) |
বিশেষণ | পোয়াতভাঁ |
সময় অঞ্চল | সিইটি (ইউটিসি+০১:০০) |
• গ্রীষ্মকালীন (দিসস) | সিইএসটি (ইউটিসি+০২:০০) |
আইএনএসইই/ডাক কোড | ৮৬১৯৪ /৮৬০০০ |
উচ্চতা | ৬৫–১৪৪ মি (২১৩–৪৭২ ফু) (avg. ৭৫ মি অথবা ২৪৬ ফু) |
ওয়েবসাইট | poitiers.fr (ফরাসি ভাষায়) |
১ ফ্রান্সের ভূমি রেজিস্টার তথ্য, যার ভেতর হ্রদ, পুকুর, হিমবাহ > ১ বর্গকি.মি.২(০.৩৮৬ বর্গ মাইল বা ২৪৭ একর) এবং নদীর মোহনা অন্তর্ভূক্ত নয়। |
পোয়াতিয়ে (ফরাসি : [pwatje] () পশ্চিম ফ্রান্সের )ক্ল্যাঁ নদীর তীরবর্তী একটি শহর। এটি ভিয়েন দেপার্তমঁর একটি কম্যুন ও রাজধানী এবং পোয়াতুর ঐতিহাসিক কেন্দ্র। পোয়াতিয়ে একটি গুরুত্বপূর্ণ বিশ্ববিদ্যালয় কেন্দ্র। শহরটির কেন্দ্র ছবির মত এবং এর রাস্তাগুলোর পার্শ্বে ঐতিহাসিক স্থাপত্যে পরিপূর্ণ,[১] বিশেষ করে রোমান যুগের ধর্মীয় স্থাপত্য। এই শহরে দুটি যুদ্ধ সংগঠিত হয়েছিল। প্রথমটি ৭৩২ সালে সংগঠিত তুরের যুদ্ধ এবং দ্বিতীয়টি ১৩৫৬ সালে শতবর্ষ ব্যাপী যুদ্ধের একটি উল্লেখযোগ্য যুদ্ধ।
ইতিহাস
[সম্পাদনা]ধ্রুপদী সভ্যতা
[সম্পাদনা]কেল্টীয় উপজাতি পিক্তোনরা পোয়াতিয়ে প্রতিষ্ঠা করে এবং এটি রোমানদের অধীনের আসার পূর্বে লেমোনুম নামে পরিচিত দুর্গবেষ্টিত জনবসতি ছিল। নামটি কেল্টীয় শব্দ লেমো থেকে এসেছে বলা উল্লেখ করা হয়। রোমান শাসনের অধীনে আসার পর শহরটি এর আদি বাসিন্দা পিক্তোনদের নামানুসারে পিক্তাভিউম, ও পরে পিক্তাভিস নামে পরিচিতি লাভ করে।
পোয়াতিয়ে শহরে রোমান যুগের অনেক প্রত্নতাত্ত্বিক নিদর্শন পাওয়া গেছে। ১৮৫৭ সাল পর্যন্ত পোয়াতিয়ে শহরে বিপুল পরিমাণে রোমান বৃহদাকার মঞ্চের ধ্বংসাবশেষ পাওয়া গেছে, যা নিমের ধ্বংসাবশেষের চেয়েও বড়। ১৮৭৭ সালে ১ম শতাব্দীতে নির্মিত ও ৩য় শতাব্দীতে ধ্বংসপ্রাপ্ত রোমান স্নানাগারের অংশিষ্টাংশ আবিষ্কৃত হয়েছে।[১]
১৮৭৯ সালে শহরটির দক্ষিণ-পূর্ব হতে অসংখ্য খ্রিস্টান শহিদদের কবরস্থান ও সমাধি পাওয়া গেছে। কয়েকজন খ্রিস্টানের নাম চিত্র ও খোদাইলিপিতে সংরক্ষিত রয়েছে।[১] এই সমাধির নিকটেই বৃহদাকার প্রস্তরনির্মিত সমাধিকক্ষ পাওয়া গেছে, যেটি ৬.৭ মিটার (২২ ফুট) লম্বা, ৪.৯ মিটার (১৬ ফুট) চওড়া এবং ২.১ মিটার (৭ ফুট) উচ্চতাবিশিষ্ট। এর চারপাশে সন্ত লুকাসের মহোৎসব অনুষ্ঠিত হত।[১]
মধ্যযুগ
[সম্পাদনা]শতবর্ষ ব্যাপী যুদ্ধে ১৩৫৬ সালের ১৯শে সেপ্টেম্বর এই শহরের নিকটে পোয়াতিয়ের যুদ্ধ সংগঠিত হয়। এতে ইংরেজরা জয়ী হয়। এই যুদ্ধে পরবর্তী কালে ১৪১৮ সালে রাজকীয় সংসদ বাধ্য হয়ে পারি থেকে পোয়াতিয়েতে স্থানান্তর করে। ১৪৩৬ সালে রাজধানী থেকে প্লঁতাজেনেরা সেনা প্রত্যাহার করার পূর্ব পর্যন্ত এখানেই রাজকীয় সংসদ পরিচালিত হয়। এর মধ্যবর্তী সময়ে ১৪২৯ সালে পোয়াতিয়ে জান দার্কের আনুষ্ঠানিক বৃত্তান্তবিচারের স্থান ছিল।[১]
১৪৩১ সালে পোয়াতিয়ে বিশ্ববিদ্যালয় প্রতিষ্ঠিত হয়। সংস্কারকালীন ও পরবর্তী কালে জঁ কালভাঁ পোয়াতিয়েতে অসংখ্য লোককে ধর্মান্তরিত করেন এবং শহরে সহিংস বিক্ষোভ-মিছিল হয় যা ফ্রান্স জুড়ে ধর্ম যুদ্ধের সূত্রপাত ঘটায়।[১]
১৫৬৯ সালে কোঁত দ্যু ল্যুদ গি দ্য দেলোঁ পোয়াতিয়েকে কলিনিয়ের দ্বিতীয় গাসপারের আক্রমণ থেকে রক্ষা করেন। গাসপার সাত সপ্তাহ ব্যাপী এই শহরে বোমা বর্ষণের পরও ব্যর্থ হলে এই শহর থেকে অবরোধ উঠিয়ে নেন।[১]
ভূগোল
[সম্পাদনা]পোয়াতিয়ে শহরটি আর্মোরিকান ও কেন্দ্রীয় মাসিফের মধ্যবর্তী স্থান সোল দ্যু পোয়াতুতে অবস্থিত। সোল দ্যু পোয়াতু দক্ষিণে আকিতেন বাসাঁ ও উত্তরে পারি বাসাঁর সাথে সংযুক্ত করেছে। এই এলাকাটি ফ্রান্স ও পশ্চিম ইউরোপের মধ্যকার গুরুত্বপূর্ণ সংযোগস্থল।
পোয়াতিয়ের প্রধান এলাকাগুলো বোয়াভ্র ও ক্ল্যাঁ নদীর উপত্যকায় অবস্থিত। পুরনো শহরটি প্লাতোর ঢাল ও চূড়া নিয়ে বিস্তৃত ছিল, সমুদ্রপৃষ্ট থেকে এর উচ্চতা ১৩০ ফুট (৪০ মিটার) ছিল। এই কারণে শহরটি কৌশলগত অবস্থানের সুবিধা অর্জন করে। এই সকল কারণে শহরটি মধ্যযুগের পূর্বে ও মধ্যযুগে গুরুত্বপূর্ণ ছিল।
পরিবহন
[সম্পাদনা]পোয়াতিয়ের রেলওয়ে স্টেশনটি পারি ও বর্দোর মধ্যবর্তী টিজিভি আতলঁতিক রেলপথে অবস্থিত। স্টেশনটি পুরনো শহরের কেন্দ্রের পশ্চিম প্রান্তের উপত্যকায় অবস্থিত। রেল সেবা অঁগুলেম, লিমজ ও লা রোশেল এবং পারি ও বর্দো পর্যন্ত পরিচালিত হয়। সরাসরি টিজিভি লাইন দিয়ে পোয়াতিয়ে থেকে পারির গার মোঁপারনাসে যেতে সময় লাগে ১ ঘণ্টা ৪০ মিনিট।
পোয়াতিয়ে - বিয়ার বিমানবন্দর পোয়াতিয়ের ২.৪ কিমি (১.৫ মাইল) পশ্চিমে অবস্থিত। এখান থেকে লিওঁ-সাঁ এক্সুপেরি, লন্ডন-স্ট্যানস্টেড, এডিনবরা এবং আয়ারল্যান্ডের শ্যাননে যাত্রী পরিবহন করা হয়।
তথ্যসূত্র
[সম্পাদনা]বহিঃসংযোগ
[সম্পাদনা]- Official website of the City of Poitiers
- Grand-Poitiers website
- Prefecture of the Vienne
- Vitalis Official website (Urban Transportation)
- Lignes en Vienne Official website (Vienne transportation) ওয়েব্যাক মেশিনে আর্কাইভকৃত ২৮ নভেম্বর ২০২০ তারিখে
- Official website TER Poitou-Charentes
- Official Website of the train station in Poitiers
- Site of the Tourist Office of Poitiers
- The University of Poitiers website
- Poitiers – History, Churches, Streets and Museum